বাসব রায়
সময়গুলো বেশ খারাপ। সরকারপ্রধানসহ দেশাত্মবোধে হিতৈষীরা দেশের কল্যাণে নিবেদিত কিন্তু সরকারের কাছাকাছি থাকা কিছু লোভী ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি সরকারের সব অর্জনকে নস্যাৎ করতে বড় রকমের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। অনভিপ্রেত এসব খবরে বিচলিত জনগণ সরকারের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছেন এবং দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। দ্রব্যমূল্যের স্থায়ী হচ্ছেই না।
ভোক্তারা নিয়মিত নির্যাতিত হচ্ছেন; বাজারকেন্দ্রিক এমন বাস্তবতা জনগণের জন্য বড় পীড়াদায়ক। আশা করা হচ্ছিল, নির্বাচনোত্তর বাজার বা অন্যান্য দুর্বিষহ খাতগুলোর কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়ে ওঠেনি। সব মিলেই ভালো নেই দেশ, ভালো নেই আমরা। সামান্য ভয়াবহতা শুরু হলে আমাদের দেশের পক্ষে তা সামলে ওঠাটা সহজ কাজ নয়। জনবহুল বা জন–আধিক্যসহ অসচেতন জনগণের জন্য এসব মোকাবিলা বেশ কঠিন হয়ে যায়।
আমরা দশটা ভালো কাজকে গুরুত্ব দিই না কিন্তু একটি খারাপ কাজকে নিন্দা জানাতে মুহূর্ত সময় নষ্ট করি না। আমাদের জাতিগত এসব সমস্যা ক্রমেই মজ্জাগত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, যার থেকে মুক্তি পাওয়াও সম্ভব নয়। আমাদের মধ্যে হিংসা বা প্রতিহিংসাপরায়ণতা হেরিডেটিকাল সমস্যার মতো এবং এ থেকে আমরা না বেরিয়ে এটারই জালে জড়িয়ে পড়ি সজ্ঞানে কিংবা অজ্ঞানে! ভয়ানক ত্রুটিপূর্ণ মানসিকতা নিয়ে একটা দেশ চলছে প্রায় অর্ধশতক পার করার পরেও।
আমাদের শিক্ষা-সংস্কৃতিতে স্বকীয়তার অভাব। খুব নিম্নরুচিসম্পন্ন মানুষেরা এখানে বিশ্বনন্দিত বিশ্বকবির সমালোচনা প্রকাশ্যে করেন, যা কেবল এখানেই সম্ভব। বিশ্বকবিকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশেও নানারকম বিরূপ ভাবনা গোটা বাঙালি সংস্কৃতির জন্যই দুর্ভাগ্যজনক। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে বেশ কিছু হৃদয়বান মানুষ সঠিক সত্যিটাকে তুলে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সফল হোক বা না হোক, এটি একটি শুভচর্চা।
আমরা সাংঘাতিক রকমের রসবোধহীন মানুষ। রসাল ভাবনা ছাড়াই যাঁরা কবি-সাহিত্যিক সেজেছেন, তাঁরা কাব্যচর্চার বারোটা বাজিয়ে ছাড়ছেন। তাঁরাই বাংলাসাহিত্যের নীরব ঘাতক। কাব্যকলার বিন্দুমাত্র জ্ঞান না থেকেও মানসিক বিকারগ্রস্ত লেখনীর মাধ্যমে নিজেকে প্রজ্ঞাবান হিসেবে তৈরি করেছেন এবং যথারীতি একদল অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের অতিপ্রাকৃত সমর্থকদের আনুকূল্য পেয়ে প্রতিনিয়ত ধন্য করছেন সাহিত্যের অঙ্গনকে। লেখালেখির জগৎকে শিকলে বাঁধতে চায় এরা; এরা এতটাই স্বার্থপর! মুক্ত আলোচনাকে এরা ভয় পায়। মুশোখ পরে খারাপ কিছু করা যায় কিন্তু সাহিত্য নয়। এদের শিক্ষাদীক্ষা এবং ব্যাপক সাহিতচর্চাও নেই বরং সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিরোধী মানসিকতা নিয়ে বিশেষ গণ্ডির মধ্যে এরা শুধু প্রতিহিংসা এবং পরনিন্দার প্রকৃত শিক্ষাটা বেশ ভালোভাবে রপ্ত করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কবিরাও ভালো লেখেন এবং বর্তমানে লেখালেখির জগতে তাঁদের কারণে একটা রেনেসাঁ শুরু হয়েছে। আমরা উৎসাহ দিতেও কার্পণ্যবোধ করি বরং পিছিয়ে দেওয়ার কাজটা খুব যত্নের সঙ্গেই করতে পারি। ভালো মানুষ হওয়ার শপথ যাঁদের আছে, সহানুভূতিশীল মানুষ যাঁরা ছিলেন বা আছেন, আসুন, তাঁদের প্রতি যত্নবান হই এবং নিজেকেও সমৃদ্ধ করি।
একজন কবি বা লেখক যা-ই লিখুন না কেন, তাঁর লেখালেখির পেছনে বা আড়ালে অবশ্যই কোনো না কোনো কারণ আছে। আমরা মনগড়া আলোচনা করে তাঁর বিরুদ্ধে কলম ধরি, জোটবদ্ধ হয়ে তাঁকে লাঞ্ছিত করি। এসব যাঁরাই করেন, তাঁরা আর যেই হোন, কখনোই কবি বা সাহিত্যিক নন এবং অনুরাগীও নন।
রসবোধশূন্য মানুষেরা বলতেও পারেন না, লিখতেও পারেন না। পক্ষান্তরে তারা ধূর্ত প্রকৃতির হয়ে থাকেন, যা আমাদের উপলব্ধির বাইরে।
তবু সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে সার্বিকভাবে দেশ এবং জাতি নিরাপদ থাকুক, এটিই প্রত্যাশা। পণ্ডিতেরা যখন শিয়ালের সমান চতুর হন আর এদের হাতে কারণে-অকারণে যখন কর্তৃত্ব থাকে, তখন একটা অনৈতিক সংস্কৃতিতে দেশ ভরে যায় এবং স্বাভাবিকভাবে সংকটের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিবাদের শক্তি বা সাহস যখন মানুষ হারিয়ে ফেলে, তখন সে শৃঙ্খলিত হতে বাধ্য। মুক্তচর্চার পথে নানারকমের ঝক্কিঝামেলা দেশ ও জাতিকে সব সময়ই পেছনের দিকে নিয়ে যাবে আর এমন সত্যিটা জেনেও আমরা চুপ থাকতে বাধ্য হই পরিস্থিতির চাপে। দৃশ্যমান বা অদৃশ্য কোনো কোনো রক্তচক্ষুর ভয়েই আমরা গুটিয়ে পড়ি এবং নতজানু হয়ে নিজেদের সমর্পণ করি। আমরা এসবের থেকে মুক্তি চাই, মুক্ত হতে চাই।
বাসব রায়, কবি
সময়গুলো বেশ খারাপ। সরকারপ্রধানসহ দেশাত্মবোধে হিতৈষীরা দেশের কল্যাণে নিবেদিত কিন্তু সরকারের কাছাকাছি থাকা কিছু লোভী ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি সরকারের সব অর্জনকে নস্যাৎ করতে বড় রকমের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। অনভিপ্রেত এসব খবরে বিচলিত জনগণ সরকারের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছেন এবং দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। দ্রব্যমূল্যের স্থায়ী হচ্ছেই না।
ভোক্তারা নিয়মিত নির্যাতিত হচ্ছেন; বাজারকেন্দ্রিক এমন বাস্তবতা জনগণের জন্য বড় পীড়াদায়ক। আশা করা হচ্ছিল, নির্বাচনোত্তর বাজার বা অন্যান্য দুর্বিষহ খাতগুলোর কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়ে ওঠেনি। সব মিলেই ভালো নেই দেশ, ভালো নেই আমরা। সামান্য ভয়াবহতা শুরু হলে আমাদের দেশের পক্ষে তা সামলে ওঠাটা সহজ কাজ নয়। জনবহুল বা জন–আধিক্যসহ অসচেতন জনগণের জন্য এসব মোকাবিলা বেশ কঠিন হয়ে যায়।
আমরা দশটা ভালো কাজকে গুরুত্ব দিই না কিন্তু একটি খারাপ কাজকে নিন্দা জানাতে মুহূর্ত সময় নষ্ট করি না। আমাদের জাতিগত এসব সমস্যা ক্রমেই মজ্জাগত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, যার থেকে মুক্তি পাওয়াও সম্ভব নয়। আমাদের মধ্যে হিংসা বা প্রতিহিংসাপরায়ণতা হেরিডেটিকাল সমস্যার মতো এবং এ থেকে আমরা না বেরিয়ে এটারই জালে জড়িয়ে পড়ি সজ্ঞানে কিংবা অজ্ঞানে! ভয়ানক ত্রুটিপূর্ণ মানসিকতা নিয়ে একটা দেশ চলছে প্রায় অর্ধশতক পার করার পরেও।
আমাদের শিক্ষা-সংস্কৃতিতে স্বকীয়তার অভাব। খুব নিম্নরুচিসম্পন্ন মানুষেরা এখানে বিশ্বনন্দিত বিশ্বকবির সমালোচনা প্রকাশ্যে করেন, যা কেবল এখানেই সম্ভব। বিশ্বকবিকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশেও নানারকম বিরূপ ভাবনা গোটা বাঙালি সংস্কৃতির জন্যই দুর্ভাগ্যজনক। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে বেশ কিছু হৃদয়বান মানুষ সঠিক সত্যিটাকে তুলে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সফল হোক বা না হোক, এটি একটি শুভচর্চা।
আমরা সাংঘাতিক রকমের রসবোধহীন মানুষ। রসাল ভাবনা ছাড়াই যাঁরা কবি-সাহিত্যিক সেজেছেন, তাঁরা কাব্যচর্চার বারোটা বাজিয়ে ছাড়ছেন। তাঁরাই বাংলাসাহিত্যের নীরব ঘাতক। কাব্যকলার বিন্দুমাত্র জ্ঞান না থেকেও মানসিক বিকারগ্রস্ত লেখনীর মাধ্যমে নিজেকে প্রজ্ঞাবান হিসেবে তৈরি করেছেন এবং যথারীতি একদল অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের অতিপ্রাকৃত সমর্থকদের আনুকূল্য পেয়ে প্রতিনিয়ত ধন্য করছেন সাহিত্যের অঙ্গনকে। লেখালেখির জগৎকে শিকলে বাঁধতে চায় এরা; এরা এতটাই স্বার্থপর! মুক্ত আলোচনাকে এরা ভয় পায়। মুশোখ পরে খারাপ কিছু করা যায় কিন্তু সাহিত্য নয়। এদের শিক্ষাদীক্ষা এবং ব্যাপক সাহিতচর্চাও নেই বরং সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিরোধী মানসিকতা নিয়ে বিশেষ গণ্ডির মধ্যে এরা শুধু প্রতিহিংসা এবং পরনিন্দার প্রকৃত শিক্ষাটা বেশ ভালোভাবে রপ্ত করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কবিরাও ভালো লেখেন এবং বর্তমানে লেখালেখির জগতে তাঁদের কারণে একটা রেনেসাঁ শুরু হয়েছে। আমরা উৎসাহ দিতেও কার্পণ্যবোধ করি বরং পিছিয়ে দেওয়ার কাজটা খুব যত্নের সঙ্গেই করতে পারি। ভালো মানুষ হওয়ার শপথ যাঁদের আছে, সহানুভূতিশীল মানুষ যাঁরা ছিলেন বা আছেন, আসুন, তাঁদের প্রতি যত্নবান হই এবং নিজেকেও সমৃদ্ধ করি।
একজন কবি বা লেখক যা-ই লিখুন না কেন, তাঁর লেখালেখির পেছনে বা আড়ালে অবশ্যই কোনো না কোনো কারণ আছে। আমরা মনগড়া আলোচনা করে তাঁর বিরুদ্ধে কলম ধরি, জোটবদ্ধ হয়ে তাঁকে লাঞ্ছিত করি। এসব যাঁরাই করেন, তাঁরা আর যেই হোন, কখনোই কবি বা সাহিত্যিক নন এবং অনুরাগীও নন।
রসবোধশূন্য মানুষেরা বলতেও পারেন না, লিখতেও পারেন না। পক্ষান্তরে তারা ধূর্ত প্রকৃতির হয়ে থাকেন, যা আমাদের উপলব্ধির বাইরে।
তবু সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে সার্বিকভাবে দেশ এবং জাতি নিরাপদ থাকুক, এটিই প্রত্যাশা। পণ্ডিতেরা যখন শিয়ালের সমান চতুর হন আর এদের হাতে কারণে-অকারণে যখন কর্তৃত্ব থাকে, তখন একটা অনৈতিক সংস্কৃতিতে দেশ ভরে যায় এবং স্বাভাবিকভাবে সংকটের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিবাদের শক্তি বা সাহস যখন মানুষ হারিয়ে ফেলে, তখন সে শৃঙ্খলিত হতে বাধ্য। মুক্তচর্চার পথে নানারকমের ঝক্কিঝামেলা দেশ ও জাতিকে সব সময়ই পেছনের দিকে নিয়ে যাবে আর এমন সত্যিটা জেনেও আমরা চুপ থাকতে বাধ্য হই পরিস্থিতির চাপে। দৃশ্যমান বা অদৃশ্য কোনো কোনো রক্তচক্ষুর ভয়েই আমরা গুটিয়ে পড়ি এবং নতজানু হয়ে নিজেদের সমর্পণ করি। আমরা এসবের থেকে মুক্তি চাই, মুক্ত হতে চাই।
বাসব রায়, কবি
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে