শাইখ সিরাজ
অনেক প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা ও ঝুঁকির পরেও আমাদের দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদনের গতি বেশ ভালো। কৃষক শত সংকটের মধ্যেও একভাবে উতরে যাচ্ছেন, ফসলের ফলন ভালো হচ্ছে। দু-তিন বছরে ধানের সব কটি মৌসুমেই ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক। অন্যান্য ফল-ফসলের ফলনের হারও খারাপ নয়।
এ কথা সত্যি, পাঁচ-ছয় বছর ধরে শুধু কৃষি নয়, সব ক্ষেত্রেই জলবায়ু সম্পর্কে আমাদের টনক নড়েছে। সারা বিশ্বেই জলবায়ু বিষয়টি এখন সবচেয়ে আলোচিত এবং এক নম্বর ইস্যু হিসেবে গণ্য। আর এই ইস্যুতে আমরা আছি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায়। বিপর্যয় সহনশীলতার প্রশ্নে আমাদের কৃতিত্ব দৃষ্টান্তমূলক। তবে দিনের পর দিন আমাদের ঝুঁকি বাড়ছে।
উদ্বেগ বাড়ছে। বন্যা, লবণাক্ততা, খরা, ভূমিকম্পের ঝুঁকি সারাক্ষণই তাড়া করে ফিরছে। বেশি উদ্বেগের কারণ হলো, এসব বড় বিপর্যয় মোকাবিলা করার মতো শক্তি-সামর্থ্য বা প্রস্তুতি কোনো কিছুই আমাদের নেই। বড় চিন্তা জনসংখ্যা ও তাদের মুখের খাবার নিয়ে। এই ছোট্ট দেশের বিপুল জনগণ এখনো খাচ্ছে-দাচ্ছে, ঠিকমতো টিকে আছে। দুশ্চিন্তা-হতাশা আছে। এরপরও একেবারে করুণ কোনো দশায় পড়তে হচ্ছে না। কিন্তু সারা পৃথিবীই যেখানে জলবায়ুঝুঁকিতে সংকটাপন্ন, সেখানে আমাদের অবস্থানটি একটু বেশিই দুশ্চিন্তায় ফেলার মতো।
আমরা ভূপৃষ্ঠের অভ্যন্তরে এবং ওপরে—দুদিকেই বিপদের দিকে ধাবিত হচ্ছি। আন্তর্জাতিক সমীক্ষার তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে বন্যার ঝুঁকিতে প্রথম, সুনামিতে তৃতীয় এবং ঘূর্ণিঝড়ে ষষ্ঠ; যা বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা আবাদি জমি নষ্ট করছে এবং বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।
বাংলাদেশে জলবায়ু উদ্বাস্তুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি মৎস্য ও মৎস্যজীবীদের জীবনযাত্রাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নদীভাঙন ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে লাখ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। তারা শহরে পাড়ি জমাচ্ছে এবং সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করছে।
যে আশঙ্কার কথা বারবার উচ্চারিত হয় তা হচ্ছে, ২০৫০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক মিটার বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের ১৮ শতাংশ ভূমি পানির নিচে তলিয়ে যাবে। ২ কোটি মানুষ জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে এবং ৪ কোটির বেশি মানুষ তাদের জীবনযাত্রা হারিয়ে ফেলবে। বিজ্ঞানীদের মতে, ২০৫০ সাল নাগাদ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্বে ১০০ কোটি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বে। এসব চ্যালেঞ্জ এবং আশঙ্কার ভেতর আমরা আছি সবচেয়ে ভীতিকর একটি জায়গায়।
দেশের নদ-নদীগুলো এখন নাব্য হারিয়ে ফেলেছে। কৃষিকাজে অনুকূল সেচসুবিধা আজ নেই। একসময় শুধু বোরো মৌসুম সেচনির্ভর হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবেই এখন আমনসহ সব মৌসুমেই কৃত্রিম সেচ দিয়ে মেটাতে হচ্ছে ফসলের পানির চাহিদা। অথচ নদীর নাব্য না থাকার কারণে, নদ-নদীবেষ্টিত এলাকাগুলোতেও কৃষির আবাদ এখন আর অনুকূলে নেই। ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে নদী ও খাল খনন করে সেচের ব্যবস্থা জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সেচের প্রশ্নে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। সেচ নিয়ে প্রতিবছরই শুষ্ক মৌসুমে দেশের বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের হাহাকার চোখে পড়ে। দিনে দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও পানির স্তর এত বেশি নিচে নেমে গেছে যে এখন আর সেচপাম্প মাটির ওপরে স্থাপন করে পানি ওঠানো সম্ভব হচ্ছে না। কমপক্ষে ২০-৩০ ফুট গর্ত করে গভীরে স্থাপন করতে হচ্ছে পাম্প। আগামী দিনগুলোতে পরিস্থিতি কোথায় যাবে—এমন প্রশ্ন আর উদ্বেগ এখন সবখানে।
ফসলের ফলন বৃদ্ধির জন্য সর্বোচ্চ গবেষণার সাফল্যেরও একটি শেষ বলে কথা আছে; অর্থাৎ আমি বলতে চাইছি, প্রধান খাদ্যশস্যগুলোর উৎপাদনের হার উন্নত গবেষণার আলোকে আর কত দিন বাড়ানো সম্ভব হবে? স্থানীয় জাত থেকে উচ্চফলনশীল, উচ্চফলনশীল থেকে হাইব্রিড, হাইব্রিড থেকে সুপার হাইব্রিড। তারপরে কী?
মনে রাখা প্রয়োজন, ফলন বৃদ্ধির প্রয়াসের প্রায় চূড়ান্ত সীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বিশ্ব। যদিও আমরা অনেকটাই পিছিয়ে আছি। মাটির জৈবশক্তিরও সাধ্যসীমা আছে। একইভাবে আছে ফসলের ফলনেরও চূড়ান্ত সীমা। প্রযুক্তি ও জ্ঞানের উৎকর্ষে বিজ্ঞানীরা যেখানে পৌঁছেছেন, তাতে বড়জোর ১০-২০ বছর ফসলের বেশি ফলনের দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে। তারপর ফসলের ফলনের হার একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় এসে পৌঁছাবে। সেখান থেকে ফলন শুধু কমবেই, বাড়বে না।
কিন্তু জনসংখ্যা তো বাড়তেই থাকবে, কমতে থাকবে আবাদি জমি। মোটা দাগে যে কথা বলা হয়, বছরে ১ শতাংশ হারে জমি কমছে। ১০০ বছরের মাথায় এসে আবাদি জমি শূন্যে পৌঁছাবে। আর ধানের উৎপাদন আমরা হেক্টরপ্রতি ৩-৪ টন থেকে বাড়িয়ে হাইব্রিডে গিয়ে হয়তো চূড়ান্তভাবে ৭-৮ টনে করতে পারব। তাতেও সন্দেহ রয়েছে। কারণ আমাদের মাটির জৈব উপাদান কমতে কমতে এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে দেশের কয়েকটি অঞ্চলে তা চরমভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এতে ওই সব অঞ্চলে ফসল উৎপাদনই অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে। এর ওপরে বিভিন্নমুখী দূষণের কারণে মাটি ও পানিতে ‘হেভি মেটাল’ এবং ক্ষতিকর রাসায়নিকের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে; যা শুধু ফসল উৎপাদনকেই বন্ধ্যত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে না, ফসলের সঙ্গে মিশে মানবদেহের জন্যও মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনছে। সব মিলিয়ে আগামী দিনে ফসলের উৎপাদন যেসব প্রক্রিয়ায় ব্যাহত হবে, সেই একই প্রক্রিয়া মানুষের স্বাভাবিক জীবনচক্রে ফেলবে এক কঠিন ও নেতিবাচক প্রভাব।
বস্তুত এগুলোই কৃষি এবং খাদ্য উৎপাদনের চ্যালেঞ্জ। যে কারণে শুরুতে যে কথা বলেছি, কয়েক বছর আমাদের ফসল উৎপাদনের হার আশাব্যঞ্জক হলেও এই সাফল্য বর্তমানের এবং একে আগামীর নিরিখে বিবেচনা করা যাবে না। আর আগামীর খাদ্য উৎপাদনের প্রস্তুতি যদি এখনই না নেওয়া হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবেই এক কঠিন অবস্থায় পড়তে হবে আমাদের।
বলা বাহুল্য, আয়তনে ছোট, সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ কৃষিপ্রধান এ দেশটির জন্য ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনই উদ্বিগ্ন সারা বিশ্বের পরিবেশবিজ্ঞানী ও খাদ্যনিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বর্তমান সময় পর্যন্ত আমাদের টিকে থাকার যোগ্যতা ও পারদর্শিতায় প্রশংসা করলেও আগামীর প্রস্তুতির প্রশ্নে আমরা যে খুব ভালো জায়গায় নেই, তা এখনই স্পষ্ট।
দুর্যোগে সহনশীলতা অর্জনের জন্য দেশের গবেষণাপ্রতিষ্ঠানগুলো নানামুখী কাজ করে চলেছে। ইতিমধ্যে বন্যা, খরা ও লবণসহিষ্ণু ধানের জাত কৃষক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সেগুলো কৃষককে খুব বেশি সন্তুষ্ট করতে পারেনি বা পারছে না। ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট লবণসহিষ্ণু যে জাতগুলোর কথা বলছে, সেগুলো হচ্ছে খুলনা, বরিশাল, সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণাঞ্চলে আবাদের জন্য ব্রি-ধান-৫৩ ও ব্রি-ধান-৫৪, স্বল্পমেয়াদি ব্রি-ধান-৫৫ ও ব্রি-ধান-৫৬। ব্রি-ধান-৫৩ ও ৫৪ দুটি ডিএস-৮ মাত্রার লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। এর আগে আমন ধানের দুটি জাত ব্রি-ধান-৪১, ৪২ এবং বোরো জাতের ব্রি-ধান-৪৭ সর্বোচ্চ ডিএস-৬ মাত্রার লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। সত্যিকার অর্থে, লবণসহিষ্ণু এতগুলো জাতের কোনোটিই কৃষকের কাছে গিয়ে সন্তোষজনক ফলাফল দিতে পারেনি।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের আইলাকবলিত এলাকায় যেখানে লবণাক্ততার হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, সেখানে বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত লবণসহিষ্ণু জাতগুলো আবাদ করতে পারছেন না কৃষক। এর বদলে তাঁরা নিজেদের সংগৃহীত বহু পুরোনো স্থানীয় জাত আবাদ করে তুলনামূলক ভালো ফলন পাচ্ছেন।
বিজ্ঞানীরা নতুন উদ্ভাবিত জাতগুলো সম্পর্কে ল্যাবরেটরি ও গবেষণা মাঠের তথ্যের আলোকে ফলনের যে হিসাব দেন, কৃষকের মাঠে গিয়ে এর ব্যাপক হেরফের হয়। খোদ কৃষিমন্ত্রীও বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও কৃষকের মাঠপর্যায়ের ফলন পার্থক্য নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই দূরত্ব দূর করার জন্য বিজ্ঞানীদের আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু বাস্তব অর্থে এ ক্ষেত্রে খুব বেশি সাফল্য যে আসবে, এমন কথা বলা যাবে না।
বিভিন্ন ফসলের জলবায়ু সহনশীল জাত থেকে শুরু করে কৃষির বিভিন্নমুখী গবেষণা আরও জোরদার করা প্রয়োজন। দুর্যোগ যেকোনো সময়ই গ্রাস করতে পারে, তার জন্য একদিকে যেমন প্রয়োজন খাদ্যের মজুত রাখা, অন্যদিকে নতুনভাবে উঠে দাঁড়ানোর কৌশল নির্ধারণ। খাদ্য মজুত রাখার প্রশ্নেও আমাদের সীমাবদ্ধতা দূর করা দরকার।
বর্তমান সময় পর্যন্ত ১৫ লাখ টনের ঊর্ধ্বে মজুত বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এই মজুতে আমরা অনেক সময় সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও এটি সন্তুষ্টির কোনো কারণ হতে পারে না। খাদ্যশস্যের মজুত আরও বাড়ানো প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিন্তা করা উচিত আমরা অনেক আলোচনা করে, আয়োজন করে ‘সার্ক ফুড ব্যাংক’ করছি, কিন্তু নিজেদের দেশের মধ্যেই একটি ‘ফুড ব্যাংক’-এর কথা ভাবছি না। আমি মনে করি, অবশ্যই দেশে একটি ‘ফুড ব্যাংক’ স্থাপনের প্রয়োজন রয়েছে।
কৃষক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন ফসল উৎপাদনের উপকরণের উচ্চমূল্যে, আর উৎপাদিত পণ্যের নিম্নমূল্যের কারণে। একটি কথা মনে রাখা দরকার, আজকের দিনে জীবনযাপন যেখানে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, সেখানে কৃষক যদি বাণিজ্যিক কৃষিতে গিয়ে কোনোভাবে লাভবান না হতে পারেন, তাহলে তিনি কৃষি পেশা ছেড়ে অন্য পেশার দিকে ধাবিত হবেন। বিষয়টি বর্তমান সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বের সঙ্গে ভেবে দেখা প্রয়োজন। যেকোনো ফল-ফসলের মৌসুমের শুরুতেই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা লোকসানের শিকার হচ্ছেন।
এটি গোটা কৃষির জন্য একটি নেতিবাচক চিত্র। আগামীর সব ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা থেকে বাঁচানোর জন্য যে কৃষকের সম্মিলিত শক্তি সবচেয়ে আগে প্রয়োজন, তাঁদের বারবার হতাশ করে কোনো লক্ষ্যেই পৌঁছানো সম্ভব নয়। এ জন্য আগামীর খাদ্যনিরাপত্তার সব পরিকল্পনা নিতে হবে কৃষককে সঙ্গে নিয়ে, কৃষি উপকরণ আনতে হবে কৃষকের ক্রয়সীমার মধ্যে, আর নিশ্চিত করতে হবে পণ্যের সঠিক মূল্য। তাহলেই যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সার্বিক শক্তি নিয়ে প্রস্তুত হতে পারবেন কৃষক।
লেখক: পরিচালক ও বার্তাপ্রধান, চ্যানেল আই
অনেক প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা ও ঝুঁকির পরেও আমাদের দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদনের গতি বেশ ভালো। কৃষক শত সংকটের মধ্যেও একভাবে উতরে যাচ্ছেন, ফসলের ফলন ভালো হচ্ছে। দু-তিন বছরে ধানের সব কটি মৌসুমেই ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক। অন্যান্য ফল-ফসলের ফলনের হারও খারাপ নয়।
এ কথা সত্যি, পাঁচ-ছয় বছর ধরে শুধু কৃষি নয়, সব ক্ষেত্রেই জলবায়ু সম্পর্কে আমাদের টনক নড়েছে। সারা বিশ্বেই জলবায়ু বিষয়টি এখন সবচেয়ে আলোচিত এবং এক নম্বর ইস্যু হিসেবে গণ্য। আর এই ইস্যুতে আমরা আছি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায়। বিপর্যয় সহনশীলতার প্রশ্নে আমাদের কৃতিত্ব দৃষ্টান্তমূলক। তবে দিনের পর দিন আমাদের ঝুঁকি বাড়ছে।
উদ্বেগ বাড়ছে। বন্যা, লবণাক্ততা, খরা, ভূমিকম্পের ঝুঁকি সারাক্ষণই তাড়া করে ফিরছে। বেশি উদ্বেগের কারণ হলো, এসব বড় বিপর্যয় মোকাবিলা করার মতো শক্তি-সামর্থ্য বা প্রস্তুতি কোনো কিছুই আমাদের নেই। বড় চিন্তা জনসংখ্যা ও তাদের মুখের খাবার নিয়ে। এই ছোট্ট দেশের বিপুল জনগণ এখনো খাচ্ছে-দাচ্ছে, ঠিকমতো টিকে আছে। দুশ্চিন্তা-হতাশা আছে। এরপরও একেবারে করুণ কোনো দশায় পড়তে হচ্ছে না। কিন্তু সারা পৃথিবীই যেখানে জলবায়ুঝুঁকিতে সংকটাপন্ন, সেখানে আমাদের অবস্থানটি একটু বেশিই দুশ্চিন্তায় ফেলার মতো।
আমরা ভূপৃষ্ঠের অভ্যন্তরে এবং ওপরে—দুদিকেই বিপদের দিকে ধাবিত হচ্ছি। আন্তর্জাতিক সমীক্ষার তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে বন্যার ঝুঁকিতে প্রথম, সুনামিতে তৃতীয় এবং ঘূর্ণিঝড়ে ষষ্ঠ; যা বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা আবাদি জমি নষ্ট করছে এবং বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।
বাংলাদেশে জলবায়ু উদ্বাস্তুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি মৎস্য ও মৎস্যজীবীদের জীবনযাত্রাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নদীভাঙন ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে লাখ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। তারা শহরে পাড়ি জমাচ্ছে এবং সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করছে।
যে আশঙ্কার কথা বারবার উচ্চারিত হয় তা হচ্ছে, ২০৫০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক মিটার বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের ১৮ শতাংশ ভূমি পানির নিচে তলিয়ে যাবে। ২ কোটি মানুষ জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে এবং ৪ কোটির বেশি মানুষ তাদের জীবনযাত্রা হারিয়ে ফেলবে। বিজ্ঞানীদের মতে, ২০৫০ সাল নাগাদ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্বে ১০০ কোটি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বে। এসব চ্যালেঞ্জ এবং আশঙ্কার ভেতর আমরা আছি সবচেয়ে ভীতিকর একটি জায়গায়।
দেশের নদ-নদীগুলো এখন নাব্য হারিয়ে ফেলেছে। কৃষিকাজে অনুকূল সেচসুবিধা আজ নেই। একসময় শুধু বোরো মৌসুম সেচনির্ভর হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবেই এখন আমনসহ সব মৌসুমেই কৃত্রিম সেচ দিয়ে মেটাতে হচ্ছে ফসলের পানির চাহিদা। অথচ নদীর নাব্য না থাকার কারণে, নদ-নদীবেষ্টিত এলাকাগুলোতেও কৃষির আবাদ এখন আর অনুকূলে নেই। ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে নদী ও খাল খনন করে সেচের ব্যবস্থা জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সেচের প্রশ্নে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। সেচ নিয়ে প্রতিবছরই শুষ্ক মৌসুমে দেশের বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের হাহাকার চোখে পড়ে। দিনে দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও পানির স্তর এত বেশি নিচে নেমে গেছে যে এখন আর সেচপাম্প মাটির ওপরে স্থাপন করে পানি ওঠানো সম্ভব হচ্ছে না। কমপক্ষে ২০-৩০ ফুট গর্ত করে গভীরে স্থাপন করতে হচ্ছে পাম্প। আগামী দিনগুলোতে পরিস্থিতি কোথায় যাবে—এমন প্রশ্ন আর উদ্বেগ এখন সবখানে।
ফসলের ফলন বৃদ্ধির জন্য সর্বোচ্চ গবেষণার সাফল্যেরও একটি শেষ বলে কথা আছে; অর্থাৎ আমি বলতে চাইছি, প্রধান খাদ্যশস্যগুলোর উৎপাদনের হার উন্নত গবেষণার আলোকে আর কত দিন বাড়ানো সম্ভব হবে? স্থানীয় জাত থেকে উচ্চফলনশীল, উচ্চফলনশীল থেকে হাইব্রিড, হাইব্রিড থেকে সুপার হাইব্রিড। তারপরে কী?
মনে রাখা প্রয়োজন, ফলন বৃদ্ধির প্রয়াসের প্রায় চূড়ান্ত সীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বিশ্ব। যদিও আমরা অনেকটাই পিছিয়ে আছি। মাটির জৈবশক্তিরও সাধ্যসীমা আছে। একইভাবে আছে ফসলের ফলনেরও চূড়ান্ত সীমা। প্রযুক্তি ও জ্ঞানের উৎকর্ষে বিজ্ঞানীরা যেখানে পৌঁছেছেন, তাতে বড়জোর ১০-২০ বছর ফসলের বেশি ফলনের দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে। তারপর ফসলের ফলনের হার একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় এসে পৌঁছাবে। সেখান থেকে ফলন শুধু কমবেই, বাড়বে না।
কিন্তু জনসংখ্যা তো বাড়তেই থাকবে, কমতে থাকবে আবাদি জমি। মোটা দাগে যে কথা বলা হয়, বছরে ১ শতাংশ হারে জমি কমছে। ১০০ বছরের মাথায় এসে আবাদি জমি শূন্যে পৌঁছাবে। আর ধানের উৎপাদন আমরা হেক্টরপ্রতি ৩-৪ টন থেকে বাড়িয়ে হাইব্রিডে গিয়ে হয়তো চূড়ান্তভাবে ৭-৮ টনে করতে পারব। তাতেও সন্দেহ রয়েছে। কারণ আমাদের মাটির জৈব উপাদান কমতে কমতে এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে দেশের কয়েকটি অঞ্চলে তা চরমভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এতে ওই সব অঞ্চলে ফসল উৎপাদনই অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে। এর ওপরে বিভিন্নমুখী দূষণের কারণে মাটি ও পানিতে ‘হেভি মেটাল’ এবং ক্ষতিকর রাসায়নিকের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে; যা শুধু ফসল উৎপাদনকেই বন্ধ্যত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে না, ফসলের সঙ্গে মিশে মানবদেহের জন্যও মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনছে। সব মিলিয়ে আগামী দিনে ফসলের উৎপাদন যেসব প্রক্রিয়ায় ব্যাহত হবে, সেই একই প্রক্রিয়া মানুষের স্বাভাবিক জীবনচক্রে ফেলবে এক কঠিন ও নেতিবাচক প্রভাব।
বস্তুত এগুলোই কৃষি এবং খাদ্য উৎপাদনের চ্যালেঞ্জ। যে কারণে শুরুতে যে কথা বলেছি, কয়েক বছর আমাদের ফসল উৎপাদনের হার আশাব্যঞ্জক হলেও এই সাফল্য বর্তমানের এবং একে আগামীর নিরিখে বিবেচনা করা যাবে না। আর আগামীর খাদ্য উৎপাদনের প্রস্তুতি যদি এখনই না নেওয়া হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবেই এক কঠিন অবস্থায় পড়তে হবে আমাদের।
বলা বাহুল্য, আয়তনে ছোট, সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ কৃষিপ্রধান এ দেশটির জন্য ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনই উদ্বিগ্ন সারা বিশ্বের পরিবেশবিজ্ঞানী ও খাদ্যনিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বর্তমান সময় পর্যন্ত আমাদের টিকে থাকার যোগ্যতা ও পারদর্শিতায় প্রশংসা করলেও আগামীর প্রস্তুতির প্রশ্নে আমরা যে খুব ভালো জায়গায় নেই, তা এখনই স্পষ্ট।
দুর্যোগে সহনশীলতা অর্জনের জন্য দেশের গবেষণাপ্রতিষ্ঠানগুলো নানামুখী কাজ করে চলেছে। ইতিমধ্যে বন্যা, খরা ও লবণসহিষ্ণু ধানের জাত কৃষক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সেগুলো কৃষককে খুব বেশি সন্তুষ্ট করতে পারেনি বা পারছে না। ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট লবণসহিষ্ণু যে জাতগুলোর কথা বলছে, সেগুলো হচ্ছে খুলনা, বরিশাল, সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণাঞ্চলে আবাদের জন্য ব্রি-ধান-৫৩ ও ব্রি-ধান-৫৪, স্বল্পমেয়াদি ব্রি-ধান-৫৫ ও ব্রি-ধান-৫৬। ব্রি-ধান-৫৩ ও ৫৪ দুটি ডিএস-৮ মাত্রার লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। এর আগে আমন ধানের দুটি জাত ব্রি-ধান-৪১, ৪২ এবং বোরো জাতের ব্রি-ধান-৪৭ সর্বোচ্চ ডিএস-৬ মাত্রার লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। সত্যিকার অর্থে, লবণসহিষ্ণু এতগুলো জাতের কোনোটিই কৃষকের কাছে গিয়ে সন্তোষজনক ফলাফল দিতে পারেনি।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের আইলাকবলিত এলাকায় যেখানে লবণাক্ততার হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, সেখানে বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত লবণসহিষ্ণু জাতগুলো আবাদ করতে পারছেন না কৃষক। এর বদলে তাঁরা নিজেদের সংগৃহীত বহু পুরোনো স্থানীয় জাত আবাদ করে তুলনামূলক ভালো ফলন পাচ্ছেন।
বিজ্ঞানীরা নতুন উদ্ভাবিত জাতগুলো সম্পর্কে ল্যাবরেটরি ও গবেষণা মাঠের তথ্যের আলোকে ফলনের যে হিসাব দেন, কৃষকের মাঠে গিয়ে এর ব্যাপক হেরফের হয়। খোদ কৃষিমন্ত্রীও বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও কৃষকের মাঠপর্যায়ের ফলন পার্থক্য নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই দূরত্ব দূর করার জন্য বিজ্ঞানীদের আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু বাস্তব অর্থে এ ক্ষেত্রে খুব বেশি সাফল্য যে আসবে, এমন কথা বলা যাবে না।
বিভিন্ন ফসলের জলবায়ু সহনশীল জাত থেকে শুরু করে কৃষির বিভিন্নমুখী গবেষণা আরও জোরদার করা প্রয়োজন। দুর্যোগ যেকোনো সময়ই গ্রাস করতে পারে, তার জন্য একদিকে যেমন প্রয়োজন খাদ্যের মজুত রাখা, অন্যদিকে নতুনভাবে উঠে দাঁড়ানোর কৌশল নির্ধারণ। খাদ্য মজুত রাখার প্রশ্নেও আমাদের সীমাবদ্ধতা দূর করা দরকার।
বর্তমান সময় পর্যন্ত ১৫ লাখ টনের ঊর্ধ্বে মজুত বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এই মজুতে আমরা অনেক সময় সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও এটি সন্তুষ্টির কোনো কারণ হতে পারে না। খাদ্যশস্যের মজুত আরও বাড়ানো প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিন্তা করা উচিত আমরা অনেক আলোচনা করে, আয়োজন করে ‘সার্ক ফুড ব্যাংক’ করছি, কিন্তু নিজেদের দেশের মধ্যেই একটি ‘ফুড ব্যাংক’-এর কথা ভাবছি না। আমি মনে করি, অবশ্যই দেশে একটি ‘ফুড ব্যাংক’ স্থাপনের প্রয়োজন রয়েছে।
কৃষক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন ফসল উৎপাদনের উপকরণের উচ্চমূল্যে, আর উৎপাদিত পণ্যের নিম্নমূল্যের কারণে। একটি কথা মনে রাখা দরকার, আজকের দিনে জীবনযাপন যেখানে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, সেখানে কৃষক যদি বাণিজ্যিক কৃষিতে গিয়ে কোনোভাবে লাভবান না হতে পারেন, তাহলে তিনি কৃষি পেশা ছেড়ে অন্য পেশার দিকে ধাবিত হবেন। বিষয়টি বর্তমান সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বের সঙ্গে ভেবে দেখা প্রয়োজন। যেকোনো ফল-ফসলের মৌসুমের শুরুতেই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা লোকসানের শিকার হচ্ছেন।
এটি গোটা কৃষির জন্য একটি নেতিবাচক চিত্র। আগামীর সব ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা থেকে বাঁচানোর জন্য যে কৃষকের সম্মিলিত শক্তি সবচেয়ে আগে প্রয়োজন, তাঁদের বারবার হতাশ করে কোনো লক্ষ্যেই পৌঁছানো সম্ভব নয়। এ জন্য আগামীর খাদ্যনিরাপত্তার সব পরিকল্পনা নিতে হবে কৃষককে সঙ্গে নিয়ে, কৃষি উপকরণ আনতে হবে কৃষকের ক্রয়সীমার মধ্যে, আর নিশ্চিত করতে হবে পণ্যের সঠিক মূল্য। তাহলেই যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সার্বিক শক্তি নিয়ে প্রস্তুত হতে পারবেন কৃষক।
লেখক: পরিচালক ও বার্তাপ্রধান, চ্যানেল আই
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে