মামলার অগ্রগতি নেই আসামিরা জেলহাজতে

দেবিদ্বার প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৫৩
Thumbnail image

দেবিদ্বারে বাবার হাতে শিশু ফাহিমা হত্যা মামলার আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে আসামিরা জেলহাজতে রয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবিদ্বার থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান জানান, চাঞ্চল্যকর শিশু ফাহিমা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি কুমিল্লা জেলহাজতে রয়েছেন। তাঁরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলাটি অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলবে।

দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘সারা দেশে এ হত্যাকাণ্ডটি আলোচিত ঘটনা। এ মামলায় পাঁচজন আসামি বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। তাঁরা নিজেরাই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।’

এদিকে গত শনিবার অভিযুক্ত লাইলি আক্তারের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, লাইলির তিন মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ে বর্তমানে মাদরাসায় থেকে পড়াশোনা করছে। স্বজনেরা জানান, শিশুদের আশপাশের লোকজন খুনির মেয়ে বলে গালাগাল করে। এ জন্য দুজনকে মাদরসায় ও ছোট মেয়েকে নানির বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ফাহিমার মা হোসনেয়ার বেগম বলেন, ‘হত্যায় জড়িত কেউ যেন ছাড়া না পান। সবার ফাঁসি চাই। স্বামীরও ফাঁসি চাই। যেন পৃথিবীর আর কোনো বাবা এ ধরনের কাজের সাহস না পান।’

দাদি নাছিমা বেগম বলেন, ‘পরকিয়া পাঁচটি পরিবারের ৩০-৩৫টি জীবন নষ্ট করেছে। তাঁরা (পরকিয়ায় জড়িত বাবা ও লাইলি) দূরে কোথাও চলে যেত। কিন্তু আমার শিশু নাতনিকে কেন হত্যা করল।’

গত ৭ নভেম্বর বিকেলে পাঁচ বছরের শিশু ফাহিমা নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ১১ নভেম্বর বাবা মো. আমির হোসেন (২৫) দেবিদ্বার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ১৪ নভেম্বর পুলিশ দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর এলাকার কালভার্টের নিচের খাল থেকে শিশুটির বস্তবন্দি লাশ উদ্ধার করে। পরে তদন্তে জানা যায়, পরকিয়ার জেরে বাবাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। বাবাসহ গ্রেপ্তার হন মো. রবিউল আউয়াল (১৯), মো. রেজাউল ইসলাম ইমন (২২), বাবার প্রেমিকা মোসা. লাইলি আক্তার (৩০) ও মো. সোহেল রানা (২৭)।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত