সম্পাদকীয়
নভেরা আহমেদকে বাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্যশিল্পের অন্যতম অগ্রদূত বলা হয়। তিনি বিংশ শতাব্দীর প্রথম বাংলাদেশি আধুনিক ভাস্কর এবং শহীদ মিনারের অন্যতম নকশাকার ছিলেন। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে ভাস্কর হিসেবে নিজের একটা দৃঢ় অবস্থান তৈরি করতে সমর্থ হয়েছিলেন তিনি।
নভেরার জন্ম সুন্দরবনে ১৯৩৯ সালের ২৯ মার্চ। তবে পৈতৃক বাড়ি ছিল চট্টগ্রামে। বাবার চাকরিসূত্রে কলকাতায় অবস্থানকালে সেখানকার লরেটা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন তিনি। এরপর চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। পরে আইন পড়ার জন্য লন্ডনে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি ১৯৫১ সালে ভর্তি হন ‘ক্যাম্বারওয়েল স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটস’-এ, ‘ডিপ্লোমা ইন মডেলিং ও স্কাল্পচার’ কোর্সে। সেখান থেকে ডিপ্লোমা শেষ করার পর তিনি ইতালির ফ্লোরেন্স ও ভেনিসে ভাস্কর্য বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন।
শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৬ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। সে সময়ে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ চলছিল। ভাস্কর হামিদুর রাহমান ও নভেরা আহমেদ এটার প্রাথমিক নকশা প্রণয়ন করেন।
নভেরার প্রথম একক ভাস্কর্য প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬০ সালের ৭ আগস্ট ঢাকার কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে। দ্বিতীয় একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালে ব্যাংককে। এই প্রদর্শনী ছিল ধাতব ভাস্কর্যের প্রথম মুক্ত প্রদর্শনী। এরপর ১৯৭৩ সালের জুলাইয়ে তাঁর তৃতীয় একক প্রদর্শনী হয়েছিল প্যারিসের রিভগেস গ্যালারিতে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে সব কাজ নিয়ে ১০০ দিনব্যাপী একটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্যারিসে।
১৯৭৩ সালে দেশ ত্যাগ করার পর প্যারিসে বসবাসকালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান। বিশেষ করে বাঙালিদের সংসর্গ এড়িয়ে চলেছেন।
নভেরার ভাস্কর্যের মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে ‘চাইল্ড ফিলোসফার’, ‘মা ও শিশু’, ‘এক্সটার্মিনেটিং অ্যাঞ্জেল’, ‘পরিবার’, ‘যুগল’, ‘ইকারুস’, ‘জেব্রা ক্রসিং’ ইত্যাদি। এ ছাড়া ১৯৭৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্যারিসে তিনি বেশ কিছু ছবি এঁকেছিলেন এবং তাঁর মৃত্যুর পর ৪৩টি চিত্রকর্মের খোঁজ পাওয়া যায়।
নভেরা আহমেদকে বাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্যশিল্পের অন্যতম অগ্রদূত বলা হয়। তিনি বিংশ শতাব্দীর প্রথম বাংলাদেশি আধুনিক ভাস্কর এবং শহীদ মিনারের অন্যতম নকশাকার ছিলেন। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে ভাস্কর হিসেবে নিজের একটা দৃঢ় অবস্থান তৈরি করতে সমর্থ হয়েছিলেন তিনি।
নভেরার জন্ম সুন্দরবনে ১৯৩৯ সালের ২৯ মার্চ। তবে পৈতৃক বাড়ি ছিল চট্টগ্রামে। বাবার চাকরিসূত্রে কলকাতায় অবস্থানকালে সেখানকার লরেটা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন তিনি। এরপর চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। পরে আইন পড়ার জন্য লন্ডনে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি ১৯৫১ সালে ভর্তি হন ‘ক্যাম্বারওয়েল স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটস’-এ, ‘ডিপ্লোমা ইন মডেলিং ও স্কাল্পচার’ কোর্সে। সেখান থেকে ডিপ্লোমা শেষ করার পর তিনি ইতালির ফ্লোরেন্স ও ভেনিসে ভাস্কর্য বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন।
শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৬ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। সে সময়ে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ চলছিল। ভাস্কর হামিদুর রাহমান ও নভেরা আহমেদ এটার প্রাথমিক নকশা প্রণয়ন করেন।
নভেরার প্রথম একক ভাস্কর্য প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬০ সালের ৭ আগস্ট ঢাকার কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে। দ্বিতীয় একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালে ব্যাংককে। এই প্রদর্শনী ছিল ধাতব ভাস্কর্যের প্রথম মুক্ত প্রদর্শনী। এরপর ১৯৭৩ সালের জুলাইয়ে তাঁর তৃতীয় একক প্রদর্শনী হয়েছিল প্যারিসের রিভগেস গ্যালারিতে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে সব কাজ নিয়ে ১০০ দিনব্যাপী একটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্যারিসে।
১৯৭৩ সালে দেশ ত্যাগ করার পর প্যারিসে বসবাসকালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান। বিশেষ করে বাঙালিদের সংসর্গ এড়িয়ে চলেছেন।
নভেরার ভাস্কর্যের মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে ‘চাইল্ড ফিলোসফার’, ‘মা ও শিশু’, ‘এক্সটার্মিনেটিং অ্যাঞ্জেল’, ‘পরিবার’, ‘যুগল’, ‘ইকারুস’, ‘জেব্রা ক্রসিং’ ইত্যাদি। এ ছাড়া ১৯৭৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্যারিসে তিনি বেশ কিছু ছবি এঁকেছিলেন এবং তাঁর মৃত্যুর পর ৪৩টি চিত্রকর্মের খোঁজ পাওয়া যায়।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪