খায়রুল বাসার নির্ঝর
‘গুলমোহর’ দিয়ে ফেরা
কামব্যাক কথাটা একেবারেই পছন্দ করি না আমি। যখন যে রোলটা ভালো লাগে, সেটা করতে চাই। রাহুল চিতেলা, যে গুলমোহরের পরিচালক, তিনি আমার কাছে এসেছিলেন স্ক্রিপ্ট শোনাবার জন্য। স্ক্রিপ্টটা শুনে ভীষণ ভালো লাগল। মনে হলো বয়স উপযোগী গল্প, যেটাতে আমাকে মানাবে। কমফোর্ট লেভেল ছিল। সে জন্য হ্যাঁ বলি। আমি খুবই আনন্দিত যে তাতে আমার কোনো লোকসান হয়নি। আমি যেটা ভেবেছিলাম, তার চেয়ে অনেক ভালো ছবি হয়েছে। অনেকে দেখেছেন, যদিও ওটিটিতে রিলিজ করেছে, থিয়েটারে নয়। কিন্তু খুবই অ্যাপ্রিসিয়েশন পেয়েছে ছবিটা।
প্রিয় সিনেমা
এটা বলা খুব কঠিন। কারণ, আমরা যখন ছবি করি, মনপ্রাণ দিয়ে তা করতে চাই। আর যখন আমরা ছবি করি, তখন একটা ছবি থাকে। যখন ছবিটা রিলিজ করে, সেটা সবার হয়ে যায়। যেখানে এত লোক বসে রয়েছে, সেখানে সবার ইন্টারপ্রিটেশন কিন্তু এক হয় না। কারও হয়তো ভালো লাগবে, কারও ভালো লাগবে না। কারও হয়তো নির্দিষ্ট একটা ব্যাপার ভালো লাগবে। সে জন্য কোন ছবিটা প্রিয়, সেটা বাছাই করা ভীষণ কঠিন। আমার তিনটে ছেলেমেয়ে। তাদের মধ্যে কে সবচেয়ে প্রিয়, বলা মুশকিল। আমি আমার নিজের কাজ থেকে একটু ডিটাচড। অনেক দিন ধরে কাজ করছি, ষাট বছরের ওপরে। ‘অপুর সংসার’-এর পর একটু ব্রেক দিয়ে দিয়ে কাজ করেছি। একটু চিন্তা করে যদি দেখি, সত্যজিৎ রায়ের ছবি বাদ দিয়ে, বাংলায় ‘বর্ণালী’ বলে একটা ছবি, সেটা খুব সুন্দর। ‘কিনু গোয়ালার গলি’ খুব ভালো। তারপর ‘নির্জন সৈকতে’। প্রথমে আমি বলতাম, ‘সফর’ আমার ফেভারিট ছবি। কারণ, ওখানে পারস্পেকটিভ অব উইমেন আছে। কিন্তু করোনার সময় নিজের সব ছবি দেখেছি। তখন আমার মনে হলো, ‘নমকিন’ একটা ম্যাচিউর পারফরম্যান্স। নমকিন আমার আপাতত প্রিয় ছবি।
বাংলা থেকে হিন্দিতে
আমি যখন মানিকদার (সত্যজিৎ রায়) ছবি থেকে গিয়ে ‘কাশ্মীর কি কলি’ সাইন করলাম, তখন বাঙালিরা খুব খেপে গেল। এটা কী ব্যাপার হলো? তুমি রায়ের ছবিতে কাজ করে তারপর কমার্শিয়াল ছবিতে শাম্মী কাপুরের সঙ্গে নাচগান করবে। এটা কী করে হলো? আসলে সে রকমভাবে দেখা যায় না। একটা রিজিওনাল সিনেমা থেকে ন্যাশনাল সিনেমায় যাওয়া, সেটা একটা ন্যাচারাল প্রসেস। সেটাই আমি চেয়েছিলাম। যেকোনো কাজই কাজ, যেকোনো শিল্পই শিল্প। বাংলা ছবিতে হোক, বা হিন্দি ছবিতে—কাজটা আমি মন দিয়ে করেছি। নাচতে হয়েছে তো মন দিয়ে নাচ করেছি। আমি দুই ভাষার ছবিতেই একসঙ্গে কাজ করেছি, এমন না যে বাংলা ছবি ছেড়ে হিন্দিতে চলে এলাম। যখন বাংলায় কাজ করতাম, বলা হতো, এটা কিন্তু বাংলা ছবি; তোমাদের হিন্দি ছবি নয়, একটু ভেবে রিঅ্যাক্ট করতে হবে। আবার যখন হিন্দিতে কাজ করতাম, তখন বলত, এটা কিন্তু সত্যজিৎ রায়ের ছবি নয়। একটু তাড়াতাড়ি সংলাপ বলো। একই দেশে দুটি ইন্ডাস্ট্রিতে দুই রকমের কাজ। দুই রকমভাবে ভাবা। আর এখন আমরা যেখানে এসেছি, সেখানে তো কোনো ভেদাভেদ নেই। সব রকমের ছবি হচ্ছে।
বেড়ে ওঠায় প্রভাব
আমি একটা জয়েন্ট ফ্যামিলিতে বড় হয়েছি। আমার বাবার চাকরি ট্রান্সফারেবল ছিল। যখন উনি জামশেদপুরে কাজ করতেন, তখন ওখানে ভালো স্কুল ছিল না। সে জন্য আমাকে আমার ঠাকুরদার বাড়িতে পাঠানো হলো। ওখানে বাংলা মিডিয়াম স্কুলে গার্লস সেকশনে ভর্তি হলাম। আমার ঠাকুরদা আর তাঁর ভাই—দুজনে একসঙ্গে থাকতেন। একতলায় ওঁরা থাকতেন, আমরা ওপরের তলায় থাকতাম। অনেকজন আমরা একসঙ্গে থাকতাম। তো সেটার একটা দারুণ ইনফ্লুয়েন্স আমার মধ্যে আছে। জানুয়ারিতে সরস্বতীপুজো দিয়ে শুরু হতো, তারপর কালীপুজো, দুর্গাপুজো, বিশ্বকর্মাপুজো—বাড়িতেই আমাদের সবকিছু হতো। আমরা সবাই বাড়ির তৈরি জামাকাপড় পরেছি। আমার ঠাকুরমা আমাকে খুব ইনফ্লুয়েন্স করেছেন। উনি বাঙালিভাবে শাড়ি পরতেন, ভালো রান্না করতেন, আমাদের সঙ্গে গল্প করতেন। আমি যত ডিসিশন নিয়েছি—আমার বিয়ে, ফিল্মে জয়েন করা—তিনি সব সময় আমাকে সাপোর্ট করেছেন।
যাঁর সাক্ষাৎকার নিতে চান
আমি মানিকদাকে ইন্টারভিউ করেছি। করণ থাপারের সঙ্গে সাংবাদিক হয়ে কাজ করেছি। একটা ডকুমেন্টারি করি ওঁদের সঙ্গে। আর মানিকদাকে ইন্টারভিউ করতে এসেছিলাম কলকাতায়। সম্প্রতি আমি ফিল্মফেয়ারে লিখেছি, এখন সুযোগ পেলে পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে ইন্টারভিউ করার ইচ্ছা আছে। কারণ, ওকে দেখে কিছু বোঝা যায় না, সে কী ভাবছে। আমি হিউজ ফ্যান অব পঙ্কজ ত্রিপাঠী।
কারও কথা শুনিনি
আমি অনেক অ্যাডভাইস পেয়েছিলাম বিয়ের সময়, ঠিক আরাধনার পরে, এটা ঠিক মুহূর্ত নয় বিয়ে করার। কারণ, বিয়ের পর আপনার এই পপুলারিটি থাকবে না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমাদের একটা বডি ক্লক আছে। সেখানে টাইমিং বলে একটা ব্যাপার আছে। ঠিক টাইমে বিয়ে করা, ঠিক টাইমে বাচ্চা হওয়া, ঠিক টাইমে রিটায়ার করা—এগুলো জরুরি। তো আমার যখন মনে হলো, এখন বিয়ে করা উচিত, তো আমি করলাম। আবার মনে হলো, আই শুড বিকাম আ মাদার, তো আমি হলাম। আমার যেটা মনে হয়েছে, এ রকম করা উচিত, সেটা আমি করতে পেরেছি। কখনো আমি অন্য লোকের কথা শুনিনি। আমাকে অনেকে অ্যাডভাইস দিয়েছিল, কী করে একজন নবাবকে বিয়ে করছ, দুই বছরের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যাবে। আবার ওরা টাইগারকে বলল, একটা অ্যাকট্রেসকে বিয়ে করছ, ছেড়ে চলে যাবে। তো আমরা শুনিনি কারও কথা।
সেভাবে স্ট্রাগল করতে হয়নি
আমি তো ভীষণ ফরচুনেট যে আমার প্রথম ছবি মানিকদার সঙ্গে। আমি তখন স্কুলে পড়তাম, ১৩ বছর বয়স। একদিন ফোন এল যে সত্যজিৎ রায় আমার সঙ্গে কাজ করতে চান। যখন আমি অপুর সংসার করলাম, অপর্ণা বিকেম আ হাউসহোল্ড নেম। খুবই পপুলার হয়ে গেল। সে জন্য আমাকে সে রকম স্ট্রাগল করতে হয়নি। আমার ফ্যামিলি বা আমার ইচ্ছা ছিল না ফিল্মে কাজ করার। যদি মানিকদার ছবিটা না আসত, তাহলে হয়তো আমি শান্তিনিকেতনে চলে যেতাম। আমার জীবনটাই অন্য রকম হতো। কিন্তু সেটা হয়নি। আমার ভাগ্যে যেটা ছিল, সেটাই হয়েছে।
সন্তানদের মধ্যে বাংলার প্রভাব
তাদের বাংলা যতটা শেখানো উচিত ছিল, ততটা হয়তো করতে পারিনি। (বাংলার প্রতি) আমার টান তো কখনোই যাবে না। আমার বেড়ে ওঠা ছোট থেকে খুব মজবুত। কিন্তু ছেলেমেয়েদের ওপর অনেক কিছুর প্রভাব এসেছে। সোহা বাংলা ছবিতে কাজ করেছে, ও একটু জানে, বাংলা একটু একটু বলে। আর জানে যে হেরিটেজ কী। সাইফ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা পড়েছে ইংরেজি ট্রান্সলেশনে। বাংলার সঙ্গে সম্পর্কটা ওদের খুব নিকট নয়, তবে একেবারেই যে কিছু জানে না, সেটাও নয়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ডাকলেন, সময় দিলেন। তিনি খুবই ব্যস্ত ছিলেন। নতুন মিনিস্ট্রি আপনাদের। প্ল্যানিং কমিশনের খুবই ইম্পর্ট্যান্ট মিটিং ছিল। তা সত্ত্বেও উনি সময় করে আমাদের সঙ্গে কথা বললেন। খুব খেলাম আমরা। খুব ভালো লাগল উনার সঙ্গে দেখা করে। আমরা ছবি তুললাম। ছবিটা পরদিন পেয়েও গেলাম। উনি সিনেমা সম্পর্কে কথা বললেন। আমি একবার এসেছিলাম অনেক আগে। সেটা উনার মনে ছিল। উনি আমাকে মনে করিয়ে দিলেন যে তখন আমাদের দেখা হয়েছিল। খুব সিম্পল লাগল উনাকে যে একটা সাধারণ শাড়ি পরে আছেন। এমন মনে হলো না যে আমরা একটা বিরাট পারসোনালিটির সামনে বসেছি। খুব অমায়িকভাবে আমাদের সঙ্গে কথা বললেন। খুব আপনজনের মতো লাগল।
‘গুলমোহর’ দিয়ে ফেরা
কামব্যাক কথাটা একেবারেই পছন্দ করি না আমি। যখন যে রোলটা ভালো লাগে, সেটা করতে চাই। রাহুল চিতেলা, যে গুলমোহরের পরিচালক, তিনি আমার কাছে এসেছিলেন স্ক্রিপ্ট শোনাবার জন্য। স্ক্রিপ্টটা শুনে ভীষণ ভালো লাগল। মনে হলো বয়স উপযোগী গল্প, যেটাতে আমাকে মানাবে। কমফোর্ট লেভেল ছিল। সে জন্য হ্যাঁ বলি। আমি খুবই আনন্দিত যে তাতে আমার কোনো লোকসান হয়নি। আমি যেটা ভেবেছিলাম, তার চেয়ে অনেক ভালো ছবি হয়েছে। অনেকে দেখেছেন, যদিও ওটিটিতে রিলিজ করেছে, থিয়েটারে নয়। কিন্তু খুবই অ্যাপ্রিসিয়েশন পেয়েছে ছবিটা।
প্রিয় সিনেমা
এটা বলা খুব কঠিন। কারণ, আমরা যখন ছবি করি, মনপ্রাণ দিয়ে তা করতে চাই। আর যখন আমরা ছবি করি, তখন একটা ছবি থাকে। যখন ছবিটা রিলিজ করে, সেটা সবার হয়ে যায়। যেখানে এত লোক বসে রয়েছে, সেখানে সবার ইন্টারপ্রিটেশন কিন্তু এক হয় না। কারও হয়তো ভালো লাগবে, কারও ভালো লাগবে না। কারও হয়তো নির্দিষ্ট একটা ব্যাপার ভালো লাগবে। সে জন্য কোন ছবিটা প্রিয়, সেটা বাছাই করা ভীষণ কঠিন। আমার তিনটে ছেলেমেয়ে। তাদের মধ্যে কে সবচেয়ে প্রিয়, বলা মুশকিল। আমি আমার নিজের কাজ থেকে একটু ডিটাচড। অনেক দিন ধরে কাজ করছি, ষাট বছরের ওপরে। ‘অপুর সংসার’-এর পর একটু ব্রেক দিয়ে দিয়ে কাজ করেছি। একটু চিন্তা করে যদি দেখি, সত্যজিৎ রায়ের ছবি বাদ দিয়ে, বাংলায় ‘বর্ণালী’ বলে একটা ছবি, সেটা খুব সুন্দর। ‘কিনু গোয়ালার গলি’ খুব ভালো। তারপর ‘নির্জন সৈকতে’। প্রথমে আমি বলতাম, ‘সফর’ আমার ফেভারিট ছবি। কারণ, ওখানে পারস্পেকটিভ অব উইমেন আছে। কিন্তু করোনার সময় নিজের সব ছবি দেখেছি। তখন আমার মনে হলো, ‘নমকিন’ একটা ম্যাচিউর পারফরম্যান্স। নমকিন আমার আপাতত প্রিয় ছবি।
বাংলা থেকে হিন্দিতে
আমি যখন মানিকদার (সত্যজিৎ রায়) ছবি থেকে গিয়ে ‘কাশ্মীর কি কলি’ সাইন করলাম, তখন বাঙালিরা খুব খেপে গেল। এটা কী ব্যাপার হলো? তুমি রায়ের ছবিতে কাজ করে তারপর কমার্শিয়াল ছবিতে শাম্মী কাপুরের সঙ্গে নাচগান করবে। এটা কী করে হলো? আসলে সে রকমভাবে দেখা যায় না। একটা রিজিওনাল সিনেমা থেকে ন্যাশনাল সিনেমায় যাওয়া, সেটা একটা ন্যাচারাল প্রসেস। সেটাই আমি চেয়েছিলাম। যেকোনো কাজই কাজ, যেকোনো শিল্পই শিল্প। বাংলা ছবিতে হোক, বা হিন্দি ছবিতে—কাজটা আমি মন দিয়ে করেছি। নাচতে হয়েছে তো মন দিয়ে নাচ করেছি। আমি দুই ভাষার ছবিতেই একসঙ্গে কাজ করেছি, এমন না যে বাংলা ছবি ছেড়ে হিন্দিতে চলে এলাম। যখন বাংলায় কাজ করতাম, বলা হতো, এটা কিন্তু বাংলা ছবি; তোমাদের হিন্দি ছবি নয়, একটু ভেবে রিঅ্যাক্ট করতে হবে। আবার যখন হিন্দিতে কাজ করতাম, তখন বলত, এটা কিন্তু সত্যজিৎ রায়ের ছবি নয়। একটু তাড়াতাড়ি সংলাপ বলো। একই দেশে দুটি ইন্ডাস্ট্রিতে দুই রকমের কাজ। দুই রকমভাবে ভাবা। আর এখন আমরা যেখানে এসেছি, সেখানে তো কোনো ভেদাভেদ নেই। সব রকমের ছবি হচ্ছে।
বেড়ে ওঠায় প্রভাব
আমি একটা জয়েন্ট ফ্যামিলিতে বড় হয়েছি। আমার বাবার চাকরি ট্রান্সফারেবল ছিল। যখন উনি জামশেদপুরে কাজ করতেন, তখন ওখানে ভালো স্কুল ছিল না। সে জন্য আমাকে আমার ঠাকুরদার বাড়িতে পাঠানো হলো। ওখানে বাংলা মিডিয়াম স্কুলে গার্লস সেকশনে ভর্তি হলাম। আমার ঠাকুরদা আর তাঁর ভাই—দুজনে একসঙ্গে থাকতেন। একতলায় ওঁরা থাকতেন, আমরা ওপরের তলায় থাকতাম। অনেকজন আমরা একসঙ্গে থাকতাম। তো সেটার একটা দারুণ ইনফ্লুয়েন্স আমার মধ্যে আছে। জানুয়ারিতে সরস্বতীপুজো দিয়ে শুরু হতো, তারপর কালীপুজো, দুর্গাপুজো, বিশ্বকর্মাপুজো—বাড়িতেই আমাদের সবকিছু হতো। আমরা সবাই বাড়ির তৈরি জামাকাপড় পরেছি। আমার ঠাকুরমা আমাকে খুব ইনফ্লুয়েন্স করেছেন। উনি বাঙালিভাবে শাড়ি পরতেন, ভালো রান্না করতেন, আমাদের সঙ্গে গল্প করতেন। আমি যত ডিসিশন নিয়েছি—আমার বিয়ে, ফিল্মে জয়েন করা—তিনি সব সময় আমাকে সাপোর্ট করেছেন।
যাঁর সাক্ষাৎকার নিতে চান
আমি মানিকদাকে ইন্টারভিউ করেছি। করণ থাপারের সঙ্গে সাংবাদিক হয়ে কাজ করেছি। একটা ডকুমেন্টারি করি ওঁদের সঙ্গে। আর মানিকদাকে ইন্টারভিউ করতে এসেছিলাম কলকাতায়। সম্প্রতি আমি ফিল্মফেয়ারে লিখেছি, এখন সুযোগ পেলে পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে ইন্টারভিউ করার ইচ্ছা আছে। কারণ, ওকে দেখে কিছু বোঝা যায় না, সে কী ভাবছে। আমি হিউজ ফ্যান অব পঙ্কজ ত্রিপাঠী।
কারও কথা শুনিনি
আমি অনেক অ্যাডভাইস পেয়েছিলাম বিয়ের সময়, ঠিক আরাধনার পরে, এটা ঠিক মুহূর্ত নয় বিয়ে করার। কারণ, বিয়ের পর আপনার এই পপুলারিটি থাকবে না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমাদের একটা বডি ক্লক আছে। সেখানে টাইমিং বলে একটা ব্যাপার আছে। ঠিক টাইমে বিয়ে করা, ঠিক টাইমে বাচ্চা হওয়া, ঠিক টাইমে রিটায়ার করা—এগুলো জরুরি। তো আমার যখন মনে হলো, এখন বিয়ে করা উচিত, তো আমি করলাম। আবার মনে হলো, আই শুড বিকাম আ মাদার, তো আমি হলাম। আমার যেটা মনে হয়েছে, এ রকম করা উচিত, সেটা আমি করতে পেরেছি। কখনো আমি অন্য লোকের কথা শুনিনি। আমাকে অনেকে অ্যাডভাইস দিয়েছিল, কী করে একজন নবাবকে বিয়ে করছ, দুই বছরের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যাবে। আবার ওরা টাইগারকে বলল, একটা অ্যাকট্রেসকে বিয়ে করছ, ছেড়ে চলে যাবে। তো আমরা শুনিনি কারও কথা।
সেভাবে স্ট্রাগল করতে হয়নি
আমি তো ভীষণ ফরচুনেট যে আমার প্রথম ছবি মানিকদার সঙ্গে। আমি তখন স্কুলে পড়তাম, ১৩ বছর বয়স। একদিন ফোন এল যে সত্যজিৎ রায় আমার সঙ্গে কাজ করতে চান। যখন আমি অপুর সংসার করলাম, অপর্ণা বিকেম আ হাউসহোল্ড নেম। খুবই পপুলার হয়ে গেল। সে জন্য আমাকে সে রকম স্ট্রাগল করতে হয়নি। আমার ফ্যামিলি বা আমার ইচ্ছা ছিল না ফিল্মে কাজ করার। যদি মানিকদার ছবিটা না আসত, তাহলে হয়তো আমি শান্তিনিকেতনে চলে যেতাম। আমার জীবনটাই অন্য রকম হতো। কিন্তু সেটা হয়নি। আমার ভাগ্যে যেটা ছিল, সেটাই হয়েছে।
সন্তানদের মধ্যে বাংলার প্রভাব
তাদের বাংলা যতটা শেখানো উচিত ছিল, ততটা হয়তো করতে পারিনি। (বাংলার প্রতি) আমার টান তো কখনোই যাবে না। আমার বেড়ে ওঠা ছোট থেকে খুব মজবুত। কিন্তু ছেলেমেয়েদের ওপর অনেক কিছুর প্রভাব এসেছে। সোহা বাংলা ছবিতে কাজ করেছে, ও একটু জানে, বাংলা একটু একটু বলে। আর জানে যে হেরিটেজ কী। সাইফ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা পড়েছে ইংরেজি ট্রান্সলেশনে। বাংলার সঙ্গে সম্পর্কটা ওদের খুব নিকট নয়, তবে একেবারেই যে কিছু জানে না, সেটাও নয়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ডাকলেন, সময় দিলেন। তিনি খুবই ব্যস্ত ছিলেন। নতুন মিনিস্ট্রি আপনাদের। প্ল্যানিং কমিশনের খুবই ইম্পর্ট্যান্ট মিটিং ছিল। তা সত্ত্বেও উনি সময় করে আমাদের সঙ্গে কথা বললেন। খুব খেলাম আমরা। খুব ভালো লাগল উনার সঙ্গে দেখা করে। আমরা ছবি তুললাম। ছবিটা পরদিন পেয়েও গেলাম। উনি সিনেমা সম্পর্কে কথা বললেন। আমি একবার এসেছিলাম অনেক আগে। সেটা উনার মনে ছিল। উনি আমাকে মনে করিয়ে দিলেন যে তখন আমাদের দেখা হয়েছিল। খুব সিম্পল লাগল উনাকে যে একটা সাধারণ শাড়ি পরে আছেন। এমন মনে হলো না যে আমরা একটা বিরাট পারসোনালিটির সামনে বসেছি। খুব অমায়িকভাবে আমাদের সঙ্গে কথা বললেন। খুব আপনজনের মতো লাগল।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে