হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
নগরীর খলিফাপট্টিতে গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঢুকতেই কানে ভেসে আসে সেলাই মেশিনের খটাখট শব্দ। সামনে ঈদ, তাই নতুন জামা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার দরজিরা। ক্রেতাদের হাতে পছন্দের পোশাক তুলে দিতে তাঁদের এই ব্যস্ততা। দম ফেলার ফুরসত নেই কারখানা মালিকদেরও।
বন্দর নগরীর চট্টগ্রামের ঘাটফরহাদবেগ এলাকায় খলিফাপট্টির অবস্থান। শত বছরের পুরোনো এই খলিফাপট্টিতে বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিন শ কারখানা আছে। এসব কারখানায় প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন ৷
গতকাল দুপুরে খলিফাপট্টি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ছোট ও মাঝারি কক্ষের এসব কারখানায় শ্রমিকদের কেউ কাপড় কাটছেন, কেউ সেলাই করছেন, আবার অনেকে পোশাকে জরি, চুমকি বা লেস বসানোর কাজ করছেন।
আকতার ভবনের তিন তলায় একটি কারখানায় কাজ করছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ এলাকার ফয়েজ আহমেদ মামুন। তিনি বলেন, ‘বিগত ১৫-১৬ বছর আমি এখানে কাজ করছি। এর মধ্যে গত দুই বছর করোনার কারণে আমরা খুব কঠিন সময় পার করেছি। করোনার দুই বছর পর আবার আগের মতো কাজ শুরু হয়েছে। এখন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাজ শুরু করি। সাহরির আগ পর্যন্ত কাজ চলে ৷ কোনো দিন চাপ থাকলে সারা রাতও কাজ করি।’
পাশের কারখানার রুবেল বলেন, ‘আমরা প্রডাকশনে কাজ করি। তাই শরীর যতক্ষণ কুলায়, ততক্ষণ কাজ করি। এখন সকাল থেকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করছি। তবে সেই আগের মতো কাজের চাপ এখন নেই।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পোশাকের ধরনের ওপর নির্ভর করে আমরা মজুরি নিই। যেসব পোশাকের ডিজাইন কম, এগুলোর প্রতি ডজন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা করে সেলাই করি। আর ডিজাইন বেশি হলে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত নিই।’
খলিফাপট্টি থেকে কাপড় নিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় বিক্রি করেন দোকানদাররা। কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন শপিংমল, কাপড়ের দোকানে শোভা পায় এখানকার পোশাক। যে কারণে সারা বছরই এখানে ব্যস্ততা থাকে। তবে রমজানকে ঘিরে এই ব্যস্ততা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তখন সকাল থেকে ভোর রাত পর্যন্ত কারখানায় কাজ করেন শ্রমিকেরা। রমজানকে ঘিরে তাই বাড়তি প্রস্তুতি থাকে কারখানা মালিকদের। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রমজানকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন কারখানা মালিকেরা। যে কারণে এখন ব্যস্ত সময় কাটছে তাঁদের। তবে ব্যস্ততা অনুযায়ী নেই বেচাকেনা। কারখানা মালিকেরা বলছেন, দুই বছর পর এবার বেচাকেনা কিছুটা বেড়েছে। তবে ঈদকে সামনে রেখে তাঁরা যে প্রস্তুতি নিয়েছেন, সেই অনুযায়ী বিক্রি অনেক কম।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে রহমান ফ্যাশনের মালিক খলিফাপট্টি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুই বছর করোনার কারণে লোকজন খুব বেশি কেনাকাটা করেননি। আমরা ধারণা করেছি, এবার হয়তো সবাই ঈদে নতুন পোশাক কিনবেন। সেই হিসেবে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বেচাকেনা নেই।’
তবে এবার বেচাকেনা ভালো হচ্ছে সেই কথাও জানিয়েছেন কেউ কেউ। ফারিয়া ফ্যাশনের মালিক মোরশেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত দুই বছর অনেক কারখানা মালিক পুঁজি হারিয়ে দেউলিয়া হয়ে গেছেন। আমরা যারা টিকে আছি, আমাদের অবস্থাও শোচনীয়। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। ক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়াও পাচ্ছি। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে বেচাকেনা আরও বাড়বে।
এক সময় খলিফাপট্টিতে গেলেই কারখানার শো-রুমগুলোতে দেখা মিলতো ছেলেদের পোশাক। গত কয়েক বছরে এতে পরিবর্তন এসেছে। এখন খলিফাপট্টিতে গেলে ছেলেদের পোশাক তেমন একটা চোখে পড়ে না। ছেলেদের পোশাকের জায়গায় স্থান করে নিয়েছে মেয়েদের পোশাক। রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খলিফাপট্টির প্রায় প্রতিটি শো-রুমে শোভা পাচ্ছে মেয়েদের পোশাক। চাহিদার বিপরীতে মেয়েদের ড্রেসে লাভ ভালো থাকায় কারখানার মালিকেরা এখন মেয়েদের ড্রেস তৈরিতে ঝুঁকছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
খলিফাপট্টির একাধিক কারখানা মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেয়েদের পোশাক সেলাই করা একটু কঠিন হওয়ায় একসময় এখানে ছেলেদের পোশাক বেশি তৈরি করা হতো। কিন্তু চাহিদা কমতে থাকায় ধীরে ধীরে এটি কমে আসে। বিপরীতে বাড়তে থাকে মেয়েদের পোশাকের চাহিদা। অন্যদিকে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পোশাকে লাভও ভালো, তাই সবাই এখন মেয়েদের পোশাকে তৈরিতে ঝুঁকেছে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে জ্যোতি ফ্যাশনের মালিক বেলাল হোসেন বলেন, ‘ছেলেদের পোশাক তৈরি সহজ হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক কারখানা গড়ে উঠেছে। বড় বড় গার্মেন্টসেও ছেলেদের পোশাক তৈরি হয়। তাই এখানে ছেলেদের পোশাকের চাহিদা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এ কারণে এখন সবাই মেয়েদের পোশাক তৈরি করছে। মেয়েদের পোশাকে লাভও বেশি। তবে কেউ স্পেশাল অর্ডার দিলে আমরা ছেলেদের কাপড়ও তৈরি করি। অর্ডার পেলে আমরা যে কোনো ধরনের কাপড় তৈরি করে দিই।’
নগরীর খলিফাপট্টিতে গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঢুকতেই কানে ভেসে আসে সেলাই মেশিনের খটাখট শব্দ। সামনে ঈদ, তাই নতুন জামা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার দরজিরা। ক্রেতাদের হাতে পছন্দের পোশাক তুলে দিতে তাঁদের এই ব্যস্ততা। দম ফেলার ফুরসত নেই কারখানা মালিকদেরও।
বন্দর নগরীর চট্টগ্রামের ঘাটফরহাদবেগ এলাকায় খলিফাপট্টির অবস্থান। শত বছরের পুরোনো এই খলিফাপট্টিতে বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিন শ কারখানা আছে। এসব কারখানায় প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন ৷
গতকাল দুপুরে খলিফাপট্টি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ছোট ও মাঝারি কক্ষের এসব কারখানায় শ্রমিকদের কেউ কাপড় কাটছেন, কেউ সেলাই করছেন, আবার অনেকে পোশাকে জরি, চুমকি বা লেস বসানোর কাজ করছেন।
আকতার ভবনের তিন তলায় একটি কারখানায় কাজ করছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ এলাকার ফয়েজ আহমেদ মামুন। তিনি বলেন, ‘বিগত ১৫-১৬ বছর আমি এখানে কাজ করছি। এর মধ্যে গত দুই বছর করোনার কারণে আমরা খুব কঠিন সময় পার করেছি। করোনার দুই বছর পর আবার আগের মতো কাজ শুরু হয়েছে। এখন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাজ শুরু করি। সাহরির আগ পর্যন্ত কাজ চলে ৷ কোনো দিন চাপ থাকলে সারা রাতও কাজ করি।’
পাশের কারখানার রুবেল বলেন, ‘আমরা প্রডাকশনে কাজ করি। তাই শরীর যতক্ষণ কুলায়, ততক্ষণ কাজ করি। এখন সকাল থেকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করছি। তবে সেই আগের মতো কাজের চাপ এখন নেই।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পোশাকের ধরনের ওপর নির্ভর করে আমরা মজুরি নিই। যেসব পোশাকের ডিজাইন কম, এগুলোর প্রতি ডজন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা করে সেলাই করি। আর ডিজাইন বেশি হলে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত নিই।’
খলিফাপট্টি থেকে কাপড় নিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় বিক্রি করেন দোকানদাররা। কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন শপিংমল, কাপড়ের দোকানে শোভা পায় এখানকার পোশাক। যে কারণে সারা বছরই এখানে ব্যস্ততা থাকে। তবে রমজানকে ঘিরে এই ব্যস্ততা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তখন সকাল থেকে ভোর রাত পর্যন্ত কারখানায় কাজ করেন শ্রমিকেরা। রমজানকে ঘিরে তাই বাড়তি প্রস্তুতি থাকে কারখানা মালিকদের। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রমজানকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন কারখানা মালিকেরা। যে কারণে এখন ব্যস্ত সময় কাটছে তাঁদের। তবে ব্যস্ততা অনুযায়ী নেই বেচাকেনা। কারখানা মালিকেরা বলছেন, দুই বছর পর এবার বেচাকেনা কিছুটা বেড়েছে। তবে ঈদকে সামনে রেখে তাঁরা যে প্রস্তুতি নিয়েছেন, সেই অনুযায়ী বিক্রি অনেক কম।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে রহমান ফ্যাশনের মালিক খলিফাপট্টি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুই বছর করোনার কারণে লোকজন খুব বেশি কেনাকাটা করেননি। আমরা ধারণা করেছি, এবার হয়তো সবাই ঈদে নতুন পোশাক কিনবেন। সেই হিসেবে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বেচাকেনা নেই।’
তবে এবার বেচাকেনা ভালো হচ্ছে সেই কথাও জানিয়েছেন কেউ কেউ। ফারিয়া ফ্যাশনের মালিক মোরশেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত দুই বছর অনেক কারখানা মালিক পুঁজি হারিয়ে দেউলিয়া হয়ে গেছেন। আমরা যারা টিকে আছি, আমাদের অবস্থাও শোচনীয়। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। ক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়াও পাচ্ছি। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে বেচাকেনা আরও বাড়বে।
এক সময় খলিফাপট্টিতে গেলেই কারখানার শো-রুমগুলোতে দেখা মিলতো ছেলেদের পোশাক। গত কয়েক বছরে এতে পরিবর্তন এসেছে। এখন খলিফাপট্টিতে গেলে ছেলেদের পোশাক তেমন একটা চোখে পড়ে না। ছেলেদের পোশাকের জায়গায় স্থান করে নিয়েছে মেয়েদের পোশাক। রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খলিফাপট্টির প্রায় প্রতিটি শো-রুমে শোভা পাচ্ছে মেয়েদের পোশাক। চাহিদার বিপরীতে মেয়েদের ড্রেসে লাভ ভালো থাকায় কারখানার মালিকেরা এখন মেয়েদের ড্রেস তৈরিতে ঝুঁকছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
খলিফাপট্টির একাধিক কারখানা মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেয়েদের পোশাক সেলাই করা একটু কঠিন হওয়ায় একসময় এখানে ছেলেদের পোশাক বেশি তৈরি করা হতো। কিন্তু চাহিদা কমতে থাকায় ধীরে ধীরে এটি কমে আসে। বিপরীতে বাড়তে থাকে মেয়েদের পোশাকের চাহিদা। অন্যদিকে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পোশাকে লাভও ভালো, তাই সবাই এখন মেয়েদের পোশাকে তৈরিতে ঝুঁকেছে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে জ্যোতি ফ্যাশনের মালিক বেলাল হোসেন বলেন, ‘ছেলেদের পোশাক তৈরি সহজ হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক কারখানা গড়ে উঠেছে। বড় বড় গার্মেন্টসেও ছেলেদের পোশাক তৈরি হয়। তাই এখানে ছেলেদের পোশাকের চাহিদা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এ কারণে এখন সবাই মেয়েদের পোশাক তৈরি করছে। মেয়েদের পোশাকে লাভও বেশি। তবে কেউ স্পেশাল অর্ডার দিলে আমরা ছেলেদের কাপড়ও তৈরি করি। অর্ডার পেলে আমরা যে কোনো ধরনের কাপড় তৈরি করে দিই।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে