সম্পাদকীয়
তখন শামসুর রাহমান ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়েছেন। ১৯৪৫ সালের কথা। আব্বা-আম্মা আজমির যাবেন বলে ঠিক করেছেন।এর আগেও অবশ্য সপরিবারে আজমির শরিফে গিয়েছেন তাঁরা, শামসুর রাহমান ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষার জন্য যেতে পারেননি। এবার সুযোগ এল।
মাজারে অসম্ভব ভিড়। সেখানে তিনি দেখলেন বিখ্যাত অভিনেত্রী সরদার আখতারকে। বলিউডের তারকা তিনি। আওরাত, রোটি, আন্দাজ ছবি করেছেন। কিন্তু শামসুর রাহমান কথা বলতে পারলেন না সংকোচের কারণে।
মাজারে সবই ভালো লাগল, শুধু বুক চাপড়াতে চাপড়াতে ‘ইয়া খাজা দে দে’ বলা হচ্ছিল যখন, তখন তা খুব খারাপ লাগল তাঁর। আজমির শরিফের মাজারের ভেতর থেকে ভেসে আসা ফুলের ঘ্রাণ আর সেখানকার কাওয়ালি খুব মনে ধরেছিল শামসুরের। এ রকম কাওয়ালি খুব একটা শোনেননি তিনি।
শামসুর রাহমানের খুব ইচ্ছে হলো আগ্রায় যাবেন তাজমহল দেখতে। কিন্তু আলাভোলা ছেলেটিকে আব্বা একা ছাড়লেন না। আজমিরের খাদেমের ছোট ভাই শাহাবুদ্দিনকে সঙ্গে দিলেন রাহাখরচসহ।
আগ্রায় পৌঁছে দুপুরে রুটি-গোশত খাওয়া হলো। এরপর রওনা হলেন তাজমহলের উদ্দেশে এবং শুরুতেই আশা ভঙ্গ হলো! এটাকেই পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের এক আশ্চর্য বলা হয়! রবীন্দ্রনাথ আর সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত এই তাজমহল নিয়েই কবিতা লিখেছেন! অনেকেই বলে, তাজমহল দেখার সেরা সময় হলো পূর্ণিমা রাত। কিন্তু সে অপেক্ষা আর কে করে!
শামসুর রাহমান ক্লান্ত হয়ে তাজমহলের শ্রেণিবদ্ধ ঝাউগাছের নিচে শুয়ে পড়লেন এবং তারপর গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হলেন। ঘুম ভাঙতেই দেখলেন, তাঁর মাথা ঘাসের ওপরে নেই। শাহাবুদ্দিন সাহেব তাঁর জানু পেতে সেখানেই রেখেছেন শামসুর রাহমানের মাথাটা।
সে সময় তাজমহলের সৌন্দর্য নিয়ে হতাশ হয়েছিলেন বলে পরে লজ্জাও পেয়েছেন। অনেকেই তাঁকে এ নিয়ে খেপাত। আর তখন চিত্তে ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলত রবীন্দ্রনাথের কয়েকটি পঙ্ক্তি: হীরা মুক্তো মাণিক্যের ঘটা/যেন শূন্য দিগন্তের ইন্দ্রজাল ইন্দ্রচ্ছটা/যায় যদি লুপ্ত হয়ে যাক/শুধু থাক/একবিন্দু নয়নের জল/কালের কপোলতলে শুভ্র সমুজ্জ্বল/এ তাজমহল।
সূত্র: শামসুর রাহমানের গদ্যসংগ্রহ, সম্পাদনা গৌতম রায়, পৃষ্ঠা ৪৯-৫০
তখন শামসুর রাহমান ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়েছেন। ১৯৪৫ সালের কথা। আব্বা-আম্মা আজমির যাবেন বলে ঠিক করেছেন।এর আগেও অবশ্য সপরিবারে আজমির শরিফে গিয়েছেন তাঁরা, শামসুর রাহমান ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষার জন্য যেতে পারেননি। এবার সুযোগ এল।
মাজারে অসম্ভব ভিড়। সেখানে তিনি দেখলেন বিখ্যাত অভিনেত্রী সরদার আখতারকে। বলিউডের তারকা তিনি। আওরাত, রোটি, আন্দাজ ছবি করেছেন। কিন্তু শামসুর রাহমান কথা বলতে পারলেন না সংকোচের কারণে।
মাজারে সবই ভালো লাগল, শুধু বুক চাপড়াতে চাপড়াতে ‘ইয়া খাজা দে দে’ বলা হচ্ছিল যখন, তখন তা খুব খারাপ লাগল তাঁর। আজমির শরিফের মাজারের ভেতর থেকে ভেসে আসা ফুলের ঘ্রাণ আর সেখানকার কাওয়ালি খুব মনে ধরেছিল শামসুরের। এ রকম কাওয়ালি খুব একটা শোনেননি তিনি।
শামসুর রাহমানের খুব ইচ্ছে হলো আগ্রায় যাবেন তাজমহল দেখতে। কিন্তু আলাভোলা ছেলেটিকে আব্বা একা ছাড়লেন না। আজমিরের খাদেমের ছোট ভাই শাহাবুদ্দিনকে সঙ্গে দিলেন রাহাখরচসহ।
আগ্রায় পৌঁছে দুপুরে রুটি-গোশত খাওয়া হলো। এরপর রওনা হলেন তাজমহলের উদ্দেশে এবং শুরুতেই আশা ভঙ্গ হলো! এটাকেই পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের এক আশ্চর্য বলা হয়! রবীন্দ্রনাথ আর সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত এই তাজমহল নিয়েই কবিতা লিখেছেন! অনেকেই বলে, তাজমহল দেখার সেরা সময় হলো পূর্ণিমা রাত। কিন্তু সে অপেক্ষা আর কে করে!
শামসুর রাহমান ক্লান্ত হয়ে তাজমহলের শ্রেণিবদ্ধ ঝাউগাছের নিচে শুয়ে পড়লেন এবং তারপর গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হলেন। ঘুম ভাঙতেই দেখলেন, তাঁর মাথা ঘাসের ওপরে নেই। শাহাবুদ্দিন সাহেব তাঁর জানু পেতে সেখানেই রেখেছেন শামসুর রাহমানের মাথাটা।
সে সময় তাজমহলের সৌন্দর্য নিয়ে হতাশ হয়েছিলেন বলে পরে লজ্জাও পেয়েছেন। অনেকেই তাঁকে এ নিয়ে খেপাত। আর তখন চিত্তে ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলত রবীন্দ্রনাথের কয়েকটি পঙ্ক্তি: হীরা মুক্তো মাণিক্যের ঘটা/যেন শূন্য দিগন্তের ইন্দ্রজাল ইন্দ্রচ্ছটা/যায় যদি লুপ্ত হয়ে যাক/শুধু থাক/একবিন্দু নয়নের জল/কালের কপোলতলে শুভ্র সমুজ্জ্বল/এ তাজমহল।
সূত্র: শামসুর রাহমানের গদ্যসংগ্রহ, সম্পাদনা গৌতম রায়, পৃষ্ঠা ৪৯-৫০
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে