সম্পাদকীয়
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের অবসানের পর এক বিজয় দিবসে সৈয়দ হক সস্ত্রীক বেরিয়েছিলেন শহর দেখতে। এরপর এক বন্ধু-দম্পতির গাড়িতে করে রওনা হয়েছিলেন নয়ারহাটে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধের পথে। কিন্তু বিধি বাম। বেলা ১১টার দিকে তাঁরা পৌঁছালেন কেবল আমিনবাজারে। তখনো অনেক পথ বাকি। গাড়ি আর এগোয় না।
কর্ণ নদীর ওপর যে ব্রিজটি, সেটি মেরামত করা হচ্ছে। ফলে একটা বেইলি ব্রিজের ওপর দিয়ে চলছে গাড়ি। ব্রিজটি সংকীর্ণ। একটির বেশি গাড়ি তাতে পার হতে পারে না। এর ফলে মহা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যারা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফিরছিল ঢাকার দিকে, তারা বেইলি ব্রিজের কর্তৃত্ব ছাড়তে চাইছিল না; অর্থাৎ নয়ারহাটের দিক থেকে আসা গাড়িগুলোই কেবল ব্রিজ পার হচ্ছিল। এরই মধ্যে ঢাকাগামী একটি বাস পড়ে গেল রাস্তার পাশে গভীর খাদে। সে এক বিতিকিচ্ছির ব্যাপার।
এই ভীষণ অবস্থায় গাড়ি থেকে নেমে এলেন সৈয়দ শামসুল হক। দেখলেন, স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরতে থাকা বাস ও ট্রাক ব্রিজ দিয়ে আসছে। তারা নয়ারহাটগামী বাস, ট্রাক, গাড়িকে ব্রিজে উঠতেই দেবে না। সৈয়দ হক একজন ছাত্রকে বললেন, ‘একেক দিক থেকে দশটা করে গাড়ি ছাড়ুন। নইলে ভয়ানক যানজট লেগে যাবে!’
কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া সেই যুবক বলে ওঠে, ‘আপনাদের অসুবিধা হবে, তাতে আমার কী?’
হতভম্ব হয়ে তরুণটির মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে শেষে হাঁটতে হাঁটতে ব্রিজে উঠে পড়েন। ব্রিজে একটি মাইক্রোবাসের দেখা পাওয়া গেল, যাতে করে একজন বড় দলের পরিচিত নেতা ফিরছেন। সৈয়দ হক তাঁকে বললেন, ‘আপনার কর্মীদের বলুন না, এই যানজট ছাড়াবার ব্যবস্থা করতে!’
নেতা পেছনে এক সমাজতান্ত্রিক প্রাচীন দলের গাড়ি দেখিয়ে বললেন, ‘ওই ওদের বলুন, ওরা পারবে।’
সেই সমাজতান্ত্রিক দলের ছেলেরাই কিন্তু দাঁড়িয়ে যায় যানজট ছাড়াতে!
সূত্র: সৈয়দ শামসুল হক, হৃৎকলমের টানে, পৃষ্ঠা ১৮৩-১৮৪
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের অবসানের পর এক বিজয় দিবসে সৈয়দ হক সস্ত্রীক বেরিয়েছিলেন শহর দেখতে। এরপর এক বন্ধু-দম্পতির গাড়িতে করে রওনা হয়েছিলেন নয়ারহাটে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধের পথে। কিন্তু বিধি বাম। বেলা ১১টার দিকে তাঁরা পৌঁছালেন কেবল আমিনবাজারে। তখনো অনেক পথ বাকি। গাড়ি আর এগোয় না।
কর্ণ নদীর ওপর যে ব্রিজটি, সেটি মেরামত করা হচ্ছে। ফলে একটা বেইলি ব্রিজের ওপর দিয়ে চলছে গাড়ি। ব্রিজটি সংকীর্ণ। একটির বেশি গাড়ি তাতে পার হতে পারে না। এর ফলে মহা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যারা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফিরছিল ঢাকার দিকে, তারা বেইলি ব্রিজের কর্তৃত্ব ছাড়তে চাইছিল না; অর্থাৎ নয়ারহাটের দিক থেকে আসা গাড়িগুলোই কেবল ব্রিজ পার হচ্ছিল। এরই মধ্যে ঢাকাগামী একটি বাস পড়ে গেল রাস্তার পাশে গভীর খাদে। সে এক বিতিকিচ্ছির ব্যাপার।
এই ভীষণ অবস্থায় গাড়ি থেকে নেমে এলেন সৈয়দ শামসুল হক। দেখলেন, স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরতে থাকা বাস ও ট্রাক ব্রিজ দিয়ে আসছে। তারা নয়ারহাটগামী বাস, ট্রাক, গাড়িকে ব্রিজে উঠতেই দেবে না। সৈয়দ হক একজন ছাত্রকে বললেন, ‘একেক দিক থেকে দশটা করে গাড়ি ছাড়ুন। নইলে ভয়ানক যানজট লেগে যাবে!’
কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া সেই যুবক বলে ওঠে, ‘আপনাদের অসুবিধা হবে, তাতে আমার কী?’
হতভম্ব হয়ে তরুণটির মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে শেষে হাঁটতে হাঁটতে ব্রিজে উঠে পড়েন। ব্রিজে একটি মাইক্রোবাসের দেখা পাওয়া গেল, যাতে করে একজন বড় দলের পরিচিত নেতা ফিরছেন। সৈয়দ হক তাঁকে বললেন, ‘আপনার কর্মীদের বলুন না, এই যানজট ছাড়াবার ব্যবস্থা করতে!’
নেতা পেছনে এক সমাজতান্ত্রিক প্রাচীন দলের গাড়ি দেখিয়ে বললেন, ‘ওই ওদের বলুন, ওরা পারবে।’
সেই সমাজতান্ত্রিক দলের ছেলেরাই কিন্তু দাঁড়িয়ে যায় যানজট ছাড়াতে!
সূত্র: সৈয়দ শামসুল হক, হৃৎকলমের টানে, পৃষ্ঠা ১৮৩-১৮৪
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪