মীর রাকিব হাসান
‘এসো গান শিখি’ অনুষ্ঠানের কোনো পরিবর্তন হয়েছে?
প্রোগ্রামের ফরম্যাট কখনোই পরিবর্তন করব না। মিঠু-মন্টি আসে, বাচ্চারা দুষ্টুমি করে। এটাই বছরের পর বছর অনুষ্ঠানের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য। এবারও যখন শুরু করেছি, বাচ্চারা বলেছে খালামণি মিঠু-মন্টি থাকবে তো? মিঠু-মন্টি বাচ্চাদের জন্য বিশেষ একটা আকর্ষণ। এবার প্রতি রোববার বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে হচ্ছে অনুষ্ঠানটি। আগে হতো শুক্রবার সকালে।
নতুন করে শুরু করায় কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন?
দুই সপ্তাহ হলো শুরু হয়েছে। এবার শুরুটা আউটডোরে করেছি। তাই রেকর্ডিংটা আমার মনের মতো পাইনি। সামনে স্টুডিওতে করব। নতুন করে শুরু করতে গিয়ে এতটুকুই সমস্যা হয়েছে। সবাই বলছিল আউটডোরে করলে নতুন কিছু হবে, তা-ই করলাম।
গান শেখা নিয়ে শিশু ও অভিভাবকদের আগ্রহ কেমন দেখছেন?
বাচ্চাদের মধ্যে সব সময়ই গান শেখার আগ্রহ ছিল। কিন্তু ১৫-১৬ জনের বেশি তো এই অনুষ্ঠানে সুযোগ দেওয়া যায় না। আগে গ্রামে গ্রামে গিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে দেখা করতাম। তাদের সঙ্গে গল্প করতাম। অনুষ্ঠানটি কেমন হলে ভালো হবে, সেসব নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গেও কথা বলতাম। এখন সেই সুযোগ পাই না। করোনা এবং বয়সের কারণে ঢাকার বাইরে যেতে পারছি না। এখনকার বাচ্চাদের লাইফস্টাইল নিজ চোখে দেখতে পারছি না। এটা আমাকে কিছুটা পীড়া দেয়।
কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
আগে প্রচুর চিঠিপত্র পেতাম। বিভিন্ন আবদার থাকত। এখন এত চ্যানেল, ছোটবেলা থেকেই শিশুদের এত কিছু করতে হয় যে ‘এসো গান শিখি’ নিয়ে আগের মতো উন্মাদনা দেখতে পাই না। এটাই হয়তো বাস্তবতা। তারপরও বাচ্চা কিংবা অভিভাবকদের মধ্যে এখনো আলাদা আবেদন আছে। এই ধরনের অনুষ্ঠানের চর্চা হওয়া উচিত।
‘এসো গান শিখি’র মতো অনুষ্ঠান তো টেলিভিশনে ওভাবে আসেনি…
দিনকে দিন বরং কমছে। শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় ও মানানসই অনুষ্ঠান হওয়া উচিত। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি এসব অনুষ্ঠান বাচ্চাদের আইকিউ মজবুত করতে পারে। আগে টিভি অনুষ্ঠান তৈরি হতো সব শ্রেণি, সব বয়সের মানুষের কথা ভেবে। এখনো তেমন প্ল্যানিং করে অনুষ্ঠান হয় কি না আমার জানা নেই।
প্রিয় ‘খালামণি’ হয়ে কী প্রাপ্তি?
১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর আমার গাওয়া গানের মধ্য দিয়েই শুরু হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনের পথচলা। আর ২৭ ডিসেম্বর গান শেখার আসর নামে শুরু হয় এ অনুষ্ঠানটি। এরপর সময়ের সঙ্গে বদলে যায় অনুষ্ঠানের নাম। এখনো যখন দেশে-বিদেশে অনুষ্ঠানে যাই, দেখা যায় সন্তান কোলে নিয়ে অনেকেই ছুটে এসে আমাকে বলছে, ‘খালামণি, আমি আপনার স্টুডেন্ট ছিলাম।’
এখন সময়টা কীভাবে কাটছে?
ব্যস্ততা আমার কখনোই কমেনি। এই অনুষ্ঠানটি নিয়ে তো অবশ্যই কিছু কাজ থাকে। আব্বাসউদ্দীন সংগীত একাডেমির ক্লাস নিচ্ছি অনলাইনে। বিদেশ থেকেও অনেক বাচ্চা যোগ হচ্ছে। সপ্তাহে দুই দিন ক্লাস নেওয়া হয়। টুকটাক লেখালেখি করছি। আমার আত্মকাহিনিটা শেষ করার চেষ্টা করছি। আশা করছি এই বছর শেষ করতে পারব। আমার একটা ইচ্ছে আছে, আব্বার (সংগীতশিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমেদ) গানের একটা বই তৈরি করার। সেই কাজটাও করার চেষ্টা করছি।
‘এসো গান শিখি’ অনুষ্ঠানের কোনো পরিবর্তন হয়েছে?
প্রোগ্রামের ফরম্যাট কখনোই পরিবর্তন করব না। মিঠু-মন্টি আসে, বাচ্চারা দুষ্টুমি করে। এটাই বছরের পর বছর অনুষ্ঠানের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য। এবারও যখন শুরু করেছি, বাচ্চারা বলেছে খালামণি মিঠু-মন্টি থাকবে তো? মিঠু-মন্টি বাচ্চাদের জন্য বিশেষ একটা আকর্ষণ। এবার প্রতি রোববার বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে হচ্ছে অনুষ্ঠানটি। আগে হতো শুক্রবার সকালে।
নতুন করে শুরু করায় কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন?
দুই সপ্তাহ হলো শুরু হয়েছে। এবার শুরুটা আউটডোরে করেছি। তাই রেকর্ডিংটা আমার মনের মতো পাইনি। সামনে স্টুডিওতে করব। নতুন করে শুরু করতে গিয়ে এতটুকুই সমস্যা হয়েছে। সবাই বলছিল আউটডোরে করলে নতুন কিছু হবে, তা-ই করলাম।
গান শেখা নিয়ে শিশু ও অভিভাবকদের আগ্রহ কেমন দেখছেন?
বাচ্চাদের মধ্যে সব সময়ই গান শেখার আগ্রহ ছিল। কিন্তু ১৫-১৬ জনের বেশি তো এই অনুষ্ঠানে সুযোগ দেওয়া যায় না। আগে গ্রামে গ্রামে গিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে দেখা করতাম। তাদের সঙ্গে গল্প করতাম। অনুষ্ঠানটি কেমন হলে ভালো হবে, সেসব নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গেও কথা বলতাম। এখন সেই সুযোগ পাই না। করোনা এবং বয়সের কারণে ঢাকার বাইরে যেতে পারছি না। এখনকার বাচ্চাদের লাইফস্টাইল নিজ চোখে দেখতে পারছি না। এটা আমাকে কিছুটা পীড়া দেয়।
কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
আগে প্রচুর চিঠিপত্র পেতাম। বিভিন্ন আবদার থাকত। এখন এত চ্যানেল, ছোটবেলা থেকেই শিশুদের এত কিছু করতে হয় যে ‘এসো গান শিখি’ নিয়ে আগের মতো উন্মাদনা দেখতে পাই না। এটাই হয়তো বাস্তবতা। তারপরও বাচ্চা কিংবা অভিভাবকদের মধ্যে এখনো আলাদা আবেদন আছে। এই ধরনের অনুষ্ঠানের চর্চা হওয়া উচিত।
‘এসো গান শিখি’র মতো অনুষ্ঠান তো টেলিভিশনে ওভাবে আসেনি…
দিনকে দিন বরং কমছে। শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় ও মানানসই অনুষ্ঠান হওয়া উচিত। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি এসব অনুষ্ঠান বাচ্চাদের আইকিউ মজবুত করতে পারে। আগে টিভি অনুষ্ঠান তৈরি হতো সব শ্রেণি, সব বয়সের মানুষের কথা ভেবে। এখনো তেমন প্ল্যানিং করে অনুষ্ঠান হয় কি না আমার জানা নেই।
প্রিয় ‘খালামণি’ হয়ে কী প্রাপ্তি?
১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর আমার গাওয়া গানের মধ্য দিয়েই শুরু হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনের পথচলা। আর ২৭ ডিসেম্বর গান শেখার আসর নামে শুরু হয় এ অনুষ্ঠানটি। এরপর সময়ের সঙ্গে বদলে যায় অনুষ্ঠানের নাম। এখনো যখন দেশে-বিদেশে অনুষ্ঠানে যাই, দেখা যায় সন্তান কোলে নিয়ে অনেকেই ছুটে এসে আমাকে বলছে, ‘খালামণি, আমি আপনার স্টুডেন্ট ছিলাম।’
এখন সময়টা কীভাবে কাটছে?
ব্যস্ততা আমার কখনোই কমেনি। এই অনুষ্ঠানটি নিয়ে তো অবশ্যই কিছু কাজ থাকে। আব্বাসউদ্দীন সংগীত একাডেমির ক্লাস নিচ্ছি অনলাইনে। বিদেশ থেকেও অনেক বাচ্চা যোগ হচ্ছে। সপ্তাহে দুই দিন ক্লাস নেওয়া হয়। টুকটাক লেখালেখি করছি। আমার আত্মকাহিনিটা শেষ করার চেষ্টা করছি। আশা করছি এই বছর শেষ করতে পারব। আমার একটা ইচ্ছে আছে, আব্বার (সংগীতশিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমেদ) গানের একটা বই তৈরি করার। সেই কাজটাও করার চেষ্টা করছি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৪ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪