সম্পাদকীয়
দারুণ এক দ্যুতিময় জীবন ছিল কমল দাশগুপ্তের। ১৯২৮ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেছিলেন। এরপর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বিকম করেছেন। ‘মীরার ভজন’-এর সুরারোপের জন্য ১৯৪৩ সালে বেনারস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ডক্টরস অব মিউজিক’ ডিগ্রি পান।
কমলের বড় ভাই বিমল দাশগুপ্ত ছিলেন গ্রামোফোন কোম্পানির ট্রেনার। তাঁর হাত ধরেই গ্রামোফোন কোম্পানিতে কমলের যাওয়া-আসা। ভাই মাঝেমধ্যে রোজগারের স্বার্থে জাদু দেখাতে চলে যেতেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। তখন গানের রেকর্ডিং থাকলে কমলই তা সামলে নিতেন।
অল্প বয়সেই অনেক টাকার মালিক হলেন কমল। কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে জোট বেঁধে বহু গানে সুর দিলেন। সিনেমায় তাঁর দেওয়া সুরে হলো গান। অবিশ্বাস্য অঙ্কের আয়কর দিতেন, সবচেয়ে দামি মডেলের গাড়িতে চড়তেন। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের সময় নিজ খরচে প্রতিদিন ১০০ জন দরিদ্র মানুষকে খাইয়েছেন। কিন্তু একসময় সেই খ্যাতি থাকল না আর। ৪৩ বছর বয়সে উদীয়মান তারকা ২৫ বছর বয়সী ফিরোজা বেগমকে যখন বিয়ে করলেন, তখন কমলের সমস্ত সঞ্চয় ভেসে গেছে নাথ ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পর। স্ত্রীর খ্যাতির আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছিলেন কমল।
১৯৬৭ সালে নতুন জীবনের আশায় চলে এলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। কিন্তু কোনো রকম অভ্যর্থনা পেলেন না। তাই ঢাকার হাতিরপুল এলাকায় ‘পথিকার’ নামে একটি মুদিদোকানে বসা শুরু করলেন। সুবিখ্যাত সুরকার হয়ে গেলেন মুদিদোকানি। ১৯৭২ সালে একটি ম্যাগাজিন পত্রিকার সাংবাদিক সেখানে খুঁজে বের করলেন কমল দাশগুপ্তকে। ‘কেন আপনি দোকানে বসছেন’ প্রশ্নের জবাবে কমল বলেছিলেন, ‘আমাকে তো সংসার চালাতে হবে। খেয়ে বাঁচতে হবে!’
প্রতিবেদনটি পড়ে বেতারের গীতিকার ও সংগীতশিল্পী শহীদুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজি করালেন বাংলাদেশ বেতারের ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিস বিভাগের প্রধান সংগীত পরিচালক হিসেবে কমল দাশগুপ্তকে নিয়োগ দিতে। এই পদে থাকতেই ১৯৭৪ সালে পিজি হাসপাতালে মারা গেলেন কমল দাশগুপ্ত।
সূত্র: সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ জুয়েল, উঠান, সংগীত সংখ্যা, পৃষ্ঠা ২০০-২০৬
দারুণ এক দ্যুতিময় জীবন ছিল কমল দাশগুপ্তের। ১৯২৮ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেছিলেন। এরপর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বিকম করেছেন। ‘মীরার ভজন’-এর সুরারোপের জন্য ১৯৪৩ সালে বেনারস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ডক্টরস অব মিউজিক’ ডিগ্রি পান।
কমলের বড় ভাই বিমল দাশগুপ্ত ছিলেন গ্রামোফোন কোম্পানির ট্রেনার। তাঁর হাত ধরেই গ্রামোফোন কোম্পানিতে কমলের যাওয়া-আসা। ভাই মাঝেমধ্যে রোজগারের স্বার্থে জাদু দেখাতে চলে যেতেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। তখন গানের রেকর্ডিং থাকলে কমলই তা সামলে নিতেন।
অল্প বয়সেই অনেক টাকার মালিক হলেন কমল। কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে জোট বেঁধে বহু গানে সুর দিলেন। সিনেমায় তাঁর দেওয়া সুরে হলো গান। অবিশ্বাস্য অঙ্কের আয়কর দিতেন, সবচেয়ে দামি মডেলের গাড়িতে চড়তেন। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের সময় নিজ খরচে প্রতিদিন ১০০ জন দরিদ্র মানুষকে খাইয়েছেন। কিন্তু একসময় সেই খ্যাতি থাকল না আর। ৪৩ বছর বয়সে উদীয়মান তারকা ২৫ বছর বয়সী ফিরোজা বেগমকে যখন বিয়ে করলেন, তখন কমলের সমস্ত সঞ্চয় ভেসে গেছে নাথ ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পর। স্ত্রীর খ্যাতির আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছিলেন কমল।
১৯৬৭ সালে নতুন জীবনের আশায় চলে এলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। কিন্তু কোনো রকম অভ্যর্থনা পেলেন না। তাই ঢাকার হাতিরপুল এলাকায় ‘পথিকার’ নামে একটি মুদিদোকানে বসা শুরু করলেন। সুবিখ্যাত সুরকার হয়ে গেলেন মুদিদোকানি। ১৯৭২ সালে একটি ম্যাগাজিন পত্রিকার সাংবাদিক সেখানে খুঁজে বের করলেন কমল দাশগুপ্তকে। ‘কেন আপনি দোকানে বসছেন’ প্রশ্নের জবাবে কমল বলেছিলেন, ‘আমাকে তো সংসার চালাতে হবে। খেয়ে বাঁচতে হবে!’
প্রতিবেদনটি পড়ে বেতারের গীতিকার ও সংগীতশিল্পী শহীদুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজি করালেন বাংলাদেশ বেতারের ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিস বিভাগের প্রধান সংগীত পরিচালক হিসেবে কমল দাশগুপ্তকে নিয়োগ দিতে। এই পদে থাকতেই ১৯৭৪ সালে পিজি হাসপাতালে মারা গেলেন কমল দাশগুপ্ত।
সূত্র: সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ জুয়েল, উঠান, সংগীত সংখ্যা, পৃষ্ঠা ২০০-২০৬
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৯ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে