মো. মাসুম, টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ)
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটার থাকলেও সেবা পাচ্ছে না রোগীরা। বাধ্য হয়েই যেতে হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে। এতে করে সেবাগ্রহীতারা অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে বাধ্য হচ্ছে। রোগীদের অভিযোগ, বাড়তি আয়ের জন্য চিকিৎসকেরা কমিশন-বাণিজ্য করছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, অপারেশন থিয়েটার তালাবদ্ধ। চিকিৎসক-সংকটে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে এখানে গর্ভবতী মায়েরা প্রসবকালীন জরুরি ও জটিল সময়ে সেবা না পেয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২০০১ সালে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমপ্লেক্সটির নতুন ভবন চালু হয়। এরপর ২০০৯ সালের অপারেশন থিয়েটারটি চালু হয়। কিন্তু গত ২০১৮ সাল থেকে অপারেশন একেবারেই বন্ধ। এতে অপারেশন থিয়েটারের মূল্যবান যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে যাচ্ছে। একটি চক্র বেসরকারি ক্লিনিকগুলোর ব্যবসার স্বার্থে সরকারি আধুনিক অপারেশন থিয়েটারটি বিকল রেখেছে।
প্রসূতি রোগীদের সিজারিয়ান অপারেশন কার্যক্রম বন্ধের কারণ হিসেবে গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সার্জারি বিশেষজ্ঞ না থাকাকে দায়ী করছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এসব গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য থাকার কারণ স্পষ্ট করছে না। আর এই পদে চিকিৎসক পদায়নেও দায়িত্বশীলদের কোনো ভূমিকা নেই। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগী। অনেকটা বাধ্য হয়েই সেবাগ্রহীতারা ফিরে যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে। অপর দিকে লোকবল-সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চিকিৎসা নিতে আসা শারমিন বেগম বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। আমার স্বামী দিনমজুর। ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা আমি। সরকারি হাসপাতালে এলে চিকিৎসা পাই না। এখানে ডাক্তার নেই। যদি নরমাল ডেলিভারি না হয়, তাহলে আমার সিজার কই করামু। আমগো তো বেসরকারি ক্লিনিকে সিজার করার মতো এত টাকাপয়সা নাই।’
উপজেলার বালিগাঁও বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করার সামর্থ্য নাই। সরকার গরিব মানুষের জন্য সরকারি হাসপাতাল দিছে কিন্তু সেখানে ডাক্তার থাকে না। আমার মেয়ে গর্ভবতী কিছুদিন পরে বাচ্চা হইবো। গরিব মানুষ আল্লাহর ওপরে ভরসা কইরা বইসা থাকি যদি সহি সালামতে নরমাল হয় তো আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। কিন্তু যদি নরমাল না হয় তখন আমরা কই যামু। সরকারি হাসপাতালে তো অপারেশন হয় না। আমি দিন মজুর ঢাকা মেডিকেল নিতে গেলে আমার কাম বন্ধ কইরা যাইতে হইবো।’
টঙ্গিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালট্যান্ট কামরুল হাসান বলেন, ‘এখানকার গাইনি সার্জন জেসমিন জাহানকে ঢাকা কোভিড-১৯ সেক্টরে পাঠানো হয়। সার্জারি বিভাগের ডাক্তার না থাকায় অপারেশন বন্ধ রয়েছে। তবে নরমাল ডেলিভারি চালু আছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রণয় মান্না দাস বলেন, ‘লোকবল-সংকটের কারণে সিজারিয়ান অপারেশনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে গর্ভবতী মায়েদের নরমাল ডেলিভারি চালু রয়েছে। আমি সার্জারি বিভাগের ডাক্তারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি।’
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটার থাকলেও সেবা পাচ্ছে না রোগীরা। বাধ্য হয়েই যেতে হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে। এতে করে সেবাগ্রহীতারা অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে বাধ্য হচ্ছে। রোগীদের অভিযোগ, বাড়তি আয়ের জন্য চিকিৎসকেরা কমিশন-বাণিজ্য করছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, অপারেশন থিয়েটার তালাবদ্ধ। চিকিৎসক-সংকটে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে এখানে গর্ভবতী মায়েরা প্রসবকালীন জরুরি ও জটিল সময়ে সেবা না পেয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২০০১ সালে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমপ্লেক্সটির নতুন ভবন চালু হয়। এরপর ২০০৯ সালের অপারেশন থিয়েটারটি চালু হয়। কিন্তু গত ২০১৮ সাল থেকে অপারেশন একেবারেই বন্ধ। এতে অপারেশন থিয়েটারের মূল্যবান যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে যাচ্ছে। একটি চক্র বেসরকারি ক্লিনিকগুলোর ব্যবসার স্বার্থে সরকারি আধুনিক অপারেশন থিয়েটারটি বিকল রেখেছে।
প্রসূতি রোগীদের সিজারিয়ান অপারেশন কার্যক্রম বন্ধের কারণ হিসেবে গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সার্জারি বিশেষজ্ঞ না থাকাকে দায়ী করছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এসব গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য থাকার কারণ স্পষ্ট করছে না। আর এই পদে চিকিৎসক পদায়নেও দায়িত্বশীলদের কোনো ভূমিকা নেই। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগী। অনেকটা বাধ্য হয়েই সেবাগ্রহীতারা ফিরে যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে। অপর দিকে লোকবল-সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চিকিৎসা নিতে আসা শারমিন বেগম বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। আমার স্বামী দিনমজুর। ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা আমি। সরকারি হাসপাতালে এলে চিকিৎসা পাই না। এখানে ডাক্তার নেই। যদি নরমাল ডেলিভারি না হয়, তাহলে আমার সিজার কই করামু। আমগো তো বেসরকারি ক্লিনিকে সিজার করার মতো এত টাকাপয়সা নাই।’
উপজেলার বালিগাঁও বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করার সামর্থ্য নাই। সরকার গরিব মানুষের জন্য সরকারি হাসপাতাল দিছে কিন্তু সেখানে ডাক্তার থাকে না। আমার মেয়ে গর্ভবতী কিছুদিন পরে বাচ্চা হইবো। গরিব মানুষ আল্লাহর ওপরে ভরসা কইরা বইসা থাকি যদি সহি সালামতে নরমাল হয় তো আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। কিন্তু যদি নরমাল না হয় তখন আমরা কই যামু। সরকারি হাসপাতালে তো অপারেশন হয় না। আমি দিন মজুর ঢাকা মেডিকেল নিতে গেলে আমার কাম বন্ধ কইরা যাইতে হইবো।’
টঙ্গিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালট্যান্ট কামরুল হাসান বলেন, ‘এখানকার গাইনি সার্জন জেসমিন জাহানকে ঢাকা কোভিড-১৯ সেক্টরে পাঠানো হয়। সার্জারি বিভাগের ডাক্তার না থাকায় অপারেশন বন্ধ রয়েছে। তবে নরমাল ডেলিভারি চালু আছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রণয় মান্না দাস বলেন, ‘লোকবল-সংকটের কারণে সিজারিয়ান অপারেশনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে গর্ভবতী মায়েদের নরমাল ডেলিভারি চালু রয়েছে। আমি সার্জারি বিভাগের ডাক্তারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে