মোবারক হোসেন খান
ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ খেপে গেলে তাঁকে বাগে আনা কঠিন ছিল। মাইহারে একবার বসেছে আসর। সরোদ বাজাবেন আলাউদ্দিন খাঁ। মহারাজা ছাড়াও তাঁর পারিষদেরা আছেন। অভ্যাগত অতিথিরাও এসে গেছেন। কাশ্মীরি গালিচায় বসেছেন আলাউদ্দিন খাঁ। মহারাজাদের মতো মাথায় পাগড়ি। পাশে নামজাদা তবলচি খলিফা আবিদ হুসেন খাঁ।
আলাপের পর ঢিমেতালে গৎ ধরলেন আলাউদ্দিন খাঁ। তবলচি তবলায় ঠেকা তুললেন। চোখ বন্ধ করে বাজাচ্ছেন আলাউদ্দিন খাঁ। সেটাই তাঁর অভ্যাস। কিন্তু একটু পরেই তিনি বুঝতে পারলেন, তবলচি অকারণেই লয় দ্রুত করে দিচ্ছেন। সরোদে তিনি লয় টেনে ধরতে চান, কিন্তু তবলচি তাঁর লয় বাড়িয়েই যেতে থাকেন। এবার চোখ খুললেন আলাউদ্দিন খাঁ। চোখ দুটো রাগে লাল হয়ে আছে। কোনো কথা বললেন না। বোঝা গেল, মেজাজ আর তাঁর নিয়ন্ত্রণে নেই। নিঃশব্দে পাগড়িটা মাথা থেকে খুলে রাখলেন। আসরের চারদিকে তাকালেন।
তারপর আবার চোখ বন্ধ করে জলদ গৎ ধরলেন। তারপর চলল সরোদ আর তবলার মধ্যে যুদ্ধ। কোনো দিকে ভ্রুক্ষেপ করলেন না আলাউদ্দিন খাঁ। চোখ বন্ধ করে বাজিয়ে যেতে থাকলেন। সরোদের তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে জেগে উঠল প্রাণ, তবলচি সংগত দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে যেতে লাগলেন। মহারাজা তবলচির দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলেন। দেখলেন তাঁর মুখের কষ বেয়ে ফেনা বের হচ্ছে! তবলার দিকে তাকিয়ে দেখলেন, আঙুল ফেটে বের হওয়া রক্তে তবলার চামড়া লাল হয়ে গেছে। তবলচির চোখ দুটো ঠিকরে বেরিয়ে আসছে।
একটু পর তবলা আর বায়ার ফাঁকে মুখ থুবড়ে পড়ে গেলেন তিনি। তবলা থেমে যেতেই সংবিৎ ফিরে পেলেন আলাউদ্দিন খাঁ। বাজাতে বাজাতেই দেখলেন, মহারাজা করজোড়ে তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। বাজনা শেষ করার আকুতি তাঁর চোখে-মুখে।
বাজনা থামল। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ তবলচিকে টেনে তুলে বললেন, ‘বাপুজি, জিন্দেগিমে আওর অ্যায়সা মাৎ কিজিয়ে।’
সূত্র: মোবারক হোসেন খান, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ও তাঁর পত্রাবলি, পৃষ্ঠা ৫৭-৫৮
ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ খেপে গেলে তাঁকে বাগে আনা কঠিন ছিল। মাইহারে একবার বসেছে আসর। সরোদ বাজাবেন আলাউদ্দিন খাঁ। মহারাজা ছাড়াও তাঁর পারিষদেরা আছেন। অভ্যাগত অতিথিরাও এসে গেছেন। কাশ্মীরি গালিচায় বসেছেন আলাউদ্দিন খাঁ। মহারাজাদের মতো মাথায় পাগড়ি। পাশে নামজাদা তবলচি খলিফা আবিদ হুসেন খাঁ।
আলাপের পর ঢিমেতালে গৎ ধরলেন আলাউদ্দিন খাঁ। তবলচি তবলায় ঠেকা তুললেন। চোখ বন্ধ করে বাজাচ্ছেন আলাউদ্দিন খাঁ। সেটাই তাঁর অভ্যাস। কিন্তু একটু পরেই তিনি বুঝতে পারলেন, তবলচি অকারণেই লয় দ্রুত করে দিচ্ছেন। সরোদে তিনি লয় টেনে ধরতে চান, কিন্তু তবলচি তাঁর লয় বাড়িয়েই যেতে থাকেন। এবার চোখ খুললেন আলাউদ্দিন খাঁ। চোখ দুটো রাগে লাল হয়ে আছে। কোনো কথা বললেন না। বোঝা গেল, মেজাজ আর তাঁর নিয়ন্ত্রণে নেই। নিঃশব্দে পাগড়িটা মাথা থেকে খুলে রাখলেন। আসরের চারদিকে তাকালেন।
তারপর আবার চোখ বন্ধ করে জলদ গৎ ধরলেন। তারপর চলল সরোদ আর তবলার মধ্যে যুদ্ধ। কোনো দিকে ভ্রুক্ষেপ করলেন না আলাউদ্দিন খাঁ। চোখ বন্ধ করে বাজিয়ে যেতে থাকলেন। সরোদের তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে জেগে উঠল প্রাণ, তবলচি সংগত দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে যেতে লাগলেন। মহারাজা তবলচির দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলেন। দেখলেন তাঁর মুখের কষ বেয়ে ফেনা বের হচ্ছে! তবলার দিকে তাকিয়ে দেখলেন, আঙুল ফেটে বের হওয়া রক্তে তবলার চামড়া লাল হয়ে গেছে। তবলচির চোখ দুটো ঠিকরে বেরিয়ে আসছে।
একটু পর তবলা আর বায়ার ফাঁকে মুখ থুবড়ে পড়ে গেলেন তিনি। তবলা থেমে যেতেই সংবিৎ ফিরে পেলেন আলাউদ্দিন খাঁ। বাজাতে বাজাতেই দেখলেন, মহারাজা করজোড়ে তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। বাজনা শেষ করার আকুতি তাঁর চোখে-মুখে।
বাজনা থামল। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ তবলচিকে টেনে তুলে বললেন, ‘বাপুজি, জিন্দেগিমে আওর অ্যায়সা মাৎ কিজিয়ে।’
সূত্র: মোবারক হোসেন খান, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ও তাঁর পত্রাবলি, পৃষ্ঠা ৫৭-৫৮
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে