রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীতে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের গ্রাহকেরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিটার লক হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত অর্থ দিতে হচ্ছে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের। ক্ষেত্রবিশেষে মিটার জ্বলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এ ছাড়া পোস্ট পেইড মিটারের গ্রাহকেরা অনেকেই দু-তিন মাস ধরে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ পাচ্ছেন না। বিদ্যুৎ অফিস জানিয়েছে, প্রতিদিন দু-চারজন গ্রাহক আসছেন বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে। এদিকে গ্রাহকের এমন সমস্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজবাড়ী নাগরিক কমিটির নেতারা।
রাজবাড়ী কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা রেলওয়ের কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, মিটার বদলের ভোগান্তিতে পড়ে তাঁকে দুই দিন বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়েছে। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি জানান, চার মাস আগে বিদ্যুৎ অফিস থেকে তাঁর মিটার বদলে প্রিপেইড মিটার লাগিয়ে দেয়। গত ২৩ আগস্ট রাতে তাঁর বাসার বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ব্যালেন্স তখনো ছিল। পরদিন তিনি ওজোপাডিকো অফিসে রিপোর্ট করেন। সেখান থেকে মিটারের নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যা চাপতে বলা হয়। তিনি তাঁদের কথামতো সংখ্যাগুলো চাপলে ডিসপ্লেতে ১০ আসে। বিষয়টি পুনরায় জানানো হলে তাঁরা জানান, লো ভোল্টেজ হয়েছে। এটি বিদ্যুৎ অফিস ঠিক করবে। বিদ্যুৎ অফিসে জানালে তারা এসে মিটার দেখে জানায়; মিটারটি জ্বলে গেছে। এটি বদলাতে হবে। এ জন্য পাঁচ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে রসিদ দেখালে নতুন মিটার লাগিয়ে দেওয়া হবে। ২৫ আগস্ট তারিখে তিনি ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে মিটারটি বদল করেন।
রেল কলোনির বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, কিছুদিন আগে তাঁর মিটার লক হয়ে যায়। তিনি বিদ্যুৎ অফিসকে জানালে ৬৫৫ টাকা ফি দিয়ে লক ঠিক করতে বলা হয়। ৬৫৫ টাকা জমা দেওয়ার পর লক ঠিক করে দেয়। কিন্তু পরে আবারও লক হয়ে যায়।
রাজবাড়ী নাগরিক কমিটির সভাপতি জ্যোতিশংকর ঝন্টু বলেন, গ্রাহকদের সমস্যার বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। গ্রাহকেরা যাতে আর ভোগান্তির শিকার না হয়, এ জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন। যেহেতু প্রিপেইড মিটার বিষয়টি একেবারেই নতুন, এ জন্য গ্রাহকদের সচেতন করার জন্য পাড়া-মহল্লায় গিয়ে উঠান বৈঠকেরও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
রাজবাড়ী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় প্রায় ১ লাখ গ্রাহক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পুরোনো মিটার বদলে নতুন প্রিপেইড মিটার বসানোর জন্য রাজবাড়ী পৌর এলাকাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব মিটার প্রিপেইড করা হবে। রাজবাড়ী পৌর এলাকার ২৬ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ইলেকট্রিক কোম্পানি মিটার পরিবর্তনের কাজটি বাস্তবায়ন করছে। প্রতিটি মিটারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। এ টাকা একবারে নেওয়া হচ্ছে না। প্রতিবার রিচার্জের সময় দাম বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণ অঙ্কের টাকা কেটে নেওয়া হয়।
এদিকে পৌর এলাকার মধ্যে পোস্ট পেইড মিটার যাঁদের রয়েছে, তাঁরা কেউ দুই মাস, কেউ তিন মাস আবার কেউ চার মাস বিদ্যুৎ বিলের কাগজ পাচ্ছেন না। এ ক্ষেত্রে কয়েক মাসের বিল একসঙ্গে এলে বিল দিতে হিমশিম খেতে হবে গ্রাহকদের। এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের মিটার রিডার সংকটের কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
রাজবাড়ী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুনুর রশীদ বলেন, নানান রকম সমস্যা নিয়ে প্রতিদিনই দু-চারজন গ্রাহক আসছেন। এসব সমস্যার কারণ হিসেবে দেখা গেছে, কোনো মিটারে গাছের ডাল পড়েছে, আবার কারও আর্থিং তারে সমস্যার কারণে হয়েছে। তবে গ্রাহকেরা যেন আর হয়রানি না হন, এ জন্য সচেতন করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এখনো যাঁদের পুরোনো মিটার রয়ে গেছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ৫০০ ইউনিটের বেশি হয়ে গেলে গ্রাহকের সঙ্গে আলোচনা করে বিল করে দেওয়া হবে।
রাজবাড়ীতে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের গ্রাহকেরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিটার লক হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত অর্থ দিতে হচ্ছে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের। ক্ষেত্রবিশেষে মিটার জ্বলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এ ছাড়া পোস্ট পেইড মিটারের গ্রাহকেরা অনেকেই দু-তিন মাস ধরে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ পাচ্ছেন না। বিদ্যুৎ অফিস জানিয়েছে, প্রতিদিন দু-চারজন গ্রাহক আসছেন বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে। এদিকে গ্রাহকের এমন সমস্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজবাড়ী নাগরিক কমিটির নেতারা।
রাজবাড়ী কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা রেলওয়ের কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, মিটার বদলের ভোগান্তিতে পড়ে তাঁকে দুই দিন বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়েছে। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি জানান, চার মাস আগে বিদ্যুৎ অফিস থেকে তাঁর মিটার বদলে প্রিপেইড মিটার লাগিয়ে দেয়। গত ২৩ আগস্ট রাতে তাঁর বাসার বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ব্যালেন্স তখনো ছিল। পরদিন তিনি ওজোপাডিকো অফিসে রিপোর্ট করেন। সেখান থেকে মিটারের নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যা চাপতে বলা হয়। তিনি তাঁদের কথামতো সংখ্যাগুলো চাপলে ডিসপ্লেতে ১০ আসে। বিষয়টি পুনরায় জানানো হলে তাঁরা জানান, লো ভোল্টেজ হয়েছে। এটি বিদ্যুৎ অফিস ঠিক করবে। বিদ্যুৎ অফিসে জানালে তারা এসে মিটার দেখে জানায়; মিটারটি জ্বলে গেছে। এটি বদলাতে হবে। এ জন্য পাঁচ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে রসিদ দেখালে নতুন মিটার লাগিয়ে দেওয়া হবে। ২৫ আগস্ট তারিখে তিনি ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে মিটারটি বদল করেন।
রেল কলোনির বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, কিছুদিন আগে তাঁর মিটার লক হয়ে যায়। তিনি বিদ্যুৎ অফিসকে জানালে ৬৫৫ টাকা ফি দিয়ে লক ঠিক করতে বলা হয়। ৬৫৫ টাকা জমা দেওয়ার পর লক ঠিক করে দেয়। কিন্তু পরে আবারও লক হয়ে যায়।
রাজবাড়ী নাগরিক কমিটির সভাপতি জ্যোতিশংকর ঝন্টু বলেন, গ্রাহকদের সমস্যার বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। গ্রাহকেরা যাতে আর ভোগান্তির শিকার না হয়, এ জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন। যেহেতু প্রিপেইড মিটার বিষয়টি একেবারেই নতুন, এ জন্য গ্রাহকদের সচেতন করার জন্য পাড়া-মহল্লায় গিয়ে উঠান বৈঠকেরও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
রাজবাড়ী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় প্রায় ১ লাখ গ্রাহক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পুরোনো মিটার বদলে নতুন প্রিপেইড মিটার বসানোর জন্য রাজবাড়ী পৌর এলাকাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব মিটার প্রিপেইড করা হবে। রাজবাড়ী পৌর এলাকার ২৬ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ইলেকট্রিক কোম্পানি মিটার পরিবর্তনের কাজটি বাস্তবায়ন করছে। প্রতিটি মিটারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। এ টাকা একবারে নেওয়া হচ্ছে না। প্রতিবার রিচার্জের সময় দাম বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণ অঙ্কের টাকা কেটে নেওয়া হয়।
এদিকে পৌর এলাকার মধ্যে পোস্ট পেইড মিটার যাঁদের রয়েছে, তাঁরা কেউ দুই মাস, কেউ তিন মাস আবার কেউ চার মাস বিদ্যুৎ বিলের কাগজ পাচ্ছেন না। এ ক্ষেত্রে কয়েক মাসের বিল একসঙ্গে এলে বিল দিতে হিমশিম খেতে হবে গ্রাহকদের। এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের মিটার রিডার সংকটের কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
রাজবাড়ী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুনুর রশীদ বলেন, নানান রকম সমস্যা নিয়ে প্রতিদিনই দু-চারজন গ্রাহক আসছেন। এসব সমস্যার কারণ হিসেবে দেখা গেছে, কোনো মিটারে গাছের ডাল পড়েছে, আবার কারও আর্থিং তারে সমস্যার কারণে হয়েছে। তবে গ্রাহকেরা যেন আর হয়রানি না হন, এ জন্য সচেতন করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এখনো যাঁদের পুরোনো মিটার রয়ে গেছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ৫০০ ইউনিটের বেশি হয়ে গেলে গ্রাহকের সঙ্গে আলোচনা করে বিল করে দেওয়া হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে