আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতার মধ্যে গত ১৮ জুলাই থেকে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডিগামী কনটেইনারবাহী ট্রেন চলাচল। এই ২৪ দিনে বন্দরের ইয়ার্ডে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কনটেইনার আটকা রয়েছে। অর্থাৎ ৮০০ ধারণক্ষমতার ইয়ার্ডে তিন গুণের বেশি কনটেইনার আটকা রয়েছে।
এদিকে কবে নাগাদ ট্রেন চালু হবে, সেই তথ্যও দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। দ্রুত কনটেইনার ট্রেন চালু না হলে ধারণ সক্ষমতা ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়বে বলেও শঙ্কা তাঁদের।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, বন্দরের আইসিডি ইয়ার্ডের ধারণক্ষমতা ৮০০ টিইইউএস কনটেইনার। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের আইসিডি ইয়ার্ডে প্রায় ২ হাজার ৫০০ টিইইউএস কনটেইনার জমা হয়েছে। তা ছাড়া বহির্নোঙরে আরও কনটেইনার জাহাজ বার্থিংয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। ঢাকা আইসিডিগামী আমদানি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে আইসিডি ইয়ার্ডে কনটেইনার সংরক্ষণ কঠিন হয়ে পড়বে। মূলত ওভারওয়েট ওয়াগন-স্বল্পতার কারণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইসিডিগামী কনটেইনার ঢাকা আইসিডিতে পাঠানো না গেলে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন। পাশাপাশি বাজারে কনটেইনারে আমদানি করা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ঝুঁকি ছাড়াও বন্দরের সার্বিক অপারেশনাল কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটায় কনটেইনার জট সৃষ্টির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এই সংকট নিরসনে বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতা চেয়ে ২ আগস্ট চিঠি দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্টকে দেওয়া ওই চিঠিতে বন্দরের আইসিডি ইয়ার্ডে সম্ভাব্য অচলাবস্থা কাটিয়ে কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে কনটেইনার ট্রেনের জন্য ইঞ্জিন বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি ২০ ফুটের ওভারওয়েট কনটেইনার পরিবহনে সক্ষম ওয়াগন সরবরাহসহ দৈনিক ন্যূনতম ২০০ টিইইউএস ওয়াগন সরবরাহ করতে বিশেষ অনুরোধ করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষে টার্মিনাল ম্যানেজার (কন্ট্রোল) অতীব জরুরি এই চিঠি দেন রেলওয়েকে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বাভাবিক সময়ে (পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের সময়) রেলওয়ে প্রতিদিন দুই জোড়া ট্রেন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকা আইসিডিতে কনটেইনার পরিবহন করত। দুটি ট্রেনে করে প্রতিদিন বন্দর থেকে পণ্যবাহী কনটেইনার ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ঢাকা থেকে দুটি ট্রেনে করে খালি কনটেইনার ও রপ্তানিমুখী কনটেইনার পরিবহন করত। বন্দর থেকে দুটি ট্রেনে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১২০টি কনটেইনার নিয়ে যাওয়া হয়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্দরের জট কমাতে হলে প্রতিদিন ২০০টির বেশি কনটেইনার পরিবহন জরুরি হলেও বন্দরের অনুরোধ রাখতে পারবে না বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘বন্দর থেকে কনটেইনার ট্রেন চালু করতে আমরা রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। আমাদের অপারেশনাল কাজে বিঘ্ন হচ্ছে। বন্দর থেকে কনটেইনার খালাস নিতে আমরা রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত মিটিং করেছি।’ কবে নাগাদ ট্রেন চালু হবে, এমন প্রশ্নে তিনি সঠিক দিনক্ষণ বলতে পারেননি।
বিষয়টি জানতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট শহিদুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
তবে রেলওয়ে সূত্র জানায়, ট্রেন চালানো শুরু হলে এটি দ্রুত স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা রয়েছে। আপাতত রেলের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ওপরের নির্দেশনা ছাড়া ট্রেন চালানো এবং কনটেইনার ট্রেন বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করছে, দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে এমনিতে দেশের অর্থনীতি সংকটের মধ্যে পড়েছে। এর মধ্যে বন্দরে আমদানি হওয়া কনটেইনার আইসিডিতে নিয়ে যেতে দেরি হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের সংকট আরও তীব্র হবে। এই অবস্থায় রেলপথে বাড়তি নিরাপত্তা দিয়ে হলেও অন্তত কনটেইনারবাহী ট্রেন চলাচল বাড়ানো জরুরি।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতার মধ্যে গত ১৮ জুলাই থেকে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডিগামী কনটেইনারবাহী ট্রেন চলাচল। এই ২৪ দিনে বন্দরের ইয়ার্ডে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কনটেইনার আটকা রয়েছে। অর্থাৎ ৮০০ ধারণক্ষমতার ইয়ার্ডে তিন গুণের বেশি কনটেইনার আটকা রয়েছে।
এদিকে কবে নাগাদ ট্রেন চালু হবে, সেই তথ্যও দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। দ্রুত কনটেইনার ট্রেন চালু না হলে ধারণ সক্ষমতা ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়বে বলেও শঙ্কা তাঁদের।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, বন্দরের আইসিডি ইয়ার্ডের ধারণক্ষমতা ৮০০ টিইইউএস কনটেইনার। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের আইসিডি ইয়ার্ডে প্রায় ২ হাজার ৫০০ টিইইউএস কনটেইনার জমা হয়েছে। তা ছাড়া বহির্নোঙরে আরও কনটেইনার জাহাজ বার্থিংয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। ঢাকা আইসিডিগামী আমদানি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে আইসিডি ইয়ার্ডে কনটেইনার সংরক্ষণ কঠিন হয়ে পড়বে। মূলত ওভারওয়েট ওয়াগন-স্বল্পতার কারণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইসিডিগামী কনটেইনার ঢাকা আইসিডিতে পাঠানো না গেলে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন। পাশাপাশি বাজারে কনটেইনারে আমদানি করা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ঝুঁকি ছাড়াও বন্দরের সার্বিক অপারেশনাল কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটায় কনটেইনার জট সৃষ্টির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এই সংকট নিরসনে বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতা চেয়ে ২ আগস্ট চিঠি দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্টকে দেওয়া ওই চিঠিতে বন্দরের আইসিডি ইয়ার্ডে সম্ভাব্য অচলাবস্থা কাটিয়ে কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে কনটেইনার ট্রেনের জন্য ইঞ্জিন বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি ২০ ফুটের ওভারওয়েট কনটেইনার পরিবহনে সক্ষম ওয়াগন সরবরাহসহ দৈনিক ন্যূনতম ২০০ টিইইউএস ওয়াগন সরবরাহ করতে বিশেষ অনুরোধ করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষে টার্মিনাল ম্যানেজার (কন্ট্রোল) অতীব জরুরি এই চিঠি দেন রেলওয়েকে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বাভাবিক সময়ে (পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের সময়) রেলওয়ে প্রতিদিন দুই জোড়া ট্রেন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকা আইসিডিতে কনটেইনার পরিবহন করত। দুটি ট্রেনে করে প্রতিদিন বন্দর থেকে পণ্যবাহী কনটেইনার ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ঢাকা থেকে দুটি ট্রেনে করে খালি কনটেইনার ও রপ্তানিমুখী কনটেইনার পরিবহন করত। বন্দর থেকে দুটি ট্রেনে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১২০টি কনটেইনার নিয়ে যাওয়া হয়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্দরের জট কমাতে হলে প্রতিদিন ২০০টির বেশি কনটেইনার পরিবহন জরুরি হলেও বন্দরের অনুরোধ রাখতে পারবে না বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘বন্দর থেকে কনটেইনার ট্রেন চালু করতে আমরা রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। আমাদের অপারেশনাল কাজে বিঘ্ন হচ্ছে। বন্দর থেকে কনটেইনার খালাস নিতে আমরা রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত মিটিং করেছি।’ কবে নাগাদ ট্রেন চালু হবে, এমন প্রশ্নে তিনি সঠিক দিনক্ষণ বলতে পারেননি।
বিষয়টি জানতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট শহিদুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
তবে রেলওয়ে সূত্র জানায়, ট্রেন চালানো শুরু হলে এটি দ্রুত স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা রয়েছে। আপাতত রেলের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ওপরের নির্দেশনা ছাড়া ট্রেন চালানো এবং কনটেইনার ট্রেন বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করছে, দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে এমনিতে দেশের অর্থনীতি সংকটের মধ্যে পড়েছে। এর মধ্যে বন্দরে আমদানি হওয়া কনটেইনার আইসিডিতে নিয়ে যেতে দেরি হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের সংকট আরও তীব্র হবে। এই অবস্থায় রেলপথে বাড়তি নিরাপত্তা দিয়ে হলেও অন্তত কনটেইনারবাহী ট্রেন চলাচল বাড়ানো জরুরি।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১০ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে