আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলায় উন্নত সনাতন পদ্ধতিতে বাগদা চিংড়ি চাষ করে সফলতা পাচ্ছেন চাষিরা। মাছে মড়ক না লাগা, অতি দ্রুত বড় হওয়া এবং মাত্র তিন মাসে বিনিয়োগ করা অর্থের দ্বিগুণ ফিরে পাওয়ায় সংঘবদ্ধভাবে এই পদ্ধতিতে ঝুঁকছেন তাঁরা। মৎস্য অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পের আওতায় বাগদা চিংড়ির এ চাষাবাদে উৎসাহ জোগাচ্ছে অন্যদের।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২ লাখ ৬২ হাজার হেক্টর জমিতে ছোট-বড় মিলে ৫৫ হাজার ঘেরে সনাতন পদ্ধতিতে বাগদা চাষ হয়। এ পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করে প্রতিবছর লোকসানে জর্জরিত হতো সাতক্ষীরার চাষিরা। ভাইরাস ও দাবদাহে ঘেরে বাগদা চিংড়ি উজাড় হয়ে যাওয়ায় দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার উপক্রম হতো তাঁদের। পরবর্তী সময়ে আধা নিবিড় পদ্ধতিতে বাগদা চাষ করা হলেও তেমন সফলতা ছিল না। ফলে দিন দিন বাগদা চাষে অনাগ্রহ তৈরি হচ্ছিল চাষিদের।
তবে এ বিপর্যয় থেকে চাষিদের রক্ষায় এগিয়ে আসে মৎস্য বিভাগ। ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ নামক একটি প্রকল্পের আওতায় উন্নত সনাতন পদ্ধতিতে বাগদা চাষ করতে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পানির গভীরতা ঠিক রাখা ও বায়োসিকিউরিটি নির্বাহ করা এ চাষের প্রধান বৈশিষ্ট্য। নতুন এ পদ্ধতিতে বাগদা চাষ করতে জেলার সব চাষিকে পরামর্শ দেওয়া হয়। বর্তমানে কালীগঞ্জের শিবপুরে ১৩ একর জমিতে ২৩ জন চাষি ২৩টি ঘেরে উন্নত সনাতন পদ্ধতিতে বাগদা চাষ করছেন।
শিবপুরের বাগদাচাষি মোক্তাদির হোসেন বলেন, ‘আমরা ২৩ জন মিলে এই প্রজেক্টে চাষ করছি। কালিন্দি নদী থেকে এই খালে নোনাপানি আসে। প্রথমে ঘেরে পানি ভর্তি করি। তারপর পর্যায়ক্রমে চুন ও ব্লিসিং মারার পর ভাইরাসমুক্ত পোনা ছাড়ি। এরপর নির্দেশনামতো খাদ্য দিই। এতে ব্যাপক সফল আমরা। ৭২ শতাংশ জমিতে আমি ১৮৫ কেজি মাছ উত্তোলন করেছি। অথচ আগে মাত্র ৬০ থেকে ৭০ কেজি মাছ তুলতে পেরেছি।’
চাষি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পানির পিপিটি অনুযায়ী উৎপাদিত পোনা ছাড়া হয় বলে মড়ক নেই বললেই চলে। আগে পানির লবণাক্ততা ও ভাইরাস পরীক্ষা হতো না বলে ৪০ দিন যেতে না যেতে মাছ মারা যেত। আর এখন মাছ মরে না বললেই চলে। নির্ধারিত পদ্ধতিতে আমরা মাছ চাষ করে শতকে তিন-চার কেজি মাছ উৎপাদন করতে পেরেছি।’
এ বিষয়ে কালীগঞ্জের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ প্রকল্পের আওতায় শিবপুরের ২৩ জন চাষিকে নিয়ে কাজ শুরু করি। সেখানে সফলতা ব্যাপক। বায়োসিকিউরিটি ও ভাইরাসমুক্ত পোনা ব্যবহার করা হয় ঘেরে। আমরা খুব আনন্দিত, মাত্র ৩ মাসে ২০টি চিংড়িতে ১ কেজি ওজন হচ্ছে। চাষিদের এ পদ্ধতিতে বাগদা চাষ করা উচিত।’
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলায় উন্নত সনাতন পদ্ধতিতে বাগদা চিংড়ি চাষ করে সফলতা পাচ্ছেন চাষিরা। মাছে মড়ক না লাগা, অতি দ্রুত বড় হওয়া এবং মাত্র তিন মাসে বিনিয়োগ করা অর্থের দ্বিগুণ ফিরে পাওয়ায় সংঘবদ্ধভাবে এই পদ্ধতিতে ঝুঁকছেন তাঁরা। মৎস্য অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পের আওতায় বাগদা চিংড়ির এ চাষাবাদে উৎসাহ জোগাচ্ছে অন্যদের।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২ লাখ ৬২ হাজার হেক্টর জমিতে ছোট-বড় মিলে ৫৫ হাজার ঘেরে সনাতন পদ্ধতিতে বাগদা চাষ হয়। এ পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করে প্রতিবছর লোকসানে জর্জরিত হতো সাতক্ষীরার চাষিরা। ভাইরাস ও দাবদাহে ঘেরে বাগদা চিংড়ি উজাড় হয়ে যাওয়ায় দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার উপক্রম হতো তাঁদের। পরবর্তী সময়ে আধা নিবিড় পদ্ধতিতে বাগদা চাষ করা হলেও তেমন সফলতা ছিল না। ফলে দিন দিন বাগদা চাষে অনাগ্রহ তৈরি হচ্ছিল চাষিদের।
তবে এ বিপর্যয় থেকে চাষিদের রক্ষায় এগিয়ে আসে মৎস্য বিভাগ। ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ নামক একটি প্রকল্পের আওতায় উন্নত সনাতন পদ্ধতিতে বাগদা চাষ করতে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পানির গভীরতা ঠিক রাখা ও বায়োসিকিউরিটি নির্বাহ করা এ চাষের প্রধান বৈশিষ্ট্য। নতুন এ পদ্ধতিতে বাগদা চাষ করতে জেলার সব চাষিকে পরামর্শ দেওয়া হয়। বর্তমানে কালীগঞ্জের শিবপুরে ১৩ একর জমিতে ২৩ জন চাষি ২৩টি ঘেরে উন্নত সনাতন পদ্ধতিতে বাগদা চাষ করছেন।
শিবপুরের বাগদাচাষি মোক্তাদির হোসেন বলেন, ‘আমরা ২৩ জন মিলে এই প্রজেক্টে চাষ করছি। কালিন্দি নদী থেকে এই খালে নোনাপানি আসে। প্রথমে ঘেরে পানি ভর্তি করি। তারপর পর্যায়ক্রমে চুন ও ব্লিসিং মারার পর ভাইরাসমুক্ত পোনা ছাড়ি। এরপর নির্দেশনামতো খাদ্য দিই। এতে ব্যাপক সফল আমরা। ৭২ শতাংশ জমিতে আমি ১৮৫ কেজি মাছ উত্তোলন করেছি। অথচ আগে মাত্র ৬০ থেকে ৭০ কেজি মাছ তুলতে পেরেছি।’
চাষি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পানির পিপিটি অনুযায়ী উৎপাদিত পোনা ছাড়া হয় বলে মড়ক নেই বললেই চলে। আগে পানির লবণাক্ততা ও ভাইরাস পরীক্ষা হতো না বলে ৪০ দিন যেতে না যেতে মাছ মারা যেত। আর এখন মাছ মরে না বললেই চলে। নির্ধারিত পদ্ধতিতে আমরা মাছ চাষ করে শতকে তিন-চার কেজি মাছ উৎপাদন করতে পেরেছি।’
এ বিষয়ে কালীগঞ্জের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ প্রকল্পের আওতায় শিবপুরের ২৩ জন চাষিকে নিয়ে কাজ শুরু করি। সেখানে সফলতা ব্যাপক। বায়োসিকিউরিটি ও ভাইরাসমুক্ত পোনা ব্যবহার করা হয় ঘেরে। আমরা খুব আনন্দিত, মাত্র ৩ মাসে ২০টি চিংড়িতে ১ কেজি ওজন হচ্ছে। চাষিদের এ পদ্ধতিতে বাগদা চাষ করা উচিত।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪