হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি ইট তৈরি করতে পারবে না। আইনে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চট্টগ্রাম জেলায় এর কোনো প্রয়োগ নেই। যে কারণে এখানে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই গড়ে উঠছে অসংখ্য ইটভাটা। পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম জেলায় বর্তমানে ৪১৩টি ইটভাটা আছে। এর মধ্যে ২৯৩টি ইটভাটারই পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। যেখানে প্রায় ৭১ শতাংশ ইটভাটাই অবৈধ।
অবৈধ ইটভাটাগুলো কেন উচ্ছেদ করছেন না জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, ‘অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। ইতিমধ্যে কয়েকটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছি। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমরা উচ্ছেদ করতে পারি না কারণ ইটভাটা মালিকেরা আদালতে গিয়ে উচ্ছেদ স্থগিতের আদেশ নিয়ে আসেন। আদালতের স্থিতি অবস্থার কারণেই আমরা অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিতে পারছি না। অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে এই এখন বড় বাধা।’
এক প্রশ্নের জবাবে ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলায় ২৯৩টি অবৈধ ইটভাটা আছে। এগুলোর ৯৫ শতাংশ ইটভাটা উচ্ছেদের ক্ষেত্রে আদালতের স্থিতাবস্থা আছে।
শুধু আদালতের স্থিতাবস্থা নয়, নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। কারণ অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর নির্ভর করতে হয়। তাঁদের সঙ্গে সমন্বয় করেই উচ্ছেদ অভিযানের শিডিউল তৈরি করা হয়। এই ক্ষেত্রে কোনো মাসে সরকারি অনুষ্ঠান বেশি থাকলে তখন ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না।
মার্চ এবং এপ্রিলে সরকারি অনুষ্ঠান বেশি থাকায় এই দুই মাসে চট্টগ্রামে কোনো অভিযান পরিচালনা করতে পারেনি পরিবেশ অধিদপ্তর। এ ছাড়া ইটভাটা এমন দুর্গম এলাকায় স্থাপন করা হয় যেখানে অভিযান পরিচালনা করার জন্য যন্ত্রপাতি নেওয়া সম্ভব হয় না। আবার ওই সব এলাকায় অভিযানে যাওয়া ক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত হুমকিও আছে। এসব কারণেই অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করতে পারছে না পরিবেশ অধিদপ্তর।
এ সম্পর্কে পরিবেশ অধিদপ্তরের (চট্টগ্রাম অঞ্চল) পরিচালক মুফিদুল আলম বলেন, ‘অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করতে না পারার পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে। এর মধ্যে আদালতের স্থিতাবস্থা অন্যতম। পরিবেশ অধিদপ্তর উচ্ছেদ অভিযানে শুরু করলে ইটভাটা মালিকেরা আদালতে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসেন। আমরা তখন আর কিছুই করতে পারি না।’
তবে পরিবেশবাদীরা বলছেন এগুলো অজুহাত। পরিবেশ অধিদপ্তর তৎপর থাকলে কোনোভাবেই অবৈধ ইটভাটা গড়ে ওঠার কথা না। পরিবেশ অধিদপ্তরের উদাসীনতার কারণেই অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠছে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) চট্টগ্রাম মহানগরের সমন্বয়ক মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর আন্তরিক হলে এটি কোনো বাধা নয়। তারা আইনকে আইনগতভাবে মোকাবিলা করলে ইটভাটা মালিকেরা আদালতে গিয়ে স্থিতাবস্থা নিয়ে আসতে পারত না।
একই কথা বলেছেন পরিবেশবিদ অধ্যাপক ইদ্রিস আলী। তিনি বলেন, ‘আমার প্রশ্ন এই বিপুলসংখ্যক ইটভাটা কি রাতারাতি নির্মিত হয়েছে? পরিবেশ ছাড়পত্র না নিয়ে যেসব ইটভাটা ইট তৈরি করছে কেন তারা এত দিন সেগুলোর খোঁজ রাখেনি। পরিবেশ অধিদপ্তর শুরুতেই তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করলে নিশ্চয় আদালত পর্যন্ত গড়াত না।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি ইট তৈরি করতে পারবে না। আইনে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চট্টগ্রাম জেলায় এর কোনো প্রয়োগ নেই। যে কারণে এখানে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই গড়ে উঠছে অসংখ্য ইটভাটা। পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম জেলায় বর্তমানে ৪১৩টি ইটভাটা আছে। এর মধ্যে ২৯৩টি ইটভাটারই পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। যেখানে প্রায় ৭১ শতাংশ ইটভাটাই অবৈধ।
অবৈধ ইটভাটাগুলো কেন উচ্ছেদ করছেন না জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, ‘অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। ইতিমধ্যে কয়েকটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছি। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমরা উচ্ছেদ করতে পারি না কারণ ইটভাটা মালিকেরা আদালতে গিয়ে উচ্ছেদ স্থগিতের আদেশ নিয়ে আসেন। আদালতের স্থিতি অবস্থার কারণেই আমরা অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিতে পারছি না। অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে এই এখন বড় বাধা।’
এক প্রশ্নের জবাবে ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলায় ২৯৩টি অবৈধ ইটভাটা আছে। এগুলোর ৯৫ শতাংশ ইটভাটা উচ্ছেদের ক্ষেত্রে আদালতের স্থিতাবস্থা আছে।
শুধু আদালতের স্থিতাবস্থা নয়, নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। কারণ অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর নির্ভর করতে হয়। তাঁদের সঙ্গে সমন্বয় করেই উচ্ছেদ অভিযানের শিডিউল তৈরি করা হয়। এই ক্ষেত্রে কোনো মাসে সরকারি অনুষ্ঠান বেশি থাকলে তখন ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না।
মার্চ এবং এপ্রিলে সরকারি অনুষ্ঠান বেশি থাকায় এই দুই মাসে চট্টগ্রামে কোনো অভিযান পরিচালনা করতে পারেনি পরিবেশ অধিদপ্তর। এ ছাড়া ইটভাটা এমন দুর্গম এলাকায় স্থাপন করা হয় যেখানে অভিযান পরিচালনা করার জন্য যন্ত্রপাতি নেওয়া সম্ভব হয় না। আবার ওই সব এলাকায় অভিযানে যাওয়া ক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত হুমকিও আছে। এসব কারণেই অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করতে পারছে না পরিবেশ অধিদপ্তর।
এ সম্পর্কে পরিবেশ অধিদপ্তরের (চট্টগ্রাম অঞ্চল) পরিচালক মুফিদুল আলম বলেন, ‘অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করতে না পারার পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে। এর মধ্যে আদালতের স্থিতাবস্থা অন্যতম। পরিবেশ অধিদপ্তর উচ্ছেদ অভিযানে শুরু করলে ইটভাটা মালিকেরা আদালতে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসেন। আমরা তখন আর কিছুই করতে পারি না।’
তবে পরিবেশবাদীরা বলছেন এগুলো অজুহাত। পরিবেশ অধিদপ্তর তৎপর থাকলে কোনোভাবেই অবৈধ ইটভাটা গড়ে ওঠার কথা না। পরিবেশ অধিদপ্তরের উদাসীনতার কারণেই অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠছে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) চট্টগ্রাম মহানগরের সমন্বয়ক মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর আন্তরিক হলে এটি কোনো বাধা নয়। তারা আইনকে আইনগতভাবে মোকাবিলা করলে ইটভাটা মালিকেরা আদালতে গিয়ে স্থিতাবস্থা নিয়ে আসতে পারত না।
একই কথা বলেছেন পরিবেশবিদ অধ্যাপক ইদ্রিস আলী। তিনি বলেন, ‘আমার প্রশ্ন এই বিপুলসংখ্যক ইটভাটা কি রাতারাতি নির্মিত হয়েছে? পরিবেশ ছাড়পত্র না নিয়ে যেসব ইটভাটা ইট তৈরি করছে কেন তারা এত দিন সেগুলোর খোঁজ রাখেনি। পরিবেশ অধিদপ্তর শুরুতেই তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করলে নিশ্চয় আদালত পর্যন্ত গড়াত না।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৪ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪