কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ফের পর্যটকের ভিড়

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২২, ১২: ১৪
Thumbnail image

করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় প্রাণ ফিরেছে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে। প্রতিদিনই দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা ভিড় করছেন সৈকতে। ফলে দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে এখানকার হোটেল, মোটেলসহ পর্যটননির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য। তবে খাবারের অস্বাভাবিক মূল্য নেওয়ার অভিযোগ পর্যটকদের।

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। সৈকতের বিচে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। সাগরে বিশালতা মানুষের মনকে মুগ্ধ করে। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে সাগর সৈকতে ভিড় করছেন অনেকে।

শুক্রবার সৈকতের জিরো পয়েন্ট, লেম্বুরবন, ঝাউবন, গঙ্গামতিসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা গেছে, সৈকতের নোনাজলে পা ভিজিয়ে কিংবা পরিবারের সঙ্গে নিরিবিলি পরিবেশে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করছেন পর্যটকেরা। সমুদ্রে গোসল করছেন অনেকে। কুয়াকাটার নির্মল পরিবেশ সবাইকেই মুগ্ধ করছে। তবে অনেক পর্যটকের অভিযোগ, কুয়াকাটার খাবার হোটেলগুলোতে খাবারের অস্বাভাবিক দাম রাখা হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা থেকে আগত পর্যটক আইভি ইসলাম সেতু বলেন, ‘মৌসুম শেষ, তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছি। সবকিছুই ঠিক ছিল, কিন্তু খাবারের দাম অস্বাভাবিক।’

ঢাকা থেকে আগত রবিন আহমেদ বলেন, ‘হোটেলগুলোতে খাবারের এত দাম আগে কখনো দেখিনি। অস্বাভাবিক দামের কথা জিজ্ঞেস করলেই বলে, সরকার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এই পর্যটন এলাকায় প্রশাসনের ভূমিকা রাখা দরকার।’

পর্যটন মৌসুমের শেষ মাস ধরা হয় মার্চকে। তাই এ মাসে বহুসংখ্যক পর্যটক কুয়াকাটা ঘুরতে আসেন। আবাসিক হোটেলগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, বেশির ভাগ হোটেলরই কক্ষ বুকিং দেওয়া আছে।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি শাহ-আলম হওলাদার বলেন, ‘আজকে বেশির ভাগ হোটেলে বুকিং রয়েছে। পর্যটকদের আগমনও বেশ ভালো। পুরো মার্চ মাস পর্যটকদের চাপ থাকবে। পর্যটক আসায় ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছেন।’

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) ডিরেক্টর পিআর কে এম বাচ্চু বলেন, ‘করোনা কমতে শুরু করায় পর্যটক বেড়েছে। শুক্রবার ছুটির দিনে পুরো সৈকতে পর্যটকদের পদচারণ। ব্যবসায়ীরাও বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারব বলে আমরা আশা করছি।’

ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কুয়াকাটা জোন মো. আবদুল খালেক বলেন, কুয়াকাটায় যে শতাধিক হোটেল মোটেল রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আবাসিক হোটেলগুলোতে রুম ভাড়া নির্ধারণ করা থাকলেও খাবার হোটেলগুলোতে দাম নির্ধারণ করা থাকছে না। মাঝেমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করলেও এ ক্ষেত্রে তা খুব বেশি কাজে দিচ্ছে না। এরপরও কার্যকর অভিযান পরিচালনার কথা জানালেন ট্যুরিস্ট পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত