কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েই চলছে। এতে বিপাকে পড়েছেন জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মধ্যম আয় ও খেটে খাওয়া হাজারো মানুষ।
পবিত্র রমজান মাসের আগ মুহূর্ত থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি কেজি সুগন্ধি চালের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। সুগন্ধি চাল এখন খোলা প্রতি কেজি ১০০-১১০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ রমজানের আগে খোলা চাল প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হয়।
দিনমজুর আব্দুল মোমিন (৪৫)। পরিবারের ৬ জন সদস্য এবং পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাঁর আয়-রোজগার ছাড়া চলে না সংসার। কাঁচাবাজার করতে এসে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মাঠে কাজ নাই। বাড়িত বসে সময় কাটছে। ঘরে যা মজুত ছিল, তা-ও প্রায় শেষের পথে। এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে কীভাবে সংসার চালামু সেটা নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছি। কত দিন ধরে ছলপলেরা গরুর গোশত খাবার চাই। কামাই-রোজগার নাই বলে সেই গোশতও কিনবার পারি না। সারা দিন কামাই করে ৩০০-৪০০ টাকা পাই। যা দিয়ে চাল, ডাল, তেল কিনতেই শেষ। এখন ডাল-ভাত খেয়ে কোনোভাবে বেঁচে আছি।’
শুধু আব্দুল মোমিন নন, নিত্যপণ্যের দাম এভাবে বাড়তে থাকায় বিপাকে পড়েছেন জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মধ্যম আয় ও খেটে খাওয়া হাজারো মানুষ।
গতকাল সোমবার উপজেলা বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। প্রতি কেজি করলা ৬০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, লতিরাজ ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, শসা ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
খুচরা সবজি ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘রমজানের আগে বেগুন বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকায়। আজকে সেই বেগুন প্রতি কেজি ৫০ টাকা। পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনে এনে বেশি দামে বিক্রি করছি।’
পুনট হাটে কাঁচাবাজার করতে আসা উপজেলার মূলগ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, ‘কৃষিকাজের ওপরে আমার সংসার চলে। পরিবারের চারজন সদস্য। যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে সেখানে এখন বেঁচে থাকাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘হামাগোরক দেখার কেউ নাই। হামরা মরলে কি আর বাঁচলে কি?’
অন্যদিকে চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রি-ধান ৪৯ প্রতি কেজি ৪৪ টাকা, স্বর্ণা-৫ প্রতি কেজি ৪৩ টাকা ও কাটারীভোগ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে সুগন্ধি চালে।
সুগন্ধি চালের দাম বাড়া নিয়ে মোস্তফা স্টোরের স্বত্বাধিকারী রুদ্র ফারদিন বলেন, রমজানের আগ মুহূর্ত থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি কেজি সুগন্ধি চালের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। সুগন্ধি চাল খোলা প্রতি কেজি ১০০-১১০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ রমজানের আগে খোলা চাল প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টুকটুক তালুকদার বলেন, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বাজার তদারকি অব্যাহত রয়েছে। এর অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে বেশি দামে ভোজ্যতেল বিক্রি করায় কয়েকটি দোকানিকে জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলায় এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েই চলছে। এতে বিপাকে পড়েছেন জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মধ্যম আয় ও খেটে খাওয়া হাজারো মানুষ।
পবিত্র রমজান মাসের আগ মুহূর্ত থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি কেজি সুগন্ধি চালের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। সুগন্ধি চাল এখন খোলা প্রতি কেজি ১০০-১১০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ রমজানের আগে খোলা চাল প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হয়।
দিনমজুর আব্দুল মোমিন (৪৫)। পরিবারের ৬ জন সদস্য এবং পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাঁর আয়-রোজগার ছাড়া চলে না সংসার। কাঁচাবাজার করতে এসে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মাঠে কাজ নাই। বাড়িত বসে সময় কাটছে। ঘরে যা মজুত ছিল, তা-ও প্রায় শেষের পথে। এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে কীভাবে সংসার চালামু সেটা নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছি। কত দিন ধরে ছলপলেরা গরুর গোশত খাবার চাই। কামাই-রোজগার নাই বলে সেই গোশতও কিনবার পারি না। সারা দিন কামাই করে ৩০০-৪০০ টাকা পাই। যা দিয়ে চাল, ডাল, তেল কিনতেই শেষ। এখন ডাল-ভাত খেয়ে কোনোভাবে বেঁচে আছি।’
শুধু আব্দুল মোমিন নন, নিত্যপণ্যের দাম এভাবে বাড়তে থাকায় বিপাকে পড়েছেন জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মধ্যম আয় ও খেটে খাওয়া হাজারো মানুষ।
গতকাল সোমবার উপজেলা বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। প্রতি কেজি করলা ৬০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, লতিরাজ ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, শসা ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
খুচরা সবজি ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘রমজানের আগে বেগুন বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকায়। আজকে সেই বেগুন প্রতি কেজি ৫০ টাকা। পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনে এনে বেশি দামে বিক্রি করছি।’
পুনট হাটে কাঁচাবাজার করতে আসা উপজেলার মূলগ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, ‘কৃষিকাজের ওপরে আমার সংসার চলে। পরিবারের চারজন সদস্য। যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে সেখানে এখন বেঁচে থাকাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘হামাগোরক দেখার কেউ নাই। হামরা মরলে কি আর বাঁচলে কি?’
অন্যদিকে চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রি-ধান ৪৯ প্রতি কেজি ৪৪ টাকা, স্বর্ণা-৫ প্রতি কেজি ৪৩ টাকা ও কাটারীভোগ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে সুগন্ধি চালে।
সুগন্ধি চালের দাম বাড়া নিয়ে মোস্তফা স্টোরের স্বত্বাধিকারী রুদ্র ফারদিন বলেন, রমজানের আগ মুহূর্ত থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি কেজি সুগন্ধি চালের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। সুগন্ধি চাল খোলা প্রতি কেজি ১০০-১১০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ রমজানের আগে খোলা চাল প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টুকটুক তালুকদার বলেন, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বাজার তদারকি অব্যাহত রয়েছে। এর অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে বেশি দামে ভোজ্যতেল বিক্রি করায় কয়েকটি দোকানিকে জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলায় এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে