সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে নির্ধারিত সময়ে মেয়াদোত্তীর্ণ সব সিএনজিচালিত অটোরিকশা না ভাঙায় সরকার রাজস্ব হারিয়েছে আনুমানিক কোটি টাকা। অভিযোগ রয়েছে, এটা নিয়েও গড়িমসি করছে বিআরটিএ।
জানা গেছে, ২২ ফেব্রুয়ারি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ইকোনমিক লাইফ ফুরিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম মহানগরে ১ হাজার ৫টি অটোরিকশা স্ক্র্যাপ ও প্রতিস্থাপনের বিষয়ে বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেয়। নির্দেশনায় ৩০ জুনের মধ্যে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য বলা হয়। সেই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনায় কার্যক্রমটির বাস্তবায়নের বিষয়ে তিনটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। নির্দেশনার প্রায় এক মাস হতে চললেও বিআরটিএর পক্ষ থেকে এখনো কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে বিআরটিএর পরিচালক (ইঞ্জি) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কবে নাগাদ ভাঙার কাজ শুরু হতে পারে, তা চেয়ারম্যান ভালো বলতে পারবেন।’
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলের জন্য ১৩ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা অনুমোদন দেয় বিআরটিএ। এসব গাড়ির ইকোনমিক লাইফ ধরা হয়েছিল ১৫ বছর। পরিবেশগত ক্ষতির প্রভাবমুক্ত ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে ইকোনমিক লাইফ ফুরিয়ে যাওয়া পুরোনো অটোরিকশা প্রতিস্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। এর ধারাবাহিকতায় ঢাকা মহানগরের পাশাপাশি চট্টগ্রামেও ২০১৮ সালে ৭ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজিচালিত অটোরিকশা রাস্তা থেকে তুলে ভেঙে ফেলা এবং তার বদলে নতুন গাড়ি রাস্তায় নামায় চট্টগ্রাম বিআরটিএ।
চট্টগ্রামে ২০০১, ২০০২, ২০০৩ ও ২০০৪ মডেলে প্রস্তুত করা এমন ১১ হাজার ৮২৯টি সিএনজিচালিত অটোরিকশার ইতিমধ্যে স্ক্র্যাপ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ইকোনমিক লাইফ ফুরিয়ে যাওয়া আরও ১ হাজার ১৭১টি মেয়াদোত্তীর্ণ অটোরিকশার ভাঙার কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে রয়েছে। বর্তমানে শহরের রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে এসব অটোরিকশা।
২০০৫ ও ২০০৬ সালে প্রস্তুত করা এসব গাড়ির ২০২০ ও ২০২১ সালে ৩১ ডিসেম্বর ইকোনমিক লাইফ ফুরিয়ে গেছে।
জানা গেছে, বর্তমানে স্ক্র্যাপের জন্য নির্দেশনা দেওয়া ১ হাজার ৫টি গাড়ির মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি ছাড়া সব কটিই ২০০৫ মডেলের। এসব গাড়ির মেয়াদ এক বছর আগে শেষ হয়েছে।
বিআরটিএ চট্টগ্রাম মেট্রোর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) তৌহিদুল হোসেন বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজি ভাঙার ব্যাপারে প্রধান কার্যালয় থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা পেলে ভাঙার কাজ শুরু করা হবে।
চট্টগ্রাম বিআরটিএ কর্মকর্তার তথ্যমতে, একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে বছরে ৭ হাজার ৫০০ টাকা রাজস্ব পায় সরকার।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন কারণে এসব গাড়ির স্ক্র্যাপ শুরু না হওয়ায় পরিবেশগত ঝুঁকির পাশাপাশি বর্তমানে বিপজ্জনক হিসেবে দেখা দিয়েছে। ইকোনমিক লাইফ ফুরিয়ে যাওয়ায় গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এই অবস্থায়ই গাড়িগুলো নগরীর বিভিন্ন সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের চট্টগ্রামের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খোকন বলেন, বিলম্বের কারণে সরকার, গাড়িচালক ও মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ইকোনমিক লাইফ ফুরিয়ে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশার ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিটসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে বিআরটিএ। পেটের তাগিদে মালিকেরা না পারছেন গাড়ি বসিয়ে রাখতে, আবার রাস্তায় গাড়ি চললে গুনতে হয় মোটা অঙ্কের জরিমানা।
চট্টগ্রামে নির্ধারিত সময়ে মেয়াদোত্তীর্ণ সব সিএনজিচালিত অটোরিকশা না ভাঙায় সরকার রাজস্ব হারিয়েছে আনুমানিক কোটি টাকা। অভিযোগ রয়েছে, এটা নিয়েও গড়িমসি করছে বিআরটিএ।
জানা গেছে, ২২ ফেব্রুয়ারি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ইকোনমিক লাইফ ফুরিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম মহানগরে ১ হাজার ৫টি অটোরিকশা স্ক্র্যাপ ও প্রতিস্থাপনের বিষয়ে বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেয়। নির্দেশনায় ৩০ জুনের মধ্যে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য বলা হয়। সেই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনায় কার্যক্রমটির বাস্তবায়নের বিষয়ে তিনটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। নির্দেশনার প্রায় এক মাস হতে চললেও বিআরটিএর পক্ষ থেকে এখনো কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে বিআরটিএর পরিচালক (ইঞ্জি) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কবে নাগাদ ভাঙার কাজ শুরু হতে পারে, তা চেয়ারম্যান ভালো বলতে পারবেন।’
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলের জন্য ১৩ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা অনুমোদন দেয় বিআরটিএ। এসব গাড়ির ইকোনমিক লাইফ ধরা হয়েছিল ১৫ বছর। পরিবেশগত ক্ষতির প্রভাবমুক্ত ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে ইকোনমিক লাইফ ফুরিয়ে যাওয়া পুরোনো অটোরিকশা প্রতিস্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। এর ধারাবাহিকতায় ঢাকা মহানগরের পাশাপাশি চট্টগ্রামেও ২০১৮ সালে ৭ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজিচালিত অটোরিকশা রাস্তা থেকে তুলে ভেঙে ফেলা এবং তার বদলে নতুন গাড়ি রাস্তায় নামায় চট্টগ্রাম বিআরটিএ।
চট্টগ্রামে ২০০১, ২০০২, ২০০৩ ও ২০০৪ মডেলে প্রস্তুত করা এমন ১১ হাজার ৮২৯টি সিএনজিচালিত অটোরিকশার ইতিমধ্যে স্ক্র্যাপ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ইকোনমিক লাইফ ফুরিয়ে যাওয়া আরও ১ হাজার ১৭১টি মেয়াদোত্তীর্ণ অটোরিকশার ভাঙার কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে রয়েছে। বর্তমানে শহরের রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে এসব অটোরিকশা।
২০০৫ ও ২০০৬ সালে প্রস্তুত করা এসব গাড়ির ২০২০ ও ২০২১ সালে ৩১ ডিসেম্বর ইকোনমিক লাইফ ফুরিয়ে গেছে।
জানা গেছে, বর্তমানে স্ক্র্যাপের জন্য নির্দেশনা দেওয়া ১ হাজার ৫টি গাড়ির মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি ছাড়া সব কটিই ২০০৫ মডেলের। এসব গাড়ির মেয়াদ এক বছর আগে শেষ হয়েছে।
বিআরটিএ চট্টগ্রাম মেট্রোর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) তৌহিদুল হোসেন বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজি ভাঙার ব্যাপারে প্রধান কার্যালয় থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা পেলে ভাঙার কাজ শুরু করা হবে।
চট্টগ্রাম বিআরটিএ কর্মকর্তার তথ্যমতে, একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে বছরে ৭ হাজার ৫০০ টাকা রাজস্ব পায় সরকার।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন কারণে এসব গাড়ির স্ক্র্যাপ শুরু না হওয়ায় পরিবেশগত ঝুঁকির পাশাপাশি বর্তমানে বিপজ্জনক হিসেবে দেখা দিয়েছে। ইকোনমিক লাইফ ফুরিয়ে যাওয়ায় গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এই অবস্থায়ই গাড়িগুলো নগরীর বিভিন্ন সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের চট্টগ্রামের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খোকন বলেন, বিলম্বের কারণে সরকার, গাড়িচালক ও মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ইকোনমিক লাইফ ফুরিয়ে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশার ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিটসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে বিআরটিএ। পেটের তাগিদে মালিকেরা না পারছেন গাড়ি বসিয়ে রাখতে, আবার রাস্তায় গাড়ি চললে গুনতে হয় মোটা অঙ্কের জরিমানা।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪