সৌগত বসু, ঢাকা
বদলে যাচ্ছে গাড়ির বিমার ধরন। আগের মতো ফার্স্ট পার্টি বা থার্ড পার্টি নয়, নতুন নামে নতুন বিমা পলিসি আসছে গাড়ির জন্য। নিবন্ধিত সব গাড়ির মালিককে বাধ্যতামূলকভাবে এই বিমা করতে হবে।
সড়ক পরিবহন সংশোধন আইন, ২০২৪-এর খসড়ায় সব যানবাহনের জন্য বিমা বাধ্যতামূলক করার বিধান রাখা হয়েছে। আইনের খসড়াটি ১৩ মার্চ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিমা করা না থাকলে প্রতিটি যানবাহনের জন্য মালিককে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে।
আইনটি সংসদে পাস হওয়ার পর সব ধরনের যানবাহনের জন্য বিমা বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। জানতে চাইলে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিমা বাধ্যতামূলক রেখে আইনের খসড়া অনুমোদন হয়েছে। আইনটি পাস হলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে দুই ধরনের গাড়িবিমা ছিল–ফার্স্ট পার্টি বা প্রথম পক্ষ বিমা ও থার্ড পার্টি বা তৃতীয় পক্ষ বিমা। প্রথম পক্ষ বিমায় গাড়ি হতে হবে একদম নতুন। এ ক্ষেত্রে বিমা করালে বিমা কোম্পানি সেই গাড়ির শর্ত সাপেক্ষে সুবিধা দিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে গাড়ির মালিককে বছরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিমা কোম্পানিকে দিতে হয়। আর তৃতীয় পক্ষ বিমার ক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তকে আর্থিক সুবিধা দিতে এই বিমা পলিসি করা হয়।
এটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অকার্যকর। মোটরযান অধ্যাদেশ-১৯৮৩ এর ধারা ১০৯ অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষ বিমা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এ তৃতীয় পক্ষ বিমার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে যানবাহনের বিমা করার বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হয় মালিকের ইচ্ছার ওপর। মূলত এর পর থেকেই মালিকেরা পরিবহনের বিমা করা প্রায় বন্ধ করে দেন। বর্তমানে যেসব পরিবহন চলাচল করছে, তার সিংহভাগেরই কোনো বিমা নেই।
বিমা বন্ধ করে দেওয়া অসংখ্য গাড়ির মালিকদের একজন বেসরকারি চাকরিজীবী হাসনাত নাঈম। ২০১৭ সালে ২৫০ টাকা দিয়ে নিজের মোটরসাইকেলের জন্য তৃতীয় পক্ষ বিমা করান তিনি। এই বিমার মেয়াদ ছিল এক বছর। এরপর ২০১৮ সালে বিমার বাধ্যবাধকতা উঠে গেলে হাসনাত সেই বিমা নিয়ে আর কোনো খোঁজ নেননি। এ বিষয়ে হাসনাত বলেন, ট্রাফিক পুলিশের মামলা থেকে রেহাই পেতে তিনি বিমা করেছিলেন।
হাসনাতের মতো দেশে নিবন্ধন করা মোটরসাইকেল ব্যবহারকারী আছেন ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার ৮৮৩ জন। এর মধ্যে শুধু ঢাকাতেই আছেন ১১ লাখ ১৪ হাজার ৮০১ জন। আর নিবন্ধন করা মোট যানবাহনের সংখ্যা ৫৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৬৫। বিআরটিএ সূত্র বলছে, দেশে এখন নিবন্ধন করা ৯০ ভাগ গাড়ির কোনো বিমা নেই। বাকি ১০ ভাগ বাণিজ্যিক গাড়ি বা নতুন গাড়ির বিমা রয়েছে। সেগুলো প্রথম পক্ষ বিমা। ২০১৮ সালের আইনের আগে যখন বিমা বাধ্যতামূলক ছিল, তখন এই ৯০ শতাংশ গাড়ির বিমা ছিল তৃতীয় পক্ষ বিমা।
নতুন বিমা যেমন হবে
সড়ক পরিবহন সংশোধন আইন, ২০২৪-এ বিমা বাধ্যতামূলক করায় যানবাহনের জন্য নতুন বিমা পলিসি নিয়ে কাজ শুরু করেন বিমা খাতসংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, নতুন আইন অনুযায়ী বিমার ধরন পরিবর্তন হচ্ছে। সেখানে প্রথম বা তৃতীয় পক্ষ বিমা নামে কিছুই থাকবে না। বরং নতুন একটি ‘প্রোডাক্ট’ আনা হবে, যেখানে প্রথম পক্ষ বিমার মতো অনেক বেশি মাত্রার ক্ষতিপূরণ থাকবে না, আবার তৃতীয় পক্ষ বিমার মতো এটি অকার্যকরও হবে না।
বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় পক্ষ বিমা বাতিল করতে বলেছেন। এ জন্য নতুন কী প্রোডাক্ট আনা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ বিমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। তারা যেটা বের করবে, সেটাই হবে।
বিআইএ নতুন গাড়ি বিমা নিয়ে আইডিআরএর সঙ্গে কাজ করবে বলেও জানান শেখ কবির। তিনি বলেন, ‘যেহেতু থার্ড পার্টি থাকবে না, তাই গাড়িতে গাড়িতে লাগলে, মানুষ মারা গেলে, গাড়ির ক্ষতি হলে সেখানে যেন কোনো ক্ষতিপূরণ পায়, সেই ব্যবস্থা থাকবে। ফার্স্ট পার্টিতে যেমন অনেক ক্ষতিপূরণ পায়, সেটাও না, আবার থার্ড পার্টির মতোও না।’
এ বিষয়ে আইডিআরএ চেয়ারম্যান জয়নাল বারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে থার্ড পার্টি বিমা বাধ্যতামূলক ছিল। এবার থার্ড পার্টি বিমা বাধ্যতামূলক হচ্ছে না। এবার নিজের গাড়ির ক্ষতির (ওন ভেহিকল ড্যামেজ) জন্য এই বিমা করতে হবে। কেউ গাড়ি চালানোর সময় দুর্ঘটনার শিকার হলে সে ক্ষতিপূরণ পাবে। এতে গাড়ির মালিকের লাভ। থার্ড পার্টি ছিল অন্য কারও লাভ। সেটি এখন আর নেই।
ফার্স্ট পার্টি বা কম্প্রিহেন্সিভ বিমাও এখন অপশনাল। নিজের গাড়ির বিমা হবে বাধ্যতামূলক। এই বিমা না করলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।’ প্রিমিয়াম কেমন হতে পারে, জানতে চাইলে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, এবার থেকে গাড়ির দাম অনুযায়ী যা আসবে, সেই মোতাবেক বিমা করতে হবে। গাড়ির মূল্য অনুযায়ী প্রিমিয়াম দেবে। এখানে নতুন-পুরোনো কোনো বিষয় নয়।
গাড়িবিমা নিয়ে নতুন উদ্যোগ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাইন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিমা করা সব সময় ভালো। কিন্তু সমস্যা যেটা থেকে যায়, সেটা হচ্ছে এটার বাস্তবায়ন নিয়ে। মাঝখানে একটা বড় বিরতি দিয়ে এটা কার্যকর হচ্ছে। এখন দেখতে হবে, এখানে কোনো দুর্নীতি বা অন্যায়ের আশ্রয় যেন না থাকে।
বদলে যাচ্ছে গাড়িবিমাআসছে নতুন পলিসি
বদলে যাচ্ছে গাড়ির বিমার ধরন। আগের মতো ফার্স্ট পার্টি বা থার্ড পার্টি নয়, নতুন নামে নতুন বিমা পলিসি আসছে গাড়ির জন্য। নিবন্ধিত সব গাড়ির মালিককে বাধ্যতামূলকভাবে এই বিমা করতে হবে।
সড়ক পরিবহন সংশোধন আইন, ২০২৪-এর খসড়ায় সব যানবাহনের জন্য বিমা বাধ্যতামূলক করার বিধান রাখা হয়েছে। আইনের খসড়াটি ১৩ মার্চ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিমা করা না থাকলে প্রতিটি যানবাহনের জন্য মালিককে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে।
আইনটি সংসদে পাস হওয়ার পর সব ধরনের যানবাহনের জন্য বিমা বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। জানতে চাইলে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিমা বাধ্যতামূলক রেখে আইনের খসড়া অনুমোদন হয়েছে। আইনটি পাস হলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে দুই ধরনের গাড়িবিমা ছিল–ফার্স্ট পার্টি বা প্রথম পক্ষ বিমা ও থার্ড পার্টি বা তৃতীয় পক্ষ বিমা। প্রথম পক্ষ বিমায় গাড়ি হতে হবে একদম নতুন। এ ক্ষেত্রে বিমা করালে বিমা কোম্পানি সেই গাড়ির শর্ত সাপেক্ষে সুবিধা দিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে গাড়ির মালিককে বছরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিমা কোম্পানিকে দিতে হয়। আর তৃতীয় পক্ষ বিমার ক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তকে আর্থিক সুবিধা দিতে এই বিমা পলিসি করা হয়।
এটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অকার্যকর। মোটরযান অধ্যাদেশ-১৯৮৩ এর ধারা ১০৯ অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষ বিমা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এ তৃতীয় পক্ষ বিমার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে যানবাহনের বিমা করার বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হয় মালিকের ইচ্ছার ওপর। মূলত এর পর থেকেই মালিকেরা পরিবহনের বিমা করা প্রায় বন্ধ করে দেন। বর্তমানে যেসব পরিবহন চলাচল করছে, তার সিংহভাগেরই কোনো বিমা নেই।
বিমা বন্ধ করে দেওয়া অসংখ্য গাড়ির মালিকদের একজন বেসরকারি চাকরিজীবী হাসনাত নাঈম। ২০১৭ সালে ২৫০ টাকা দিয়ে নিজের মোটরসাইকেলের জন্য তৃতীয় পক্ষ বিমা করান তিনি। এই বিমার মেয়াদ ছিল এক বছর। এরপর ২০১৮ সালে বিমার বাধ্যবাধকতা উঠে গেলে হাসনাত সেই বিমা নিয়ে আর কোনো খোঁজ নেননি। এ বিষয়ে হাসনাত বলেন, ট্রাফিক পুলিশের মামলা থেকে রেহাই পেতে তিনি বিমা করেছিলেন।
হাসনাতের মতো দেশে নিবন্ধন করা মোটরসাইকেল ব্যবহারকারী আছেন ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার ৮৮৩ জন। এর মধ্যে শুধু ঢাকাতেই আছেন ১১ লাখ ১৪ হাজার ৮০১ জন। আর নিবন্ধন করা মোট যানবাহনের সংখ্যা ৫৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৬৫। বিআরটিএ সূত্র বলছে, দেশে এখন নিবন্ধন করা ৯০ ভাগ গাড়ির কোনো বিমা নেই। বাকি ১০ ভাগ বাণিজ্যিক গাড়ি বা নতুন গাড়ির বিমা রয়েছে। সেগুলো প্রথম পক্ষ বিমা। ২০১৮ সালের আইনের আগে যখন বিমা বাধ্যতামূলক ছিল, তখন এই ৯০ শতাংশ গাড়ির বিমা ছিল তৃতীয় পক্ষ বিমা।
নতুন বিমা যেমন হবে
সড়ক পরিবহন সংশোধন আইন, ২০২৪-এ বিমা বাধ্যতামূলক করায় যানবাহনের জন্য নতুন বিমা পলিসি নিয়ে কাজ শুরু করেন বিমা খাতসংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, নতুন আইন অনুযায়ী বিমার ধরন পরিবর্তন হচ্ছে। সেখানে প্রথম বা তৃতীয় পক্ষ বিমা নামে কিছুই থাকবে না। বরং নতুন একটি ‘প্রোডাক্ট’ আনা হবে, যেখানে প্রথম পক্ষ বিমার মতো অনেক বেশি মাত্রার ক্ষতিপূরণ থাকবে না, আবার তৃতীয় পক্ষ বিমার মতো এটি অকার্যকরও হবে না।
বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় পক্ষ বিমা বাতিল করতে বলেছেন। এ জন্য নতুন কী প্রোডাক্ট আনা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ বিমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। তারা যেটা বের করবে, সেটাই হবে।
বিআইএ নতুন গাড়ি বিমা নিয়ে আইডিআরএর সঙ্গে কাজ করবে বলেও জানান শেখ কবির। তিনি বলেন, ‘যেহেতু থার্ড পার্টি থাকবে না, তাই গাড়িতে গাড়িতে লাগলে, মানুষ মারা গেলে, গাড়ির ক্ষতি হলে সেখানে যেন কোনো ক্ষতিপূরণ পায়, সেই ব্যবস্থা থাকবে। ফার্স্ট পার্টিতে যেমন অনেক ক্ষতিপূরণ পায়, সেটাও না, আবার থার্ড পার্টির মতোও না।’
এ বিষয়ে আইডিআরএ চেয়ারম্যান জয়নাল বারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে থার্ড পার্টি বিমা বাধ্যতামূলক ছিল। এবার থার্ড পার্টি বিমা বাধ্যতামূলক হচ্ছে না। এবার নিজের গাড়ির ক্ষতির (ওন ভেহিকল ড্যামেজ) জন্য এই বিমা করতে হবে। কেউ গাড়ি চালানোর সময় দুর্ঘটনার শিকার হলে সে ক্ষতিপূরণ পাবে। এতে গাড়ির মালিকের লাভ। থার্ড পার্টি ছিল অন্য কারও লাভ। সেটি এখন আর নেই।
ফার্স্ট পার্টি বা কম্প্রিহেন্সিভ বিমাও এখন অপশনাল। নিজের গাড়ির বিমা হবে বাধ্যতামূলক। এই বিমা না করলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।’ প্রিমিয়াম কেমন হতে পারে, জানতে চাইলে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, এবার থেকে গাড়ির দাম অনুযায়ী যা আসবে, সেই মোতাবেক বিমা করতে হবে। গাড়ির মূল্য অনুযায়ী প্রিমিয়াম দেবে। এখানে নতুন-পুরোনো কোনো বিষয় নয়।
গাড়িবিমা নিয়ে নতুন উদ্যোগ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাইন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিমা করা সব সময় ভালো। কিন্তু সমস্যা যেটা থেকে যায়, সেটা হচ্ছে এটার বাস্তবায়ন নিয়ে। মাঝখানে একটা বড় বিরতি দিয়ে এটা কার্যকর হচ্ছে। এখন দেখতে হবে, এখানে কোনো দুর্নীতি বা অন্যায়ের আশ্রয় যেন না থাকে।
বদলে যাচ্ছে গাড়িবিমাআসছে নতুন পলিসি
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে