বিরস
রেল যোগাযোগে পিছিয়ে থাকা এক দেশে নির্বাচন শেষে বিজয়ী দলের মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণের পর নতুন রেলমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলেন, ‘নতুন রেলমন্ত্রী হিসেবে আপনি কোন বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিতে চান? যাত্রীদের আরামদায়ক রেলভ্রমণ উপহার দেওয়া, নাকি রেলের সময়সূচি ঠিক করা, যাতে মানুষ আর তামাশা করে বলতে না পারে, ১০টার ট্রেন কয়টায় আসে?’
রেলমন্ত্রীর স্বতঃস্ফূর্ত জবাব, ‘আমি প্রথমেই বিরোধী দলের প্রত্যেক সদস্যকে বিনা মূল্যে রেলের একটি করে টিকিট দিতে চাই।’ সাংবাদিকদের অবাক হতে দেখে রেলমন্ত্রীর ঝটপট জবাব, ‘অবশ্য সবগুলোই হবে ওয়ানওয়ে টিকিট।’
খ. আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন বিচার-বিবেচনাহীনভাবে সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়াকে নিরুৎসাহিত করার জন্য একটি গল্প বলতেন। গল্পটি এমন: একদিন এক নৈশভোজে অতিসাধারণ এক ব্যক্তির সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। আমি জানতে পারি ওই ভদ্রলোক তিন-তিনটে সম্মানসূচক ডিগ্রির অধিকারী। এই তথ্য জেনে আমাকে বিস্মিত হতে দেখে ভদ্রলোক বললেন, খুব সহজেই আমি এই তিনটি ডিগ্রি পেয়েছি। আমাকে তৃতীয় ডিগ্রিটি দেওয়া হয়েছিল, কারণ আমার আরও দুটি ডিগ্রি আছে। দ্বিতীয়টি দেওয়া হয়েছিল, কারণ আমি এর আগে আরও একটি ডিগ্রি পেয়েছি। আর প্রথমটি দেওয়া হয়েছিল, আমার একটিও ডিগ্রি ছিল না বলে।
গ. এক শাশুড়ি তাঁর তিন জামাতাকে একটি পরীক্ষার মুখে ফেলে তাঁর প্রতি জামাতাদের ভালোবাসা কতটা খাঁটি, তা পরীক্ষা করতে মনস্থির করলেন।
প্রথম দিন বড় জামাতাকে নিয়ে পুকুরপাড়ে বেড়াতে গিয়ে হঠাৎ তিনি পুকুরে ঝাঁপ দিলেন। জামাতা তখনই পুকুরে লাফ দিয়ে নেমে শাশুড়িকে ওপরে নিয়ে এসে তাঁকে প্রাণে বাঁচালেন। শাশুড়ি খুশি হয়ে বড় জামাতাকে একটি গাড়ি উপহার দিলেন।
দ্বিতীয় দিন শাশুড়ি পরীক্ষা করতে নিয়ে গেলেন মেজো জামাতাকে। একইভাবে পুকুরে ঝাঁপ দিলেন এবং এ জামাতাও তাঁকে বাঁচাতে পানিতে নেমে পাড়ে তুলে আনলেন। শাশুড়ি এ জামাতাকে একটি বাইক উপহার দিলেন।
তৃতীয় দিন পরীক্ষা ছোট জামাতার। আগের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে ছোট জামাতা ভাবলেন, তাঁর কপালে হয়তো একটি বাইসাইকেল জুটবে। একটি সাইকেলের জন্য শাশুড়িকে বাঁচাতে পানিতে নামতে গরজ বোধ করলেন না ছোট জামাতা। শাশুড়ি পানিতে ডুবে মারা গেলেন।
পরের দিন শ্বশুর সাহেব ছোট জামাতাকে নিয়ে রাজধানীতে গিয়ে তাঁকে একটি দামি বিএমডব্লিউ গাড়ি কিনে দিলেন।
ঘ. বছর দশেক বয়সের এক বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে একটি ডিজিটাল স্টুডিওতে ছবি তুলতে এসেছেন এক মা।
ফটোগ্রাফার বাচ্চাটিকে শান্ত রাখতে তাকে উদ্দেশ করে বললেন, ‘বাবু, আমার দিকে চুপচাপ তাকিয়ে থাকো। নড়াচড়া করবে না, তাহলে কিন্তু এখনই ক্যামেরা থেকে কবুতর বেরিয়ে আসবে।’
বাচ্চাটি একটুও না ঘাবড়ে উল্টো জবাব দিল, ‘পাগলের মতো ছেলে ভোলানো গল্প না বলে নিজের কাজ মনোযোগ দিয়ে করুন। ফোকাস অ্যাডজাস্ট করুন। পোর্ট্রেট মোড ব্যবহার ঠিকঠাক মতো করুন। হাই রেজল্যুশন ফটো না হলে টাকা পাবেন না। আর যা নয় তা বলে বাচ্চাদের বিভ্রান্ত করবেন না। আশির দশকের বাচ্চা পেয়েছেন নাকি? ক্যামেরার ভেতর কি আপনার দাদু কবুতর রেখেছেন যে বের হবে? পাগল কোথাকার!’
ফটোগ্রাফার থ।
ঙ. সদ্য অবসরে গিয়েছেন একজন চাকরিজীবী। ছোটবেলার এক বন্ধুকে ফোন করে আড্ডার আমন্ত্রণ জানালেন। বন্ধু না এসে পারলেন না। এ গল্প-সে গল্পের পর বন্ধুটি জানতে চাইলেন, ‘সারা জীবন তো ছোটাছুটি কম করলি না, কী পেলি শেষকালে?’
অবসরপ্রাপ্ত বন্ধুর জবাব: ভয়।
‘ভয়?’ বন্ধুর বিস্ময়! ‘মানে কী?’
-হ্যাঁ দোস্ত, আজীবন ভয়ই পেয়ে গেলাম।
-বুঝলাম না। একটু খোলাসা করে বল।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বন্ধুর জবাব: ছোটবেলায় ভয় পেয়েছি মা-বাবাকে। শিক্ষাজীবনে শিক্ষকদের ভয়ে জড়সড় থেকেছি। আর পুরো চাকরিজীবনে বসের ভয়ে কাটল। এখন অবসর নিয়ে বুড়ো বয়সের রোগভোগের ভয়ে তটস্থ আছি।
বন্ধু গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন, ‘মাঝে সংসারজীবনের কথাটি বাদ গেল মনে হয়?’
ভেতরের দিকে সতর্কভাবে চোখ বুলিয়ে নিচুস্বরে নিরুত্তাপ উত্তর: ওটাও ভয়েই বলিনি।
রেল যোগাযোগে পিছিয়ে থাকা এক দেশে নির্বাচন শেষে বিজয়ী দলের মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণের পর নতুন রেলমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলেন, ‘নতুন রেলমন্ত্রী হিসেবে আপনি কোন বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিতে চান? যাত্রীদের আরামদায়ক রেলভ্রমণ উপহার দেওয়া, নাকি রেলের সময়সূচি ঠিক করা, যাতে মানুষ আর তামাশা করে বলতে না পারে, ১০টার ট্রেন কয়টায় আসে?’
রেলমন্ত্রীর স্বতঃস্ফূর্ত জবাব, ‘আমি প্রথমেই বিরোধী দলের প্রত্যেক সদস্যকে বিনা মূল্যে রেলের একটি করে টিকিট দিতে চাই।’ সাংবাদিকদের অবাক হতে দেখে রেলমন্ত্রীর ঝটপট জবাব, ‘অবশ্য সবগুলোই হবে ওয়ানওয়ে টিকিট।’
খ. আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন বিচার-বিবেচনাহীনভাবে সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়াকে নিরুৎসাহিত করার জন্য একটি গল্প বলতেন। গল্পটি এমন: একদিন এক নৈশভোজে অতিসাধারণ এক ব্যক্তির সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। আমি জানতে পারি ওই ভদ্রলোক তিন-তিনটে সম্মানসূচক ডিগ্রির অধিকারী। এই তথ্য জেনে আমাকে বিস্মিত হতে দেখে ভদ্রলোক বললেন, খুব সহজেই আমি এই তিনটি ডিগ্রি পেয়েছি। আমাকে তৃতীয় ডিগ্রিটি দেওয়া হয়েছিল, কারণ আমার আরও দুটি ডিগ্রি আছে। দ্বিতীয়টি দেওয়া হয়েছিল, কারণ আমি এর আগে আরও একটি ডিগ্রি পেয়েছি। আর প্রথমটি দেওয়া হয়েছিল, আমার একটিও ডিগ্রি ছিল না বলে।
গ. এক শাশুড়ি তাঁর তিন জামাতাকে একটি পরীক্ষার মুখে ফেলে তাঁর প্রতি জামাতাদের ভালোবাসা কতটা খাঁটি, তা পরীক্ষা করতে মনস্থির করলেন।
প্রথম দিন বড় জামাতাকে নিয়ে পুকুরপাড়ে বেড়াতে গিয়ে হঠাৎ তিনি পুকুরে ঝাঁপ দিলেন। জামাতা তখনই পুকুরে লাফ দিয়ে নেমে শাশুড়িকে ওপরে নিয়ে এসে তাঁকে প্রাণে বাঁচালেন। শাশুড়ি খুশি হয়ে বড় জামাতাকে একটি গাড়ি উপহার দিলেন।
দ্বিতীয় দিন শাশুড়ি পরীক্ষা করতে নিয়ে গেলেন মেজো জামাতাকে। একইভাবে পুকুরে ঝাঁপ দিলেন এবং এ জামাতাও তাঁকে বাঁচাতে পানিতে নেমে পাড়ে তুলে আনলেন। শাশুড়ি এ জামাতাকে একটি বাইক উপহার দিলেন।
তৃতীয় দিন পরীক্ষা ছোট জামাতার। আগের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে ছোট জামাতা ভাবলেন, তাঁর কপালে হয়তো একটি বাইসাইকেল জুটবে। একটি সাইকেলের জন্য শাশুড়িকে বাঁচাতে পানিতে নামতে গরজ বোধ করলেন না ছোট জামাতা। শাশুড়ি পানিতে ডুবে মারা গেলেন।
পরের দিন শ্বশুর সাহেব ছোট জামাতাকে নিয়ে রাজধানীতে গিয়ে তাঁকে একটি দামি বিএমডব্লিউ গাড়ি কিনে দিলেন।
ঘ. বছর দশেক বয়সের এক বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে একটি ডিজিটাল স্টুডিওতে ছবি তুলতে এসেছেন এক মা।
ফটোগ্রাফার বাচ্চাটিকে শান্ত রাখতে তাকে উদ্দেশ করে বললেন, ‘বাবু, আমার দিকে চুপচাপ তাকিয়ে থাকো। নড়াচড়া করবে না, তাহলে কিন্তু এখনই ক্যামেরা থেকে কবুতর বেরিয়ে আসবে।’
বাচ্চাটি একটুও না ঘাবড়ে উল্টো জবাব দিল, ‘পাগলের মতো ছেলে ভোলানো গল্প না বলে নিজের কাজ মনোযোগ দিয়ে করুন। ফোকাস অ্যাডজাস্ট করুন। পোর্ট্রেট মোড ব্যবহার ঠিকঠাক মতো করুন। হাই রেজল্যুশন ফটো না হলে টাকা পাবেন না। আর যা নয় তা বলে বাচ্চাদের বিভ্রান্ত করবেন না। আশির দশকের বাচ্চা পেয়েছেন নাকি? ক্যামেরার ভেতর কি আপনার দাদু কবুতর রেখেছেন যে বের হবে? পাগল কোথাকার!’
ফটোগ্রাফার থ।
ঙ. সদ্য অবসরে গিয়েছেন একজন চাকরিজীবী। ছোটবেলার এক বন্ধুকে ফোন করে আড্ডার আমন্ত্রণ জানালেন। বন্ধু না এসে পারলেন না। এ গল্প-সে গল্পের পর বন্ধুটি জানতে চাইলেন, ‘সারা জীবন তো ছোটাছুটি কম করলি না, কী পেলি শেষকালে?’
অবসরপ্রাপ্ত বন্ধুর জবাব: ভয়।
‘ভয়?’ বন্ধুর বিস্ময়! ‘মানে কী?’
-হ্যাঁ দোস্ত, আজীবন ভয়ই পেয়ে গেলাম।
-বুঝলাম না। একটু খোলাসা করে বল।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বন্ধুর জবাব: ছোটবেলায় ভয় পেয়েছি মা-বাবাকে। শিক্ষাজীবনে শিক্ষকদের ভয়ে জড়সড় থেকেছি। আর পুরো চাকরিজীবনে বসের ভয়ে কাটল। এখন অবসর নিয়ে বুড়ো বয়সের রোগভোগের ভয়ে তটস্থ আছি।
বন্ধু গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন, ‘মাঝে সংসারজীবনের কথাটি বাদ গেল মনে হয়?’
ভেতরের দিকে সতর্কভাবে চোখ বুলিয়ে নিচুস্বরে নিরুত্তাপ উত্তর: ওটাও ভয়েই বলিনি।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১২ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে