সাজিদ মোহন
শুধু আমাদের দেশের সাহিত্যে কিংবা কাব্যে নয়, গোটা বিশ্বসাহিত্যে প্রাচীনকাল থেকেই নারীর সৌন্দর্যের সঙ্গে তাঁর চুলের বর্ণনা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। সংস্কৃত সাহিত্যের নায়িকারা বারবার সম্ভাষিত হয়েছেন কখনো সুকেশী, কখনো চারুকেশী, কখনোবা মুক্তকেশী নামে। আর তাঁদের চুলের প্রশংসায় উঠে এসেছে একের পর এক অভিনব শব্দ—কুন্তলকলাপ, চিকুরকদম্ব, কেশাবলী, কেশবৃন্দ, চিকুরভার।
সপ্তদশ শতকের বিখ্যাত কবি আলাওলের ‘পদ্মাবতী’ কাব্যে পদ্মাবতীর চুলের বর্ণনা পাওয়া যায়:
‘আপাদলম্বিত কেশ কস্তুরী সৌরভ
মহা অন্ধকারময় দৃষ্টি পরাভব।’
অর্থাৎ পদ্মাবতীর কেশরাজি পা পর্যন্ত লম্বা, আর তাতে ভরপুর সর্বদা মৃগনাভির সৌরভ। সেই কেশরাশি এত কালো যে চোখের দৃষ্টি সেখানে পরাজিত হয়; তা রাত্রির মতো। চুল সম্বন্ধে এ রকম এক অসাধারণ পঙ্ক্তির সাক্ষাৎ মেলে জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’ কবিতায়। বনলতা সেনের চুলের কথা বলেতে গিয়ে কবি বলেন,‘চুলতার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা...’।
বিশ্ববিখ্যাত চিলির কবি পাবলো নেরুদার একটি বিখ্যাত কবিতা আছে চুল নিয়ে, ‘তোমার চুলের বর্ণনায় কাটাতে পারি...’। আনন্দময়ী মজুমদার কবিতাটির ভাবানুবাদ করেছেন:
‘তোমার চুলের বর্ণনায় কাটাতে পারি তামাম জীবন
আঁকতে পারি এক একটির নিবিড় সুন্দরতা
অন্য প্রেমিক অন্য চোখে দেখে নেয় ভালোবাসার মুখ,
তোমার চুলের বিন্যাসে আমি পাই আমার মুগ্ধতা।
ইতালিতে তোমার নাম ওরা রেখেছে মেডুসা,
রাগিণীর মতো আউলানো চূর্ণকুন্তল
আমি বলি তরঙ্গময়ী; আমার হৃদয়
খুলতে জানে সে চুলের তাবৎ আগল।
যদি নিজের দুর্ভেদ্য চুলের কোনো জটিল ধাঁধায়
তুমি হারাও বেভুল, তবু ভুলো না এ প্রেম
কত জাদুময়, কত অপরূপ তোমার চুলের বিস্ময়
আনপথে, নির্জন অন্ধকারে,
মুহূর্তের কান্না ভেঙে সূর্য-রোশনাই
তোমার চুলের মিনারকে যেন সমুজ্জ্বল করে।’
বিশ্ববিখ্যাত ফরাসি কবি শার্ল বোদলেয়ারের একটি কবিতা ‘চুল’ অনুবাদ করেছেন বুদ্ধদেব বসু:
‘অনেক, অনেকক্ষণ ধ’রে তোমার চুলের গন্ধ
টেনে নিতে দাও আমার নিশ্বাসের সঙ্গে;
আমার সমস্ত মুখ ডুবিয়ে রাখতে দাও তার গভীরতায়
ঝর্ণার জ্বলে তৃষ্ণার্তের মতো;
সুগন্ধি রোমালের মতো তা নাড়তে দাও হাত দিয়ে
যাতে স্মৃতিগুলো ঝ’রে পড়ে হাওয়ায়।...’
যুগে যুগে যে চুলের বন্দনায় পঞ্চমুখ কবি-সাহিত্যিক, সাহিত্যপ্রেমীরা, সে চুলই কাল হলো ইরানের মাহসা আমিনির জন্য। ১৩ সেপ্টেম্বর তেহরানের মোরাল পুলিশ(নৈতিকতা পুলিশ) মাথার স্কার্ফ বা হিজাবের নিচে কিছু চুল দৃশ্যমান থাকার অপরাধে আমিনিকে আটক ও মারধর করে। তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি মারা যান।
ইরানে শরিয়াহর ব্যাখ্যার ভিত্তিতে তৈরি করা আইনের অধীনে একজন নারীকে তাঁর চুল ঢেকে (হিজাব বা মাথার স্কার্ফ দিয়ে) রাখতে হয়। আর তারই বাস্তবায়নের দায়িত্ব বর্তায় নৈতিকতা পুলিশের ওপর। নারীদের থামিয়ে তাঁরা চুল বেশি রেখেছেন কি না, কিংবা মেকআপ রয়েছে কি না, সেই সব পরীক্ষা করারও অধিকার তাদের রয়েছে। ইরানে এই বাহিনীকে বলা হয় গাশত-ই এরশাদ।
ইরানে ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পরপরই নারীদের পোশাকের বিধিনিষেধ দেওয়া শুরু হয়। বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লা খোমেনি ১৯৭৯ সালের ৭ মার্চ ডিক্রি বা নির্দেশনামা জারি করেন যে সব নারীকে তাঁদের কর্মক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক হিজাব পরতে হবে এবং নারীরা মাথা না ঢাকলে তাঁর বিচারে সেই সব নারী ‘নগ্ন’। পার্লামেন্ট ১৯৮৩ সালে সিদ্ধান্ত নেয়, যেসব নারী প্রকাশ্যে মাথা ঢাকবেন না, তাঁদের শাস্তি হিসেবে ৭৪ বার বেত্রাঘাত করা হবে। সম্প্রতি এই সাজার সঙ্গে আরও যোগ হয়েছে ৬০ দিন কারাবাস।
১৯৭৯ সালে খোমেনির ভাষণের পরদিনই ৮ মার্চ বিক্ষোভ জানাতে তেহরানের রাস্তায় জড়ো হয়েছিলেন এক লাখের ওপর মানুষ, যাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন নারী। দেশটিতে বাধ্যতামূলক চুল ঢাকার নিয়ম চালু করার পর থেকেই বিভিন্ন সময় ইরানি নারীরা হিজাববিরোধী আন্দোলন করেছেন। নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের শিকার আমিনির মৃত্যুর পর আবারও ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে পুরো ইরান। দেশটির কঠোর পোশাকবিধি ও নৈতিকতা পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক নারী প্রতিবাদের অংশ হিসেবে হিজাব পুড়িয়েছেন, চুল কেটে ফেলেছেন অনেকে। চুল কেটে ফেলার ঘটনা মনে করিয়ে দেয় জার্মান রূপকথার ডাইনি কর্তৃক রুপানজেলের লম্বা চুল কেটে দেওয়ার গল্প। মনে করিয়ে দেয় আলেকজান্ডার পোপের ‘দি রেপ অব দি লক’ কাব্যে ব্যারন কর্তৃক বেলিন্দার বেণি কর্তনের কাহিনি।
চলমান আন্দোলনের আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালে কয়েক ডজন নারী জনসমক্ষে হিজাব খুলে প্রতিবাদ জানান। এবারের আন্দোলনে অনলাইন ও সরাসরি—দুই ধরনের অংশগ্রহণের কারণে নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। এ লেখা যখন লিখছি, তখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ৩১ জন। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। নারীরা হিজাবে ঢাকা বন্দী চুল খুলে ওড়াচ্ছেন মুক্ত বাতাসে। ভয়ে কাঁপছে রক্ষণশীলতার ভিত। যেন চুল নিয়ে লেখা বুদ্ধদেব বসুর কবিতা ‘তুমি যখন চুল খুলে দাও’-এর বিখ্যাত পঙ্ক্তি, ‘তুমি যখন চুল খুলে দাও ভয়ে কাঁপি আমি...’।
লেখক: শিশুসাহিত্যিক
শুধু আমাদের দেশের সাহিত্যে কিংবা কাব্যে নয়, গোটা বিশ্বসাহিত্যে প্রাচীনকাল থেকেই নারীর সৌন্দর্যের সঙ্গে তাঁর চুলের বর্ণনা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। সংস্কৃত সাহিত্যের নায়িকারা বারবার সম্ভাষিত হয়েছেন কখনো সুকেশী, কখনো চারুকেশী, কখনোবা মুক্তকেশী নামে। আর তাঁদের চুলের প্রশংসায় উঠে এসেছে একের পর এক অভিনব শব্দ—কুন্তলকলাপ, চিকুরকদম্ব, কেশাবলী, কেশবৃন্দ, চিকুরভার।
সপ্তদশ শতকের বিখ্যাত কবি আলাওলের ‘পদ্মাবতী’ কাব্যে পদ্মাবতীর চুলের বর্ণনা পাওয়া যায়:
‘আপাদলম্বিত কেশ কস্তুরী সৌরভ
মহা অন্ধকারময় দৃষ্টি পরাভব।’
অর্থাৎ পদ্মাবতীর কেশরাজি পা পর্যন্ত লম্বা, আর তাতে ভরপুর সর্বদা মৃগনাভির সৌরভ। সেই কেশরাশি এত কালো যে চোখের দৃষ্টি সেখানে পরাজিত হয়; তা রাত্রির মতো। চুল সম্বন্ধে এ রকম এক অসাধারণ পঙ্ক্তির সাক্ষাৎ মেলে জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’ কবিতায়। বনলতা সেনের চুলের কথা বলেতে গিয়ে কবি বলেন,‘চুলতার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা...’।
বিশ্ববিখ্যাত চিলির কবি পাবলো নেরুদার একটি বিখ্যাত কবিতা আছে চুল নিয়ে, ‘তোমার চুলের বর্ণনায় কাটাতে পারি...’। আনন্দময়ী মজুমদার কবিতাটির ভাবানুবাদ করেছেন:
‘তোমার চুলের বর্ণনায় কাটাতে পারি তামাম জীবন
আঁকতে পারি এক একটির নিবিড় সুন্দরতা
অন্য প্রেমিক অন্য চোখে দেখে নেয় ভালোবাসার মুখ,
তোমার চুলের বিন্যাসে আমি পাই আমার মুগ্ধতা।
ইতালিতে তোমার নাম ওরা রেখেছে মেডুসা,
রাগিণীর মতো আউলানো চূর্ণকুন্তল
আমি বলি তরঙ্গময়ী; আমার হৃদয়
খুলতে জানে সে চুলের তাবৎ আগল।
যদি নিজের দুর্ভেদ্য চুলের কোনো জটিল ধাঁধায়
তুমি হারাও বেভুল, তবু ভুলো না এ প্রেম
কত জাদুময়, কত অপরূপ তোমার চুলের বিস্ময়
আনপথে, নির্জন অন্ধকারে,
মুহূর্তের কান্না ভেঙে সূর্য-রোশনাই
তোমার চুলের মিনারকে যেন সমুজ্জ্বল করে।’
বিশ্ববিখ্যাত ফরাসি কবি শার্ল বোদলেয়ারের একটি কবিতা ‘চুল’ অনুবাদ করেছেন বুদ্ধদেব বসু:
‘অনেক, অনেকক্ষণ ধ’রে তোমার চুলের গন্ধ
টেনে নিতে দাও আমার নিশ্বাসের সঙ্গে;
আমার সমস্ত মুখ ডুবিয়ে রাখতে দাও তার গভীরতায়
ঝর্ণার জ্বলে তৃষ্ণার্তের মতো;
সুগন্ধি রোমালের মতো তা নাড়তে দাও হাত দিয়ে
যাতে স্মৃতিগুলো ঝ’রে পড়ে হাওয়ায়।...’
যুগে যুগে যে চুলের বন্দনায় পঞ্চমুখ কবি-সাহিত্যিক, সাহিত্যপ্রেমীরা, সে চুলই কাল হলো ইরানের মাহসা আমিনির জন্য। ১৩ সেপ্টেম্বর তেহরানের মোরাল পুলিশ(নৈতিকতা পুলিশ) মাথার স্কার্ফ বা হিজাবের নিচে কিছু চুল দৃশ্যমান থাকার অপরাধে আমিনিকে আটক ও মারধর করে। তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি মারা যান।
ইরানে শরিয়াহর ব্যাখ্যার ভিত্তিতে তৈরি করা আইনের অধীনে একজন নারীকে তাঁর চুল ঢেকে (হিজাব বা মাথার স্কার্ফ দিয়ে) রাখতে হয়। আর তারই বাস্তবায়নের দায়িত্ব বর্তায় নৈতিকতা পুলিশের ওপর। নারীদের থামিয়ে তাঁরা চুল বেশি রেখেছেন কি না, কিংবা মেকআপ রয়েছে কি না, সেই সব পরীক্ষা করারও অধিকার তাদের রয়েছে। ইরানে এই বাহিনীকে বলা হয় গাশত-ই এরশাদ।
ইরানে ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পরপরই নারীদের পোশাকের বিধিনিষেধ দেওয়া শুরু হয়। বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লা খোমেনি ১৯৭৯ সালের ৭ মার্চ ডিক্রি বা নির্দেশনামা জারি করেন যে সব নারীকে তাঁদের কর্মক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক হিজাব পরতে হবে এবং নারীরা মাথা না ঢাকলে তাঁর বিচারে সেই সব নারী ‘নগ্ন’। পার্লামেন্ট ১৯৮৩ সালে সিদ্ধান্ত নেয়, যেসব নারী প্রকাশ্যে মাথা ঢাকবেন না, তাঁদের শাস্তি হিসেবে ৭৪ বার বেত্রাঘাত করা হবে। সম্প্রতি এই সাজার সঙ্গে আরও যোগ হয়েছে ৬০ দিন কারাবাস।
১৯৭৯ সালে খোমেনির ভাষণের পরদিনই ৮ মার্চ বিক্ষোভ জানাতে তেহরানের রাস্তায় জড়ো হয়েছিলেন এক লাখের ওপর মানুষ, যাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন নারী। দেশটিতে বাধ্যতামূলক চুল ঢাকার নিয়ম চালু করার পর থেকেই বিভিন্ন সময় ইরানি নারীরা হিজাববিরোধী আন্দোলন করেছেন। নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের শিকার আমিনির মৃত্যুর পর আবারও ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে পুরো ইরান। দেশটির কঠোর পোশাকবিধি ও নৈতিকতা পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক নারী প্রতিবাদের অংশ হিসেবে হিজাব পুড়িয়েছেন, চুল কেটে ফেলেছেন অনেকে। চুল কেটে ফেলার ঘটনা মনে করিয়ে দেয় জার্মান রূপকথার ডাইনি কর্তৃক রুপানজেলের লম্বা চুল কেটে দেওয়ার গল্প। মনে করিয়ে দেয় আলেকজান্ডার পোপের ‘দি রেপ অব দি লক’ কাব্যে ব্যারন কর্তৃক বেলিন্দার বেণি কর্তনের কাহিনি।
চলমান আন্দোলনের আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালে কয়েক ডজন নারী জনসমক্ষে হিজাব খুলে প্রতিবাদ জানান। এবারের আন্দোলনে অনলাইন ও সরাসরি—দুই ধরনের অংশগ্রহণের কারণে নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। এ লেখা যখন লিখছি, তখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ৩১ জন। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। নারীরা হিজাবে ঢাকা বন্দী চুল খুলে ওড়াচ্ছেন মুক্ত বাতাসে। ভয়ে কাঁপছে রক্ষণশীলতার ভিত। যেন চুল নিয়ে লেখা বুদ্ধদেব বসুর কবিতা ‘তুমি যখন চুল খুলে দাও’-এর বিখ্যাত পঙ্ক্তি, ‘তুমি যখন চুল খুলে দাও ভয়ে কাঁপি আমি...’।
লেখক: শিশুসাহিত্যিক
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে