গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি
উজানে টানা বৃষ্টির ফলে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের মুখ খুলে দেওয়ায় তিস্তায় হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তা ব্যারাজ পানি ধরে রাখতে না পারায় গত বুধবার বেলা ২টা থেকে নদীতে পানি বাড়তে থাকে। ইতিমধ্যে গঙ্গাচড়ায় চরের ধান, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, মিষ্টি কুমড়া, বাদাম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের প্রায় ৩০০ একর খেত তলিয়ে গেছে।
প্রাকৃতিক এমন দুর্যোগে কৃষকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তাঁরা ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
তিস্তাচরের বাদামচাষি আজিজুল জানান, তিনি পৌনে তিন একর জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। গত মঙ্গলবারও খেতে নিড়ানি দিয়েছেন। কিন্তু বুধবার দুপুরে হঠাৎ তিস্তায় পানি এসে দুই একর খেত তলিয়ে গেছে।
আজিজুল বলেন, ‘দুশ্চিন্তায় আছি, কী যে হবে ফসলের। আমরা বারবার তিস্তার তিস্তার কাছে হেরে যাচ্ছি।’
বুধবার বিকেলে কথা হয় পশ্চিমশ্রী গ্রামের হাবিবুর মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘চরের দেড় একর জমিতে বোরো ধান লাগিয়ে ছিলাম। আজকে হঠাৎ দুপুরে পানি আসায় সব গাছ তলিয়ে গেছে। আবাদ নিয়ে টেনশনে আছি। এত চাপ আর ভালো লাগে না। সরকার কবে তিস্তা নদীর ব্যবস্থা নিবে? তত দিনে কি আমরা না খেয়ে মরে যাব? সরকার কি আমাদের নিয়ে একটুও ভাবে না?’
নদীর চরে দুই একর জমিতে ১ লাখ টাকা খরচ করে মিষ্টি কুমড়া চাষ করা ছালাপাক গ্রামের চাষি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘দুবার মিষ্টি কুমড়া তুলে বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা পেয়েছি। এখন হঠাৎ তিস্তায় পানি এসে পুরো খেত তলিয়ে গেছে। বাকি কুমড়া খেত থেকে তোলা হবে বলে মনে হয় না। এবার আমাদের মতো কৃষকের জন্য কবর হয়ে গেল।’
তলিয়ে যাওয়া খেত থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করা মহিপুর গ্রামের সহিদার রহমান জানান, আরও কয়েক দিন গেলে পেঁয়াজগুলো ভালো করে পুষ্ট হতো। এখন অপরিপক্ব অবস্থায় পানির নিচ থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, তিস্তার উজানে অব্যাহত ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে পানি কমে যাচ্ছে।
ফসলের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, এখনো ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। দু-এক দিনের মধ্যে পানি নেমে যাবে। তাই ক্ষতির আশঙ্কা কম।
উজানে টানা বৃষ্টির ফলে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের মুখ খুলে দেওয়ায় তিস্তায় হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তা ব্যারাজ পানি ধরে রাখতে না পারায় গত বুধবার বেলা ২টা থেকে নদীতে পানি বাড়তে থাকে। ইতিমধ্যে গঙ্গাচড়ায় চরের ধান, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, মিষ্টি কুমড়া, বাদাম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের প্রায় ৩০০ একর খেত তলিয়ে গেছে।
প্রাকৃতিক এমন দুর্যোগে কৃষকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তাঁরা ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
তিস্তাচরের বাদামচাষি আজিজুল জানান, তিনি পৌনে তিন একর জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। গত মঙ্গলবারও খেতে নিড়ানি দিয়েছেন। কিন্তু বুধবার দুপুরে হঠাৎ তিস্তায় পানি এসে দুই একর খেত তলিয়ে গেছে।
আজিজুল বলেন, ‘দুশ্চিন্তায় আছি, কী যে হবে ফসলের। আমরা বারবার তিস্তার তিস্তার কাছে হেরে যাচ্ছি।’
বুধবার বিকেলে কথা হয় পশ্চিমশ্রী গ্রামের হাবিবুর মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘চরের দেড় একর জমিতে বোরো ধান লাগিয়ে ছিলাম। আজকে হঠাৎ দুপুরে পানি আসায় সব গাছ তলিয়ে গেছে। আবাদ নিয়ে টেনশনে আছি। এত চাপ আর ভালো লাগে না। সরকার কবে তিস্তা নদীর ব্যবস্থা নিবে? তত দিনে কি আমরা না খেয়ে মরে যাব? সরকার কি আমাদের নিয়ে একটুও ভাবে না?’
নদীর চরে দুই একর জমিতে ১ লাখ টাকা খরচ করে মিষ্টি কুমড়া চাষ করা ছালাপাক গ্রামের চাষি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘দুবার মিষ্টি কুমড়া তুলে বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা পেয়েছি। এখন হঠাৎ তিস্তায় পানি এসে পুরো খেত তলিয়ে গেছে। বাকি কুমড়া খেত থেকে তোলা হবে বলে মনে হয় না। এবার আমাদের মতো কৃষকের জন্য কবর হয়ে গেল।’
তলিয়ে যাওয়া খেত থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করা মহিপুর গ্রামের সহিদার রহমান জানান, আরও কয়েক দিন গেলে পেঁয়াজগুলো ভালো করে পুষ্ট হতো। এখন অপরিপক্ব অবস্থায় পানির নিচ থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, তিস্তার উজানে অব্যাহত ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে পানি কমে যাচ্ছে।
ফসলের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, এখনো ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। দু-এক দিনের মধ্যে পানি নেমে যাবে। তাই ক্ষতির আশঙ্কা কম।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে