সাইফুল মাসুম ও শিপুল ইসলাম, রংপুর থেকে
জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নিজ শহর রংপুর অঞ্চলে আসন ভাগাভাগির কারণে নির্বাচনী আমেজ নেই বললেই চলে। একসময় জাপার ঘাঁটি বিবেচনা করা হলেও সমঝোতার কারণে এবার রংপুরের ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিয়েছে। দুটি আসন জাপাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আবার ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটিতে রয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থী। ফলে এই আসনগুলোয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা একেবারেই নেই। তাই খুব বেশি প্রচার-প্রচারণাও নেই।
রংপুর-৩ (জেলা সদর) আসন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। জাপা সমর্থকদের ধারণা, আসনটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লাঙ্গল জয়লাভ করবে। কিন্তু প্রতীক বরাদ্দের চার দিন পেরিয়ে গেলেও জি এম কাদের নির্বাচনী মাঠে নেই। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন তুষার কান্তি মন্ডল। আসনটি জাপাকে ছেড়ে দেওয়ায় তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
তুষার কান্তি মন্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান একজন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ভোট করতে ভয় পাইলেন। তিনি চান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়। জনগণের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
এদিকে রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) ও ও রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। রংপুর-৪ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং রংপুর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। জাপা কোনো প্রার্থী না দেওয়ায় এই দুই আসনে শক্ত প্রতিপক্ষ নেই। ফলে ভোটের আমেজও নেই। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার শঙ্কা রয়েছে এই দুই আসনে।
রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান। তাঁর ছেলে রাশেক রহমান এবার মনোনয়ন পেয়েছেন। রাশেক রহমানের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগেরই নেতা। তিনি সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। নির্বাচনী প্রচারে এই দুই নেতাই মাঠে আছেন, তবে সেটা চোখে পড়ার মতো নয়।
প্রচার শুধু দুই আসনে
রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী। এই আসনে জাপাও প্রার্থী দিয়েছে। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য আনিছুল ইসলাম মন্ডল। এখানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ সরকার। তিনি কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এবারের নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয় রয়েছেন এই তিন প্রার্থী। ফলে রংপুরের অন্যান্য আসনের তুলনায় এই আসনে খানিকটা নির্বাচনী আমেজ রয়েছে।
তবে নির্বাচনী আমেজ ধরা পড়ে রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও সিটি করপোরেশনের আংশিক) আসনে। এই আসন জাপাকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। জাপার মনোনয়ন পেয়েছেন মুকবুল শাহরিয়ার। তিনি রংপুর সদরের বাসিন্দা। আবার সারা বছর ঢাকায় থাকার কারণে তিনি গঙ্গাচড়া ও সিটি করপোরেশনের পরিচিত মুখও নন। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত ও সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি ট্রাক প্রতীকে লড়ছেন। তবে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী হিসেবে হাজির হয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আসাদুজ্জামান বাবলু। তিনি কেটলি মার্কা নিয়ে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। গঙ্গাচড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন একসময়। মুকবুল কিংবা রাঙ্গা—কেউই স্থানীয় না হওয়ায় বহিরাগত হটানোর ডাক দিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন এই নেতা। তিনজনই নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয় অবস্থানে রয়েছেন।
রংপুরের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রংপুর মহানগর সভাপতি খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, ভোটে জাপা ও আওয়ামী লীগের আপসে আসন ভাগাভাগিতে আমেজ নেই। রংপুর অঞ্চলে একসময় জাপার ২২টি আসন ছিল। এই সংখ্যা একেবারে কমে গেছে এখন। এবারের পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে আগামীতে রংপুরে জাপা বলে কিছু থাকবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ হয়।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি ও কাউনিয়া প্রতিনিধি]
জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নিজ শহর রংপুর অঞ্চলে আসন ভাগাভাগির কারণে নির্বাচনী আমেজ নেই বললেই চলে। একসময় জাপার ঘাঁটি বিবেচনা করা হলেও সমঝোতার কারণে এবার রংপুরের ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিয়েছে। দুটি আসন জাপাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আবার ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটিতে রয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থী। ফলে এই আসনগুলোয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা একেবারেই নেই। তাই খুব বেশি প্রচার-প্রচারণাও নেই।
রংপুর-৩ (জেলা সদর) আসন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। জাপা সমর্থকদের ধারণা, আসনটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লাঙ্গল জয়লাভ করবে। কিন্তু প্রতীক বরাদ্দের চার দিন পেরিয়ে গেলেও জি এম কাদের নির্বাচনী মাঠে নেই। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন তুষার কান্তি মন্ডল। আসনটি জাপাকে ছেড়ে দেওয়ায় তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
তুষার কান্তি মন্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান একজন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ভোট করতে ভয় পাইলেন। তিনি চান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়। জনগণের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
এদিকে রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) ও ও রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। রংপুর-৪ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং রংপুর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। জাপা কোনো প্রার্থী না দেওয়ায় এই দুই আসনে শক্ত প্রতিপক্ষ নেই। ফলে ভোটের আমেজও নেই। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার শঙ্কা রয়েছে এই দুই আসনে।
রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান। তাঁর ছেলে রাশেক রহমান এবার মনোনয়ন পেয়েছেন। রাশেক রহমানের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগেরই নেতা। তিনি সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। নির্বাচনী প্রচারে এই দুই নেতাই মাঠে আছেন, তবে সেটা চোখে পড়ার মতো নয়।
প্রচার শুধু দুই আসনে
রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী। এই আসনে জাপাও প্রার্থী দিয়েছে। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য আনিছুল ইসলাম মন্ডল। এখানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ সরকার। তিনি কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এবারের নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয় রয়েছেন এই তিন প্রার্থী। ফলে রংপুরের অন্যান্য আসনের তুলনায় এই আসনে খানিকটা নির্বাচনী আমেজ রয়েছে।
তবে নির্বাচনী আমেজ ধরা পড়ে রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও সিটি করপোরেশনের আংশিক) আসনে। এই আসন জাপাকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। জাপার মনোনয়ন পেয়েছেন মুকবুল শাহরিয়ার। তিনি রংপুর সদরের বাসিন্দা। আবার সারা বছর ঢাকায় থাকার কারণে তিনি গঙ্গাচড়া ও সিটি করপোরেশনের পরিচিত মুখও নন। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত ও সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি ট্রাক প্রতীকে লড়ছেন। তবে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী হিসেবে হাজির হয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আসাদুজ্জামান বাবলু। তিনি কেটলি মার্কা নিয়ে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। গঙ্গাচড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন একসময়। মুকবুল কিংবা রাঙ্গা—কেউই স্থানীয় না হওয়ায় বহিরাগত হটানোর ডাক দিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন এই নেতা। তিনজনই নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয় অবস্থানে রয়েছেন।
রংপুরের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রংপুর মহানগর সভাপতি খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, ভোটে জাপা ও আওয়ামী লীগের আপসে আসন ভাগাভাগিতে আমেজ নেই। রংপুর অঞ্চলে একসময় জাপার ২২টি আসন ছিল। এই সংখ্যা একেবারে কমে গেছে এখন। এবারের পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে আগামীতে রংপুরে জাপা বলে কিছু থাকবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ হয়।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি ও কাউনিয়া প্রতিনিধি]
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪