অরুণ কর্মকার
পৃথিবীতে কোনো সম্পর্কই বোধ হয় চিরকাল একই ধারায় সরলরেখায় চলে না। সম্পর্কের রসায়নে পরিবর্তন একটি অবশ্যম্ভাবী বিষয়। তা সে সম্পর্ক ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিংবা সামাজিক যে গোত্রেরই হোক না কেন। আর সম্পর্কটি রাজনৈতিক হলে তো কথাই নেই। কারণ রাজনীতিতে শেষ কথা বলে যেমন কিছু নেই, তেমনি নানা রকম কূটকৌশল, চাতুর্য প্রভৃতিও রাজনীতিতে সিদ্ধ ও স্বীকৃত।
পৃথিবীতে বহু মানুষ বিশ্বাস করে যে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, এমনকি সামাজিক সম্পর্কের দোলাচলেও রাশিচক্র এবং গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানগত প্রভাব রয়েছে। তারা সেই সব বিচার-বিশ্লেষণ করে সম্পর্কের রসায়ন ঠিকঠাক করার ও রাখার ব্যবস্থা নেয়। তবে রাজনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই তরিকা খাটে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পর্কের মৌলিক নির্ণায়ক হচ্ছে নীতি-আদর্শ এবং লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের নৈকট্য। আর কার্যক্ষেত্রে নির্ণায়ক হলো সমকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সেই পরিস্থিতি অনুযায়ী সময়-সময় রাজনৈতিক দলগুলোর অনুসৃত কৌশল। বলা বাহুল্য যে এই কৌশল সতত পরিবর্তনশীল।
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নীতি-আদর্শ এবং লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের নৈকট্য অনস্বীকার্য। আরও কোনো কোনো দল কিংবা অনেক দলের সঙ্গেই জামায়াতের এই নৈকট্য থাকতে পারে। তবে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সেই পরিস্থিতি অনুযায়ী দল দুটির অনুসৃত কৌশল। জামায়াত দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে জোটবদ্ধ ছিল। সরকার গঠন ও রাষ্ট্রক্ষমতা ভাগাভাগিতেও বিএনপি-জামায়াত এক জোট হয়েছিল।
এটা সম্ভব হয়েছিল দল দুটির নীতি-আদর্শ ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের নৈকট্যের কারণেই। দল দুটির মধ্যে মৌলিক বিষয়ে এই নৈকট্য এখনো সমানভাবে বিদ্যমান। হয়তো চিরদিনই তা-ই বহমান থাকবে। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপি এবং জামায়াতের গৃহীত ও অনুসৃত কৌশল তাদের দৃশ্যত কিছুটা দূরবর্তী অবস্থান নিতে বাধ্য করেছে। এই কারণে তাদের মধ্যকার সম্পর্কের রসায়নে যে দোলাচল জনসমক্ষে দৃশ্যমান, তা কি দল দুটির মধ্যকার প্রকৃত সম্পর্ক নির্ণয় করে? এ প্রশ্নটি এখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের একটি জনপ্রিয় আলোচ্য বিষয়।
এ কথা সবারই জানা যে জামায়াতে ইসলামী এখন আর বিএনপির সঙ্গে কোনো জোটে নেই। বিএনপি অন্য যেসব দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ, তাদের কারও সঙ্গেই জামায়াতের রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা দৃশ্যমান নয়। বিএনপি সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর জামায়াত কয়েকটি কর্মসূচিতে মাঠে নামলেও পরে অন্তত দুটি কর্মসূচিতে আর তাদের দেখা পাওয়া যায়নি। এই যে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচিতে সাড়া দিয়েও আবার নিজেদের গুটিয়ে নেওয়া, এ কি শুধু জামায়াতের ইচ্ছাতেই করা হয়েছে? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, সাড়া দেওয়াটা ছিল একান্তই জামায়াতের সিদ্ধান্ত। কিন্তু গুটিয়ে নেওয়ার পেছনে বিএনপির ইশারা ছিল।
এ রকম ধারণা করার কারণ বিএনপির অনুসৃত বর্তমান রাজনৈতিক কৌশল। আপাতত বিএনপি কোনোভাবেই চায় না যে জামায়াতের সঙ্গে তাদের ন্যূনতম সম্পর্ক, সমঝোতা, এমনকি যোগাযোগ থাকার বিষয়েও কারও মনে কোনো রকম সন্দেহ পর্যন্ত সৃষ্টি হোক। এই রাজনৈতিক কৌশলের কারণেই বিএনপি একতরফা জামায়াতকে জোট থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির জোটবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে ও আন্তর্জাতিক মহলে যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিটি রয়েছে, বিএনপি তারও পরিবর্তন চায়। একই সঙ্গে জামায়াত ছাড়াই যে সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য বিএনপি যথেষ্ট শক্তিশালী, সেটাও তারা প্রমাণ করতে চায়। তাই জামায়াতকে নিরাপদ দূরত্বেই রাখতে চায় বিএনপি।
কিন্তু জামায়াতেরও তো রাজনীতি আছে। বিএনপি চায় বলেই তারা একেবারে দূরবর্তী অবস্থানে নিঃসঙ্গ বসে অপেক্ষা করবে, তা তো নাও হতে পারে। সেই কারণে বিএনপি নেতৃত্বের মধ্যে একটু ভয়ের ভাবও আছে। দূরে থাকতে থাকতে জামায়াত যেন তাদের কাছ থেকে একেবারে সুদূরে হারিয়ে না যায়, জাতীয় রাজনীতিতে যেন নতুন কোনো মেরুকরণ না ঘটে, সে ব্যাপারেও বিএনপি নিশ্চিন্ত থাকতে চায়। তাই তাদের অনুসৃত রাজনৈতিক কৌশলের বিষয়টি জামায়াতকে অবহিত করা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। কোনো রকম যোগাযোগ ছাড়া তো সেটি সম্ভব নয়!
কিন্তু এই যোগাযোগ দলীয়ভাবে আনুষ্ঠানিক হলে তা জনসমক্ষে দৃশ্যমান হতে বাধ্য। তাই এই যোগাযোগও হতে পারে দুই দলের নেতাদের মধ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে। সমমনা কিংবা বৈরীনির্বিশেষে যেকোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অন্য যেকোনো রাজনৈতিক দলের এ ধরনের যোগাযোগ অস্বাভাবিক নয়। রাজনীতিতে তা অসিদ্ধও নয়। কাজেই ধরে নেওয়া যায় যে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির এ ধরনের যোগাযোগ রয়েছে। এ ধরনের যোগাযোগের জন্য বিএনপির একটি লিয়াজোঁ কমিটিও আছে। এই যোগাযোগের ফল বা ফসল হয়তো দৃশ্যমান হবে সরকারবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে। সেটা এখনো কিছুটা সময়সাপেক্ষ।
জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির বর্তমান দূরবর্তী সম্পর্ক সরকার তথা সরকারি দলের জন্য কিছুটা হলেও সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। তারা জোট বিচ্ছিন্ন জামায়াতকে যেমন চাপে রেখেছে, তেমনি জামায়াতহীন বিএনপিকেও অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ পেয়েছে। অবশ্য বিএনপি এবং জামায়াত জোটবদ্ধ হলেই যে সরকার এবং সরকারি দলের জন্য তা খুব দুশ্চিন্তার বিষয়, তা নয়। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে বিএনপি-জামায়াতের জোটবদ্ধ শক্তিকে সাফল্যের সঙ্গেই মোকাবিলা করেছে সরকার। তাদের জোটবদ্ধ আন্দোলন ও অবস্থান সরকারের জন্য কোনো চ্যালেঞ্জই সৃষ্টি করতে পারেনি। তারপরও নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের বিচ্ছিন্নতা যতই দীর্ঘ হবে, সরকার ও সরকারি দলের জন্য ততই সুবিধা তো বটেই।
তবে জামায়াত হাত গুটিয়ে বসে থাকার মতো দল নয়। কোনো জোটভুক্ত না হলেও সে সুবিধাজনক সময় নিজস্ব শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে রাজপথে নামবে। বিএনপিও হয়তো সেই অপেক্ষাতেই থাকবে। কারণ, রাজপথে নামলে তো দুই দলের দেখা হবেই। হয়তো সেই রাজপথেই তৈরি হবে দুই দলের সম্পর্কের নতুন রসায়ন।
অরুণ কর্মকার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক
পৃথিবীতে কোনো সম্পর্কই বোধ হয় চিরকাল একই ধারায় সরলরেখায় চলে না। সম্পর্কের রসায়নে পরিবর্তন একটি অবশ্যম্ভাবী বিষয়। তা সে সম্পর্ক ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিংবা সামাজিক যে গোত্রেরই হোক না কেন। আর সম্পর্কটি রাজনৈতিক হলে তো কথাই নেই। কারণ রাজনীতিতে শেষ কথা বলে যেমন কিছু নেই, তেমনি নানা রকম কূটকৌশল, চাতুর্য প্রভৃতিও রাজনীতিতে সিদ্ধ ও স্বীকৃত।
পৃথিবীতে বহু মানুষ বিশ্বাস করে যে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, এমনকি সামাজিক সম্পর্কের দোলাচলেও রাশিচক্র এবং গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানগত প্রভাব রয়েছে। তারা সেই সব বিচার-বিশ্লেষণ করে সম্পর্কের রসায়ন ঠিকঠাক করার ও রাখার ব্যবস্থা নেয়। তবে রাজনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই তরিকা খাটে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পর্কের মৌলিক নির্ণায়ক হচ্ছে নীতি-আদর্শ এবং লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের নৈকট্য। আর কার্যক্ষেত্রে নির্ণায়ক হলো সমকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সেই পরিস্থিতি অনুযায়ী সময়-সময় রাজনৈতিক দলগুলোর অনুসৃত কৌশল। বলা বাহুল্য যে এই কৌশল সতত পরিবর্তনশীল।
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নীতি-আদর্শ এবং লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের নৈকট্য অনস্বীকার্য। আরও কোনো কোনো দল কিংবা অনেক দলের সঙ্গেই জামায়াতের এই নৈকট্য থাকতে পারে। তবে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সেই পরিস্থিতি অনুযায়ী দল দুটির অনুসৃত কৌশল। জামায়াত দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে জোটবদ্ধ ছিল। সরকার গঠন ও রাষ্ট্রক্ষমতা ভাগাভাগিতেও বিএনপি-জামায়াত এক জোট হয়েছিল।
এটা সম্ভব হয়েছিল দল দুটির নীতি-আদর্শ ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের নৈকট্যের কারণেই। দল দুটির মধ্যে মৌলিক বিষয়ে এই নৈকট্য এখনো সমানভাবে বিদ্যমান। হয়তো চিরদিনই তা-ই বহমান থাকবে। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপি এবং জামায়াতের গৃহীত ও অনুসৃত কৌশল তাদের দৃশ্যত কিছুটা দূরবর্তী অবস্থান নিতে বাধ্য করেছে। এই কারণে তাদের মধ্যকার সম্পর্কের রসায়নে যে দোলাচল জনসমক্ষে দৃশ্যমান, তা কি দল দুটির মধ্যকার প্রকৃত সম্পর্ক নির্ণয় করে? এ প্রশ্নটি এখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের একটি জনপ্রিয় আলোচ্য বিষয়।
এ কথা সবারই জানা যে জামায়াতে ইসলামী এখন আর বিএনপির সঙ্গে কোনো জোটে নেই। বিএনপি অন্য যেসব দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ, তাদের কারও সঙ্গেই জামায়াতের রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা দৃশ্যমান নয়। বিএনপি সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর জামায়াত কয়েকটি কর্মসূচিতে মাঠে নামলেও পরে অন্তত দুটি কর্মসূচিতে আর তাদের দেখা পাওয়া যায়নি। এই যে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচিতে সাড়া দিয়েও আবার নিজেদের গুটিয়ে নেওয়া, এ কি শুধু জামায়াতের ইচ্ছাতেই করা হয়েছে? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, সাড়া দেওয়াটা ছিল একান্তই জামায়াতের সিদ্ধান্ত। কিন্তু গুটিয়ে নেওয়ার পেছনে বিএনপির ইশারা ছিল।
এ রকম ধারণা করার কারণ বিএনপির অনুসৃত বর্তমান রাজনৈতিক কৌশল। আপাতত বিএনপি কোনোভাবেই চায় না যে জামায়াতের সঙ্গে তাদের ন্যূনতম সম্পর্ক, সমঝোতা, এমনকি যোগাযোগ থাকার বিষয়েও কারও মনে কোনো রকম সন্দেহ পর্যন্ত সৃষ্টি হোক। এই রাজনৈতিক কৌশলের কারণেই বিএনপি একতরফা জামায়াতকে জোট থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির জোটবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে ও আন্তর্জাতিক মহলে যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিটি রয়েছে, বিএনপি তারও পরিবর্তন চায়। একই সঙ্গে জামায়াত ছাড়াই যে সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য বিএনপি যথেষ্ট শক্তিশালী, সেটাও তারা প্রমাণ করতে চায়। তাই জামায়াতকে নিরাপদ দূরত্বেই রাখতে চায় বিএনপি।
কিন্তু জামায়াতেরও তো রাজনীতি আছে। বিএনপি চায় বলেই তারা একেবারে দূরবর্তী অবস্থানে নিঃসঙ্গ বসে অপেক্ষা করবে, তা তো নাও হতে পারে। সেই কারণে বিএনপি নেতৃত্বের মধ্যে একটু ভয়ের ভাবও আছে। দূরে থাকতে থাকতে জামায়াত যেন তাদের কাছ থেকে একেবারে সুদূরে হারিয়ে না যায়, জাতীয় রাজনীতিতে যেন নতুন কোনো মেরুকরণ না ঘটে, সে ব্যাপারেও বিএনপি নিশ্চিন্ত থাকতে চায়। তাই তাদের অনুসৃত রাজনৈতিক কৌশলের বিষয়টি জামায়াতকে অবহিত করা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। কোনো রকম যোগাযোগ ছাড়া তো সেটি সম্ভব নয়!
কিন্তু এই যোগাযোগ দলীয়ভাবে আনুষ্ঠানিক হলে তা জনসমক্ষে দৃশ্যমান হতে বাধ্য। তাই এই যোগাযোগও হতে পারে দুই দলের নেতাদের মধ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে। সমমনা কিংবা বৈরীনির্বিশেষে যেকোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অন্য যেকোনো রাজনৈতিক দলের এ ধরনের যোগাযোগ অস্বাভাবিক নয়। রাজনীতিতে তা অসিদ্ধও নয়। কাজেই ধরে নেওয়া যায় যে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির এ ধরনের যোগাযোগ রয়েছে। এ ধরনের যোগাযোগের জন্য বিএনপির একটি লিয়াজোঁ কমিটিও আছে। এই যোগাযোগের ফল বা ফসল হয়তো দৃশ্যমান হবে সরকারবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে। সেটা এখনো কিছুটা সময়সাপেক্ষ।
জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির বর্তমান দূরবর্তী সম্পর্ক সরকার তথা সরকারি দলের জন্য কিছুটা হলেও সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। তারা জোট বিচ্ছিন্ন জামায়াতকে যেমন চাপে রেখেছে, তেমনি জামায়াতহীন বিএনপিকেও অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ পেয়েছে। অবশ্য বিএনপি এবং জামায়াত জোটবদ্ধ হলেই যে সরকার এবং সরকারি দলের জন্য তা খুব দুশ্চিন্তার বিষয়, তা নয়। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে বিএনপি-জামায়াতের জোটবদ্ধ শক্তিকে সাফল্যের সঙ্গেই মোকাবিলা করেছে সরকার। তাদের জোটবদ্ধ আন্দোলন ও অবস্থান সরকারের জন্য কোনো চ্যালেঞ্জই সৃষ্টি করতে পারেনি। তারপরও নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের বিচ্ছিন্নতা যতই দীর্ঘ হবে, সরকার ও সরকারি দলের জন্য ততই সুবিধা তো বটেই।
তবে জামায়াত হাত গুটিয়ে বসে থাকার মতো দল নয়। কোনো জোটভুক্ত না হলেও সে সুবিধাজনক সময় নিজস্ব শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে রাজপথে নামবে। বিএনপিও হয়তো সেই অপেক্ষাতেই থাকবে। কারণ, রাজপথে নামলে তো দুই দলের দেখা হবেই। হয়তো সেই রাজপথেই তৈরি হবে দুই দলের সম্পর্কের নতুন রসায়ন।
অরুণ কর্মকার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে