সম্পাদকীয়
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান কিন্তু আর একটু হলেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিতেন। কীভাবে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে এলেন, সে ঘটনা বলি।
পড়তেন তিনি ময়মনসিংহ ক্যাডেট কলেজে। বন্ধুর বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে বন্ধুসমেত একবার এসেছিলেন তৎকালীন জিন্নাহ হলে, এখন যা সূর্য সেন হল। সে সময় সিনিয়ররা থাকতেন একদিকে, অন্যদিকে ছোটরা। ছোটরা কখনো বড়দের দিকে যাওয়ার সাহসও করতেন না।
মাধ্যমিকে সেরা ১০ জনের একজন ছিলেন তিনি। বিজ্ঞান বিভাগে। সে সময় আরেকবার এলেন ঢাকায়। এবার এলেন এক বন্ধুর সঙ্গে, যার বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের চেয়ারম্যান। সেই বাড়ির এক বড় বোন আতিউরকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এসএসসিতে তোমার ভালো রেজাল্ট। এইচএসসিতেও ভালো করবে। পাস করে কী পড়তে চাও?’
আতিউর বললেন, ‘ক্যাডেট কলেজের অনেকেই সামরিক বাহিনীতে যাবে। আমিও হয়তো যাব।’
সেই বড় বোন (যাঁর নাম ছিল জুলফিয়া) বললেন, ‘যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ো, তাহলে অর্থনীতি নিয়ে পোড়ো।’ এরপর জানালেন, তিনি অর্থনীতিতে পড়া শুরু করেছিলেন। বিয়ে হয়ে যাওয়ায় পড়া চালিয়ে যেতে পারেননি। তাঁর এক বছরের নোট ও অর্থনীতির ওপর কিছু বই দিলেন। সেখানে অঙ্ক আছে দেখে আতিউর রহমানের ভালো লাগল।
এইচএসসিতেও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম ১০ জনের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। প্রথমে চেষ্টা করলেন সেনাবাহিনীতে। আইএসএসবিও পাস করলেন। সমস্যা করল চোখের দৃষ্টি। দৃষ্টি ক্ষীণ বলে সেখানে ভর্তি হতে পারলেন না। এরপর অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাইলেন। কিন্তু সেখানেও বাদ সাধল চোখ। তখন তিনি জুলফিয়া আপার পরামর্শের কথা মনে করে এলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে ভর্তি হওয়ার জন্য।
মৌখিক পরীক্ষায় শিক্ষকেরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘ফিজিকস বা কেমিস্ট্রিতে ভর্তি না হয়ে অর্থনীতিতে ভর্তি হতে চাইছ কেন?’
আতিউর বললেন, ‘আমি খুব বড় অর্থনীতিবিদ হতে চাই।’
শিক্ষকেরা তাঁকে ভর্তি করে নিলেন এই বিভাগে।
সূত্র: আতিউর রহমান, সৌরভে গৌরবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পৃষ্ঠা ৩৩৩-৩৩৪
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান কিন্তু আর একটু হলেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিতেন। কীভাবে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে এলেন, সে ঘটনা বলি।
পড়তেন তিনি ময়মনসিংহ ক্যাডেট কলেজে। বন্ধুর বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে বন্ধুসমেত একবার এসেছিলেন তৎকালীন জিন্নাহ হলে, এখন যা সূর্য সেন হল। সে সময় সিনিয়ররা থাকতেন একদিকে, অন্যদিকে ছোটরা। ছোটরা কখনো বড়দের দিকে যাওয়ার সাহসও করতেন না।
মাধ্যমিকে সেরা ১০ জনের একজন ছিলেন তিনি। বিজ্ঞান বিভাগে। সে সময় আরেকবার এলেন ঢাকায়। এবার এলেন এক বন্ধুর সঙ্গে, যার বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের চেয়ারম্যান। সেই বাড়ির এক বড় বোন আতিউরকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এসএসসিতে তোমার ভালো রেজাল্ট। এইচএসসিতেও ভালো করবে। পাস করে কী পড়তে চাও?’
আতিউর বললেন, ‘ক্যাডেট কলেজের অনেকেই সামরিক বাহিনীতে যাবে। আমিও হয়তো যাব।’
সেই বড় বোন (যাঁর নাম ছিল জুলফিয়া) বললেন, ‘যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ো, তাহলে অর্থনীতি নিয়ে পোড়ো।’ এরপর জানালেন, তিনি অর্থনীতিতে পড়া শুরু করেছিলেন। বিয়ে হয়ে যাওয়ায় পড়া চালিয়ে যেতে পারেননি। তাঁর এক বছরের নোট ও অর্থনীতির ওপর কিছু বই দিলেন। সেখানে অঙ্ক আছে দেখে আতিউর রহমানের ভালো লাগল।
এইচএসসিতেও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম ১০ জনের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। প্রথমে চেষ্টা করলেন সেনাবাহিনীতে। আইএসএসবিও পাস করলেন। সমস্যা করল চোখের দৃষ্টি। দৃষ্টি ক্ষীণ বলে সেখানে ভর্তি হতে পারলেন না। এরপর অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাইলেন। কিন্তু সেখানেও বাদ সাধল চোখ। তখন তিনি জুলফিয়া আপার পরামর্শের কথা মনে করে এলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে ভর্তি হওয়ার জন্য।
মৌখিক পরীক্ষায় শিক্ষকেরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘ফিজিকস বা কেমিস্ট্রিতে ভর্তি না হয়ে অর্থনীতিতে ভর্তি হতে চাইছ কেন?’
আতিউর বললেন, ‘আমি খুব বড় অর্থনীতিবিদ হতে চাই।’
শিক্ষকেরা তাঁকে ভর্তি করে নিলেন এই বিভাগে।
সূত্র: আতিউর রহমান, সৌরভে গৌরবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পৃষ্ঠা ৩৩৩-৩৩৪
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে