নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
বন্যা হয়নি, হয়নি জলোচ্ছ্বাসও। এরপরও চট্টগ্রাম নগরের নিম্নাঞ্চলের সড়ক আর ঘরবাড়িতে থইথই করছে পানি। টানা বৃষ্টিতে এত দিন কিছু সড়কে পানি উঠলেও, গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গতকাল শনিবার বিকেলেও অনেক সড়ক ও ঘরবাড়ি থেকে পানি নামেনি। পানি ওঠে বহদ্দারহাটে অবস্থিত সিটি মেয়র এম রেজাউল করিমের বাড়িতেও।
পানির কারণে শুক্রবার রাত ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত নগরীর জিইসি থেকে বহদ্দারহাট সড়কের তিন কিলোমিটারজুড়ে শতাধিক ইঞ্জিনচালিত গাড়ি বিকল হয়ে যায়। একদিকে পানি, অন্যদিকে বিকল গাড়ি সড়কে পড়ে থাকার প্রভাব পড়ে বহদ্দারহাট ও আখতারুজ্জামান উড়ালসড়কে। সেখানে আটকা পড়ে শত শত গাড়ি। শুক্রবার রাত ৯টা থেকে গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত সেখানেই আটকে থাকতে হয় অনেককে।
শুক্রবার রাত ও গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সড়কে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। জিইসি থেকে বহদ্দারহাট সড়ক ছাড়াও বহদ্দারহাট থেকে চকবাজার যাওয়ার সড়ক, কেবি আমান আলী সড়ক, খাজা রোডসহ নিম্নাঞ্চলের সড়ক আর ঘরবাড়ির নিচতলায় পানি ঢুকে গেছে।
শিগগির এই পানি থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলছে না, এমন আভাস পাওয়া গেছে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাথ তঞ্চগ্যার কথায়। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে গতকাল শনিবার বেলা ৩ টা, এই ২৪ ঘণ্টায় ২৭ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ক’দিনও দমকা হাওয়ার সঙ্গে বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জিইসি থেকে বহদ্দারহাট হেঁটে আসতে আসতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এস এম জিয়া চৌধুরী বলেন, ‘এ তো সড়ক নয়, যেন এক স্রোতস্বিনী নদী।’ তখন নাসিরাবাদের সিঅ্যান্ডবি কলোনি, ২ নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যানের পাশ, মুরাদপুর ও বহদ্দারহাট মোড়ে পানি বেগে প্রবাহিত হচ্ছিল। তাই তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নিয়ে মানুষজনকে রাস্তা পার হতে হয়।
হাঁটুপানিতে গাড়ি বিকল। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। উন্মুক্ত নালায় পড়ার ভয়ে ফুটপাত ধরে হাঁটারও জো নেই। অফিস শেষে ফিরতি মানুষের অনেকে তাই গন্তব্যে যাচ্ছিলেন আইল্যান্ড আর উড়ালসড়কের নিচের খোলা জায়গা ধরে। আবার যেখানে আইল্যান্ড ধরে হাঁটা যাচ্ছে না, সেখানে ভোগান্তির শিকার হতে হয় মানুষকে।
তিন কিলোমিটার সড়কজুড়ে কোথাও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, কোথাও প্রাইভেট কার, কোথাও টেম্পো-ট্রাক বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। মূলত ইঞ্জিনে পানি ঢুকে এসব গাড়ি বিকল হয়।
মুরাদপুর মোড়ে বিকল হয়ে পড়ে একটি প্রাইভেট কার। ভেতরে আটকা পড়েন যাত্রীরা। প্রাইভেট কারের চালক রহিম উল্লাহ বলেন, ‘যাত্রীরা চকবাজার থেকে বায়েজিদ এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মুরাদপুর মোড়ে পানি ঢুকে যাওয়ায় ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়।’
পানির কারণে শুক্রবার রাত ৯টা থেকে গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত অনেকের নির্ঘুম আর আতঙ্কে সময় কেটেছে উড়ালসড়কে। সেই অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন মোটরসাইকেল নিয়ে রাতভর আখতারুজ্জামান উড়ালসড়কে আটকা পড়া মোহাম্মদ হেলাল। তিনি বলেন, ‘কাজ শেষে রাত পৌনে ১০টার দিকে সড়কে পানি দেখে উড়ালসড়কে উঠি। কিন্তু কিছু দূর গিয়ে দেখি উড়াল সড়কে আটকে আছে শত শত গাড়ি। গাড়ির জন্য সামনেও যেতে পারিনি, পেছনেও না। সকাল ৬টায় পানি সরে গেলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে আটকা পড়েন মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘যাত্রী নিয়ে দেওয়ানহাট থেকে বহদ্দারহাট যাচ্ছিলাম। কিন্তু উড়াল সড়কের ২ নম্বর গেট এলাকা পর্যন্ত আসতেই যানজটের কারণে আর সামনে এগোতে পারিনি। পরে যাত্রীরা চলে গেলেও আমি গাড়ি নিয়ে আটকা পড়ি।’
শুক্রবার রাতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেয়রের বাড়ির এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ‘গত বর্ষাতেও মেয়রের বাড়ির নিচ তলায় হাঁটু সমান পানি হয়েছিল। এরপর সামনের সড়ক ও উঠান উঁচু করা হয়। এরপরও পানি থেকে রক্ষা মিলল না।’
গতকাল দুপুরেও মেয়রের বাড়ির নিচ তলা, উঠান ও সামনের সড়কে হাঁটু সমান পানি ছিল। দুপুরে মেয়র এম রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারী বর্ষণে আমাদের এলাকায় পানি উঠেছে। এমনকি আমার বাড়ির উঠানে ও ঘরের ভেতর এক হাঁটু পানি। সেই পানি ডিঙিয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে জলাবদ্ধ এলাকা আর ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের পাহাড় থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ পরিদর্শন করতে গিয়েছি।’
বন্যা হয়নি, হয়নি জলোচ্ছ্বাসও। এরপরও চট্টগ্রাম নগরের নিম্নাঞ্চলের সড়ক আর ঘরবাড়িতে থইথই করছে পানি। টানা বৃষ্টিতে এত দিন কিছু সড়কে পানি উঠলেও, গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গতকাল শনিবার বিকেলেও অনেক সড়ক ও ঘরবাড়ি থেকে পানি নামেনি। পানি ওঠে বহদ্দারহাটে অবস্থিত সিটি মেয়র এম রেজাউল করিমের বাড়িতেও।
পানির কারণে শুক্রবার রাত ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত নগরীর জিইসি থেকে বহদ্দারহাট সড়কের তিন কিলোমিটারজুড়ে শতাধিক ইঞ্জিনচালিত গাড়ি বিকল হয়ে যায়। একদিকে পানি, অন্যদিকে বিকল গাড়ি সড়কে পড়ে থাকার প্রভাব পড়ে বহদ্দারহাট ও আখতারুজ্জামান উড়ালসড়কে। সেখানে আটকা পড়ে শত শত গাড়ি। শুক্রবার রাত ৯টা থেকে গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত সেখানেই আটকে থাকতে হয় অনেককে।
শুক্রবার রাত ও গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সড়কে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। জিইসি থেকে বহদ্দারহাট সড়ক ছাড়াও বহদ্দারহাট থেকে চকবাজার যাওয়ার সড়ক, কেবি আমান আলী সড়ক, খাজা রোডসহ নিম্নাঞ্চলের সড়ক আর ঘরবাড়ির নিচতলায় পানি ঢুকে গেছে।
শিগগির এই পানি থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলছে না, এমন আভাস পাওয়া গেছে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাথ তঞ্চগ্যার কথায়। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে গতকাল শনিবার বেলা ৩ টা, এই ২৪ ঘণ্টায় ২৭ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ক’দিনও দমকা হাওয়ার সঙ্গে বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জিইসি থেকে বহদ্দারহাট হেঁটে আসতে আসতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এস এম জিয়া চৌধুরী বলেন, ‘এ তো সড়ক নয়, যেন এক স্রোতস্বিনী নদী।’ তখন নাসিরাবাদের সিঅ্যান্ডবি কলোনি, ২ নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যানের পাশ, মুরাদপুর ও বহদ্দারহাট মোড়ে পানি বেগে প্রবাহিত হচ্ছিল। তাই তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নিয়ে মানুষজনকে রাস্তা পার হতে হয়।
হাঁটুপানিতে গাড়ি বিকল। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। উন্মুক্ত নালায় পড়ার ভয়ে ফুটপাত ধরে হাঁটারও জো নেই। অফিস শেষে ফিরতি মানুষের অনেকে তাই গন্তব্যে যাচ্ছিলেন আইল্যান্ড আর উড়ালসড়কের নিচের খোলা জায়গা ধরে। আবার যেখানে আইল্যান্ড ধরে হাঁটা যাচ্ছে না, সেখানে ভোগান্তির শিকার হতে হয় মানুষকে।
তিন কিলোমিটার সড়কজুড়ে কোথাও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, কোথাও প্রাইভেট কার, কোথাও টেম্পো-ট্রাক বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। মূলত ইঞ্জিনে পানি ঢুকে এসব গাড়ি বিকল হয়।
মুরাদপুর মোড়ে বিকল হয়ে পড়ে একটি প্রাইভেট কার। ভেতরে আটকা পড়েন যাত্রীরা। প্রাইভেট কারের চালক রহিম উল্লাহ বলেন, ‘যাত্রীরা চকবাজার থেকে বায়েজিদ এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মুরাদপুর মোড়ে পানি ঢুকে যাওয়ায় ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়।’
পানির কারণে শুক্রবার রাত ৯টা থেকে গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত অনেকের নির্ঘুম আর আতঙ্কে সময় কেটেছে উড়ালসড়কে। সেই অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন মোটরসাইকেল নিয়ে রাতভর আখতারুজ্জামান উড়ালসড়কে আটকা পড়া মোহাম্মদ হেলাল। তিনি বলেন, ‘কাজ শেষে রাত পৌনে ১০টার দিকে সড়কে পানি দেখে উড়ালসড়কে উঠি। কিন্তু কিছু দূর গিয়ে দেখি উড়াল সড়কে আটকে আছে শত শত গাড়ি। গাড়ির জন্য সামনেও যেতে পারিনি, পেছনেও না। সকাল ৬টায় পানি সরে গেলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে আটকা পড়েন মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘যাত্রী নিয়ে দেওয়ানহাট থেকে বহদ্দারহাট যাচ্ছিলাম। কিন্তু উড়াল সড়কের ২ নম্বর গেট এলাকা পর্যন্ত আসতেই যানজটের কারণে আর সামনে এগোতে পারিনি। পরে যাত্রীরা চলে গেলেও আমি গাড়ি নিয়ে আটকা পড়ি।’
শুক্রবার রাতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেয়রের বাড়ির এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ‘গত বর্ষাতেও মেয়রের বাড়ির নিচ তলায় হাঁটু সমান পানি হয়েছিল। এরপর সামনের সড়ক ও উঠান উঁচু করা হয়। এরপরও পানি থেকে রক্ষা মিলল না।’
গতকাল দুপুরেও মেয়রের বাড়ির নিচ তলা, উঠান ও সামনের সড়কে হাঁটু সমান পানি ছিল। দুপুরে মেয়র এম রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারী বর্ষণে আমাদের এলাকায় পানি উঠেছে। এমনকি আমার বাড়ির উঠানে ও ঘরের ভেতর এক হাঁটু পানি। সেই পানি ডিঙিয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে জলাবদ্ধ এলাকা আর ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের পাহাড় থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ পরিদর্শন করতে গিয়েছি।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৮ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে