সম্পাদকীয়
ধর্মভীরু রক্ষণশীল পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন সোহরাব হোসেন। কিন্তু সংগীতের সুর কানে লাগল যখন, তখন কে আর তাঁকে আটকে রাখে? ভিন গ্রামের যাত্রার আসরে চলে যেতেন চুপিসারে।
সারা রাত যাত্রাগানের স্রোতে ডুব দিয়ে ফিরতেন কাকডাকা ভোরে। কেউ জানত না, কী এক অসীম নান্দনিক শক্তি নিয়ে তিনি হাজির হয়েছেন বাড়িতে। মিশে যেতেন দৈনন্দিন কাজে। সেই আমলে সংগীতের সঙ্গে সম্পর্কহীন মুসলমান ঘরে এ রকম সুরস্রোতে ভেসে যাওয়ার মানুষ ছিল বিরল।
গান গাইবার আগে সোহরাব হোসেন মঞ্চে বসেই প্রথমে পর পর দুইবার দুই ঘাড়ের দিকে গলা এমনভাবে টানতেন যে মনে হতো, তাঁর দমের সমস্যা হচ্ছে। মঞ্চের বাইরে পায়চারি করে বলতেন, ‘ও, একেবারে দুব্বল পাচ্ছিনে।’ তাঁকে মনে করিয়ে দেওয়া হতো, ‘সোহরাব ভাই, দুব্বল না বল?’ তিনি বলতেন, ‘ওই হলো।’
শুরুর দিকে তো গাইতেন আধুনিক, পল্লিগীতি, নজরুলের গান। সেসব শেখাতেনও শিক্ষার্থীদের। পাকিস্তান আমলে যখন রেডিওতে নজরুলের গান গুরুত্ব দিয়ে প্রচার শুরু হলো, তখন অন্য গান ছেড়ে দিয়ে নজরুলের গানে থিতু হলেন।
কীভাবে গ্রামোফোন কোম্পানিতে তাঁর প্রথমবার রেকর্ড করার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছিল, সে গল্পটা মজার। তিনি তো বসে আছেন গান রেকর্ড করার জন্য। সেদিন তাঁর আগে রেকর্ড করতে ঢুকেছেন কানন দেবী। কানন দেবী খুব মন লাগিয়ে রেকর্ড করছেন। কিন্তু কিছুতেই তাঁর মনমতো হচ্ছে না গান। এদিকে রেকর্ডিংয়ের নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেছে। নিয়মমাফিক তাঁর শিফট শেষ হয়ে গেছে। এখন সোহরাব হোসেনের পালা। কানন দেবী কী করবেন? কর্মকর্তারা বললেন, ‘আমাদের কিছু করার নেই। আপনি পরের শিল্পীকে অনুরোধ করে দেখুন।’
কানন দেবী তখন একঢাল খোলা চুল পিঠের ওপর ছড়িয়ে হাতজোড় করে সোহরাব হোসেনের সামনে দাঁড়ালেন। সময় চাইলেন। ওই রূপ দেখেই সোহরাব হোসেন কুপোকাত। মুখে কোনো কথা ফুটল না।
সূত্র: সন্জীদা খাতুন, স্মৃতিপটে গুণীজন, পৃষ্ঠা ৩১-৩২
ধর্মভীরু রক্ষণশীল পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন সোহরাব হোসেন। কিন্তু সংগীতের সুর কানে লাগল যখন, তখন কে আর তাঁকে আটকে রাখে? ভিন গ্রামের যাত্রার আসরে চলে যেতেন চুপিসারে।
সারা রাত যাত্রাগানের স্রোতে ডুব দিয়ে ফিরতেন কাকডাকা ভোরে। কেউ জানত না, কী এক অসীম নান্দনিক শক্তি নিয়ে তিনি হাজির হয়েছেন বাড়িতে। মিশে যেতেন দৈনন্দিন কাজে। সেই আমলে সংগীতের সঙ্গে সম্পর্কহীন মুসলমান ঘরে এ রকম সুরস্রোতে ভেসে যাওয়ার মানুষ ছিল বিরল।
গান গাইবার আগে সোহরাব হোসেন মঞ্চে বসেই প্রথমে পর পর দুইবার দুই ঘাড়ের দিকে গলা এমনভাবে টানতেন যে মনে হতো, তাঁর দমের সমস্যা হচ্ছে। মঞ্চের বাইরে পায়চারি করে বলতেন, ‘ও, একেবারে দুব্বল পাচ্ছিনে।’ তাঁকে মনে করিয়ে দেওয়া হতো, ‘সোহরাব ভাই, দুব্বল না বল?’ তিনি বলতেন, ‘ওই হলো।’
শুরুর দিকে তো গাইতেন আধুনিক, পল্লিগীতি, নজরুলের গান। সেসব শেখাতেনও শিক্ষার্থীদের। পাকিস্তান আমলে যখন রেডিওতে নজরুলের গান গুরুত্ব দিয়ে প্রচার শুরু হলো, তখন অন্য গান ছেড়ে দিয়ে নজরুলের গানে থিতু হলেন।
কীভাবে গ্রামোফোন কোম্পানিতে তাঁর প্রথমবার রেকর্ড করার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছিল, সে গল্পটা মজার। তিনি তো বসে আছেন গান রেকর্ড করার জন্য। সেদিন তাঁর আগে রেকর্ড করতে ঢুকেছেন কানন দেবী। কানন দেবী খুব মন লাগিয়ে রেকর্ড করছেন। কিন্তু কিছুতেই তাঁর মনমতো হচ্ছে না গান। এদিকে রেকর্ডিংয়ের নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেছে। নিয়মমাফিক তাঁর শিফট শেষ হয়ে গেছে। এখন সোহরাব হোসেনের পালা। কানন দেবী কী করবেন? কর্মকর্তারা বললেন, ‘আমাদের কিছু করার নেই। আপনি পরের শিল্পীকে অনুরোধ করে দেখুন।’
কানন দেবী তখন একঢাল খোলা চুল পিঠের ওপর ছড়িয়ে হাতজোড় করে সোহরাব হোসেনের সামনে দাঁড়ালেন। সময় চাইলেন। ওই রূপ দেখেই সোহরাব হোসেন কুপোকাত। মুখে কোনো কথা ফুটল না।
সূত্র: সন্জীদা খাতুন, স্মৃতিপটে গুণীজন, পৃষ্ঠা ৩১-৩২
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে