মাতৃভূমির প্রতি নবীজির ভালোবাসা

ড. মো. আবদুল কাদির
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৪, ০৭: ২৪
Thumbnail image

দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে ইসলাম। মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ বুকে লালনকারী সব মুসলমানেরই দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা থাকা জরুরি। মহানবী (সা.) দেশ, মাটি ও মানুষকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। ছোটবেলায় চাচা আবু তালেবের সঙ্গে এবং বড় হয়ে বিবি খাদিজা (রা.)-এর ব্যবসা দেখাশোনার জন্য সিরিয়া গমন ছাড়া আর কখনোই মক্কার বাইরে পা রাখেননি। নবুয়ত লাভের পর কাফেরদের সীমাহীন অত্যাচারের মুখেও তিনি মক্কা ছাড়তে রাজি ছিলেন না।

মক্কার কাফেররা তাঁকে পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় করে দিতে যখন বাড়ি ঘেরাও করে, কেবল তখনই আল্লাহ তাআলার নির্দেশে মদিনার উদ্দেশে হিজরত করেন। স্বজাতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মদিনায় চলে যেতে হলেও মাতৃভূমি মক্কার প্রতি ভালোবাসা তাঁর হৃদয়ে একবিন্দুও কমেনি। বিদায়বেলায় তাঁর মন ব্যথায় ভরে উঠেছিল; বারবার তিনি মক্কার দিকে তাকিয়ে চোখের পানি বিসর্জন দিচ্ছিলেন। 

মহানবী (সা.)-এর হিজরতের পরও জন্মভূমি মক্কার কথা একটিবারের জন্যও ভোলেননি; বরং হিজরতের পর মক্কার প্রতি ভালোবাসা তাঁর মধ্যে আরও তীব্র হয়ে ওঠে। মক্কায় ফিরে যাওয়ার জন্য তাঁর হৃদয় সব সময় ব্যাকুল হয়ে থাকত। এ কারণে আল্লাহ তাআলা তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘যিনি আপনার জন্য কোরআনকে জীবনবিধান বানিয়েছেন, তিনি আপনাকে অবশ্যই আপনার জন্মভূমিতে ফিরিয়ে আনবেন।’ (সুরা কাসাস: ৮৫) 

শুধু কি তা-ই, জন্মভূমি মক্কায় অবস্থিত পবিত্র কাবাঘরের দিকে ফিরে নামাজ আদায় করতে না পেরে তাঁর মন অস্থির হয়ে উঠেছিল। মদিনায় আসার পর আল্লাহর নির্দেশে ষোলো বা সতেরো মাস ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায়ের আদেশ এসেছিল। সেই দিনগুলোতে তিনি বড় অস্থির ছিলেন। বারবার আকাশের দিকে তাকাতেন। কখন নির্দেশ আসবে কাবার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করার! অবশেষে সেই নির্দেশও এল এবং তিনি পবিত্র কাবাঘরের দিকে ফিরে নামাজ আদায় করতে শুরু করলেন।

লেখক: ড. মো. আবদুল কাদির অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত