সম্পাদকীয়
ব্রিটিশ আমলে রবীন্দ্রনাথের কোনো বই বাজেয়াপ্ত হয়নি। তাঁর আগে-পিছে অনেক লেখকের বইই বাজেয়াপ্ত করেছে ব্রিটিশ সরকার। তাহলে কি রবীন্দ্রনাথকে বিপজ্জনক বলে মনে করত না তারা? ইতিহাস জানাচ্ছে, রবীন্দ্রনাথের জনপ্রিয়তা ও সর্বমহলে জনপ্রিয়তার কারণে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে ভয় পেয়েছে ব্রিটিশরা। ভেবেছে, তাঁর কোনো বই নিষিদ্ধ করলে যে প্রবল প্রতিক্রিয়া হবে, তা ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে সামাল দেওয়া দুষ্কর হয়ে উঠতে পারে। তবে রবীন্দ্রনাথের ‘রাশিয়ার চিঠি’ সম্পর্কে গোয়েন্দারা নোট দিয়েছিল, ‘আপত্তিকর’।
রবীন্দ্রনাথের বই নিষিদ্ধ হয়নি বটে, কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লেখা অনেকের বই বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বিজয়লাল চট্টোপাধ্যায়ের ‘বিদ্রোহী রবীন্দ্রনাথ’ বইটি নিষিদ্ধ হয় ১৯৩২ সালে। ১৯৩৬ সালে ‘সর্বহারার দৃষ্টিতে রাশিয়ার চিঠি’ নিষিদ্ধ হয়। হীরালাল সেন লিখিত ‘হুঙ্কার’ নামে একটি নিষিদ্ধ বই রবীন্দ্রনাথকে উৎসর্গ করা হয়েছে বলে সমন জারি করে কবিকে খুলনার আদালতে হাজির হতে বাধ্য করা হয়েছিল। বইটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ১৯১১ সালে। রবীন্দ্রনাথ জানতেন না, তাঁকে বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে।
হীরালাল সেনের প্রতি মোটেই বিরক্ত হননি রবীন্দ্রনাথ। তিনি এত বড় ঝঞ্ঝাটের পরও হীরালাল সেনকে শান্তিনিকেতনে শিক্ষকতার কাজ দেন। তাতে খুশি হয়নি পুলিশ। এরপর শান্তিনিকেতনের ওপর পুলিশি উৎপাত এতটাই বেড়ে যায় যে রবীন্দ্রনাথ তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে জমিদারি দেখাশোনার ভার দেন।
ঘটনাটি জানা যায় স্বামী বিবেকানন্দের ভক্ত ভারতপ্রেমিকা মিস ম্যাকলাউডকে লেখা রবীন্দ্রনাথের একটি চিঠি থেকে। মিস ম্যাকলাউড বিপ্লবী ভুপেন্দ্রনাথ দত্তকে রবীন্দ্রনাথের বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ইলিনয় থেকে সে চিঠির উত্তর দিয়েছিলেন ১৯১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর। ইংরেজিতে লেখা সে চিঠিতে তিনি এক জায়গায় বলেছেন, ‘নিষিদ্ধ বইয়ের এক লেখককে আমি চাকরি দিয়েছিলাম, যেন সে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার এমন কিছু শুরু করল, যাতে আমার বিদ্যালয়টি নষ্ট হবার জোগাড়। তাই আমি তাঁকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়েছি।’
সূত্র: শিশির কর, ব্রিটিশ শাসনে বাজেয়াপ্ত বাংলা বই, পৃষ্ঠা ১০২-১০৩
ব্রিটিশ আমলে রবীন্দ্রনাথের কোনো বই বাজেয়াপ্ত হয়নি। তাঁর আগে-পিছে অনেক লেখকের বইই বাজেয়াপ্ত করেছে ব্রিটিশ সরকার। তাহলে কি রবীন্দ্রনাথকে বিপজ্জনক বলে মনে করত না তারা? ইতিহাস জানাচ্ছে, রবীন্দ্রনাথের জনপ্রিয়তা ও সর্বমহলে জনপ্রিয়তার কারণে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে ভয় পেয়েছে ব্রিটিশরা। ভেবেছে, তাঁর কোনো বই নিষিদ্ধ করলে যে প্রবল প্রতিক্রিয়া হবে, তা ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে সামাল দেওয়া দুষ্কর হয়ে উঠতে পারে। তবে রবীন্দ্রনাথের ‘রাশিয়ার চিঠি’ সম্পর্কে গোয়েন্দারা নোট দিয়েছিল, ‘আপত্তিকর’।
রবীন্দ্রনাথের বই নিষিদ্ধ হয়নি বটে, কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লেখা অনেকের বই বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বিজয়লাল চট্টোপাধ্যায়ের ‘বিদ্রোহী রবীন্দ্রনাথ’ বইটি নিষিদ্ধ হয় ১৯৩২ সালে। ১৯৩৬ সালে ‘সর্বহারার দৃষ্টিতে রাশিয়ার চিঠি’ নিষিদ্ধ হয়। হীরালাল সেন লিখিত ‘হুঙ্কার’ নামে একটি নিষিদ্ধ বই রবীন্দ্রনাথকে উৎসর্গ করা হয়েছে বলে সমন জারি করে কবিকে খুলনার আদালতে হাজির হতে বাধ্য করা হয়েছিল। বইটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ১৯১১ সালে। রবীন্দ্রনাথ জানতেন না, তাঁকে বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে।
হীরালাল সেনের প্রতি মোটেই বিরক্ত হননি রবীন্দ্রনাথ। তিনি এত বড় ঝঞ্ঝাটের পরও হীরালাল সেনকে শান্তিনিকেতনে শিক্ষকতার কাজ দেন। তাতে খুশি হয়নি পুলিশ। এরপর শান্তিনিকেতনের ওপর পুলিশি উৎপাত এতটাই বেড়ে যায় যে রবীন্দ্রনাথ তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে জমিদারি দেখাশোনার ভার দেন।
ঘটনাটি জানা যায় স্বামী বিবেকানন্দের ভক্ত ভারতপ্রেমিকা মিস ম্যাকলাউডকে লেখা রবীন্দ্রনাথের একটি চিঠি থেকে। মিস ম্যাকলাউড বিপ্লবী ভুপেন্দ্রনাথ দত্তকে রবীন্দ্রনাথের বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ইলিনয় থেকে সে চিঠির উত্তর দিয়েছিলেন ১৯১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর। ইংরেজিতে লেখা সে চিঠিতে তিনি এক জায়গায় বলেছেন, ‘নিষিদ্ধ বইয়ের এক লেখককে আমি চাকরি দিয়েছিলাম, যেন সে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার এমন কিছু শুরু করল, যাতে আমার বিদ্যালয়টি নষ্ট হবার জোগাড়। তাই আমি তাঁকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়েছি।’
সূত্র: শিশির কর, ব্রিটিশ শাসনে বাজেয়াপ্ত বাংলা বই, পৃষ্ঠা ১০২-১০৩
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে