সম্পাদকীয়
সুনির্মল বসুর ছেলেবেলাটা কেটেছিল গিরিডিতে। শহরটির নাম শুনলেই প্রফেসর শঙ্কুর নাম মনে পড়ে যাবে। সত্যজিৎ রায়ের দারুণ যে দুজন নায়ক আছেন, তাঁদের মধ্যে ফেলুদা বাদে যিনি থাকেন, তিনিই প্রফেসর শঙ্কু। সেই শঙ্কুর অস্তিত্ব আদতে ছিল না, কিন্তু সুনির্মল বসু যে নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়েছেন লেখক হিসেবে, সে কথা তো সবারই জানা।
সুনির্মল বসু পরীক্ষা দিয়েছেন। শিগগিরই পরীক্ষার ফল বের হবে। ফলের খোঁজে অনেকেই ডাকঘরে যায়। সেখানে কিছু নতুন খবর পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। একদিন পাটনা থেকে একটি ছেলের নামে চিঠি এল। ছেলেটি চেঁচিয়ে উঠল, ‘হুররে, আমাদের পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে, আমি প্রথম বিভাগে পাস করেছি!’
সুনির্মলরা ছেলেটিকে ঘিরে ফেলল। গিরিডি স্কুল থেকে যারা পাস করেছে, তাদের সবার নাম ছিল সেই চিঠিতে। শোনা গেল, গিরিডি স্কুল থেকে সবসুদ্ধ পাস করেছে ২১ জন, তাদের মধ্যে ৯ জন প্রথম বিভাগে, ৭ জন দ্বিতীয় বিভাগে, আর ৫ জন তৃতীয় বিভাগে পাস করেছে। অনেক কষ্টে চিঠিটা হাতে পেয়ে সুনির্মল দেখলেন, প্রথম বিভাগ পাওয়া ৯ জনের মধ্যে তাঁর নামও আছে। তিনি সাইকেলে করে রুদ্ধশ্বাসে ছুটলেন বাড়ির দিকে। পথে বন্ধু ছোটুয়ার সঙ্গে দেখা। সুনির্মল সাইকেল চালাতে চালাতেই বললেন, ‘ছোটুয়া..., ফার্স্ট ডিভিশন।’ ছোটুয়া ‘আরে ইয়ার’ বলে কথা শুরু করেছিল। কিন্তু ছুটতে থাকা সুনির্মলের কানে তা পৌঁছাল না।
বাড়ির রোয়াকে বসে ছিলেন মেজ মামা। দূর থেকে পাসের খবর দিলেন সুনির্মল। বাতের ব্যথা অগ্রাহ্য করে মেজ মামা খোঁড়াতে খোঁড়াতে বাড়ির ভেতরে গিয়ে খবর দিয়ে এলেন। সবাই খুশি, কিন্তু মন গলল না বাবার। তিনি বললেন, ‘যা, গাধা কোথাকার। ফল বের হওয়ার দেরি আছে। তুই বাজে খবর শুনেছিস।
তারপরও পাটনায় এক বন্ধুপুত্রকে সুনির্মলের রোল নম্বর দিয়ে টেলিগ্রাম পাঠালেন বাবা। বিকেলে এল টেলিগ্রামের উত্তর। হ্যাঁ, প্রথম বিভাগ!
বাবা এবার নিশ্চিত হয়ে বললেন, ‘যাক—প্রথম বিভাগে গেছিস!’
সূত্র: সুনির্মল বসু, জীবনখাতার কয়েক পাতা, পৃষ্ঠা ২১৮-২১০
সুনির্মল বসুর ছেলেবেলাটা কেটেছিল গিরিডিতে। শহরটির নাম শুনলেই প্রফেসর শঙ্কুর নাম মনে পড়ে যাবে। সত্যজিৎ রায়ের দারুণ যে দুজন নায়ক আছেন, তাঁদের মধ্যে ফেলুদা বাদে যিনি থাকেন, তিনিই প্রফেসর শঙ্কু। সেই শঙ্কুর অস্তিত্ব আদতে ছিল না, কিন্তু সুনির্মল বসু যে নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়েছেন লেখক হিসেবে, সে কথা তো সবারই জানা।
সুনির্মল বসু পরীক্ষা দিয়েছেন। শিগগিরই পরীক্ষার ফল বের হবে। ফলের খোঁজে অনেকেই ডাকঘরে যায়। সেখানে কিছু নতুন খবর পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। একদিন পাটনা থেকে একটি ছেলের নামে চিঠি এল। ছেলেটি চেঁচিয়ে উঠল, ‘হুররে, আমাদের পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে, আমি প্রথম বিভাগে পাস করেছি!’
সুনির্মলরা ছেলেটিকে ঘিরে ফেলল। গিরিডি স্কুল থেকে যারা পাস করেছে, তাদের সবার নাম ছিল সেই চিঠিতে। শোনা গেল, গিরিডি স্কুল থেকে সবসুদ্ধ পাস করেছে ২১ জন, তাদের মধ্যে ৯ জন প্রথম বিভাগে, ৭ জন দ্বিতীয় বিভাগে, আর ৫ জন তৃতীয় বিভাগে পাস করেছে। অনেক কষ্টে চিঠিটা হাতে পেয়ে সুনির্মল দেখলেন, প্রথম বিভাগ পাওয়া ৯ জনের মধ্যে তাঁর নামও আছে। তিনি সাইকেলে করে রুদ্ধশ্বাসে ছুটলেন বাড়ির দিকে। পথে বন্ধু ছোটুয়ার সঙ্গে দেখা। সুনির্মল সাইকেল চালাতে চালাতেই বললেন, ‘ছোটুয়া..., ফার্স্ট ডিভিশন।’ ছোটুয়া ‘আরে ইয়ার’ বলে কথা শুরু করেছিল। কিন্তু ছুটতে থাকা সুনির্মলের কানে তা পৌঁছাল না।
বাড়ির রোয়াকে বসে ছিলেন মেজ মামা। দূর থেকে পাসের খবর দিলেন সুনির্মল। বাতের ব্যথা অগ্রাহ্য করে মেজ মামা খোঁড়াতে খোঁড়াতে বাড়ির ভেতরে গিয়ে খবর দিয়ে এলেন। সবাই খুশি, কিন্তু মন গলল না বাবার। তিনি বললেন, ‘যা, গাধা কোথাকার। ফল বের হওয়ার দেরি আছে। তুই বাজে খবর শুনেছিস।
তারপরও পাটনায় এক বন্ধুপুত্রকে সুনির্মলের রোল নম্বর দিয়ে টেলিগ্রাম পাঠালেন বাবা। বিকেলে এল টেলিগ্রামের উত্তর। হ্যাঁ, প্রথম বিভাগ!
বাবা এবার নিশ্চিত হয়ে বললেন, ‘যাক—প্রথম বিভাগে গেছিস!’
সূত্র: সুনির্মল বসু, জীবনখাতার কয়েক পাতা, পৃষ্ঠা ২১৮-২১০
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে