আজকের পত্রিকা ডেস্ক
হেলেনের দোষ ছিল কী? হেলেন দেশকে ভালোবাসতেন। কারা হেলেনকে ধরিয়ে দিল? রাজাকারেরা। রাজাকারেরা হেলেনকে ধরে তুলে দিল পাকিস্তানি অফিসারদের হাতে।
মাগুরার মেয়ে হেলেন ছিলেন স্কুলশিক্ষক। তাঁর ভাই মাহফুজুল হক ছিলেন বামপন্থী নেতা। ডাক নাম নিরো। মাগুরায় তিনি ‘নিরো’ প্রফেসর নামে পরিচিত ছিলেন। ভাইয়ের সংস্পর্শে এসে হেলেন নিজেও ছাত্রজীবন থেকে বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। একসময় মাগুরা মহকুমা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতিও হয়েছিলেন।
হেলেন ছিলেন মাগুরা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক। স্বামী আলী কদর ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। এলাকায় রাজাকার, আলবদররা পাকিস্তানিদের সঙ্গে মিশে কী করে চলেছে, সে খবর গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দিতেন হেলেন। গোপনে সাহায্য করতেন মুক্তিযোদ্ধাদের। অক্টোবর মাসে মাগুরার মহম্মদপুরের কোনো এক গ্রামে যখন অবস্থান করছিলেন, তখন তিনি রাজাকারদের চোখে পড়ে যান। এই এলাকার কুখ্যাত রাজাকার রিজু-কবীররা মিলে যখন হেলেনকে ধরে ফেলে, তখন হেলেনের কোলে ছিল দুই বছর চার মাস বয়সী শিশুপুত্র দিলীর।
হেলেনকে শিশুপুত্রসমেত নিয়ে আসা হয় পাকিস্তানি ক্যাম্পে। শিশুপুত্রকে হেলেনের বাবা-মায়ের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ঊর্ধ্বতন পাকিস্তানি অফিসাররা পাশবিক অত্যাচার চালাতে থাকে হেলেনের ওপর। মাগুরাবাসী ফুঁসতে থাকে। কিন্তু তখন রাজাকারদের দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে গ্রামবাসীর পক্ষে জোরালো প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি।
অত্যাচারের পর অর্ধমৃত হেলেনকে পাকিস্তানি বাহিনীর একটি জিপের পেছনে বেঁধে শহর দিয়ে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে নবগঙ্গা নদীর ডাইভারশন ক্যানেলে ফেলে দেওয়া হয়। তাঁর লাশ আর পাওয়া যায়নি। সেটা ছিল ৪ অক্টোবর।
রিজু-কবীরসহ রাজাকাররা এই নৃশংসকাণ্ডে মদদ জুগিয়েছিল। একজন মুক্তিকামী নারীকে পাকিস্তানিদের শরীরের স্বাদ মেটানোর জন্য সঁপে দিয়েছিল যে রাজাকাররা, তাদের বিচার হয়নি।
সূত্র: জাহিদ রহমান, মুক্তিযুদ্ধে মাগুরার শত শহীদ, পৃষ্ঠা ২৩-২৪
হেলেনের দোষ ছিল কী? হেলেন দেশকে ভালোবাসতেন। কারা হেলেনকে ধরিয়ে দিল? রাজাকারেরা। রাজাকারেরা হেলেনকে ধরে তুলে দিল পাকিস্তানি অফিসারদের হাতে।
মাগুরার মেয়ে হেলেন ছিলেন স্কুলশিক্ষক। তাঁর ভাই মাহফুজুল হক ছিলেন বামপন্থী নেতা। ডাক নাম নিরো। মাগুরায় তিনি ‘নিরো’ প্রফেসর নামে পরিচিত ছিলেন। ভাইয়ের সংস্পর্শে এসে হেলেন নিজেও ছাত্রজীবন থেকে বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। একসময় মাগুরা মহকুমা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতিও হয়েছিলেন।
হেলেন ছিলেন মাগুরা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক। স্বামী আলী কদর ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। এলাকায় রাজাকার, আলবদররা পাকিস্তানিদের সঙ্গে মিশে কী করে চলেছে, সে খবর গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দিতেন হেলেন। গোপনে সাহায্য করতেন মুক্তিযোদ্ধাদের। অক্টোবর মাসে মাগুরার মহম্মদপুরের কোনো এক গ্রামে যখন অবস্থান করছিলেন, তখন তিনি রাজাকারদের চোখে পড়ে যান। এই এলাকার কুখ্যাত রাজাকার রিজু-কবীররা মিলে যখন হেলেনকে ধরে ফেলে, তখন হেলেনের কোলে ছিল দুই বছর চার মাস বয়সী শিশুপুত্র দিলীর।
হেলেনকে শিশুপুত্রসমেত নিয়ে আসা হয় পাকিস্তানি ক্যাম্পে। শিশুপুত্রকে হেলেনের বাবা-মায়ের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ঊর্ধ্বতন পাকিস্তানি অফিসাররা পাশবিক অত্যাচার চালাতে থাকে হেলেনের ওপর। মাগুরাবাসী ফুঁসতে থাকে। কিন্তু তখন রাজাকারদের দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে গ্রামবাসীর পক্ষে জোরালো প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি।
অত্যাচারের পর অর্ধমৃত হেলেনকে পাকিস্তানি বাহিনীর একটি জিপের পেছনে বেঁধে শহর দিয়ে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে নবগঙ্গা নদীর ডাইভারশন ক্যানেলে ফেলে দেওয়া হয়। তাঁর লাশ আর পাওয়া যায়নি। সেটা ছিল ৪ অক্টোবর।
রিজু-কবীরসহ রাজাকাররা এই নৃশংসকাণ্ডে মদদ জুগিয়েছিল। একজন মুক্তিকামী নারীকে পাকিস্তানিদের শরীরের স্বাদ মেটানোর জন্য সঁপে দিয়েছিল যে রাজাকাররা, তাদের বিচার হয়নি।
সূত্র: জাহিদ রহমান, মুক্তিযুদ্ধে মাগুরার শত শহীদ, পৃষ্ঠা ২৩-২৪
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে