কাজীপুরে কুকুর কামড়ালে টিকা নিতে হবে জেলা সদরে

আশরাফুল আলম, কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ)
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২২, ১২: ৩৫

সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক প্রতিষেধকের কোনো ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়েই উপজেলার সাধারণ মানুষের ছোটেন জেলা সদরে। এতে বাড়তি খরচের পাশাপাশি সময়ও নষ্ট হচ্ছে। আবার কেউবা এই অতিরিক্ত খরচ বাঁচাতে কুকুর বা বিড়ালে কামড়ালে কবিরাজের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এতে মৃত্যুঝুঁকি অনেকটাই বাড়ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন দুর্গম চরাঞ্চলে। সেখান থেকে যমুনা পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরের হাসপাতালে আসতেই ২ শ থেকে আড়াই শ টাকা গুনতে হয়। এখান থেকে আবার যানবাহনে চড়ে ৩৫ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে যেতে হয় সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে। এতে খরচ ও সময় দুটোই নষ্ট হয় রোগীদের। চলতি মাসে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৪০টি প্রতিষেধক নেওয়া হয়েছিল কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তার মধ্যে বাকি আছে মাত্র ১০টি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতি মাসে অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন কুকুর-বিড়াল কামড়ানো রোগী আসেন।

গাড়াবেড় গ্রামের এরশাদুল আলম বলেন, ‘আমার মাকে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন দিয়েছি সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে। পাঁচ ধাপে এই প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। যদি কাজীপুরেই এই প্রতিষেধক পেতাম তাহলে আমার বাড়তি খরচ হতো না। সময়ও বাঁচত।’

বিড়ালের কামড়ানো আরেক রোগী আঙ্গুরি খাতুন বলেন, ‘জেলা সদরে যাওয়ার চেয়ে ওষুধ কিনে টিকা দিয়েছি। যদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দেওয়া হতো তাহলে আমার ২ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হতো না।’

মনসুরনগরের কণিকা নামের এক রোগী বলেন, ‘কয়েক দিন আগে শুনছিলাম কাজীপুর হাসপাতালে কুকুর কামড়ানোর টিকা দেওয়া হয়। পরে ওখানে গিয়ে টিকা দিয়ে আছি। সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে যাওয়া লাগে নাই আমার। খরচ বাঁইচা গেছি। তা ছাড়া ২৫ শ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হতো।’

গাড়াবেড় গ্রামের বাবু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘মাসখানেক আগে আমাকে বিড়াল কামড়িয়েছিল। সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে যাওয়ার টাকা ছিল না। তাই এলাকার এক কবিরাজের কাছে গিয়ে ঝাড়ফুঁক দিয়েছি। কাজীপুর হাসপাতালে যদি টিকা থাকত তাহলে ওখানে গিয়ে টিকা দিতাম।’

এ বিষয়ে কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোমেনা পারভীন পারুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৪০টি টিকা নেওয়া হয়েছিল, তাও প্রায় শেষ। যদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক সরবরাহ থাকত তাহলে রোগীদের খরচ করে সদরে যেতে হতো না। এখান থেকে নির্বিঘ্নে সেবা দেওয়া যেত। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত