চারঘাট প্রতিনিধি
কয়েক মাস ধরে অনাবৃষ্টি ও তীব্র খরায় পদ্মা ও বড়াল নদবেষ্টিত চারঘাট উপজেলায় পানির জন্য হাহাকার চলছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও অপরিকল্পিত গভীর নলকূপ স্থাপনের ফলে পানির স্তর আশঙ্কাজনকভাবে নিচে নেমে গেছে। ফলে নলকূপে পানি উঠছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, পৌরশহরসহ উপজেলার নদীতীরবর্তী এলাকায় পানির স্তর ৩২ ফুট নিচে নেমে গেছে। এতে দুপুর ১২টার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অধিকাংশ টিউবওয়েলে পানি ওঠে না। বিশেষ করে এই রমজানে বিশুদ্ধ পানির জন্য রোজাদারদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
চারঘাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় গভীর ও অগভীর নলকূপ রয়েছে প্রায় ১৭ হাজার ৫০০টি। জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত তিন বছরে ইউনিয়ন পর্যায়ে গভীর নলকূপ স্থাপন করেছে ৪৬২টি। এসব নলকূপের জন্য দুটি লেয়ার রয়েছে। প্রথম লেয়ারে পানি উত্তোলনের ক্ষমতা রয়েছে ৮৮০ থেকে ৯৪০ ফুটের মধ্যে এবং দ্বিতীয় লেয়ারে ১ হাজার ১০ থেকে ১ হাজার ১০০ ফুটের মধ্যে। কিন্তু পানির স্থিতিতল অস্বাভাবিক নিচে (৩২ ফুট) নেমে যাওয়ায় বর্তমানে দ্বিতীয় লেয়ারেও কাজ হচ্ছে না।
জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, উপজেলায় ৬ হাজার নলকূপের পানি পরীক্ষা করে ৬৭টির পানিতে আর্সেনিক পাওয়া গেছে। সেগুলোর পানিও খাবার অযোগ্য। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মাছ উৎপাদনসহ নানা কাজে খেয়াল-খুশিমতো গভীর নলকূপ স্থাপন করা হচ্ছে। এ জন্য ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে গেছে। যখন গভীর নলকূপগুলো চালু থাকছে, তখন অগভীর নলকূপগুলোতে পানি উঠছে না।
উপজেলা সদরের বাসিন্দা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, পদ্মা-বড়াল নদসহ খাল-বিল সব শুকিয়ে চৌচির। পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে যাচ্ছে। অধিকাংশ নলকূপ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। তারপরও ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করতে অবৈধভাবে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে পানিশূন্য ভূমিতে পরিণত হবে এ এলাকা।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। এখন নদী, খাল-বিলে পানি নেই। পানির স্তর প্রতিনিয়ত নিচে নেমে যাচ্ছে। অপরিকল্পিত গভীর নলকূপ স্থাপন এবং একসঙ্গে অতিরিক্ত পানি উত্তোলন করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ সমস্যা সমাধানে জনস্বাস্থ্য প্রকল্প অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে।’
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাসরিন রাজিয়া আখতার জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদীর তীরবর্তী নলকূপগুলোর পানির স্তর নদীর সঙ্গে সম্পৃক্ত। চৈত্র-বৈশাখে পদ্মা নদী শুকিয়ে গেলে বড়ালসহ শাখা নদীগুলো পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তখন এসব নলকূপে আর পানি ওঠে না। নদীতে পানি না থাকায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে প্রকৃতির ওপর।
কয়েক মাস ধরে অনাবৃষ্টি ও তীব্র খরায় পদ্মা ও বড়াল নদবেষ্টিত চারঘাট উপজেলায় পানির জন্য হাহাকার চলছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও অপরিকল্পিত গভীর নলকূপ স্থাপনের ফলে পানির স্তর আশঙ্কাজনকভাবে নিচে নেমে গেছে। ফলে নলকূপে পানি উঠছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, পৌরশহরসহ উপজেলার নদীতীরবর্তী এলাকায় পানির স্তর ৩২ ফুট নিচে নেমে গেছে। এতে দুপুর ১২টার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অধিকাংশ টিউবওয়েলে পানি ওঠে না। বিশেষ করে এই রমজানে বিশুদ্ধ পানির জন্য রোজাদারদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
চারঘাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় গভীর ও অগভীর নলকূপ রয়েছে প্রায় ১৭ হাজার ৫০০টি। জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত তিন বছরে ইউনিয়ন পর্যায়ে গভীর নলকূপ স্থাপন করেছে ৪৬২টি। এসব নলকূপের জন্য দুটি লেয়ার রয়েছে। প্রথম লেয়ারে পানি উত্তোলনের ক্ষমতা রয়েছে ৮৮০ থেকে ৯৪০ ফুটের মধ্যে এবং দ্বিতীয় লেয়ারে ১ হাজার ১০ থেকে ১ হাজার ১০০ ফুটের মধ্যে। কিন্তু পানির স্থিতিতল অস্বাভাবিক নিচে (৩২ ফুট) নেমে যাওয়ায় বর্তমানে দ্বিতীয় লেয়ারেও কাজ হচ্ছে না।
জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, উপজেলায় ৬ হাজার নলকূপের পানি পরীক্ষা করে ৬৭টির পানিতে আর্সেনিক পাওয়া গেছে। সেগুলোর পানিও খাবার অযোগ্য। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মাছ উৎপাদনসহ নানা কাজে খেয়াল-খুশিমতো গভীর নলকূপ স্থাপন করা হচ্ছে। এ জন্য ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে গেছে। যখন গভীর নলকূপগুলো চালু থাকছে, তখন অগভীর নলকূপগুলোতে পানি উঠছে না।
উপজেলা সদরের বাসিন্দা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, পদ্মা-বড়াল নদসহ খাল-বিল সব শুকিয়ে চৌচির। পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে যাচ্ছে। অধিকাংশ নলকূপ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। তারপরও ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করতে অবৈধভাবে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে পানিশূন্য ভূমিতে পরিণত হবে এ এলাকা।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। এখন নদী, খাল-বিলে পানি নেই। পানির স্তর প্রতিনিয়ত নিচে নেমে যাচ্ছে। অপরিকল্পিত গভীর নলকূপ স্থাপন এবং একসঙ্গে অতিরিক্ত পানি উত্তোলন করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ সমস্যা সমাধানে জনস্বাস্থ্য প্রকল্প অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে।’
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাসরিন রাজিয়া আখতার জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদীর তীরবর্তী নলকূপগুলোর পানির স্তর নদীর সঙ্গে সম্পৃক্ত। চৈত্র-বৈশাখে পদ্মা নদী শুকিয়ে গেলে বড়ালসহ শাখা নদীগুলো পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তখন এসব নলকূপে আর পানি ওঠে না। নদীতে পানি না থাকায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে প্রকৃতির ওপর।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২১ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে