সম্পাদকীয়
শচীন দেববর্মনের কাছে সহকারী সংগীত পরিচালক হিসেবে তখন কাজ করছেন মান্না দে। তবে শুধু সহকারী সংগীত পরিচালক হিসেবে নন, সব ধরনের কাজেই সহকারী তিনি; অর্থাৎ গানের নোটেশন করা, নতুন করা সুর শিল্পীদের গলায় তুলে দেওয়া, শিল্পীদের সঙ্গে যন্ত্রীদের মহড়া করানো—সবকিছুই করতে হয়। শচীনকর্তা বললেই পান নিয়ে আসেন, চাইলেই ছোলা ভাজা, বাদাম ভাজা এনে দেন। বাজারও করে দেন।
মান্না দের অভিমান হতো। তিনি নিজে ভালো গান করেন, অথচ শচীনকর্তা তাঁকে দিয়ে কোনো গান করান না। অন্য শিল্পীদের গলায় যে গানগুলো তুলে দেওয়া হতো, সেগুলো মান্না দে তাঁদের চেয়ে ভালো গাইতেন বলে নিজে বিশ্বাস করতেন। অভিমানের মেঘ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, কিন্তু তা শচীন দেববর্মণ পর্যন্ত পৌঁছায় না। কেন মান্নার ‘শচীনদা’ একবারও মান্নাকে সুযোগ দেবেন না?
একদিন সেই সুযোগ এল। শচীনকর্তা বললেন, ‘মানা, তোর লাইগ্যা একটা গান বানাইসি। তুই গানটা গা তো মানা ভালো করে।’ শচীনকর্তা মান্না দেকে ‘মানা’ বলে ডাকতেন।
‘মশাল’ ছবির জন্য ওই গানটি ছিল ‘উপর গগন বিশাল’। কথা ও সুরের মেলবন্ধন হয়েছিল। জনপ্রিয় হয়েছিল গানটি। এরপর অনেকগুলো বছর কেটে গেছে। মান্না দে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গেছেন গান করতে। গেয়েছেন এ গানটি। একজন ইংরেজ মহিলা এসে বললেন, ‘আপনার এ গানটি আমার ভালো লেগেছে। আমি গানের কথাগুলো একটু লিখে নিতে চাই।’
‘আপনি কি হিন্দি ভাষা বোঝেন?’
‘না, বুঝি না। দয়া করে অর্থও বুঝিয়ে দিন।’
বুঝিয়ে দিলেন মান্না। মহিলা বললেন, ‘এই গানের কথা ও মানে বুঝে আমার খুব ভালো লাগছে। আমি এমনিতেই কিছুটা বুঝে নিতে পেরেছিলাম আপনার গান শুনে আর গানের ভেতর গায়কির আবেদনে।’মান্না অনুভব করলেন, সুরের আবেদন, গানের আবেদন গানের ভাষার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, ঠিক কথায় ঠিক কথা বসলে তা ছড়িয়ে যায়।
সূত্র: মান্না দে, জীবনের জলসাঘরে, পৃষ্ঠা ১৩৩-১৩৫
শচীন দেববর্মনের কাছে সহকারী সংগীত পরিচালক হিসেবে তখন কাজ করছেন মান্না দে। তবে শুধু সহকারী সংগীত পরিচালক হিসেবে নন, সব ধরনের কাজেই সহকারী তিনি; অর্থাৎ গানের নোটেশন করা, নতুন করা সুর শিল্পীদের গলায় তুলে দেওয়া, শিল্পীদের সঙ্গে যন্ত্রীদের মহড়া করানো—সবকিছুই করতে হয়। শচীনকর্তা বললেই পান নিয়ে আসেন, চাইলেই ছোলা ভাজা, বাদাম ভাজা এনে দেন। বাজারও করে দেন।
মান্না দের অভিমান হতো। তিনি নিজে ভালো গান করেন, অথচ শচীনকর্তা তাঁকে দিয়ে কোনো গান করান না। অন্য শিল্পীদের গলায় যে গানগুলো তুলে দেওয়া হতো, সেগুলো মান্না দে তাঁদের চেয়ে ভালো গাইতেন বলে নিজে বিশ্বাস করতেন। অভিমানের মেঘ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, কিন্তু তা শচীন দেববর্মণ পর্যন্ত পৌঁছায় না। কেন মান্নার ‘শচীনদা’ একবারও মান্নাকে সুযোগ দেবেন না?
একদিন সেই সুযোগ এল। শচীনকর্তা বললেন, ‘মানা, তোর লাইগ্যা একটা গান বানাইসি। তুই গানটা গা তো মানা ভালো করে।’ শচীনকর্তা মান্না দেকে ‘মানা’ বলে ডাকতেন।
‘মশাল’ ছবির জন্য ওই গানটি ছিল ‘উপর গগন বিশাল’। কথা ও সুরের মেলবন্ধন হয়েছিল। জনপ্রিয় হয়েছিল গানটি। এরপর অনেকগুলো বছর কেটে গেছে। মান্না দে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গেছেন গান করতে। গেয়েছেন এ গানটি। একজন ইংরেজ মহিলা এসে বললেন, ‘আপনার এ গানটি আমার ভালো লেগেছে। আমি গানের কথাগুলো একটু লিখে নিতে চাই।’
‘আপনি কি হিন্দি ভাষা বোঝেন?’
‘না, বুঝি না। দয়া করে অর্থও বুঝিয়ে দিন।’
বুঝিয়ে দিলেন মান্না। মহিলা বললেন, ‘এই গানের কথা ও মানে বুঝে আমার খুব ভালো লাগছে। আমি এমনিতেই কিছুটা বুঝে নিতে পেরেছিলাম আপনার গান শুনে আর গানের ভেতর গায়কির আবেদনে।’মান্না অনুভব করলেন, সুরের আবেদন, গানের আবেদন গানের ভাষার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, ঠিক কথায় ঠিক কথা বসলে তা ছড়িয়ে যায়।
সূত্র: মান্না দে, জীবনের জলসাঘরে, পৃষ্ঠা ১৩৩-১৩৫
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে