সম্পাদকীয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন একটি ছোট পদক্ষেপ নিলেই হয়তো একুশের রক্তপাত এড়ানো যেত। যেদিন গুলি হলো, সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো দালানে (যেটা এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ভবনের দক্ষিণ দিক) ছাত্র-শিক্ষকেরা পরিস্থিতি দেখছিলেন। সেই ভিড়ের মধ্যে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা হলো শিক্ষক আবদুর রাজ্জাকের। ছাত্ররা তখন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
আবদুর রাজ্জাক উপাচার্যকে বললেন, ‘সহজেই ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেন।’ উপাচার্য জানতে চাইলেন কীভাবে।
আবদুর রাজ্জাক বললেন, ‘ছেলেরা এইগুলো করছে কেন বলেন তো? করছে, কারণ, আপনার ওপর ওদের আস্থা নেই। আপনি তাদের সঙ্গে আছেন, এই বিশ্বাস তাদের নেই।’
উপাচার্য প্রশ্ন করলেন, ‘আমাকে কী করতে হবে?’
আবদুর রাজ্জাক বললেন, ‘আপনি ছেলেদের বলুন, “মিছিল করে বাইরে যাওয়াটা খুব ভালো সিদ্ধান্ত নয়। কিন্তু তারপরও যদি মিছিল নিয়ে বের হতে হয়, তাহলে সেই মিছিলে আমি নেতৃত্ব দেব।” আপনি ভিসি হয়ে যদি বাইরে যান, তবে পুলিশ নিশ্চয়ই গুলি করবে না, করতে পারে না। তাতে ছাত্রদের উত্তেজনাও কমবে।’
আবদুর রাজ্জাক যখন কথাগুলো বলছেন উপাচার্যকে, তখন অন্য এক শিক্ষক এসে উপাচার্যকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘রাজ্জাক কী বলছে?’
উপাচার্য বর্ণনা দিলেন রাজ্জাক সাহেবের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের।
আবদুর রাজ্জাক তাঁকেও বললেন, ‘হ্যাঁ, আমি এটাই মনে করি।’
রাজ্জাকের বক্তব্যকে পাত্তাই দিলেন না সেই জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক। তিনি উপাচার্যকে নিয়ে অন্যদিকে যেতে যেতে বললেন, ‘না, এসব কী কথা!’
উপাচার্য তাঁর সঙ্গে অন্যদিকে চলে গেলেন।
এই ঘটনা যখনই জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাকের মনে হতো, তখনই তিনি নিশ্চিত হয়ে ভাবতেন, উপাচার্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন যদি সেদিন ছাত্রদের ওই কথাগুলো বলতেন, তাহলে শিক্ষার্থীরা তাঁর কথা শুনত। উপাচার্য যদি ছাত্রদের সামনে থাকতেন, তাহলে পুলিশ নিশ্চয়ই ঘটনার তাৎপর্য বুঝত এবং যা ঘটেছে, তা ঘটাতে পারত না। পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির গায়ে হাত তুলতে পারত না।
সূত্র: সরদার ফজলুল করিম স্মৃতিসমগ্র, ২য় খণ্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ, পৃষ্ঠা ২২৬-২২৭
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন একটি ছোট পদক্ষেপ নিলেই হয়তো একুশের রক্তপাত এড়ানো যেত। যেদিন গুলি হলো, সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো দালানে (যেটা এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ভবনের দক্ষিণ দিক) ছাত্র-শিক্ষকেরা পরিস্থিতি দেখছিলেন। সেই ভিড়ের মধ্যে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা হলো শিক্ষক আবদুর রাজ্জাকের। ছাত্ররা তখন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
আবদুর রাজ্জাক উপাচার্যকে বললেন, ‘সহজেই ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেন।’ উপাচার্য জানতে চাইলেন কীভাবে।
আবদুর রাজ্জাক বললেন, ‘ছেলেরা এইগুলো করছে কেন বলেন তো? করছে, কারণ, আপনার ওপর ওদের আস্থা নেই। আপনি তাদের সঙ্গে আছেন, এই বিশ্বাস তাদের নেই।’
উপাচার্য প্রশ্ন করলেন, ‘আমাকে কী করতে হবে?’
আবদুর রাজ্জাক বললেন, ‘আপনি ছেলেদের বলুন, “মিছিল করে বাইরে যাওয়াটা খুব ভালো সিদ্ধান্ত নয়। কিন্তু তারপরও যদি মিছিল নিয়ে বের হতে হয়, তাহলে সেই মিছিলে আমি নেতৃত্ব দেব।” আপনি ভিসি হয়ে যদি বাইরে যান, তবে পুলিশ নিশ্চয়ই গুলি করবে না, করতে পারে না। তাতে ছাত্রদের উত্তেজনাও কমবে।’
আবদুর রাজ্জাক যখন কথাগুলো বলছেন উপাচার্যকে, তখন অন্য এক শিক্ষক এসে উপাচার্যকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘রাজ্জাক কী বলছে?’
উপাচার্য বর্ণনা দিলেন রাজ্জাক সাহেবের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের।
আবদুর রাজ্জাক তাঁকেও বললেন, ‘হ্যাঁ, আমি এটাই মনে করি।’
রাজ্জাকের বক্তব্যকে পাত্তাই দিলেন না সেই জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক। তিনি উপাচার্যকে নিয়ে অন্যদিকে যেতে যেতে বললেন, ‘না, এসব কী কথা!’
উপাচার্য তাঁর সঙ্গে অন্যদিকে চলে গেলেন।
এই ঘটনা যখনই জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাকের মনে হতো, তখনই তিনি নিশ্চিত হয়ে ভাবতেন, উপাচার্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন যদি সেদিন ছাত্রদের ওই কথাগুলো বলতেন, তাহলে শিক্ষার্থীরা তাঁর কথা শুনত। উপাচার্য যদি ছাত্রদের সামনে থাকতেন, তাহলে পুলিশ নিশ্চয়ই ঘটনার তাৎপর্য বুঝত এবং যা ঘটেছে, তা ঘটাতে পারত না। পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির গায়ে হাত তুলতে পারত না।
সূত্র: সরদার ফজলুল করিম স্মৃতিসমগ্র, ২য় খণ্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ, পৃষ্ঠা ২২৬-২২৭
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে