আসাদুজ্জামান নূর
বাকের ভাই চরিত্রটি আসাদুজ্জামান নূরকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। হুমায়ূন আহমেদের ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকটি নিয়ে যে আলোড়ন উঠেছিল দর্শকদের মধ্যে, সে এক ইতিহাস।
সত্তর বছর বয়স হলো যখন, তখন তিনি সাক্ষাৎকারে খুলে ধরেছিলেন তাঁর অভিজ্ঞতার ঝাঁপি। নিয়মিত মঞ্চনাটক কেন করেন না, তার জবাব দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘মঞ্চনাটকে যতটুকু অর্জন করেছি, তার চেয়ে বেশি কিছু করতে পারতাম না। এটাই আমার ক্ষমতার শেষ সীমা। মঞ্চে অভিনয় করতে শারীরিক শক্তি, কণ্ঠের শক্তি লাগে।’ সে রকম শারীরিক শক্তি এখন আর নেই।
তবে এরপর আবার দু-একটি নাটকে তাঁকে মঞ্চে দেখা গেছে। নতুনভাবে গ্যালিলিও নাটকে অভিনয় করেছেন আলী যাকেরের সঙ্গে।
জীবনটাকে আনন্দে ভরে তুলেছেন তিনি। জীবনে সমস্যা ছিল অনেক, প্রিন্টিং প্রেসের টেবিলের ওপর খবরের কাগজ বিছিয়ে সারা রাত ঘুমিয়েছেন। দেড়-দুই শ টাকা বেতনে চাকরি করেছেন। কিন্তু দুঃখবোধ নিয়ে আহা-উঁহু করেননি।
বিদেশে গেলে তিনি মঞ্চনাটক দেখতে ছাড়েন না। কিছুটা মন খারাপ হয়। তাঁরা মঞ্চকে যে জায়গায় নিয়ে গেছেন, তা ভাবলে অবাক হতে হয়। সেটা টেকনিক্যাল পার্ট নয়, অভিনয়কেই তাঁরা অন্য এক মাত্রায় নিয়ে গেছেন। এ প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ টানলেন তিনি। ‘ওয়ার হর্স’ বলে একটা নাটক দেখেছিলেন তিনি ইংল্যান্ডে। একটা কাঠের ঘোড়া চারজন লোক চালায়। কিন্তু দর্শকের কাছে মনে হয়, সেটা একেবারে জলজ্যান্ত ঘোড়াই। এক বাচ্চা ঘোড়াটাকে খুঁজে বেড়ায়। শেষে যখন ঘোড়াটাকে খুঁজে পায়, তখন সে অন্ধ। ঘোড়ার ডাক শুনে সে বুঝতে পারে, এটাই তার ঘোড়া।
এটুকু বলার পর আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘ব্রিটিশরা তো ইমোশনাল হয় না। কিন্তু এই নাটক দেখতে গিয়ে পুরো হল কাঁদতে থাকে। একজন লোককেও দেখিনি যে কাঁদেনি। অভিনয়ের যে মুহূর্তগুলো তৈরি করা হয়, তাতে কান্না অনিবার্য।’
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, চোখের আলোয়-২, পৃষ্ঠা ৪৭-৪৮
বাকের ভাই চরিত্রটি আসাদুজ্জামান নূরকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। হুমায়ূন আহমেদের ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকটি নিয়ে যে আলোড়ন উঠেছিল দর্শকদের মধ্যে, সে এক ইতিহাস।
সত্তর বছর বয়স হলো যখন, তখন তিনি সাক্ষাৎকারে খুলে ধরেছিলেন তাঁর অভিজ্ঞতার ঝাঁপি। নিয়মিত মঞ্চনাটক কেন করেন না, তার জবাব দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘মঞ্চনাটকে যতটুকু অর্জন করেছি, তার চেয়ে বেশি কিছু করতে পারতাম না। এটাই আমার ক্ষমতার শেষ সীমা। মঞ্চে অভিনয় করতে শারীরিক শক্তি, কণ্ঠের শক্তি লাগে।’ সে রকম শারীরিক শক্তি এখন আর নেই।
তবে এরপর আবার দু-একটি নাটকে তাঁকে মঞ্চে দেখা গেছে। নতুনভাবে গ্যালিলিও নাটকে অভিনয় করেছেন আলী যাকেরের সঙ্গে।
জীবনটাকে আনন্দে ভরে তুলেছেন তিনি। জীবনে সমস্যা ছিল অনেক, প্রিন্টিং প্রেসের টেবিলের ওপর খবরের কাগজ বিছিয়ে সারা রাত ঘুমিয়েছেন। দেড়-দুই শ টাকা বেতনে চাকরি করেছেন। কিন্তু দুঃখবোধ নিয়ে আহা-উঁহু করেননি।
বিদেশে গেলে তিনি মঞ্চনাটক দেখতে ছাড়েন না। কিছুটা মন খারাপ হয়। তাঁরা মঞ্চকে যে জায়গায় নিয়ে গেছেন, তা ভাবলে অবাক হতে হয়। সেটা টেকনিক্যাল পার্ট নয়, অভিনয়কেই তাঁরা অন্য এক মাত্রায় নিয়ে গেছেন। এ প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ টানলেন তিনি। ‘ওয়ার হর্স’ বলে একটা নাটক দেখেছিলেন তিনি ইংল্যান্ডে। একটা কাঠের ঘোড়া চারজন লোক চালায়। কিন্তু দর্শকের কাছে মনে হয়, সেটা একেবারে জলজ্যান্ত ঘোড়াই। এক বাচ্চা ঘোড়াটাকে খুঁজে বেড়ায়। শেষে যখন ঘোড়াটাকে খুঁজে পায়, তখন সে অন্ধ। ঘোড়ার ডাক শুনে সে বুঝতে পারে, এটাই তার ঘোড়া।
এটুকু বলার পর আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘ব্রিটিশরা তো ইমোশনাল হয় না। কিন্তু এই নাটক দেখতে গিয়ে পুরো হল কাঁদতে থাকে। একজন লোককেও দেখিনি যে কাঁদেনি। অভিনয়ের যে মুহূর্তগুলো তৈরি করা হয়, তাতে কান্না অনিবার্য।’
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, চোখের আলোয়-২, পৃষ্ঠা ৪৭-৪৮
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে