সম্পাদকীয়
মুর্তজা বশীরের জন্ম হয়েছিল ঢাকার বর্তমান ব্রিটিশ কাউন্সিলের উত্তর দিকের একটি বাড়িতে। জন্মের দুদিন আগে মাতৃগর্ভ থেকে তাঁর হাত বাইরে বেরিয়ে এসেছিল। চিকিৎসকেরা প্রসূতির জীবন রক্ষার্থে শিশুটিকে মেরে ফেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু মা মরগুবা খাতুন দুদিন-দুরাত না শুয়ে, শুধু বসে বা ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে সব যন্ত্রণা সহ্য করে জন্ম দিয়েছিলেন যে শিশুটিকে, তার নাম রাখা হয়েছিল আবুল খয়র মুর্তজা বশীরুল্লাহ।
শৈশবে তিনি ছিলেন ডানপিটে, অহংকারী, গর্বিত, দুর্বিনীত। একদিন এক লোক তাঁকে বললেন, ‘শোনো খোকা, তোমার বেয়াদপিতে কেউই কটু কথা বলে না কেন, জানো? তাহলে তোমার বাবাকেই বলা হলো। তাঁর মৃত্যুর পর কেউ তোমাকে পুছবে না।’
এককথায় সব অহংকার কোথায় ভেসে গেল!
ক্লাস টেনে পড়ার সময় কারও অভিযোগের ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে লক্ষ্ণৌ গেলেন। ভালো লাগল না বলে ফিরে এলেন। বাবা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তখন জিজ্ঞেস করলেন, ‘কোথায় গিয়েছিলে?’
মার খাওয়ার ভয় ছিল বশীরের। তিনি মিনমিনে গলায় বললেন, ‘লক্ষ্ণৌ।’
বিরক্ত হয়ে বাবা বললেন, ‘আগ্রায় গিয়ে তাজমহল তো দেখতে পারতে!’ কিছুক্ষণ চুপ করে বললেন, ‘এমিন্যান্ট আর ইমিন্যান্ট, প্রিনসিপাল আর প্রিনসিপল, নটোরিয়াস আর ফেমাস, গ্রামার বইতে পড়েছ না? শোনো, আইদার নটোরিয়াস অর ফেমাস, মাঝামাঝি কিছু তুমি হও, তা চাই না। ডোন্ট বি এ মিডিওকার।’
এ কথার পর ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে আবুল খয়র মুর্তজা বশীরুল্লাহ হয়ে টিকে থাকার ইচ্ছে মরে গেল তাঁর। নিজেই নিজের নাম ছেঁটে দিয়ে রাখলেন ‘মূর্তজা বশীর’।
বাবা সেটা মেনে নেননি অনেক দিন। পরে অবশ্য একদিন ছেলেকে বললেন, ‘মুর্তজা নামের বানানে ম-এর নিচে দীর্ঘ-উকার দাও কেন? মূর্খের বানানে ম-এর নিচে দীর্ঘ-উকার হয়। তুমি তো মূর্খ নও। তাই তুমি ম-তে লিখবে হ্রস্য-উকার।’
সেই থেকে তিনি মুর্তজা বশীর।
সূত্র: মুর্তজা বশীর, আমার জীবন ও অন্যান্য, পৃষ্ঠা ১১৯-১২১
মুর্তজা বশীরের জন্ম হয়েছিল ঢাকার বর্তমান ব্রিটিশ কাউন্সিলের উত্তর দিকের একটি বাড়িতে। জন্মের দুদিন আগে মাতৃগর্ভ থেকে তাঁর হাত বাইরে বেরিয়ে এসেছিল। চিকিৎসকেরা প্রসূতির জীবন রক্ষার্থে শিশুটিকে মেরে ফেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু মা মরগুবা খাতুন দুদিন-দুরাত না শুয়ে, শুধু বসে বা ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে সব যন্ত্রণা সহ্য করে জন্ম দিয়েছিলেন যে শিশুটিকে, তার নাম রাখা হয়েছিল আবুল খয়র মুর্তজা বশীরুল্লাহ।
শৈশবে তিনি ছিলেন ডানপিটে, অহংকারী, গর্বিত, দুর্বিনীত। একদিন এক লোক তাঁকে বললেন, ‘শোনো খোকা, তোমার বেয়াদপিতে কেউই কটু কথা বলে না কেন, জানো? তাহলে তোমার বাবাকেই বলা হলো। তাঁর মৃত্যুর পর কেউ তোমাকে পুছবে না।’
এককথায় সব অহংকার কোথায় ভেসে গেল!
ক্লাস টেনে পড়ার সময় কারও অভিযোগের ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে লক্ষ্ণৌ গেলেন। ভালো লাগল না বলে ফিরে এলেন। বাবা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তখন জিজ্ঞেস করলেন, ‘কোথায় গিয়েছিলে?’
মার খাওয়ার ভয় ছিল বশীরের। তিনি মিনমিনে গলায় বললেন, ‘লক্ষ্ণৌ।’
বিরক্ত হয়ে বাবা বললেন, ‘আগ্রায় গিয়ে তাজমহল তো দেখতে পারতে!’ কিছুক্ষণ চুপ করে বললেন, ‘এমিন্যান্ট আর ইমিন্যান্ট, প্রিনসিপাল আর প্রিনসিপল, নটোরিয়াস আর ফেমাস, গ্রামার বইতে পড়েছ না? শোনো, আইদার নটোরিয়াস অর ফেমাস, মাঝামাঝি কিছু তুমি হও, তা চাই না। ডোন্ট বি এ মিডিওকার।’
এ কথার পর ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে আবুল খয়র মুর্তজা বশীরুল্লাহ হয়ে টিকে থাকার ইচ্ছে মরে গেল তাঁর। নিজেই নিজের নাম ছেঁটে দিয়ে রাখলেন ‘মূর্তজা বশীর’।
বাবা সেটা মেনে নেননি অনেক দিন। পরে অবশ্য একদিন ছেলেকে বললেন, ‘মুর্তজা নামের বানানে ম-এর নিচে দীর্ঘ-উকার দাও কেন? মূর্খের বানানে ম-এর নিচে দীর্ঘ-উকার হয়। তুমি তো মূর্খ নও। তাই তুমি ম-তে লিখবে হ্রস্য-উকার।’
সেই থেকে তিনি মুর্তজা বশীর।
সূত্র: মুর্তজা বশীর, আমার জীবন ও অন্যান্য, পৃষ্ঠা ১১৯-১২১
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে