বাসন্তি সাহা
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের ’পর
হাল ভেঙে যে নাবিক
হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর
—জীবনানন্দ দাশ
বনলতা সেন কি শাড়ি পরতেন? জানি না, তবে লাবণ্য পরতেন। লাবণ্যর কথা ভাবলেই ঘিয়ে বা লেবু হলুদ রঙের শাড়ি পরা এক কোমল, কঠিন নারীর কথা মনে হয় আমার।
রূপ, রং, বৈচিত্র্যে তার অনেক ওঠাপড়া হয়েছে। কিন্তু বদলায়নি তার সৌন্দর্য, তার আবেদন। কিশোরী থেকে পরিণত সবার প্রতি তার একই রকম মমতা, জড়িয়ে রাখে। আমি বলছিলাম শাড়ির কথা, ১২ হাতের কাব্য। কোথাও কোথাও জীবনবোধের বদলে যাওয়ার কারণে তার আটপৌরে ব্যবহার কমে এসেছে কিন্তু উৎসবে, আনন্দে তার মহিমা একটুও টোল খায়নি। এই যে ঈদ আসছে, নববর্ষ আসছে—এসব উৎসবে শাড়ি যেন অবশ্য বস্ত্র। শাড়ি আজ শিল্প হয়ে উঠেছে।
এই তো সেদিন রাস্তায় একটা মেয়েকে শাড়ি পরে স্কুটি চালিয়ে যেতে দেখলাম। এত ভালো লাগল! তবে যে সবাই বলে, শাড়ি পরে বাসে, ট্রেনে চলা যায় না বা শাড়ি পরতে অনেক আয়োজন লাগে। ছায়ানট সুরের ধারার মেয়েরা তো দিব্যি ট্রাউজারের ওপরে শাড়ি পরে ক্লাসে চলে যায়। পায়ে স্নিকার্স। দেখতে তো খারাপ লাগে না!
আবার নোয়াখালীর একটা গ্রামে দেখলাম নারীরা খেতের ধান কাটছেন, শাড়িই পরা, তবে ওপরে কেউ শার্ট অথবা একটা ওড়না নিয়েছেন। হয়তো কাজের সুবিধার জন্যই এমনটা করেছেন। তবে শহরে যাঁরা বাসাবাড়িতে কাজ করছেন, তাঁরা শাড়ি ও সালোয়ার-কামিজের বাইরে একধরনের ঢিলেঢালা ম্যাক্সি পরেন, সঙ্গে ম্যাচিং বড় ওড়না, যেটা দিয়ে মাথায় কাপড় দেওয়ার কাজও হয়।
বিভিন্ন রকম শাড়ি পরা দেখলেই আমার জ্ঞানদানন্দিনীর কথা মনে পড়ে—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেজ বৌঠান। বাঙালি নারী জাগরণে তাঁর অনেক কাজ থাকলেও বাঙালি নারীর বাইরের শোভন সাজ তাঁরই অবদান। একবার জ্ঞানদানন্দিনীর স্বামী প্রথম ভারতীয় আইসিএস অফিসার সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে কর্মস্থল মহারাষ্ট্রে যাবেন। এর আগে ঠাকুরবাড়ির কোনো বউ বাইরে থাকতে যাননি। তখন তাঁর বাইরে যাওয়ার জন্য এক অদ্ভুত ওরিয়েন্টাল ড্রেস বানানো হয়েছিল ফিরিঙ্গি দোকানে অর্ডার করে। তিনি একবারই সেই ড্রেস পরেছিলেন।
তারপর তিনি বাঙালি নারীর বাইরে যাওয়ার সাজ নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন। এর আগে বাঙালি নারী কী পরে বাইরে যাবেন—এ নিয়ে তেমন কেউ ভাবেননি। ঠাকুরমার মুখে শুনেছি, নারীরা তখন ‘বাঙলা’ করে শাড়ি পরতেন। কোনো উৎসবে, অনুষ্ঠানে গেলে একটা সেমিজ পরতেন। সেমিজ হচ্ছে এখনকার ম্যাক্সির মতো একটা ড্রেস, যার ওপরে শাড়ি পরা হতো। আবার কেউ কেউ
শাড়ির ওপরে একটা চাদর নিতেন। সাধারণ ঘরের নারীরা কেবল শাড়িই পরতেন।
শাড়ির কুঁচি এখন শিল্প পুরোনো বাংলা সিনেমায় আদুড় গায়ে আটপৌরে আলুথালু শাড়ি পরে নায়িকা গাছে উঠে ফল পাড়ত! আসলে ছবিতে যতই ঠিকঠাক লাগুক, বাস্তবে এই ধরনের শাড়ি পরা শোভন দেখায় না। তাই অনেক ক্ষেত্রেই শাড়ি পরার সঙ্গে সেমিজ, ব্লাউজ বা বিভিন্ন জ্যাকেট পরার চল শুরু হয়েছিল শখানেক বছর আগেই। মায়েরা, ঠাকুমারা নিজেদের মতো করে সাধারণ বা কুঁচি দিয়ে শাড়ি পরতেন। বাংলাদেশে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ যাঁরা প্রায় ২০০ বছর আগে ভারতের তেলেঙ্গানা, ঝাড়খন্ড থেকে এসেছিলেন, তাঁদের পুরোনো প্রজন্মের নারীরা এখনো সামনে আঁচল ঝুলিয়ে শাড়ি পরেন।
তবে বাঙালি নারীদের মধ্যে সাধারণভাবে দুইভাবে শাড়ি পরার ধরন থাকলেও শাড়ির কুঁচি, আঁচল রাখার ক্ষেত্রে ভিন্নতা এসেছে। এমনকি শাড়ি পরানোর জন্য কিছু জায়গায় পেশাদার তৈরি হয়েছে। পুরো ভারতবর্ষে নাকি এখন সাধারণ কুঁচিতে শাড়ি পরা ছাড়াও এক শর বেশি কায়দায় শাড়ি পরা হয়!
যাঁরা শাড়ি পরতে ভালোবাসেন, তাঁরা বলেন, শাড়ি নিজেই একটা আর্ট, শাড়ি পরা একটা আর্ট আর শাড়ি পরা নারীই সবচেয়ে সুন্দর। এখনো বেশির ভাগ ফরমাল অনুষ্ঠানে শাড়িই নারীদের পছন্দের পোশাক। কিছু কিছু পেশায় শাড়ি পরাটাই সর্বজনীন ছিল। যেমন স্কুল-কলেজের শিক্ষকেরা সচরাচর শাড়িই পরতেন। তবে এসব পেশায়ও বর্তমানে সালোয়ার-কামিজ পরার প্রচলন বেড়েছে।
শাড়ির চাহিদা কি কমেছে
শাড়ির চাহিদা কিছুটা হলেও কমেছে; বিশেষ করে আটপৌরে শাড়ি। এর কারণ মানুষের রুচি বদলে গেছে। তাঁরা মনে করছেন, সালোয়ার-কামিজ অনেক বেশি আরামদায়ক, সহজে ‘ক্যারি’ করা যায় আর শাড়ির দামও বেড়েছে। ভালো একটা তাঁতের সুতি শাড়ি, যেমন বসাক শাড়ি একটা তিন হাজার টাকার ওপরে। প্রিন্টের শাড়ি, যেমন কেয়া প্রিন্ট, পাকিজা বা শাহি প্রিন্ট শাড়ি, যেগুলো মায়েরা আগে বাসায় পরতেন, সেগুলোও ৮০০ টাকার বেশি। সেখানে ৫০০ টাকায় একটি সুতি সালোয়ার-কামিজ কেনা যায়। ফলে এখন নারীরা ‘থ্রিপিস’নির্ভর হয়ে পরছেন।
শাড়ি এখন বিশেষ দিন বা উৎসবের অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। শাড়ি এখন উৎসবে এক দিনের জন্য পরা হয়। ফলে নতুন প্রজন্ম কম দামে ‘কালারফুল’ উৎসবের শাড়ি চান। যেমন পয়লা বৈশাখ বা বসন্ত উৎসবের শাড়ি। এগুলো বেশির ভাগ একবার পরার শাড়ি, এগুলোর চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু আটপৌরে সুতি শাড়ির চাহিদা কমেছে।
এ ছাড়া আমাদের শাড়ির বাজার খেয়ে ফেলছে ভারতের দক্ষিণের জাঙ্ক শাড়ি। যেগুলো ভারত থেকে ২০০-৫০০ টাকার মধ্যে কিনে নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটে ও অনলাইন পেজে বিক্রি হচ্ছে। যেগুলো আবার সস্তা ও চকচকে, ফলে একশ্রেণির মানুষ এগুলো কিনছে দেশি শাড়ির পরিবর্তে।
শাড়ির আবেদনের একটা অদ্ভুত বহমানতা আছে। পুরোনো হয় কিন্তু ব্রাত্য হয়ে যায় না। মা-ঠাকুমার মালা শাড়ি আজও তাঁদের ট্রাংকে যত্নে, আদরে তোলা আছে। আমাদের প্রতিটি উৎসবজুড়ে থাকে শাড়ি—নানা বর্ণ, ঋতু আর নানা নকশায়।
হলুদরঙের শাড়ি, চোরকাঁটা বিঁধে আছ, এলোমেলো অঘ্রাণের খড় চারিদিকে শূন্য থেকে ভেসে এসে ছুঁয়ে ছেনে যেতেছে শরীর; চুলের উপর তার কুয়াশা রেখেছে হাত, ঝরিছে শিশির;
—জীবনানন্দ দাশ
লেখক: বাসন্তি সাহা, কো-অর্ডিনেটর, রিসার্চ অ্যান্ড ডকুমেন্টেশন, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের ’পর
হাল ভেঙে যে নাবিক
হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর
—জীবনানন্দ দাশ
বনলতা সেন কি শাড়ি পরতেন? জানি না, তবে লাবণ্য পরতেন। লাবণ্যর কথা ভাবলেই ঘিয়ে বা লেবু হলুদ রঙের শাড়ি পরা এক কোমল, কঠিন নারীর কথা মনে হয় আমার।
রূপ, রং, বৈচিত্র্যে তার অনেক ওঠাপড়া হয়েছে। কিন্তু বদলায়নি তার সৌন্দর্য, তার আবেদন। কিশোরী থেকে পরিণত সবার প্রতি তার একই রকম মমতা, জড়িয়ে রাখে। আমি বলছিলাম শাড়ির কথা, ১২ হাতের কাব্য। কোথাও কোথাও জীবনবোধের বদলে যাওয়ার কারণে তার আটপৌরে ব্যবহার কমে এসেছে কিন্তু উৎসবে, আনন্দে তার মহিমা একটুও টোল খায়নি। এই যে ঈদ আসছে, নববর্ষ আসছে—এসব উৎসবে শাড়ি যেন অবশ্য বস্ত্র। শাড়ি আজ শিল্প হয়ে উঠেছে।
এই তো সেদিন রাস্তায় একটা মেয়েকে শাড়ি পরে স্কুটি চালিয়ে যেতে দেখলাম। এত ভালো লাগল! তবে যে সবাই বলে, শাড়ি পরে বাসে, ট্রেনে চলা যায় না বা শাড়ি পরতে অনেক আয়োজন লাগে। ছায়ানট সুরের ধারার মেয়েরা তো দিব্যি ট্রাউজারের ওপরে শাড়ি পরে ক্লাসে চলে যায়। পায়ে স্নিকার্স। দেখতে তো খারাপ লাগে না!
আবার নোয়াখালীর একটা গ্রামে দেখলাম নারীরা খেতের ধান কাটছেন, শাড়িই পরা, তবে ওপরে কেউ শার্ট অথবা একটা ওড়না নিয়েছেন। হয়তো কাজের সুবিধার জন্যই এমনটা করেছেন। তবে শহরে যাঁরা বাসাবাড়িতে কাজ করছেন, তাঁরা শাড়ি ও সালোয়ার-কামিজের বাইরে একধরনের ঢিলেঢালা ম্যাক্সি পরেন, সঙ্গে ম্যাচিং বড় ওড়না, যেটা দিয়ে মাথায় কাপড় দেওয়ার কাজও হয়।
বিভিন্ন রকম শাড়ি পরা দেখলেই আমার জ্ঞানদানন্দিনীর কথা মনে পড়ে—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেজ বৌঠান। বাঙালি নারী জাগরণে তাঁর অনেক কাজ থাকলেও বাঙালি নারীর বাইরের শোভন সাজ তাঁরই অবদান। একবার জ্ঞানদানন্দিনীর স্বামী প্রথম ভারতীয় আইসিএস অফিসার সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে কর্মস্থল মহারাষ্ট্রে যাবেন। এর আগে ঠাকুরবাড়ির কোনো বউ বাইরে থাকতে যাননি। তখন তাঁর বাইরে যাওয়ার জন্য এক অদ্ভুত ওরিয়েন্টাল ড্রেস বানানো হয়েছিল ফিরিঙ্গি দোকানে অর্ডার করে। তিনি একবারই সেই ড্রেস পরেছিলেন।
তারপর তিনি বাঙালি নারীর বাইরে যাওয়ার সাজ নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন। এর আগে বাঙালি নারী কী পরে বাইরে যাবেন—এ নিয়ে তেমন কেউ ভাবেননি। ঠাকুরমার মুখে শুনেছি, নারীরা তখন ‘বাঙলা’ করে শাড়ি পরতেন। কোনো উৎসবে, অনুষ্ঠানে গেলে একটা সেমিজ পরতেন। সেমিজ হচ্ছে এখনকার ম্যাক্সির মতো একটা ড্রেস, যার ওপরে শাড়ি পরা হতো। আবার কেউ কেউ
শাড়ির ওপরে একটা চাদর নিতেন। সাধারণ ঘরের নারীরা কেবল শাড়িই পরতেন।
শাড়ির কুঁচি এখন শিল্প পুরোনো বাংলা সিনেমায় আদুড় গায়ে আটপৌরে আলুথালু শাড়ি পরে নায়িকা গাছে উঠে ফল পাড়ত! আসলে ছবিতে যতই ঠিকঠাক লাগুক, বাস্তবে এই ধরনের শাড়ি পরা শোভন দেখায় না। তাই অনেক ক্ষেত্রেই শাড়ি পরার সঙ্গে সেমিজ, ব্লাউজ বা বিভিন্ন জ্যাকেট পরার চল শুরু হয়েছিল শখানেক বছর আগেই। মায়েরা, ঠাকুমারা নিজেদের মতো করে সাধারণ বা কুঁচি দিয়ে শাড়ি পরতেন। বাংলাদেশে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ যাঁরা প্রায় ২০০ বছর আগে ভারতের তেলেঙ্গানা, ঝাড়খন্ড থেকে এসেছিলেন, তাঁদের পুরোনো প্রজন্মের নারীরা এখনো সামনে আঁচল ঝুলিয়ে শাড়ি পরেন।
তবে বাঙালি নারীদের মধ্যে সাধারণভাবে দুইভাবে শাড়ি পরার ধরন থাকলেও শাড়ির কুঁচি, আঁচল রাখার ক্ষেত্রে ভিন্নতা এসেছে। এমনকি শাড়ি পরানোর জন্য কিছু জায়গায় পেশাদার তৈরি হয়েছে। পুরো ভারতবর্ষে নাকি এখন সাধারণ কুঁচিতে শাড়ি পরা ছাড়াও এক শর বেশি কায়দায় শাড়ি পরা হয়!
যাঁরা শাড়ি পরতে ভালোবাসেন, তাঁরা বলেন, শাড়ি নিজেই একটা আর্ট, শাড়ি পরা একটা আর্ট আর শাড়ি পরা নারীই সবচেয়ে সুন্দর। এখনো বেশির ভাগ ফরমাল অনুষ্ঠানে শাড়িই নারীদের পছন্দের পোশাক। কিছু কিছু পেশায় শাড়ি পরাটাই সর্বজনীন ছিল। যেমন স্কুল-কলেজের শিক্ষকেরা সচরাচর শাড়িই পরতেন। তবে এসব পেশায়ও বর্তমানে সালোয়ার-কামিজ পরার প্রচলন বেড়েছে।
শাড়ির চাহিদা কি কমেছে
শাড়ির চাহিদা কিছুটা হলেও কমেছে; বিশেষ করে আটপৌরে শাড়ি। এর কারণ মানুষের রুচি বদলে গেছে। তাঁরা মনে করছেন, সালোয়ার-কামিজ অনেক বেশি আরামদায়ক, সহজে ‘ক্যারি’ করা যায় আর শাড়ির দামও বেড়েছে। ভালো একটা তাঁতের সুতি শাড়ি, যেমন বসাক শাড়ি একটা তিন হাজার টাকার ওপরে। প্রিন্টের শাড়ি, যেমন কেয়া প্রিন্ট, পাকিজা বা শাহি প্রিন্ট শাড়ি, যেগুলো মায়েরা আগে বাসায় পরতেন, সেগুলোও ৮০০ টাকার বেশি। সেখানে ৫০০ টাকায় একটি সুতি সালোয়ার-কামিজ কেনা যায়। ফলে এখন নারীরা ‘থ্রিপিস’নির্ভর হয়ে পরছেন।
শাড়ি এখন বিশেষ দিন বা উৎসবের অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। শাড়ি এখন উৎসবে এক দিনের জন্য পরা হয়। ফলে নতুন প্রজন্ম কম দামে ‘কালারফুল’ উৎসবের শাড়ি চান। যেমন পয়লা বৈশাখ বা বসন্ত উৎসবের শাড়ি। এগুলো বেশির ভাগ একবার পরার শাড়ি, এগুলোর চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু আটপৌরে সুতি শাড়ির চাহিদা কমেছে।
এ ছাড়া আমাদের শাড়ির বাজার খেয়ে ফেলছে ভারতের দক্ষিণের জাঙ্ক শাড়ি। যেগুলো ভারত থেকে ২০০-৫০০ টাকার মধ্যে কিনে নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটে ও অনলাইন পেজে বিক্রি হচ্ছে। যেগুলো আবার সস্তা ও চকচকে, ফলে একশ্রেণির মানুষ এগুলো কিনছে দেশি শাড়ির পরিবর্তে।
শাড়ির আবেদনের একটা অদ্ভুত বহমানতা আছে। পুরোনো হয় কিন্তু ব্রাত্য হয়ে যায় না। মা-ঠাকুমার মালা শাড়ি আজও তাঁদের ট্রাংকে যত্নে, আদরে তোলা আছে। আমাদের প্রতিটি উৎসবজুড়ে থাকে শাড়ি—নানা বর্ণ, ঋতু আর নানা নকশায়।
হলুদরঙের শাড়ি, চোরকাঁটা বিঁধে আছ, এলোমেলো অঘ্রাণের খড় চারিদিকে শূন্য থেকে ভেসে এসে ছুঁয়ে ছেনে যেতেছে শরীর; চুলের উপর তার কুয়াশা রেখেছে হাত, ঝরিছে শিশির;
—জীবনানন্দ দাশ
লেখক: বাসন্তি সাহা, কো-অর্ডিনেটর, রিসার্চ অ্যান্ড ডকুমেন্টেশন, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে