আজকের পত্রিকা: সামগ্রিকভাবে এবারের বাজেট কেমন হলো?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: এটা একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কোভিডকালে আমরা সেটা লক্ষ করেছি এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের অভিঘাতের কারণে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো আমাদের জানাচ্ছে, নতুন করে দারিদ্র্য তৈরি হয়েছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী, সেটা ৯ শতাংশ। বাংলাদেশের মানুষের সংখ্যা যদি ১৭ কোটি হয়, সে হিসাবে দারিদ্র্য প্রায় দেড় কোটির মতো। তাদের আবার প্রকৃত আয় কমে গেছে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে প্রকৃত মজুরি বাড়ছে না। তার মানে তাদের ঘাটতি হচ্ছে। একদিকে যেমন নতুন করে দারিদ্র্য তৈরি হচ্ছে, অপরদিকে কিছু মানুষ তাদের নিজস্ব সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। কেউ কেউ আত্মীয়ের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে। আবার কেউ কেউ জমি বিক্রি বা বন্ধক রাখছে; অর্থাৎ সমাজে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির একটা ভাঙন চলছে। সেই মুহূর্তে আমরা লক্ষ করলাম, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। তার মানে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ অবস্থা দাঁড়িয়েছে।
অপরদিকে কৃষিপণ্যের উৎপাদন বেড়েছে কিন্তু বাজারে মধ্যস্থতাকারীদের দৌরাত্ম্যের কারণে কৃষক তাঁর পণ্যের দাম কম পাচ্ছেন। আর ভোক্তা বাজার থেকে জিনিসপত্র বেশি দামে কিনছেন। পেঁয়াজ তো আগে আমদানি করতাম, এটা তো দেশে এখন চাষ হচ্ছে। কিন্তু বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৭৫ থেকে ৯০ টাকা। এটা তো হওয়ার কথা ছিল না।
আশা করা হয়েছিল, এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানোর ব্যবস্থা থাকবে। যেসব পণ্যের দাম সরকার বাড়িয়েছিল, সেই সব পণ্যের দাম কিন্তু কমানো হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সমাজে একটা বড় ভাঙন ধরছে; বিশেষ করে নিম্নমধ্যবিত্ত এবং নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ, মানে যাঁরা চাকরি করেন, তাঁদের হাঁসফাঁস অবস্থা।
আজকের পত্রিকা: সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ কম কেন?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: মোট দেশজ উৎপাদনের তুলনায় কর আদায় অন্যান্য দেশের তুলনায় একেবারে তলানির দিকে। অন্যদিকে কতগুলো খাতে (ঋণ পরিশোধ, বেতন-ভাতাদি) দিন দিন বরাদ্দ বাড়ছেই। এ ক্ষেত্রে শুভংকরের ফাঁকিও সবার জানা। সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের পেনশন, বেতন-ভাতাদিরই একটা অংশ সামাজিক নিরাপত্তা খাতের হিসাবে দেখানো হয়। এর পরিমাণ অনেক বেশি। আবার বিভিন্ন খাতের ভর্তুকিও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ হিসেবে দেখানো হয়। ভর্তুকি কৃষকের দরকার; রপ্তানি বা উৎপাদনক্ষমতা বজায় রাখার জন্য পানি, গ্যাস, বিদ্যুতে ভর্তুকি দেওয়া যেতেই পারে। তবে সব ভর্তুকি কি খানায় বা কারখানায় যাচ্ছে? যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদিত না হলেও ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হচ্ছে।
সর্বশেষ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিক খাতে ঋণাত্মক কর্মসংস্থান হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদনক্ষমতা বাড়ার বিপরীতে অর্থনীতির পরিভাষা অনুযায়ী বিশিল্পায়ন ঘটছে। এটা মোটেই শুভকর লক্ষণ নয়। এবারের বাজেটে সবাই অধিকারভিত্তিক এবং আনুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান তৈরিকারী একটি মেগা প্রকল্প চেয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বে সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছিল। লর্ড বেভারেজ যুক্তরাজ্যে সামাজিক নিরাপত্তার কাঠামো বানিয়েছিলেন।
তিনি বাংলাদেশের রংপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইতিহাসের পরিহাস, রংপুর বিভাগ আজও বাংলাদেশের সবচেয়ে দরিদ্র মানুষের ঠিকানা! সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ৫০ লাখ মানুষকে নগদ সহায়তা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ৩৫ লাখের বেশি মানুষের কাছে তা পৌঁছায়নি।
সংকট উত্তরণে ‘সর্বজনীন জীবনচক্রভিত্তিক সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা’ দ্বিতীয় মেগা প্রকল্প হিসেবে যাতে গ্রহণ করা হয়, সেই আকাঙ্ক্ষা অনেকের ছিল। এই প্রকল্প জীবনযাত্রার সংকট থেকে উদ্ভূত ‘নিম্ন সামাজিক ফাঁদ’ থেকে উত্তরণ ঘটাতে বড় রকমের ভূমিকা রাখতে পারে। দেশের মানুষকে যেন আর পিছিয়ে না পড়তে হয়। যেকোনো অভিঘাত সহ্য করার ক্ষমতা যেন তাদের থাকে। সে জন্য শিশুকে প্রতিপালনকালে মাতৃত্ব ভাতা দরকার। অধিকারভিত্তিক বেকারত্ব ভাতা আবশ্যিক।
আজকের পত্রিকা: মূল্যস্ফীতি, ডলার-সংকট কমানোর জন্য বাজেটে কোনো পথনির্দেশ আছে কি?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট বাজেটে সুরাহা করা হয়নি। প্রায় সব পণ্য ও সেবার দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৬ শতাংশ ছাপিয়ে প্রথম ১০ মাসে মূল্যস্ফীতি গড়ে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। সরকার এখনো ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতির জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করছে। মূল্যস্ফীতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে আসবে, এমন ধারণা নিয়ে চলছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্য তথা সয়াবিন তেল, পাম তেল, চিনি, আটা, গম, পেঁয়াজ, মসুর ডাল, ছোলা ইত্যাদির দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমলেও ভোক্তাদের স্বস্তি নেই। দীর্ঘদিন ৭০-৮০ ডলার হলেও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তেলের দাম কমার লক্ষণ নেই। সরকার কর সমন্বয় করে দাম কমাতে পারত। ভোক্তারা শক্তিশালী মধ্যস্বত্বভোগীদের নেক্সাসের হাতে জিম্মি থাকলেও বাজেটে বাজারব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কারের কোনো প্রস্তাব নেই।
বিবিএসের মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে জিডিপির ২৩ দশমিক ৬৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্তত সাত বছর ধরে স্থবিরতা চলমান। ডলার-সংকটে মূলধন সরঞ্জাম আমদানি হ্রাসে বিনিয়োগ কমেছে। দ্রুত অগ্রগতি না হলে থমকে যাবে নতুন কর্মসংস্থান। মূল্যস্ফীতির চাপও কমবে না। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলো দাম বৃদ্ধির অভিঘাতে আক্রান্ত। যেমন রড, সিমেন্ট, ইট, পাথর, বালু, বিটুমিন এবং আলকাতরার মতো নির্মাণসামগ্রীর দাম ৪০ শতাংশ বেড়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় দেশীয় সুতার দাম বেড়েছে। প্রতিদিন টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বাড়ছে।
আজকের পত্রিকা: স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি ও কর্মসংস্থানের জন্য বরাদ্দ বাড়েনি। এর ফলাফল কী হতে পারে?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কর্মসংস্থান, আয় ও সঞ্চয় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। খাদ্য, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের খরচ কমিয়েছে। কাজের বিনিময়ে খাদ্য এবং খোলাবাজারে বিক্রির মতো খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিতে চলতি অর্থবছরের ৩২ দশমিক ৮২ লাখ টন থেকে আগামী বছর খাদ্য কম থাকবে (৩০ দশমিক ৯২ লাখ টন)। বাজেটে খাদ্যবহির্ভূত ব্যয় যেমন বাসাভাড়া, পরিবহন এবং স্বাস্থ্যসেবা রোধে সরকারি হস্তক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়নি। বাসনপত্র, টিস্যু, কলম, স্যানিটারি ন্যাপকিন ইত্যাদি দৈনন্দিন ব্যবহার্যের ওপর উচ্চমূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ধার্য হলে ন্যূনতম বেঁচে থাকা দুর্বিষহ হবে। সমস্যা এতটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছ যে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ২০২২ সালে ঢাকার মোট দারিদ্র্যের ৫১ শতাংশই নতুন দরিদ্র।
একইভাবে সামাজিক ব্যয় তথা স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়েনি। বিদায়ী বছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে বাজেট বরাদ্দের অংশ হ্রাস করায় জনগণ সেবাগুলোর বর্ধিত ব্যয় থেকে কোনো স্বস্তি পাবে না। কাঠামোগত বড় ব্যাধি তথা বৈষম্য নিরোধের কৌশল বাজেটে অনুপস্থিত। পক্ষপাতমূলক নীতিকাঠামো আয় ও সম্পদের বৈষম্যে বাড়াচ্ছে। ১২ বছর ধরে জিনি সহগ ঊর্ধ্বমুখীন। ২০২২ সালে শূন্য দশমিক ৪৯৯ পৌঁছেছে।
আজকের পত্রিকা: আইএমএফের শর্ত পূরণ করা হয়েছে, জনকল্যাণ উপেক্ষিত হয়েছে—এটা কি ঠিক?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: বাজেট ঘাটতিকে আইএমএফের সীমায় সীমিত করার মরিয়া প্রচেষ্টায় অস্বাভাবিক উচ্চ রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। ধনীদের দাতব্য প্রসারিত করে জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকটে নিপতিত মধ্যবিত্তের ওপর ন্যূনতম দুই হাজার টাকা কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে চার কোটি টাকা পর্যন্ত মোট সম্পদের ওপর কোনো সারচার্জ দিতে হবে না। বিনিয়োগের ট্যাক্স ক্রেডিট নিয়মের পরিবর্তনের প্রস্তাব উচ্চ আয়কারীদের উপকৃত করবে। কর ফাঁকি, কর ছাড় এবং কর পরিহারসংক্রান্ত কোনো সংস্কার কর্মসূচির ঘোষণা নেই। বাড়তি বিদ্যুৎ ভর্তুকি কীভাবে ব্যবহার করা হবে তা স্পষ্ট করা হয়নি। এটা কি ক্যাপাসিটি চার্জে বাড়াবে? শ্রীলঙ্কার পরে দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে ন্যুব্জ ব্যাংকিং খাত শুকিয়ে যাওয়ায় গোষ্ঠীতন্ত্র বাজেটের মাধ্যমে স্বজনতোষী পৃষ্ঠপোষকতার সংস্কৃতি বেড়েই চলবে?
আজকের পত্রিকা: বাজেট তো দেওয়া হয়ে গেছে। বাজেট পাসের পর কোন কোন বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় অনালোচিত থেকেছে। সাম্প্রতিককালে সার্বিক লেনদেন ভারসাম্যের ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টে ঘাটতি বেড়েই চলছে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন বন্ধ না-ও হতে পারে। সভরেইন গ্যারান্টি দেওয়া বেসরকারি খাতের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। সাড়ে সাত বছরে বৈদেশিক ঋণ ১২৮ শতাংশ বেড়ে ৯৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৫-১৬ পর্যন্ত ঋণের পরিমাণ ৪১ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার হলেও গত সাড়ে সাত বছরে ৫২ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ নিয়েছে। সরকারের ঋণ-জিডিপি অনুপাত ২০১৪ সালের ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ৪২ দশমিক ১ শতাংশ। ঋণ দায় পরিশোধ মাথাব্যথার কারণে পরিণত হবে।
আজকের পত্রিকা: একটা জনবান্ধব বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে আপনার পরামর্শ কী?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে কি জনগণের কোনো ভূমিকা আছে? দুঃখজনক সত্যি হচ্ছে, নেই। বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি বা বাজেট অর্থবিল হওয়ায় সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হয় না। সংসদে পেশ করা হয়। অর্থমন্ত্রী উত্থাপিত বিল সংসদ পাস করে। জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী সংসদ সদস্যরা নতুন প্রস্তাব যুক্ত করতে পারেন না। সংবিধানে দলের বাইরে গিয়ে কারও ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাহলে মৌলিক প্রশ্ন থেকেই যায়—জাতীয় বাজেট: কার জন্য, কেন এবং কীভাবে নির্ধারিত হয়?
আজকের পত্রিকা: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: আপনাদেরও অনেক ধন্যবাদ।
আজকের পত্রিকা: সামগ্রিকভাবে এবারের বাজেট কেমন হলো?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: এটা একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কোভিডকালে আমরা সেটা লক্ষ করেছি এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের অভিঘাতের কারণে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো আমাদের জানাচ্ছে, নতুন করে দারিদ্র্য তৈরি হয়েছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী, সেটা ৯ শতাংশ। বাংলাদেশের মানুষের সংখ্যা যদি ১৭ কোটি হয়, সে হিসাবে দারিদ্র্য প্রায় দেড় কোটির মতো। তাদের আবার প্রকৃত আয় কমে গেছে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে প্রকৃত মজুরি বাড়ছে না। তার মানে তাদের ঘাটতি হচ্ছে। একদিকে যেমন নতুন করে দারিদ্র্য তৈরি হচ্ছে, অপরদিকে কিছু মানুষ তাদের নিজস্ব সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। কেউ কেউ আত্মীয়ের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে। আবার কেউ কেউ জমি বিক্রি বা বন্ধক রাখছে; অর্থাৎ সমাজে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির একটা ভাঙন চলছে। সেই মুহূর্তে আমরা লক্ষ করলাম, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। তার মানে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ অবস্থা দাঁড়িয়েছে।
অপরদিকে কৃষিপণ্যের উৎপাদন বেড়েছে কিন্তু বাজারে মধ্যস্থতাকারীদের দৌরাত্ম্যের কারণে কৃষক তাঁর পণ্যের দাম কম পাচ্ছেন। আর ভোক্তা বাজার থেকে জিনিসপত্র বেশি দামে কিনছেন। পেঁয়াজ তো আগে আমদানি করতাম, এটা তো দেশে এখন চাষ হচ্ছে। কিন্তু বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৭৫ থেকে ৯০ টাকা। এটা তো হওয়ার কথা ছিল না।
আশা করা হয়েছিল, এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানোর ব্যবস্থা থাকবে। যেসব পণ্যের দাম সরকার বাড়িয়েছিল, সেই সব পণ্যের দাম কিন্তু কমানো হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সমাজে একটা বড় ভাঙন ধরছে; বিশেষ করে নিম্নমধ্যবিত্ত এবং নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ, মানে যাঁরা চাকরি করেন, তাঁদের হাঁসফাঁস অবস্থা।
আজকের পত্রিকা: সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ কম কেন?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: মোট দেশজ উৎপাদনের তুলনায় কর আদায় অন্যান্য দেশের তুলনায় একেবারে তলানির দিকে। অন্যদিকে কতগুলো খাতে (ঋণ পরিশোধ, বেতন-ভাতাদি) দিন দিন বরাদ্দ বাড়ছেই। এ ক্ষেত্রে শুভংকরের ফাঁকিও সবার জানা। সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের পেনশন, বেতন-ভাতাদিরই একটা অংশ সামাজিক নিরাপত্তা খাতের হিসাবে দেখানো হয়। এর পরিমাণ অনেক বেশি। আবার বিভিন্ন খাতের ভর্তুকিও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ হিসেবে দেখানো হয়। ভর্তুকি কৃষকের দরকার; রপ্তানি বা উৎপাদনক্ষমতা বজায় রাখার জন্য পানি, গ্যাস, বিদ্যুতে ভর্তুকি দেওয়া যেতেই পারে। তবে সব ভর্তুকি কি খানায় বা কারখানায় যাচ্ছে? যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদিত না হলেও ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হচ্ছে।
সর্বশেষ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিক খাতে ঋণাত্মক কর্মসংস্থান হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদনক্ষমতা বাড়ার বিপরীতে অর্থনীতির পরিভাষা অনুযায়ী বিশিল্পায়ন ঘটছে। এটা মোটেই শুভকর লক্ষণ নয়। এবারের বাজেটে সবাই অধিকারভিত্তিক এবং আনুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান তৈরিকারী একটি মেগা প্রকল্প চেয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বে সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছিল। লর্ড বেভারেজ যুক্তরাজ্যে সামাজিক নিরাপত্তার কাঠামো বানিয়েছিলেন।
তিনি বাংলাদেশের রংপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইতিহাসের পরিহাস, রংপুর বিভাগ আজও বাংলাদেশের সবচেয়ে দরিদ্র মানুষের ঠিকানা! সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ৫০ লাখ মানুষকে নগদ সহায়তা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ৩৫ লাখের বেশি মানুষের কাছে তা পৌঁছায়নি।
সংকট উত্তরণে ‘সর্বজনীন জীবনচক্রভিত্তিক সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা’ দ্বিতীয় মেগা প্রকল্প হিসেবে যাতে গ্রহণ করা হয়, সেই আকাঙ্ক্ষা অনেকের ছিল। এই প্রকল্প জীবনযাত্রার সংকট থেকে উদ্ভূত ‘নিম্ন সামাজিক ফাঁদ’ থেকে উত্তরণ ঘটাতে বড় রকমের ভূমিকা রাখতে পারে। দেশের মানুষকে যেন আর পিছিয়ে না পড়তে হয়। যেকোনো অভিঘাত সহ্য করার ক্ষমতা যেন তাদের থাকে। সে জন্য শিশুকে প্রতিপালনকালে মাতৃত্ব ভাতা দরকার। অধিকারভিত্তিক বেকারত্ব ভাতা আবশ্যিক।
আজকের পত্রিকা: মূল্যস্ফীতি, ডলার-সংকট কমানোর জন্য বাজেটে কোনো পথনির্দেশ আছে কি?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট বাজেটে সুরাহা করা হয়নি। প্রায় সব পণ্য ও সেবার দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৬ শতাংশ ছাপিয়ে প্রথম ১০ মাসে মূল্যস্ফীতি গড়ে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। সরকার এখনো ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতির জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করছে। মূল্যস্ফীতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে আসবে, এমন ধারণা নিয়ে চলছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্য তথা সয়াবিন তেল, পাম তেল, চিনি, আটা, গম, পেঁয়াজ, মসুর ডাল, ছোলা ইত্যাদির দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমলেও ভোক্তাদের স্বস্তি নেই। দীর্ঘদিন ৭০-৮০ ডলার হলেও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তেলের দাম কমার লক্ষণ নেই। সরকার কর সমন্বয় করে দাম কমাতে পারত। ভোক্তারা শক্তিশালী মধ্যস্বত্বভোগীদের নেক্সাসের হাতে জিম্মি থাকলেও বাজেটে বাজারব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কারের কোনো প্রস্তাব নেই।
বিবিএসের মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে জিডিপির ২৩ দশমিক ৬৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্তত সাত বছর ধরে স্থবিরতা চলমান। ডলার-সংকটে মূলধন সরঞ্জাম আমদানি হ্রাসে বিনিয়োগ কমেছে। দ্রুত অগ্রগতি না হলে থমকে যাবে নতুন কর্মসংস্থান। মূল্যস্ফীতির চাপও কমবে না। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলো দাম বৃদ্ধির অভিঘাতে আক্রান্ত। যেমন রড, সিমেন্ট, ইট, পাথর, বালু, বিটুমিন এবং আলকাতরার মতো নির্মাণসামগ্রীর দাম ৪০ শতাংশ বেড়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় দেশীয় সুতার দাম বেড়েছে। প্রতিদিন টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বাড়ছে।
আজকের পত্রিকা: স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি ও কর্মসংস্থানের জন্য বরাদ্দ বাড়েনি। এর ফলাফল কী হতে পারে?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কর্মসংস্থান, আয় ও সঞ্চয় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। খাদ্য, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের খরচ কমিয়েছে। কাজের বিনিময়ে খাদ্য এবং খোলাবাজারে বিক্রির মতো খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিতে চলতি অর্থবছরের ৩২ দশমিক ৮২ লাখ টন থেকে আগামী বছর খাদ্য কম থাকবে (৩০ দশমিক ৯২ লাখ টন)। বাজেটে খাদ্যবহির্ভূত ব্যয় যেমন বাসাভাড়া, পরিবহন এবং স্বাস্থ্যসেবা রোধে সরকারি হস্তক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়নি। বাসনপত্র, টিস্যু, কলম, স্যানিটারি ন্যাপকিন ইত্যাদি দৈনন্দিন ব্যবহার্যের ওপর উচ্চমূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ধার্য হলে ন্যূনতম বেঁচে থাকা দুর্বিষহ হবে। সমস্যা এতটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছ যে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ২০২২ সালে ঢাকার মোট দারিদ্র্যের ৫১ শতাংশই নতুন দরিদ্র।
একইভাবে সামাজিক ব্যয় তথা স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়েনি। বিদায়ী বছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে বাজেট বরাদ্দের অংশ হ্রাস করায় জনগণ সেবাগুলোর বর্ধিত ব্যয় থেকে কোনো স্বস্তি পাবে না। কাঠামোগত বড় ব্যাধি তথা বৈষম্য নিরোধের কৌশল বাজেটে অনুপস্থিত। পক্ষপাতমূলক নীতিকাঠামো আয় ও সম্পদের বৈষম্যে বাড়াচ্ছে। ১২ বছর ধরে জিনি সহগ ঊর্ধ্বমুখীন। ২০২২ সালে শূন্য দশমিক ৪৯৯ পৌঁছেছে।
আজকের পত্রিকা: আইএমএফের শর্ত পূরণ করা হয়েছে, জনকল্যাণ উপেক্ষিত হয়েছে—এটা কি ঠিক?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: বাজেট ঘাটতিকে আইএমএফের সীমায় সীমিত করার মরিয়া প্রচেষ্টায় অস্বাভাবিক উচ্চ রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। ধনীদের দাতব্য প্রসারিত করে জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকটে নিপতিত মধ্যবিত্তের ওপর ন্যূনতম দুই হাজার টাকা কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে চার কোটি টাকা পর্যন্ত মোট সম্পদের ওপর কোনো সারচার্জ দিতে হবে না। বিনিয়োগের ট্যাক্স ক্রেডিট নিয়মের পরিবর্তনের প্রস্তাব উচ্চ আয়কারীদের উপকৃত করবে। কর ফাঁকি, কর ছাড় এবং কর পরিহারসংক্রান্ত কোনো সংস্কার কর্মসূচির ঘোষণা নেই। বাড়তি বিদ্যুৎ ভর্তুকি কীভাবে ব্যবহার করা হবে তা স্পষ্ট করা হয়নি। এটা কি ক্যাপাসিটি চার্জে বাড়াবে? শ্রীলঙ্কার পরে দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে ন্যুব্জ ব্যাংকিং খাত শুকিয়ে যাওয়ায় গোষ্ঠীতন্ত্র বাজেটের মাধ্যমে স্বজনতোষী পৃষ্ঠপোষকতার সংস্কৃতি বেড়েই চলবে?
আজকের পত্রিকা: বাজেট তো দেওয়া হয়ে গেছে। বাজেট পাসের পর কোন কোন বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় অনালোচিত থেকেছে। সাম্প্রতিককালে সার্বিক লেনদেন ভারসাম্যের ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টে ঘাটতি বেড়েই চলছে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন বন্ধ না-ও হতে পারে। সভরেইন গ্যারান্টি দেওয়া বেসরকারি খাতের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। সাড়ে সাত বছরে বৈদেশিক ঋণ ১২৮ শতাংশ বেড়ে ৯৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৫-১৬ পর্যন্ত ঋণের পরিমাণ ৪১ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার হলেও গত সাড়ে সাত বছরে ৫২ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ নিয়েছে। সরকারের ঋণ-জিডিপি অনুপাত ২০১৪ সালের ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ৪২ দশমিক ১ শতাংশ। ঋণ দায় পরিশোধ মাথাব্যথার কারণে পরিণত হবে।
আজকের পত্রিকা: একটা জনবান্ধব বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে আপনার পরামর্শ কী?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে কি জনগণের কোনো ভূমিকা আছে? দুঃখজনক সত্যি হচ্ছে, নেই। বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি বা বাজেট অর্থবিল হওয়ায় সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হয় না। সংসদে পেশ করা হয়। অর্থমন্ত্রী উত্থাপিত বিল সংসদ পাস করে। জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী সংসদ সদস্যরা নতুন প্রস্তাব যুক্ত করতে পারেন না। সংবিধানে দলের বাইরে গিয়ে কারও ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাহলে মৌলিক প্রশ্ন থেকেই যায়—জাতীয় বাজেট: কার জন্য, কেন এবং কীভাবে নির্ধারিত হয়?
আজকের পত্রিকা: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: আপনাদেরও অনেক ধন্যবাদ।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে