হাসনাত শোয়েব, ঢাকা
ফুটবলে যত ধরনের অ্যাসিস্ট আছে, তার মধ্যে থ্রু পাস বা ‘রক্ষণচেরা পাস’ সম্ভবত অন্যতম নান্দনিক অ্যাসিস্ট। তবে ফুটবলের সৃষ্টিশীল এই পাস সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে। ২০১৮-১৯ থেকে ২০২১-২২ মৌসুমের মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগে এই পাসের হার ৫০ শতাংশ কমে গেছে। এ তথ্য রক্ষণচেরা পাস যে একরকম মৃত শিল্পে পরিণত হচ্ছে, সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
ক্রীড়াবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘দ্য অ্যাথলেটিক’ জানাচ্ছে, শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগেই নয়, ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের অবস্থাও তথৈবচ। একই সময়ের মধ্যে শীর্ষ পাঁচ লিগে এই পাসের হার কমেছে ৩০ শতাংশ, যা ইউরোপা লিগে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ শতাংশে। সব মিলিয়ে রক্ষণচেরা পাস এখনো বিলুপ্ত না হলেও বিপন্ন বলাই যায়।
রক্ষণচেরা পাস হচ্ছে, রক্ষণের আশপাশে থাকা ডিফেন্ডারদের মাঝের খালি জায়গা দিয়ে বল পাঠিয়ে একটি পাসকে সম্পন্ন করা। এই পাস সম্পন্ন করা বেশ জটিল। তাই এমন পাসের সংখ্যা কখনোই বেশি হয় না; যে কারণে ইউরোপের শীর্ষ ফুটবলে এই পাসের সংখ্যা ম্যাচপ্রতি গোলের চেয়েও কম। ২০২০-২১ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে যত ওপেন প্লে গোল (ফ্রি কিক, কর্নার, পেনাল্টি এই ধরনের গোল ছাড়া মাঠের খেলায় হওয়া গোল) হয়েছে, তার কেবল ৮ দশমিক ৩ শতাংশ এসেছে রক্ষণচেরা পাস ব্যবহার করে।
এই সময়ের মধ্যে ১০ রকমের ওপেন প্লে অ্যাসিস্টের মধ্যে রক্ষণচেরা পাসের অবস্থান পাঁচে, যেখানে ফাইনালে করা কাই হাভার্টজের গোলটিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে গোটা ইউরোপে এই থ্রু পাসের নিম্নগামিতা দেখা গেছে। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পতন দেখা গেছে ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ চ্যাম্পিয়নস লিগে। অবশ্য এই পাস জটিল বলেই এটি অন্যান্য অ্যাসিস্টের তুলনায় গোলের দারুণ সম্ভাবনাও তৈরি করে। আমেরিকান সকার অ্যানালাইসিসের একটি প্রতিবেদন বলছে, থ্রু বলের রূপান্তর হার হচ্ছে ৩২ শতাংশ; যা যেকোনো ধরনের অ্যাসিস্টের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে কাটব্যাক; যার হার ২৫ শতাংশ।
প্রশ্ন হচ্ছে, রক্ষণচেরা পাস কেন এখন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এর অন্যতম একটি প্রধান কারণ হচ্ছে, সুইপার-কিপারদের উত্থান। থ্রু বলকে গন্তব্যে পৌঁছানোর পথ আটকে দিতে গোলকিপাররা বক্সের বাইরে এসে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন; যা প্রতিপক্ষ দলকেও এই ধরনের পাসের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করছে।
এই পাস কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিএআরের প্রভাবও দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। একটি থ্রু বল ছাড়া এবং সেটি ধরার জন্য প্রয়োজন হয় নিখুঁত টাইমিংয়ের, সময়ের গরমিল হলে পড়তে হতে পারে অফসাইডের ফাঁদে; যে কারণে খেলোয়াড়েরা এখন থ্রু পাসে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। আরেকটি বড় কারণ হতে পারে দলগুলোর রক্ষণে জোর দেওয়া এবং রক্ষণে উন্নতি। বলের পজিশন না থাকলে দলগুলো এখন অনেক সতর্ক থাকে, পাশাপাশি রক্ষণেও নিত্যনতুন কৌশল নিয়ে আসছে, যা রক্ষণচেরা পাস দেওয়াকে আরও কঠিন করে তুলেছে। এ ছাড়া ডিফেন্স ভেঙে গোল করার জায়গায় দলগুলো এখন উইং ব্যবহার করে আক্রমণে যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রিমিয়ার লিগে এ ধরনের আক্রমণ অনেক বেশি দেখা যায়, যা থ্রু পাসের পরিমাণকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছে।
তবে সৃষ্টিশীল ও জাদুকর খেলোয়াড়েরা এর মাঝেই রক্ষণচেরা পাসকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। উদাহরণ হিসেবে সময়ের অন্যতম সেরা লিওনেল মেসির নাম বলা যায়। গত মৌসুমে খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে বেশি ২৪টি রক্ষণচেরা পাস দিয়েছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। তাঁর ক্লাব পিএসজি দিয়েছে সর্বোচ্চ ৮৪টি পাস।
ফুটবলে যত ধরনের অ্যাসিস্ট আছে, তার মধ্যে থ্রু পাস বা ‘রক্ষণচেরা পাস’ সম্ভবত অন্যতম নান্দনিক অ্যাসিস্ট। তবে ফুটবলের সৃষ্টিশীল এই পাস সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে। ২০১৮-১৯ থেকে ২০২১-২২ মৌসুমের মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগে এই পাসের হার ৫০ শতাংশ কমে গেছে। এ তথ্য রক্ষণচেরা পাস যে একরকম মৃত শিল্পে পরিণত হচ্ছে, সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
ক্রীড়াবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘দ্য অ্যাথলেটিক’ জানাচ্ছে, শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগেই নয়, ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের অবস্থাও তথৈবচ। একই সময়ের মধ্যে শীর্ষ পাঁচ লিগে এই পাসের হার কমেছে ৩০ শতাংশ, যা ইউরোপা লিগে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ শতাংশে। সব মিলিয়ে রক্ষণচেরা পাস এখনো বিলুপ্ত না হলেও বিপন্ন বলাই যায়।
রক্ষণচেরা পাস হচ্ছে, রক্ষণের আশপাশে থাকা ডিফেন্ডারদের মাঝের খালি জায়গা দিয়ে বল পাঠিয়ে একটি পাসকে সম্পন্ন করা। এই পাস সম্পন্ন করা বেশ জটিল। তাই এমন পাসের সংখ্যা কখনোই বেশি হয় না; যে কারণে ইউরোপের শীর্ষ ফুটবলে এই পাসের সংখ্যা ম্যাচপ্রতি গোলের চেয়েও কম। ২০২০-২১ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে যত ওপেন প্লে গোল (ফ্রি কিক, কর্নার, পেনাল্টি এই ধরনের গোল ছাড়া মাঠের খেলায় হওয়া গোল) হয়েছে, তার কেবল ৮ দশমিক ৩ শতাংশ এসেছে রক্ষণচেরা পাস ব্যবহার করে।
এই সময়ের মধ্যে ১০ রকমের ওপেন প্লে অ্যাসিস্টের মধ্যে রক্ষণচেরা পাসের অবস্থান পাঁচে, যেখানে ফাইনালে করা কাই হাভার্টজের গোলটিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে গোটা ইউরোপে এই থ্রু পাসের নিম্নগামিতা দেখা গেছে। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পতন দেখা গেছে ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ চ্যাম্পিয়নস লিগে। অবশ্য এই পাস জটিল বলেই এটি অন্যান্য অ্যাসিস্টের তুলনায় গোলের দারুণ সম্ভাবনাও তৈরি করে। আমেরিকান সকার অ্যানালাইসিসের একটি প্রতিবেদন বলছে, থ্রু বলের রূপান্তর হার হচ্ছে ৩২ শতাংশ; যা যেকোনো ধরনের অ্যাসিস্টের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে কাটব্যাক; যার হার ২৫ শতাংশ।
প্রশ্ন হচ্ছে, রক্ষণচেরা পাস কেন এখন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এর অন্যতম একটি প্রধান কারণ হচ্ছে, সুইপার-কিপারদের উত্থান। থ্রু বলকে গন্তব্যে পৌঁছানোর পথ আটকে দিতে গোলকিপাররা বক্সের বাইরে এসে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন; যা প্রতিপক্ষ দলকেও এই ধরনের পাসের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করছে।
এই পাস কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিএআরের প্রভাবও দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। একটি থ্রু বল ছাড়া এবং সেটি ধরার জন্য প্রয়োজন হয় নিখুঁত টাইমিংয়ের, সময়ের গরমিল হলে পড়তে হতে পারে অফসাইডের ফাঁদে; যে কারণে খেলোয়াড়েরা এখন থ্রু পাসে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। আরেকটি বড় কারণ হতে পারে দলগুলোর রক্ষণে জোর দেওয়া এবং রক্ষণে উন্নতি। বলের পজিশন না থাকলে দলগুলো এখন অনেক সতর্ক থাকে, পাশাপাশি রক্ষণেও নিত্যনতুন কৌশল নিয়ে আসছে, যা রক্ষণচেরা পাস দেওয়াকে আরও কঠিন করে তুলেছে। এ ছাড়া ডিফেন্স ভেঙে গোল করার জায়গায় দলগুলো এখন উইং ব্যবহার করে আক্রমণে যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রিমিয়ার লিগে এ ধরনের আক্রমণ অনেক বেশি দেখা যায়, যা থ্রু পাসের পরিমাণকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছে।
তবে সৃষ্টিশীল ও জাদুকর খেলোয়াড়েরা এর মাঝেই রক্ষণচেরা পাসকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। উদাহরণ হিসেবে সময়ের অন্যতম সেরা লিওনেল মেসির নাম বলা যায়। গত মৌসুমে খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে বেশি ২৪টি রক্ষণচেরা পাস দিয়েছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। তাঁর ক্লাব পিএসজি দিয়েছে সর্বোচ্চ ৮৪টি পাস।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৪ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪