মাদারীপুর প্রতিনিধি
দেশ-বিদেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয় মাদারীপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি)। কিন্তু উদ্বোধনের সাত বছর পেরিয়ে গেলেও এখানকার জনবলসংকট দূর হয়নি। ৪৩টি সৃষ্ট পদের মধ্যে আছেন মাত্র ৪ জন, ৩৯টি পদই খালি। এতে জনবল-সংকটে খুঁড়িয়ে চলছে টিটিসির প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদারীপুরের সদর উপজেলার চরমুগরিয়ার কুমারটেক এলাকায় অবস্থিত মাদারীপুর টিটিসিতে বর্তমানে খণ্ডকালীন প্রশিক্ষক হিসেবে ৬ জন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ১ জনসহ মোট ১১ জন দিয়ে চলছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। এ ছাড়া চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে একজন পিয়ন, তিনজন নিরাপত্তাকর্মী, একজন মালি, একজন ঝাড়ুদার ও একজন সুইপার কর্মরত আছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর টিটিসিতে দুই, তিন, চার ও ছয় মাস মেয়াদি নানা ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, সুইং মেশিন অপারেশন, কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স, ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন, সিভিল কন্সট্রাকশন ও ড্রাইভিং উইথ অটো মেকানিকস, প্রাক্-বহির্গমন ওরিয়েন্টেশন কোর্স, জাপানি ভাষা কোর্স, হাউসকিপিং কোর্স ইত্যাদি। এ ছাড়া তিন দিন মেয়াদি প্রাক্-বহির্গমন ওরিয়েন্টেশন কোর্সও চালু আছে। এখানে কোর্স সম্পন্ন করে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন সরকারি অর্থায়নে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
টিটিসির জাপানি ভাষা প্রশিক্ষক সাদিকুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যেই এখান থেকে জাপানি ভাষা শিখে বেশ কয়েকজন সরকারি অর্থায়নে জাপানে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ভাষা শিখে বিদেশ গেলে সহজেই কাজ পাওয়ার পাশাপাশি আয়ও বেশি করা যায়।
সুইং মেশিন অপারেশনের (গার্মেন্টস) প্রশিক্ষণ নিতে আসা মাদারীপুরের সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকার লাভরিন আক্তার নীলিমা বলেন, ‘আমি এখানে গার্মেন্টসের ওপর প্রশিক্ষণ নিতে এসেছি। প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হতে চাই।’
সুইং মেশিন অপারেশনের (গার্মেন্টস) প্রশিক্ষক আখিনুর আক্তার বলেন, এখান থেকে অনেকেই ট্রেনিং নিয়ে বিদেশ গিয়ে আয় করছেন। অনেকেই আবার দেশে বসেও আয় করতে পারছেন।
টিটিসিতে প্রাক্-বহির্গমন ওরিয়েন্টেশন কোর্সে প্রশিক্ষণ নিতে আসা মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাসিন্দা শামীম বলেন, ‘টিটিসিতে এসেছি প্রশিক্ষণ নিতে। আমি প্রথমবারের মতো কাজের জন্য বিদেশ যাচ্ছি। তাই কয়েকজনের পরামর্শে এখানে এসেছি। আমি জেনেছি এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশে গেলে অনেক ভালো হয়।’
মাদারীপুরের চরমুগরিয়া এলাকার আ. হামিদ দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। আবার তিনি দ্বিতীয়বারের মতো যাচ্ছেন। এখানে এসেছেন প্রশিক্ষণ নিতে। তিনি বলেন, ‘এখান থেকে কাজ শিখে গেলেই মূল্যায়ন বেশি। তাই সবার উচিত প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং ভাষা ও কালচারের ওপর জ্ঞান থাকা। তবেই বিদেশে বেশি আয় করা সম্ভব।’
কালকিনি উপজেলার রাব্বি মুন্সি বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন কাতারে ছিলাম। এখন আমি সিঙ্গাপুরে যাব। তাই এখানে এসেছি ট্রেনিং নিতে। ট্রেনিং নিলে বিদেশে ভালো কিছু করা যায়।’
ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশনের ওপর প্রশিক্ষণ নিতে আসা মাদারীপুরের সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকার মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমি কোর্সটি করছি। সার্টিফিকেট অর্জন করে ইউরোপের কোনো দেশে যেতে চাই।’
ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন কোর্সের প্রশিক্ষক মো. নয়ন শেখ বলেন, এখানে ওয়েল্ডিংয়ের ওপর বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যাঁরা দেশেই কাজ করতে চান বা বাইরে যেতে চান, তাঁরা এই প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।
টিটিসি থেকে তিন মাসের কোর্সে ড্রাইভিং শিখছেন মাদারীপুরের ইমন আহম্মেদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখান থেকে তিন মাসের কোর্স করে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছি। এখন সৌদি আরব যাচ্ছি।’
ড্রাইভিং প্রশিক্ষক মো. রুবেল রানা বলেন, ‘আমাদের এখানে ড্রাইভিং কোর্স করে অনেকেই বিদেশে চলে গেছেন। আবার অনেকেই শিখছেন, ভবিষ্যতে তাঁরা বিদেশ যাবেন। আমাদের এই কোর্সের শেষ ব্যাচের একজন ছাত্র সরকারিভাবে রাশিয়া গেছেন। তাঁর নামমাত্র
কিছু টাকা লেগেছে। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই সৌদি আরব, দুবাই, কাতার এমনকি ইতালিও গেছেন।’
মাদারীপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স ম জাহাঙ্গীর আখতার বলেন, ‘শুধু মাদারীপুর নয়, সারা দেশের টিটিসিগুলোতে জনবল-সংকট আছে। এর মধ্য থেকেই কাজ চালিয়ে যেতে হয়। এ ব্যাপারে প্রতি মাসেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে জনবল-সংকট দূর করা সম্ভব হবে।’
দেশ-বিদেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয় মাদারীপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি)। কিন্তু উদ্বোধনের সাত বছর পেরিয়ে গেলেও এখানকার জনবলসংকট দূর হয়নি। ৪৩টি সৃষ্ট পদের মধ্যে আছেন মাত্র ৪ জন, ৩৯টি পদই খালি। এতে জনবল-সংকটে খুঁড়িয়ে চলছে টিটিসির প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদারীপুরের সদর উপজেলার চরমুগরিয়ার কুমারটেক এলাকায় অবস্থিত মাদারীপুর টিটিসিতে বর্তমানে খণ্ডকালীন প্রশিক্ষক হিসেবে ৬ জন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ১ জনসহ মোট ১১ জন দিয়ে চলছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। এ ছাড়া চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে একজন পিয়ন, তিনজন নিরাপত্তাকর্মী, একজন মালি, একজন ঝাড়ুদার ও একজন সুইপার কর্মরত আছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর টিটিসিতে দুই, তিন, চার ও ছয় মাস মেয়াদি নানা ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, সুইং মেশিন অপারেশন, কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স, ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন, সিভিল কন্সট্রাকশন ও ড্রাইভিং উইথ অটো মেকানিকস, প্রাক্-বহির্গমন ওরিয়েন্টেশন কোর্স, জাপানি ভাষা কোর্স, হাউসকিপিং কোর্স ইত্যাদি। এ ছাড়া তিন দিন মেয়াদি প্রাক্-বহির্গমন ওরিয়েন্টেশন কোর্সও চালু আছে। এখানে কোর্স সম্পন্ন করে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন সরকারি অর্থায়নে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
টিটিসির জাপানি ভাষা প্রশিক্ষক সাদিকুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যেই এখান থেকে জাপানি ভাষা শিখে বেশ কয়েকজন সরকারি অর্থায়নে জাপানে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ভাষা শিখে বিদেশ গেলে সহজেই কাজ পাওয়ার পাশাপাশি আয়ও বেশি করা যায়।
সুইং মেশিন অপারেশনের (গার্মেন্টস) প্রশিক্ষণ নিতে আসা মাদারীপুরের সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকার লাভরিন আক্তার নীলিমা বলেন, ‘আমি এখানে গার্মেন্টসের ওপর প্রশিক্ষণ নিতে এসেছি। প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হতে চাই।’
সুইং মেশিন অপারেশনের (গার্মেন্টস) প্রশিক্ষক আখিনুর আক্তার বলেন, এখান থেকে অনেকেই ট্রেনিং নিয়ে বিদেশ গিয়ে আয় করছেন। অনেকেই আবার দেশে বসেও আয় করতে পারছেন।
টিটিসিতে প্রাক্-বহির্গমন ওরিয়েন্টেশন কোর্সে প্রশিক্ষণ নিতে আসা মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাসিন্দা শামীম বলেন, ‘টিটিসিতে এসেছি প্রশিক্ষণ নিতে। আমি প্রথমবারের মতো কাজের জন্য বিদেশ যাচ্ছি। তাই কয়েকজনের পরামর্শে এখানে এসেছি। আমি জেনেছি এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশে গেলে অনেক ভালো হয়।’
মাদারীপুরের চরমুগরিয়া এলাকার আ. হামিদ দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। আবার তিনি দ্বিতীয়বারের মতো যাচ্ছেন। এখানে এসেছেন প্রশিক্ষণ নিতে। তিনি বলেন, ‘এখান থেকে কাজ শিখে গেলেই মূল্যায়ন বেশি। তাই সবার উচিত প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং ভাষা ও কালচারের ওপর জ্ঞান থাকা। তবেই বিদেশে বেশি আয় করা সম্ভব।’
কালকিনি উপজেলার রাব্বি মুন্সি বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন কাতারে ছিলাম। এখন আমি সিঙ্গাপুরে যাব। তাই এখানে এসেছি ট্রেনিং নিতে। ট্রেনিং নিলে বিদেশে ভালো কিছু করা যায়।’
ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশনের ওপর প্রশিক্ষণ নিতে আসা মাদারীপুরের সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকার মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমি কোর্সটি করছি। সার্টিফিকেট অর্জন করে ইউরোপের কোনো দেশে যেতে চাই।’
ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন কোর্সের প্রশিক্ষক মো. নয়ন শেখ বলেন, এখানে ওয়েল্ডিংয়ের ওপর বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যাঁরা দেশেই কাজ করতে চান বা বাইরে যেতে চান, তাঁরা এই প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।
টিটিসি থেকে তিন মাসের কোর্সে ড্রাইভিং শিখছেন মাদারীপুরের ইমন আহম্মেদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখান থেকে তিন মাসের কোর্স করে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছি। এখন সৌদি আরব যাচ্ছি।’
ড্রাইভিং প্রশিক্ষক মো. রুবেল রানা বলেন, ‘আমাদের এখানে ড্রাইভিং কোর্স করে অনেকেই বিদেশে চলে গেছেন। আবার অনেকেই শিখছেন, ভবিষ্যতে তাঁরা বিদেশ যাবেন। আমাদের এই কোর্সের শেষ ব্যাচের একজন ছাত্র সরকারিভাবে রাশিয়া গেছেন। তাঁর নামমাত্র
কিছু টাকা লেগেছে। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই সৌদি আরব, দুবাই, কাতার এমনকি ইতালিও গেছেন।’
মাদারীপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স ম জাহাঙ্গীর আখতার বলেন, ‘শুধু মাদারীপুর নয়, সারা দেশের টিটিসিগুলোতে জনবল-সংকট আছে। এর মধ্য থেকেই কাজ চালিয়ে যেতে হয়। এ ব্যাপারে প্রতি মাসেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে জনবল-সংকট দূর করা সম্ভব হবে।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে