সম্পাদকীয়
যখন যশোর জেলা সদরের কয়েকটি দোকানে খাদ্যমান পরীক্ষা করতে গিয়ে জিলাপির খামিতে তেলোপাকার মল, দইয়ে ইঁদুরের পায়ের ছাপ, বাসি ইফতারি পুনরায় বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করতে দেখতে পান, তখন সহজেই বোঝা যায়, এই এলাকায় ভোক্তা-সাধারণ কী খাচ্ছেন এবং তা তাঁদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা মারাত্মক হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
কেউ যদি ঘটনাটিকে যশোরের একচ্ছত্র অধিকার হিসেবে মনে করেন, তাহলে ভুল করবেন। যেকোনো শহরে, গ্রামগঞ্জে হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খোঁজ নিয়ে দেখুন, একই চিত্র দেখতে পাবেন। কেন এই অস্বাস্থ্যকর ঘটনাগুলো ঘটছে, তার শুলুক-সন্ধান করতে গেলে প্রথমেই চোখে পড়বে লোভের আশায় অমানবিক হয়ে যাওয়া বিক্রেতা সম্প্রদায়ের মুখ। কখনো কখনো মালিক স্বাস্থ্যকর খাদ্যের নিশ্চয়তা বিধান করতে চাইলেও কর্মচারীরা সেই প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেন এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার গছিয়ে দেন ক্রেতাকে। একটু ভেবে দেখুন, যে দইয়ের ওপর দিয়ে আনন্দচিত্তে হেঁটে গেছে একটি ইঁদুর, সেই দই তো গছিয়ে দেওয়া হবে কোনো ক্রেতাকে। তাঁরা কিছু না বুঝেই খাবেন; কিংবা যে জিলাপিটা বানানো হবে তেলাপোকার মলসহ, সেই জিলাপি তো কারও না কারও পেটেই ঢুকবে। কিন্তু বিক্রির সময় রদ্দি মাল গছিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে কোনো ধরনের লজ্জা পাবেন না বিক্রেতা, অন্যায় করার কোনো চিহ্নও ফুটে উঠবে না তার অবয়বে!
নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ বলে যে আইন আছে, সেটির অস্তিত্ব সম্পর্কে হোটেল-রেস্তোরাঁর ব্যবসায়ীদের খুব একটা ধারণা আছে বলে মনে হয় না। সেই আইনের পঞ্চম অধ্যায়ে ‘নিরাপদ খাদ্যব্যবস্থা-সম্পর্কিত বিধিনিষেধ’ বলে যে সতর্কীকরণগুলো আছে, তা জানা থাকলে কেউ এ রকম অমানবিক কাজ করতেন কি না, আমাদের জানা নেই। যদি দেখা যায়, আইন না মেনে চললেও কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই, তখন আইন মেনে চলার কথা বলা হলেও তা কাজে আসে না। আমাদের দেশে এ ধরনের আইনের প্রয়োগ সব সময় হয় না বলে নির্দ্বিধায় স্বাস্থ্যহানিকর কাণ্ড-কারখানা ঘটিয়ে চলেছে অসৎ মানুষ।
এই আইনের পঞ্চম অধ্যায়ের কয়েকটি বিষয় তুলে ধরি: বিষাক্ত দ্রব্যের ব্যবহার, নিম্নমানের খাদ্য উৎপাদন, শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত তেল, বর্জ্য, ভেজাল বা দূষণকারী দ্রব্য ইত্যাদি খাদ্য স্থাপনায় রাখা, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, হোটেল-রেস্তোরাঁ বা ভোজনস্থলের পরিবেশনসেবা। এই কটি বিষয়ে একটু চোখ রাখলেই খাদ্য-দুর্বৃত্তদের অনেকাংশে চাপের মুখে রাখা যায়। যেসব কর্মকাণ্ডের জন্য মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়ে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে, নিরাপদ খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করতে না পারলে আমরা এই দুর্বৃত্তপনা থেকে বের হয়ে আসতে পারব না।
শুধু জরিমানা করে এই সংকট মোকাবিলা করা যাবে না। খাদ্য ব্যবসায়ীদের ভাবনায় আসতে হবে ইতিবাচক পরিবর্তন। তা না হলে গোটা প্রক্রিয়াই ভেস্তে যাবে।
যখন যশোর জেলা সদরের কয়েকটি দোকানে খাদ্যমান পরীক্ষা করতে গিয়ে জিলাপির খামিতে তেলোপাকার মল, দইয়ে ইঁদুরের পায়ের ছাপ, বাসি ইফতারি পুনরায় বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করতে দেখতে পান, তখন সহজেই বোঝা যায়, এই এলাকায় ভোক্তা-সাধারণ কী খাচ্ছেন এবং তা তাঁদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা মারাত্মক হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
কেউ যদি ঘটনাটিকে যশোরের একচ্ছত্র অধিকার হিসেবে মনে করেন, তাহলে ভুল করবেন। যেকোনো শহরে, গ্রামগঞ্জে হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খোঁজ নিয়ে দেখুন, একই চিত্র দেখতে পাবেন। কেন এই অস্বাস্থ্যকর ঘটনাগুলো ঘটছে, তার শুলুক-সন্ধান করতে গেলে প্রথমেই চোখে পড়বে লোভের আশায় অমানবিক হয়ে যাওয়া বিক্রেতা সম্প্রদায়ের মুখ। কখনো কখনো মালিক স্বাস্থ্যকর খাদ্যের নিশ্চয়তা বিধান করতে চাইলেও কর্মচারীরা সেই প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেন এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার গছিয়ে দেন ক্রেতাকে। একটু ভেবে দেখুন, যে দইয়ের ওপর দিয়ে আনন্দচিত্তে হেঁটে গেছে একটি ইঁদুর, সেই দই তো গছিয়ে দেওয়া হবে কোনো ক্রেতাকে। তাঁরা কিছু না বুঝেই খাবেন; কিংবা যে জিলাপিটা বানানো হবে তেলাপোকার মলসহ, সেই জিলাপি তো কারও না কারও পেটেই ঢুকবে। কিন্তু বিক্রির সময় রদ্দি মাল গছিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে কোনো ধরনের লজ্জা পাবেন না বিক্রেতা, অন্যায় করার কোনো চিহ্নও ফুটে উঠবে না তার অবয়বে!
নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ বলে যে আইন আছে, সেটির অস্তিত্ব সম্পর্কে হোটেল-রেস্তোরাঁর ব্যবসায়ীদের খুব একটা ধারণা আছে বলে মনে হয় না। সেই আইনের পঞ্চম অধ্যায়ে ‘নিরাপদ খাদ্যব্যবস্থা-সম্পর্কিত বিধিনিষেধ’ বলে যে সতর্কীকরণগুলো আছে, তা জানা থাকলে কেউ এ রকম অমানবিক কাজ করতেন কি না, আমাদের জানা নেই। যদি দেখা যায়, আইন না মেনে চললেও কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই, তখন আইন মেনে চলার কথা বলা হলেও তা কাজে আসে না। আমাদের দেশে এ ধরনের আইনের প্রয়োগ সব সময় হয় না বলে নির্দ্বিধায় স্বাস্থ্যহানিকর কাণ্ড-কারখানা ঘটিয়ে চলেছে অসৎ মানুষ।
এই আইনের পঞ্চম অধ্যায়ের কয়েকটি বিষয় তুলে ধরি: বিষাক্ত দ্রব্যের ব্যবহার, নিম্নমানের খাদ্য উৎপাদন, শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত তেল, বর্জ্য, ভেজাল বা দূষণকারী দ্রব্য ইত্যাদি খাদ্য স্থাপনায় রাখা, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, হোটেল-রেস্তোরাঁ বা ভোজনস্থলের পরিবেশনসেবা। এই কটি বিষয়ে একটু চোখ রাখলেই খাদ্য-দুর্বৃত্তদের অনেকাংশে চাপের মুখে রাখা যায়। যেসব কর্মকাণ্ডের জন্য মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়ে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে, নিরাপদ খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করতে না পারলে আমরা এই দুর্বৃত্তপনা থেকে বের হয়ে আসতে পারব না।
শুধু জরিমানা করে এই সংকট মোকাবিলা করা যাবে না। খাদ্য ব্যবসায়ীদের ভাবনায় আসতে হবে ইতিবাচক পরিবর্তন। তা না হলে গোটা প্রক্রিয়াই ভেস্তে যাবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে