তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। তাঁর প্রধান পরিচয় সাংবাদিক হলেও তিনি ছিলেন রাজনীতিমনস্ক সাংবাদিক।
তাঁর জন্ম ১৯১১ সালে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া গ্রামে। গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে তাঁর শিক্ষাজীবনের শুরু। ভান্ডারিয়া হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে চলে যান পিরোজপুর জেলা সরকারি হাইস্কুলে। সেখান থেকেই তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি পাস করেন। ১৯৩৫ সালে তিনি ডিস্টিংশনসহ বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।
পেশাগত জীবন শুরু হয় পিরোজপুর মহকুমা কর্মকর্তার সহকারী হিসেবে। কর্মদক্ষতার গুণে হয়ে যান বরিশাল শহরের জনসংযোগ কর্মকর্তা। এরপর তিনি ১৯৪৩ সালে কলকাতার বঙ্গীয় মুসলিম লীগ কার্যালয়ের সেক্রেটারি পদে যোগ দেন। সেখানে বেশি দিন থাকেননি। সোহরাওয়ার্দীর নির্দেশে তিনি ইত্তেহাদ পত্রিকা পরিচালনা পর্ষদের সেক্রেটারি হন। আবার তিনি ঢাকায় চলে আসেন ১৯৪৮ সালে। ১৯৫১ সালে তিনি মওলানা ভাসানীর কাছ থেকে সাপ্তাহিক ইত্তেফাকের সম্পাদকের দায়িত্ব বুঝে নেন। ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিকটি দৈনিকে রূপান্তরিত হয়। এর পর থেকে পত্রিকাটি জনগণের কাছাকাছি চলে যায়।
তিনি সব সময়ই চলমান রাজনীতি নিয়ে লিখতেন ‘মোসাফির’ ছদ্মনামে ‘রাজনৈতিক মঞ্চ’ উপসম্পাদকীয়, যা বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। তিনি লিখতেন শোষিত-বঞ্চিত বাঙালির পক্ষে জনগণের বোধগম্য ভাষায়। শেখ মুজিব তথা আওয়ামী লীগের অনেক সিদ্ধান্তের পেছনে ক্রিয়াশীল ছিল তাঁর কলাম উৎসারিত পরামর্শ।
আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে পত্রিকাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সামরিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৯৫৯ সালে তিনি এক বছর জেল খাটেন। ১৯৬৩ সালে তিনি আবার গ্রেপ্তার হন। এ সময় পত্রিকাটির প্রকাশনাও নিষিদ্ধ হয়।
তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউটের পাকিস্তান শাখার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ পর্যন্ত তিনি ছিলেন সরকারি প্রেস কোর্ট অব অনার্সের সেক্রেটারি এবং পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের (পিআইএ) পরিচালক।
১৯৬৯ সালের ১ জুন তিনি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে মৃত্যুবরণ করেন।
তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। তাঁর প্রধান পরিচয় সাংবাদিক হলেও তিনি ছিলেন রাজনীতিমনস্ক সাংবাদিক।
তাঁর জন্ম ১৯১১ সালে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া গ্রামে। গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে তাঁর শিক্ষাজীবনের শুরু। ভান্ডারিয়া হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে চলে যান পিরোজপুর জেলা সরকারি হাইস্কুলে। সেখান থেকেই তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি পাস করেন। ১৯৩৫ সালে তিনি ডিস্টিংশনসহ বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।
পেশাগত জীবন শুরু হয় পিরোজপুর মহকুমা কর্মকর্তার সহকারী হিসেবে। কর্মদক্ষতার গুণে হয়ে যান বরিশাল শহরের জনসংযোগ কর্মকর্তা। এরপর তিনি ১৯৪৩ সালে কলকাতার বঙ্গীয় মুসলিম লীগ কার্যালয়ের সেক্রেটারি পদে যোগ দেন। সেখানে বেশি দিন থাকেননি। সোহরাওয়ার্দীর নির্দেশে তিনি ইত্তেহাদ পত্রিকা পরিচালনা পর্ষদের সেক্রেটারি হন। আবার তিনি ঢাকায় চলে আসেন ১৯৪৮ সালে। ১৯৫১ সালে তিনি মওলানা ভাসানীর কাছ থেকে সাপ্তাহিক ইত্তেফাকের সম্পাদকের দায়িত্ব বুঝে নেন। ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিকটি দৈনিকে রূপান্তরিত হয়। এর পর থেকে পত্রিকাটি জনগণের কাছাকাছি চলে যায়।
তিনি সব সময়ই চলমান রাজনীতি নিয়ে লিখতেন ‘মোসাফির’ ছদ্মনামে ‘রাজনৈতিক মঞ্চ’ উপসম্পাদকীয়, যা বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। তিনি লিখতেন শোষিত-বঞ্চিত বাঙালির পক্ষে জনগণের বোধগম্য ভাষায়। শেখ মুজিব তথা আওয়ামী লীগের অনেক সিদ্ধান্তের পেছনে ক্রিয়াশীল ছিল তাঁর কলাম উৎসারিত পরামর্শ।
আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে পত্রিকাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সামরিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৯৫৯ সালে তিনি এক বছর জেল খাটেন। ১৯৬৩ সালে তিনি আবার গ্রেপ্তার হন। এ সময় পত্রিকাটির প্রকাশনাও নিষিদ্ধ হয়।
তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউটের পাকিস্তান শাখার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ পর্যন্ত তিনি ছিলেন সরকারি প্রেস কোর্ট অব অনার্সের সেক্রেটারি এবং পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের (পিআইএ) পরিচালক।
১৯৬৯ সালের ১ জুন তিনি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে মৃত্যুবরণ করেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে