ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
আমরা আমাদের চারদিকে যেসব সৃষ্টি দেখতে পাই ও ব্যবহার করি, তা-ই প্রকৃতি। আর প্রকৃতির মাঝে ভারসাম্যকে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বলা হয়। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় উদ্ভিদের গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষার উপকরণ, চিকিৎসাসহ সব কয়টিই আমরা উদ্ভিদ থেকে পেয়ে থাকি।
পশুপাখিদের আহার ও বাসস্থানের জন্য গাছগাছালির ভূমিকা অনস্বীকার্য। অনেক পথিক পথ চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নেয় এবং পরিতৃপ্ত হয়ে পুনরায় পথ চলতে শুরু করে। এ ছাড়া উদ্ভিদরাজি প্রাণিকুলের জীবন রক্ষাকারী উপাদান অক্সিজেন প্রতিনিয়ত সরবরাহ করে। সুতরাং উদ্ভিদের এ দান ছাড়া মানুষ ও পশুপাখির জন্য পৃথিবীতে জীবনযাপন করাই অসম্ভব।
বৃক্ষনিধন করলে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে এ কথা আমরা একেবারেই ভুলে গেছি। ফলে পরিবেশে নানা রকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটছে। সৃষ্টি হচ্ছে খরা, ভূমিক্ষয়, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ রকমারি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। উদ্ভিদের এ গুরুত্বের প্রতি লক্ষ্য করে মহানবী (সা.) ঘোষণা করেন, ‘যখনই কোনো মুসলমান গাছ লাগায় বা শস্য বপন করে এবং তা থেকে মানুষ, প্রাণী বা পশুপাখি আহার গ্রহণ করে, তখন এটা তার জন্য সদকা বা দান হিসেবে পরিগণিত হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
এমনকি মহানবী (সা.) যুদ্ধের প্রাক্কালে যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলতেন, ‘তোমরা নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের নিকটবর্তী হবে না এবং গাছপালা কর্তন করবে না।’ আর মদিনা শহরের গাছপালার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘মদিনা শরিফের গাছপালা কর্তন করা যাবে না। যে ব্যক্তি এখানে বিপর্যয় ঘটাবে, তার ওপর আল্লাহ তাআলা, ফেরেশতামণ্ডলী এবং মানব সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে অভিশাপ বর্ষিত হবে।’ (বুখারি)
প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় উদ্ভিদরাজি কর্তন নয়, বরং সুযোগ পেলেই স্থানভেদে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ রোপণ করতে হবে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আমরা আমাদের চারদিকে যেসব সৃষ্টি দেখতে পাই ও ব্যবহার করি, তা-ই প্রকৃতি। আর প্রকৃতির মাঝে ভারসাম্যকে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বলা হয়। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় উদ্ভিদের গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষার উপকরণ, চিকিৎসাসহ সব কয়টিই আমরা উদ্ভিদ থেকে পেয়ে থাকি।
পশুপাখিদের আহার ও বাসস্থানের জন্য গাছগাছালির ভূমিকা অনস্বীকার্য। অনেক পথিক পথ চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নেয় এবং পরিতৃপ্ত হয়ে পুনরায় পথ চলতে শুরু করে। এ ছাড়া উদ্ভিদরাজি প্রাণিকুলের জীবন রক্ষাকারী উপাদান অক্সিজেন প্রতিনিয়ত সরবরাহ করে। সুতরাং উদ্ভিদের এ দান ছাড়া মানুষ ও পশুপাখির জন্য পৃথিবীতে জীবনযাপন করাই অসম্ভব।
বৃক্ষনিধন করলে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে এ কথা আমরা একেবারেই ভুলে গেছি। ফলে পরিবেশে নানা রকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটছে। সৃষ্টি হচ্ছে খরা, ভূমিক্ষয়, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ রকমারি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। উদ্ভিদের এ গুরুত্বের প্রতি লক্ষ্য করে মহানবী (সা.) ঘোষণা করেন, ‘যখনই কোনো মুসলমান গাছ লাগায় বা শস্য বপন করে এবং তা থেকে মানুষ, প্রাণী বা পশুপাখি আহার গ্রহণ করে, তখন এটা তার জন্য সদকা বা দান হিসেবে পরিগণিত হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
এমনকি মহানবী (সা.) যুদ্ধের প্রাক্কালে যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলতেন, ‘তোমরা নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের নিকটবর্তী হবে না এবং গাছপালা কর্তন করবে না।’ আর মদিনা শহরের গাছপালার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘মদিনা শরিফের গাছপালা কর্তন করা যাবে না। যে ব্যক্তি এখানে বিপর্যয় ঘটাবে, তার ওপর আল্লাহ তাআলা, ফেরেশতামণ্ডলী এবং মানব সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে অভিশাপ বর্ষিত হবে।’ (বুখারি)
প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় উদ্ভিদরাজি কর্তন নয়, বরং সুযোগ পেলেই স্থানভেদে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ রোপণ করতে হবে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে