সম্পাদকীয়
বহু আগে একবার ওয়াহিদুল হক বলেছিলেন সৈয়দ শামসুল হককে, ‘যে আদর্শ নিয়ে বাঙালি একদিন মুক্তিযুদ্ধ করেছিল এবং বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিল, সেই আদর্শ এবং চেতনা এখন আর এই বাংলাদেশের কোথাও নেই, কেবলমাত্র মঞ্চ ছাড়া।’ ওয়াহিদুল হক কামনা করেছিলেন, সমগ্র বাংলাদেশ এই নাট্যমঞ্চের সমান উঁচু হয়ে উঠুক।
সৈয়দ হকের মনে প্রশ্ন জেগেছিল, আদৌ কি নাট্যকর্মীরা একা কাজটি করতে পারবেন কিংবা রাজনীতিকেরা মিলে নিজেরাই বদলে দেবেন দেশ? অথবা কোনো একটা গোষ্ঠী বা শ্রেণি? প্রশ্নটা সহজ কিন্তু উত্তর সহজ নয়।
সৈয়দ হকের মনে পড়ে, এ ব্যাপারে উৎপল দত্ত একটা অসাধারণ কথা বলেছিলেন। ‘পশ্চিম বাংলার রঙ্গমঞ্চে যত বিপ্লব সাধিত হয়েছে, তার শতভাগের এক ভাগও দেশের মাটিতে হলে দেশটার চেহারা আজ অন্য রকম হতো।’ এই ছিল উৎপল দত্তের কথা।
আর মৃণাল সেন ব্যাপারটা দেখেছেন আরেকভাবে। কল্পনায় শ্রমিকশ্রেণির প্রতিভূকে দিয়ে বুর্জোয়া সমাজের প্রতিনিধি কাউকে মারপিট করানোর চেষ্টা তিনি করেননি। সমাজে যা ঘটে না, চলচ্চিত্রে তা প্রকাশ করে আত্মরতি পাওয়ার কথা তিনি ভাবেননি। সিনেমায় যদি গরিব লোকটি বাবুর গালে চড় লাগিয়ে দেয়, তাহলে দর্শক খুশি হয়ে বাড়ি ফেরে এই ভেবে যে, পর্দায় গরিবের জাগরণ এবং বিপ্লব দেখানো হয়ে গেছে। বাস্তবে আর সেই বিপ্লব ঘটানোর আবশ্যকতা নেই। যেমন সব চলছে—শোষণ-শাসন সেভাবেই চলুক। মৃণাল সেন ওই যে চড়টা দেয়াননি, ওই যে ওইটুকু রুপালি পর্দায় তিনি ঘটাননি, এর দরুন দর্শক বাড়িতে ফিরে নিজের গালেই একটা করে অদৃশ্য চড় খেতে থাকবে, তাতে যদি একটা পরিবর্তন আসে।
তাই মঞ্চে বিপ্লব না ঘটানোই ভালো। মঞ্চে তা ঘটলে সেটা মঞ্চেই রয়ে যাবে, দেশের মাটি ছোঁবে না। মুক্তিযুদ্ধের জন্য মন খারাপ হলে মানুষ ঘুরে আসবে নাটকের প্রেক্ষাগৃহ অথবা সিনেমা হল থেকে; যেখানে মুক্তিযুদ্ধের জয়জয়কার দেখে হাততালি দিয়ে বাড়ি ফিরে যাবে। পরিবর্তন কিছুই হবে না।
সূত্র: সৈয়দ শামসুল হক, হৃদ কলমের টানে, পৃষ্ঠা: ১৪৩-১৪৪
বহু আগে একবার ওয়াহিদুল হক বলেছিলেন সৈয়দ শামসুল হককে, ‘যে আদর্শ নিয়ে বাঙালি একদিন মুক্তিযুদ্ধ করেছিল এবং বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিল, সেই আদর্শ এবং চেতনা এখন আর এই বাংলাদেশের কোথাও নেই, কেবলমাত্র মঞ্চ ছাড়া।’ ওয়াহিদুল হক কামনা করেছিলেন, সমগ্র বাংলাদেশ এই নাট্যমঞ্চের সমান উঁচু হয়ে উঠুক।
সৈয়দ হকের মনে প্রশ্ন জেগেছিল, আদৌ কি নাট্যকর্মীরা একা কাজটি করতে পারবেন কিংবা রাজনীতিকেরা মিলে নিজেরাই বদলে দেবেন দেশ? অথবা কোনো একটা গোষ্ঠী বা শ্রেণি? প্রশ্নটা সহজ কিন্তু উত্তর সহজ নয়।
সৈয়দ হকের মনে পড়ে, এ ব্যাপারে উৎপল দত্ত একটা অসাধারণ কথা বলেছিলেন। ‘পশ্চিম বাংলার রঙ্গমঞ্চে যত বিপ্লব সাধিত হয়েছে, তার শতভাগের এক ভাগও দেশের মাটিতে হলে দেশটার চেহারা আজ অন্য রকম হতো।’ এই ছিল উৎপল দত্তের কথা।
আর মৃণাল সেন ব্যাপারটা দেখেছেন আরেকভাবে। কল্পনায় শ্রমিকশ্রেণির প্রতিভূকে দিয়ে বুর্জোয়া সমাজের প্রতিনিধি কাউকে মারপিট করানোর চেষ্টা তিনি করেননি। সমাজে যা ঘটে না, চলচ্চিত্রে তা প্রকাশ করে আত্মরতি পাওয়ার কথা তিনি ভাবেননি। সিনেমায় যদি গরিব লোকটি বাবুর গালে চড় লাগিয়ে দেয়, তাহলে দর্শক খুশি হয়ে বাড়ি ফেরে এই ভেবে যে, পর্দায় গরিবের জাগরণ এবং বিপ্লব দেখানো হয়ে গেছে। বাস্তবে আর সেই বিপ্লব ঘটানোর আবশ্যকতা নেই। যেমন সব চলছে—শোষণ-শাসন সেভাবেই চলুক। মৃণাল সেন ওই যে চড়টা দেয়াননি, ওই যে ওইটুকু রুপালি পর্দায় তিনি ঘটাননি, এর দরুন দর্শক বাড়িতে ফিরে নিজের গালেই একটা করে অদৃশ্য চড় খেতে থাকবে, তাতে যদি একটা পরিবর্তন আসে।
তাই মঞ্চে বিপ্লব না ঘটানোই ভালো। মঞ্চে তা ঘটলে সেটা মঞ্চেই রয়ে যাবে, দেশের মাটি ছোঁবে না। মুক্তিযুদ্ধের জন্য মন খারাপ হলে মানুষ ঘুরে আসবে নাটকের প্রেক্ষাগৃহ অথবা সিনেমা হল থেকে; যেখানে মুক্তিযুদ্ধের জয়জয়কার দেখে হাততালি দিয়ে বাড়ি ফিরে যাবে। পরিবর্তন কিছুই হবে না।
সূত্র: সৈয়দ শামসুল হক, হৃদ কলমের টানে, পৃষ্ঠা: ১৪৩-১৪৪
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৯ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে