সম্পাদকীয়
নজরুল সারা জীবন অসাম্প্রদায়িক ছিলেন। তাঁকে কোনো ধর্মের তকমা দিয়ে আঁটা যাবে না। ‘কান্ডারী হুঁশিয়ার’ কবিতাটি হিন্দু-মুসলমান মিলনের এক অসাধারণ শৈল্পিক প্রকাশ। হামদ-নাত বা শ্যামাসংগীত দিয়ে নজরুলকে বিচার করা যাবে না। ধর্ম কিংবা সমাজ, যেখানেই অসমতা, সেখানেই নজরুল ছিলেন সোচ্চার।
সে সময় মুসলমানরা যেসব পত্রিকা প্রকাশ করত, তাতে মুসলিম চিন্তা-দর্শনের প্রকাশ ছিল বেশি। নজরুল হাঁটলেন ভিন্ন পথে। যে পত্রিকাটিকে তিনি বেছে নিলেন নিজের রাজনৈতিক বক্তব্য প্রকাশের জন্য, সেটির নামও তাই ‘নবযুগ’। পত্রিকাটির মালিক ছিলেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক। ১৯২০ সালের ১২ জুলাই পত্রিকাটি সান্ধ্য দৈনিক হিসেবে প্রকাশিত হতে শুরু করে।
রয়েল সাইজ এক শিট কাগজের দাম করা হয়েছিল এক পয়সা। নবযুগ পত্রিকায় নজরুলের সঙ্গে ছিলেন তখনকার ডাকসাইটে বামপন্থী নেতা কমরেড মুজাফ্ফর আহমদ। কিন্তু তাঁদের দুজনের কারও নামই পত্রিকায় ছাপা হতো না। প্রধান পরিচালক হিসেবে এ কে ফজলুল হকের নাম ছাপা হতো।
দৈনিক পত্রিকায় কাজ করার অভিজ্ঞতা দুজনের একজনেরও ছিল না। তখন নজরুল বড় বড় সংবাদ পড়ে তার সংক্ষিপ্ত রূপ দিয়ে নবযুগে ছাপা শুরু করলেন এবং তা করলেন নিজের ভাষায়।
সংবাদগুলো খুবই আকর্ষণীয় হতো। ঝানু সাংবাদিকদের চেয়ে নজরুলের এই সাংবাদিকতা পাঠক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করল বেশি। শুধু সংবাদ লেখা নয়, শিরোনামেও তিনি প্রকাশ করলেন তাঁর কাব্যপ্রতিভা। বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাসকে গুলে খেয়েছিলেন নজরুল। তাই শিরোনাম দেওয়ার সময় সেসব কবিতার কোনো পঙ্ক্তিকেই করে তুলতেন শিরোনাম। শিরোনামের মজা থেকে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও রেহাই পাননি। একবার ইরাকের রাজা ফয়সালকে নিয়ে কোনো একটা সংবাদ এল নজরুলের হাতে। সেটা পড়লেন তিনি, তারপর নিজের মতো করে প্রতিবেদন লিখলেন। আর সেই প্রতিবেদনের শিরোনাম হলো, ‘আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার/পরান সখা ফয়সুল হে আমার’।
সূত্র: ড. আনোয়ারুল করীম, নজরুল: তাঁর সমকালে, পৃষ্ঠা ৭১-৭২
নজরুল সারা জীবন অসাম্প্রদায়িক ছিলেন। তাঁকে কোনো ধর্মের তকমা দিয়ে আঁটা যাবে না। ‘কান্ডারী হুঁশিয়ার’ কবিতাটি হিন্দু-মুসলমান মিলনের এক অসাধারণ শৈল্পিক প্রকাশ। হামদ-নাত বা শ্যামাসংগীত দিয়ে নজরুলকে বিচার করা যাবে না। ধর্ম কিংবা সমাজ, যেখানেই অসমতা, সেখানেই নজরুল ছিলেন সোচ্চার।
সে সময় মুসলমানরা যেসব পত্রিকা প্রকাশ করত, তাতে মুসলিম চিন্তা-দর্শনের প্রকাশ ছিল বেশি। নজরুল হাঁটলেন ভিন্ন পথে। যে পত্রিকাটিকে তিনি বেছে নিলেন নিজের রাজনৈতিক বক্তব্য প্রকাশের জন্য, সেটির নামও তাই ‘নবযুগ’। পত্রিকাটির মালিক ছিলেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক। ১৯২০ সালের ১২ জুলাই পত্রিকাটি সান্ধ্য দৈনিক হিসেবে প্রকাশিত হতে শুরু করে।
রয়েল সাইজ এক শিট কাগজের দাম করা হয়েছিল এক পয়সা। নবযুগ পত্রিকায় নজরুলের সঙ্গে ছিলেন তখনকার ডাকসাইটে বামপন্থী নেতা কমরেড মুজাফ্ফর আহমদ। কিন্তু তাঁদের দুজনের কারও নামই পত্রিকায় ছাপা হতো না। প্রধান পরিচালক হিসেবে এ কে ফজলুল হকের নাম ছাপা হতো।
দৈনিক পত্রিকায় কাজ করার অভিজ্ঞতা দুজনের একজনেরও ছিল না। তখন নজরুল বড় বড় সংবাদ পড়ে তার সংক্ষিপ্ত রূপ দিয়ে নবযুগে ছাপা শুরু করলেন এবং তা করলেন নিজের ভাষায়।
সংবাদগুলো খুবই আকর্ষণীয় হতো। ঝানু সাংবাদিকদের চেয়ে নজরুলের এই সাংবাদিকতা পাঠক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করল বেশি। শুধু সংবাদ লেখা নয়, শিরোনামেও তিনি প্রকাশ করলেন তাঁর কাব্যপ্রতিভা। বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাসকে গুলে খেয়েছিলেন নজরুল। তাই শিরোনাম দেওয়ার সময় সেসব কবিতার কোনো পঙ্ক্তিকেই করে তুলতেন শিরোনাম। শিরোনামের মজা থেকে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও রেহাই পাননি। একবার ইরাকের রাজা ফয়সালকে নিয়ে কোনো একটা সংবাদ এল নজরুলের হাতে। সেটা পড়লেন তিনি, তারপর নিজের মতো করে প্রতিবেদন লিখলেন। আর সেই প্রতিবেদনের শিরোনাম হলো, ‘আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার/পরান সখা ফয়সুল হে আমার’।
সূত্র: ড. আনোয়ারুল করীম, নজরুল: তাঁর সমকালে, পৃষ্ঠা ৭১-৭২
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে