সম্পাদকীয়
এ দেশে একদা একটা মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। সেই মুক্তিযুদ্ধে দেশের আপামর মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। কিছু পাকিস্তানি দালাল ছাড়া সবাই যে যেভাবে পেরেছেন সেই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। কোনো গ্রামে কোনো বৃদ্ধা তাঁর একমাত্র সম্বল মোরগটাও জবাই করে ক্ষুধার্ত মুক্তিযোদ্ধাদের খাইয়েছেন। অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করা তরুণদের উৎসাহ-অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন সবাই। কেউ আহত মুক্তিযোদ্ধা বা শরণার্থীদের সেবা করার জন্য হাসপাতালে সেবকের কাজ করেছেন, কেউ গান গেয়ে উদ্দীপিত করেছেন মানুষকে। কেউ রাজাকার আর পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন। কেউ গোপনে, কেউ প্রকাশ্যে পাকিস্তানিদের নির্যাতনের প্রতিবাদে কলম ধরেছেন। কেউ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। আরও কতভাবে যে মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন এ দেশের মানুষ, তা বলে শেষ করা যাবে না।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ‘চরমপত্র’ নামে একটি কথিকা প্রচারিত হতো। মুক্তিকামী মানুষ সেই কথিকা শুনতেন মনোযোগ দিয়ে। ঢাকাইয়া ভাষায় সেটি লিখতেন এবং পরিবেশন করতেন সাংবাদিক এম আর আখতার মুকুল। সে রকম একটি চরমপত্রের প্রথম দুটি বাক্য ছিল ‘ম্যাজিক কারবার। ঢাকায় অহন ম্যাজিক কারবার চলতাছে।’ এই কথা বলে ইয়াহিয়া সরকারের লেজে-গোবরে অবস্থা তুলে ধরতেন তিনি।
কথাটা মনে হলো পেট্রোবাংলা-সংক্রান্ত একটি খবর পড়ে। আসলেই বিভিন্নভাবে এই ঢাকা শহরেই এখন ‘ম্যাজিক কারবার’ চলছে। সংস্কারের যে প্রচেষ্টা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশবাসীকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন, তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েও এ কথা বলা দরকার যে, যত্রতত্র যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে, তার ওপর যদি অচিরেই সরকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, তাহলে নানা ধরনের ‘ম্যাজিক কারবার’ই দেখতে বাধ্য হবে জনগণ। পেট্রোবাংলার ২০তম গ্রেডের অফিস সহায়ক বা পিয়নকে কোনো রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই নবম গ্রেডের সহকারী ব্যবস্থাপক পদে উন্নীত করা হয়েছে। এক লাফে ২০তম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে পদোন্নতি নজিরবিহীন। অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে বলা প্রয়োজন, এই রকম ন্যক্কারজনক ঘটনা কিন্তু সংস্কারকাজকে ব্যাহত করবে। এই সরকারের সময়ই এসব ঘটনার জন্ম হয়েছে, সেটা মানুষ ভুলে যাবে না। আদালত প্রাঙ্গণে গ্রেপ্তারকৃত মানুষকে কিল-ঘুষি মারা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে গায়ের জোরে প্রধান শিক্ষক কিংবা অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য করা ইত্যকার ঘটনাগুলোও এই সরকারের কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার পাঁচজন নিরাপত্তা সহকারী ও অফিস সহায়ক পদ থেকে সরাসরি সহকারী ব্যবস্থাপক করলেন যাঁরা, তাঁদের কি জবাবদিহির আওতায় আনা হবে? কোন বিবেচনায় তাঁরা এই পাহাড়-পর্বত ডিঙিয়ে ২০তম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে এদের উন্নীত করলেন, তা কি জনগণকে জানানো উচিত নয়?
লোহা গরম থাকতেই তাতে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে হয়, নইলে সঠিক অবয়বটি আর পাওয়া যায় না। পেট্রোবাংলার এই ছোট অথচ তাৎপর্যপূর্ণ অনিয়মকে ধরেই এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা শুরু হোক। নইলে প্রতিশ্রুত সংস্কারের বাণীর ওপর আস্থা রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
এ দেশে একদা একটা মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। সেই মুক্তিযুদ্ধে দেশের আপামর মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। কিছু পাকিস্তানি দালাল ছাড়া সবাই যে যেভাবে পেরেছেন সেই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। কোনো গ্রামে কোনো বৃদ্ধা তাঁর একমাত্র সম্বল মোরগটাও জবাই করে ক্ষুধার্ত মুক্তিযোদ্ধাদের খাইয়েছেন। অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করা তরুণদের উৎসাহ-অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন সবাই। কেউ আহত মুক্তিযোদ্ধা বা শরণার্থীদের সেবা করার জন্য হাসপাতালে সেবকের কাজ করেছেন, কেউ গান গেয়ে উদ্দীপিত করেছেন মানুষকে। কেউ রাজাকার আর পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন। কেউ গোপনে, কেউ প্রকাশ্যে পাকিস্তানিদের নির্যাতনের প্রতিবাদে কলম ধরেছেন। কেউ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। আরও কতভাবে যে মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন এ দেশের মানুষ, তা বলে শেষ করা যাবে না।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ‘চরমপত্র’ নামে একটি কথিকা প্রচারিত হতো। মুক্তিকামী মানুষ সেই কথিকা শুনতেন মনোযোগ দিয়ে। ঢাকাইয়া ভাষায় সেটি লিখতেন এবং পরিবেশন করতেন সাংবাদিক এম আর আখতার মুকুল। সে রকম একটি চরমপত্রের প্রথম দুটি বাক্য ছিল ‘ম্যাজিক কারবার। ঢাকায় অহন ম্যাজিক কারবার চলতাছে।’ এই কথা বলে ইয়াহিয়া সরকারের লেজে-গোবরে অবস্থা তুলে ধরতেন তিনি।
কথাটা মনে হলো পেট্রোবাংলা-সংক্রান্ত একটি খবর পড়ে। আসলেই বিভিন্নভাবে এই ঢাকা শহরেই এখন ‘ম্যাজিক কারবার’ চলছে। সংস্কারের যে প্রচেষ্টা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশবাসীকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন, তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েও এ কথা বলা দরকার যে, যত্রতত্র যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে, তার ওপর যদি অচিরেই সরকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, তাহলে নানা ধরনের ‘ম্যাজিক কারবার’ই দেখতে বাধ্য হবে জনগণ। পেট্রোবাংলার ২০তম গ্রেডের অফিস সহায়ক বা পিয়নকে কোনো রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই নবম গ্রেডের সহকারী ব্যবস্থাপক পদে উন্নীত করা হয়েছে। এক লাফে ২০তম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে পদোন্নতি নজিরবিহীন। অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে বলা প্রয়োজন, এই রকম ন্যক্কারজনক ঘটনা কিন্তু সংস্কারকাজকে ব্যাহত করবে। এই সরকারের সময়ই এসব ঘটনার জন্ম হয়েছে, সেটা মানুষ ভুলে যাবে না। আদালত প্রাঙ্গণে গ্রেপ্তারকৃত মানুষকে কিল-ঘুষি মারা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে গায়ের জোরে প্রধান শিক্ষক কিংবা অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য করা ইত্যকার ঘটনাগুলোও এই সরকারের কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার পাঁচজন নিরাপত্তা সহকারী ও অফিস সহায়ক পদ থেকে সরাসরি সহকারী ব্যবস্থাপক করলেন যাঁরা, তাঁদের কি জবাবদিহির আওতায় আনা হবে? কোন বিবেচনায় তাঁরা এই পাহাড়-পর্বত ডিঙিয়ে ২০তম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে এদের উন্নীত করলেন, তা কি জনগণকে জানানো উচিত নয়?
লোহা গরম থাকতেই তাতে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে হয়, নইলে সঠিক অবয়বটি আর পাওয়া যায় না। পেট্রোবাংলার এই ছোট অথচ তাৎপর্যপূর্ণ অনিয়মকে ধরেই এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা শুরু হোক। নইলে প্রতিশ্রুত সংস্কারের বাণীর ওপর আস্থা রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে