সঞ্জয় কে ঝা
ভারতের বিরোধী নেতারা দীর্ঘদিন পর একটি ‘স্বাভাবিক’ নির্বাচন পেয়ে আনন্দিত। তাঁরা বলছেন, প্রথম দফার ভোট এই ইঙ্গিত দিয়েছে যে আবেগপূর্ণ বিষয়গুলো জীবন-জীবিকার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত উদ্বেগগুলোকে অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) একটি বড় অসুবিধার মধ্যে ফেলেছে।
যদিও তাঁদের দাবি, বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনী এলাকাগুলোর প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক। তারপরও এই নেতাদের আশঙ্কা, নির্বাচনে একটু এদিক-সেদিক হলেও একটি স্বাভাবিক নির্বাচন নরেন্দ্র মোদিকে অফিস থেকে ছিটকে দিতে বাধ্য। কম ভোটার উপস্থিতি এবং ভোটারদের ক্লান্তি এর বড় প্রমাণ। এই নির্বাচনে কোনো ইস্যু নেই। নির্বাচনী বক্তৃতায় শুধু পরস্পরের গালমন্দেরই আধিপত্য।
রাজস্থানে মাত্র চার মাস আগে বিধানসভা নির্বাচনে ৭৪ দশমিক ৬২ শতাংশ ভোট পড়েছিল। সেখানে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৫৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ১৭ শতাংশ কম ভোট পড়ার অর্থ হলো লাখ লাখ ভোটার দূরে থেকেছেন। এই বিশালসংখ্যক ভোটার ভোট দিলে চূড়ান্ত ফলাফলে চমক সৃষ্টি করতে পারত। এটা অনুমান করা কঠিন যে কোন ধরনের ভোটাররা ভোট দিতে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন। যদিও বিজেপির নেতারা বিশ্বাস করেন মোদি অপরাজেয়, এটা অনুমান করে বিরোধীরা হাল ছেড়ে দিয়েছেন। তবে বিরোধী নেতারা বলেছেন, জনগণ মোদি ব্র্যান্ডের ‘যা খুশি তাই করা’ এবং ‘অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে গুরুত্বারোপের’ রাজনীতির ওপর বিরক্ত। তাঁদের মূল উদ্বেগগুলো সব সময়ই উপেক্ষা করেছেন মোদি।
প্রথম ধাপের ভোটের বিষয়ে জানতে চাইলে মহারাষ্ট্রের বিদর্ভের একজন নেতা বলেন, ‘আমরা এখন ভোটে মোদিবিরোধী হাওয়া দেখছি; মানুষ নির্বাচন নিজেদের হাতে নিয়েছে। অনেক গ্রামে বিজেপিকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য ভোট দিতে আমরা সাধারণ নাগরিকদের উৎসাহিত করতে দেখেছি। এমনকি নীতিন গডকড়িও নাগপুরে বিপাকে রয়েছেন। পাঁচটি আসনের মধ্যে আমরা চারটিতে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
মোদি কীভাবে স্বাভাবিক নির্বাচনের অনুমতি দিলেন? সর্বোপরি, আমরা তাঁর রাজনৈতিক বক্তৃতায় নাটকীয় কিছু ব্যবহারের আশঙ্কা করছিলাম, যেমনটি ২০১৯ সালে পুলওয়ামা-পরবর্তী পর্বে ঘটেছিল। ভোটের অন্যান্য পর্বে স্বাভাবিকতা বিরাজ করলে এবং জনগণকে ডাল-ভাতের বিষয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে মহা বিকাশ অঘাড়ি (কংগ্রেস–এনসিপি–শিবসেনা জোট) এই নির্বাচনে জয়লাভ করবে। বিজেপির সমর্থকেরা যথেষ্ট অনুপ্রাণিত নন; তাঁরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চড়া দামের বিষয়ে ভোটারদের বোঝাতে অক্ষম। বেকারত্বের কারণে তরুণেরা ক্ষুব্ধ। কৃষকেরা বেপরোয়া। এটি শেষ পর্যন্ত এমন একটি নির্বাচনের মতো দেখাচ্ছে, যা পরিবর্তনের ইঙ্গিতই দেয়।’
বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের একজন নেতাও এই বলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিলেন যে নির্বাচনটি কর্মসংস্থান ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মতো সমস্যার সমাধানে হচ্ছে এবং বিজেপি তার পক্ষে নির্বাচনটি আনতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এই নেতা বলেছিলেন, ‘অযোধ্যায় রামমন্দিরের কারণে একটি অস্বাভাবিক পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল দেয়নি।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন: ‘প্রথম ধাপে দারুণ সাড়া পেয়েছি। আজকে যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ। আজকের ভোট থেকে চমৎকার প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। এটা স্পষ্ট যে ভারতজুড়ে মানুষ রেকর্ড সংখ্যায় এনডিএকে ভোট দিচ্ছে।’
তবে কংগ্রেসের নেতা জয়রাম রমেশ ভোটের ধারার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘বিজেপির গ্রাফ: দক্ষিণে সাফ, উত্তরে হাফ! প্রথম দফার ভোটের পরে আমরা যা জানি তা এখানে তুলে ধরা হলো: ১. প্রথম দফায় ২১ রাজ্যের ১০২টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়েছে। মাঠের প্রতিবেদনে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে যে ইন্ডিয়া জোট বিজেপির থেকে অনেক এগিয়ে। আমরা তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রে জিতেছি এবং বিহার, রাজস্থান এবং উত্তর প্রদেশে দৃঢ় অবস্থানে আছি। ২. গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোয় বিজেপির পারফরম্যান্স উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়েছে।
বিজেপি নেতৃত্ব এই প্রবণতার কারণে আতঙ্কে রয়েছেন—প্রধানমন্ত্রীর টুইট তাঁদের শিবিরের হতাশার ইঙ্গিত দেয়। ৩. বিজেপির প্রার্থীরা খোলাখুলি স্বীকার করেছেন যে তাঁদের এবার কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কারণ, মোদি-হাওয়া বলে কিছু নেই। ৪. প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রচারাভিযানের সময় দেওয়া বক্তব্যে এবং বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে দলের প্রার্থীদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেছেন। ইন্ডিয়া জোটের প্রতি তাঁর আক্রমণগুলো ক্লান্তিকর ও একঘেয়ে এবং প্রায়ই অযৌক্তিক। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করতে পারছেন না। “৪০০ পার” এবং সংবিধান সংশোধনের বক্তৃতা মাঠে মারা গেছে। আমাদের রাজ্য সরকারগুলোর দৃঢ় কর্মক্ষমতা দ্বারা সমর্থিত কংগ্রেসের গ্যারান্টি সারা দেশে মনোযোগ লাভ করেছে। তলে তলে শক্তিও পাচ্ছে। একটা ঢেউ এখন তৈরি হচ্ছে!’
ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি দাবি অব্যাহত থাকবে। তবে ভোটারদের ক্লান্তি এবং সাধারণ আগ্রহের অভাবের ইঙ্গিত রয়েছে। দেশের রাজধানীতে বিজেপির নেতার বক্তব্য শোনার জন্য সেখানকার মধ্যবিত্ত সমাজের সমাবেশে উপস্থিত থাকার অনুরোধের প্রতি উদাসীনতা বিস্ময়কর। মোদিভক্তদের একটি দুর্ভেদ্য দুর্গ, যা গত ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে একটি বিস্ময়কর রাজনৈতিক-ধর্মীয় পাগলামি প্রত্যক্ষ করেছিল, সেখানে কোনো নির্বাচনী বক্তৃতায় কেউ আগ্রহী ছিল না।
কিছু কট্টর বিজেপির সমর্থক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও এ বার্তাটি পোস্ট করেছেন: ‘এবার, NOTA (ওপরের কোনোটিই নয়) সেরা বিকল্প।’ এই অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া কৌতূহল তৈরি করে। এই প্রতিবেদক একজন পরিচিত বিজেপির কর্মীর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন এবং তিনি ব্যাখ্যা করলেন: ‘এবার কোনো উৎসাহ নেই। মূল্যবৃদ্ধি মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরির একটি প্রধান কারণ। বেকারত্ব এবং উপার্জনের স্থবিরতা সবাইকে বিরক্ত করেছে। এমনকি স্থানীয় অবকাঠামোগত সমস্যাগুলোও বছরের পর বছর ধরে সমাধান করা হয়নি। জনগণের মূল উদ্বেগের সমাধান করে না এমন একটি অসার রাজনীতি বোঝার জন্য ১০ বছর একটি দীর্ঘ সময়। বিজেপির পক্ষে এবার তাদের সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে টেনে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত কঠিন হবে। তারা তাদের আনুগত্য বদলায়নি। কিন্তু তারা এবার মোদির পক্ষে লড়াই করতে উৎসাহী নয়।’
আর ঠিক এ কথাটাই মোদিবিরোধী নেতারাও বলছেন।
সঞ্জয় কে ঝা, ভারতীয় সাংবাদিক ও বিশ্লেষক
(দ্য ওয়্যারে প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
ভারতের বিরোধী নেতারা দীর্ঘদিন পর একটি ‘স্বাভাবিক’ নির্বাচন পেয়ে আনন্দিত। তাঁরা বলছেন, প্রথম দফার ভোট এই ইঙ্গিত দিয়েছে যে আবেগপূর্ণ বিষয়গুলো জীবন-জীবিকার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত উদ্বেগগুলোকে অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) একটি বড় অসুবিধার মধ্যে ফেলেছে।
যদিও তাঁদের দাবি, বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনী এলাকাগুলোর প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক। তারপরও এই নেতাদের আশঙ্কা, নির্বাচনে একটু এদিক-সেদিক হলেও একটি স্বাভাবিক নির্বাচন নরেন্দ্র মোদিকে অফিস থেকে ছিটকে দিতে বাধ্য। কম ভোটার উপস্থিতি এবং ভোটারদের ক্লান্তি এর বড় প্রমাণ। এই নির্বাচনে কোনো ইস্যু নেই। নির্বাচনী বক্তৃতায় শুধু পরস্পরের গালমন্দেরই আধিপত্য।
রাজস্থানে মাত্র চার মাস আগে বিধানসভা নির্বাচনে ৭৪ দশমিক ৬২ শতাংশ ভোট পড়েছিল। সেখানে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৫৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ১৭ শতাংশ কম ভোট পড়ার অর্থ হলো লাখ লাখ ভোটার দূরে থেকেছেন। এই বিশালসংখ্যক ভোটার ভোট দিলে চূড়ান্ত ফলাফলে চমক সৃষ্টি করতে পারত। এটা অনুমান করা কঠিন যে কোন ধরনের ভোটাররা ভোট দিতে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন। যদিও বিজেপির নেতারা বিশ্বাস করেন মোদি অপরাজেয়, এটা অনুমান করে বিরোধীরা হাল ছেড়ে দিয়েছেন। তবে বিরোধী নেতারা বলেছেন, জনগণ মোদি ব্র্যান্ডের ‘যা খুশি তাই করা’ এবং ‘অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে গুরুত্বারোপের’ রাজনীতির ওপর বিরক্ত। তাঁদের মূল উদ্বেগগুলো সব সময়ই উপেক্ষা করেছেন মোদি।
প্রথম ধাপের ভোটের বিষয়ে জানতে চাইলে মহারাষ্ট্রের বিদর্ভের একজন নেতা বলেন, ‘আমরা এখন ভোটে মোদিবিরোধী হাওয়া দেখছি; মানুষ নির্বাচন নিজেদের হাতে নিয়েছে। অনেক গ্রামে বিজেপিকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য ভোট দিতে আমরা সাধারণ নাগরিকদের উৎসাহিত করতে দেখেছি। এমনকি নীতিন গডকড়িও নাগপুরে বিপাকে রয়েছেন। পাঁচটি আসনের মধ্যে আমরা চারটিতে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
মোদি কীভাবে স্বাভাবিক নির্বাচনের অনুমতি দিলেন? সর্বোপরি, আমরা তাঁর রাজনৈতিক বক্তৃতায় নাটকীয় কিছু ব্যবহারের আশঙ্কা করছিলাম, যেমনটি ২০১৯ সালে পুলওয়ামা-পরবর্তী পর্বে ঘটেছিল। ভোটের অন্যান্য পর্বে স্বাভাবিকতা বিরাজ করলে এবং জনগণকে ডাল-ভাতের বিষয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে মহা বিকাশ অঘাড়ি (কংগ্রেস–এনসিপি–শিবসেনা জোট) এই নির্বাচনে জয়লাভ করবে। বিজেপির সমর্থকেরা যথেষ্ট অনুপ্রাণিত নন; তাঁরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চড়া দামের বিষয়ে ভোটারদের বোঝাতে অক্ষম। বেকারত্বের কারণে তরুণেরা ক্ষুব্ধ। কৃষকেরা বেপরোয়া। এটি শেষ পর্যন্ত এমন একটি নির্বাচনের মতো দেখাচ্ছে, যা পরিবর্তনের ইঙ্গিতই দেয়।’
বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের একজন নেতাও এই বলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিলেন যে নির্বাচনটি কর্মসংস্থান ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মতো সমস্যার সমাধানে হচ্ছে এবং বিজেপি তার পক্ষে নির্বাচনটি আনতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এই নেতা বলেছিলেন, ‘অযোধ্যায় রামমন্দিরের কারণে একটি অস্বাভাবিক পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল দেয়নি।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন: ‘প্রথম ধাপে দারুণ সাড়া পেয়েছি। আজকে যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ। আজকের ভোট থেকে চমৎকার প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। এটা স্পষ্ট যে ভারতজুড়ে মানুষ রেকর্ড সংখ্যায় এনডিএকে ভোট দিচ্ছে।’
তবে কংগ্রেসের নেতা জয়রাম রমেশ ভোটের ধারার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘বিজেপির গ্রাফ: দক্ষিণে সাফ, উত্তরে হাফ! প্রথম দফার ভোটের পরে আমরা যা জানি তা এখানে তুলে ধরা হলো: ১. প্রথম দফায় ২১ রাজ্যের ১০২টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়েছে। মাঠের প্রতিবেদনে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে যে ইন্ডিয়া জোট বিজেপির থেকে অনেক এগিয়ে। আমরা তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রে জিতেছি এবং বিহার, রাজস্থান এবং উত্তর প্রদেশে দৃঢ় অবস্থানে আছি। ২. গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোয় বিজেপির পারফরম্যান্স উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়েছে।
বিজেপি নেতৃত্ব এই প্রবণতার কারণে আতঙ্কে রয়েছেন—প্রধানমন্ত্রীর টুইট তাঁদের শিবিরের হতাশার ইঙ্গিত দেয়। ৩. বিজেপির প্রার্থীরা খোলাখুলি স্বীকার করেছেন যে তাঁদের এবার কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কারণ, মোদি-হাওয়া বলে কিছু নেই। ৪. প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রচারাভিযানের সময় দেওয়া বক্তব্যে এবং বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে দলের প্রার্থীদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেছেন। ইন্ডিয়া জোটের প্রতি তাঁর আক্রমণগুলো ক্লান্তিকর ও একঘেয়ে এবং প্রায়ই অযৌক্তিক। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করতে পারছেন না। “৪০০ পার” এবং সংবিধান সংশোধনের বক্তৃতা মাঠে মারা গেছে। আমাদের রাজ্য সরকারগুলোর দৃঢ় কর্মক্ষমতা দ্বারা সমর্থিত কংগ্রেসের গ্যারান্টি সারা দেশে মনোযোগ লাভ করেছে। তলে তলে শক্তিও পাচ্ছে। একটা ঢেউ এখন তৈরি হচ্ছে!’
ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি দাবি অব্যাহত থাকবে। তবে ভোটারদের ক্লান্তি এবং সাধারণ আগ্রহের অভাবের ইঙ্গিত রয়েছে। দেশের রাজধানীতে বিজেপির নেতার বক্তব্য শোনার জন্য সেখানকার মধ্যবিত্ত সমাজের সমাবেশে উপস্থিত থাকার অনুরোধের প্রতি উদাসীনতা বিস্ময়কর। মোদিভক্তদের একটি দুর্ভেদ্য দুর্গ, যা গত ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে একটি বিস্ময়কর রাজনৈতিক-ধর্মীয় পাগলামি প্রত্যক্ষ করেছিল, সেখানে কোনো নির্বাচনী বক্তৃতায় কেউ আগ্রহী ছিল না।
কিছু কট্টর বিজেপির সমর্থক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও এ বার্তাটি পোস্ট করেছেন: ‘এবার, NOTA (ওপরের কোনোটিই নয়) সেরা বিকল্প।’ এই অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া কৌতূহল তৈরি করে। এই প্রতিবেদক একজন পরিচিত বিজেপির কর্মীর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন এবং তিনি ব্যাখ্যা করলেন: ‘এবার কোনো উৎসাহ নেই। মূল্যবৃদ্ধি মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরির একটি প্রধান কারণ। বেকারত্ব এবং উপার্জনের স্থবিরতা সবাইকে বিরক্ত করেছে। এমনকি স্থানীয় অবকাঠামোগত সমস্যাগুলোও বছরের পর বছর ধরে সমাধান করা হয়নি। জনগণের মূল উদ্বেগের সমাধান করে না এমন একটি অসার রাজনীতি বোঝার জন্য ১০ বছর একটি দীর্ঘ সময়। বিজেপির পক্ষে এবার তাদের সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে টেনে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত কঠিন হবে। তারা তাদের আনুগত্য বদলায়নি। কিন্তু তারা এবার মোদির পক্ষে লড়াই করতে উৎসাহী নয়।’
আর ঠিক এ কথাটাই মোদিবিরোধী নেতারাও বলছেন।
সঞ্জয় কে ঝা, ভারতীয় সাংবাদিক ও বিশ্লেষক
(দ্য ওয়্যারে প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে