তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড শাখায় হঠাৎ কমিটি দেওয়া শুরু করেছেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানায় কমিটি দিচ্ছে ছাত্রলীগের আরেকটি পক্ষ। পাল্টাপাল্টি কমিটি আবারও ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে।
চট্টগ্রাম নগরের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের রাজনীতি দুটি ধারায় বিভক্ত। এর মধ্যে একটি পক্ষ প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর এই অংশটি তাঁর ছেলে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের পেছনে রাজনীতি করছে। আরেকটি পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলয়ের হিসেবে পরিচিত। প্রায় তিন দশক ধরে সংগঠনের বিভিন্ন পদ দুই পক্ষের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে আসছে।
নগর ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনই নওফেলের অনুসারী। এ দুজনের নেতৃত্বাধীন কমিটির বয়স প্রায় আট বছর পেরিয়েছে। অনেক দিন ধরে আ জ ম নাছির পক্ষের অনুসারী নেতারা নতুন কমিটির দাবি জানিয়ে আসছেন। ২০১৮ সালে কমিটি ভেঙে দেওয়ার কথাও উঠেছিল। অবশ্য পরববর্তী সময়ে সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়। এখন নতুন করে কোনো কমিটি দিলেই পাল্টা কমিটি দেওয়ার ঘটনা ঘটছে।
নাছির পক্ষের নেতা–কর্মীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, বিভিন্ন কমিটিতে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাঁদের দাবি, গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো নওফেল পক্ষের হাতে যাচ্ছে, আর কম গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো তাঁদের ভাগাভাগি করে দেওয়া হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও ত্যাগী কর্মীদের কমিটিতে জায়গা হচ্ছে না বলেও তাঁদের অভিযোগ।
১০ মে জামালখান ও মোহরা ওয়ার্ডে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে নগর ছাত্রলীগ। এর মধ্যে জামালখান ওয়ার্ডে এক বছরের জন্য কমিটি ঘোষণা করা হলেও মোহরা ওয়ার্ডে তিন মাসের জন্য ৩৬ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হয়। সেই দিন রাত ১২টার দিকে সদরঘাট থানা, চান্দগাঁও থানা, চান্দগাঁও ওয়ার্ড এবং পূর্ব ষোলোশহর ওয়ার্ডে কমিটি ঘোষণা করে নাছির পক্ষের অনুসারীরা। ছাত্রলীগের প্যাডে দেওয়া এসব কমিটিতে সহসভাপতি আবদুল খালেক ও যুগ্ম সম্পাদক মো. মইনুর রহমানের সই রয়েছে।
যদিও ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের ১০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছিলেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি–সাধারণ সম্পাদক। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সদরঘাট থানার ৭৮ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে চান্দগাঁও ওয়ার্ড ও পূর্ব ষোলোশহর ওয়ার্ডে তারা এখনো কমিটি ঘোষণা করেননি। সেই দুই ওয়ার্ডে নাছির পক্ষের হয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে।
তবে সহসভাপতি–যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কমিটি দিতে পারেন কিনা সেটিও নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নূরুন নবী সাহেদ বলেন, ‘ছাত্রলীগের ইতিহাসে সহসভাপতি–সাধারণ সম্পাদক কখনো কমিটি দিয়েছে এমন নজির নেই। এটা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। আমাদের থানায় কমিটি থাকার পরও নতুন করে পাল্টা কমিটি দেওয়া ছাত্রলীগের ঐতিহ্য আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নষ্ট করার অপচেষ্টা।’
তবে নাছির পক্ষের হয়ে কমিটি দেওয়া দুই নেতার একজন আবদুল খালেক বলছেন, সমন্বয় না থাকলে এমনটাই হবে। তিনি বলেন, ‘নগর ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি–সাধারণ সম্পাদক কলমের ক্ষমতায় কমিটি দিয়ে দিচ্ছেন। এসব কমিটি নিয়ে সংগঠনের অন্য নেতাদের সঙ্গে কোনো আলোচনাও করেন না তাঁরা। এতে অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন। এখন আমাদের পাল্টা কমিটি দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।’
এসব বিষয়ে জানতে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদকে একাধিকবার ফোন দিলেও ধরেননি। অবশ্য তাঁর ফোন না ধরার বিষয়ে আগে থেকেই সংবাদমাধ্যমের অভিযোগ আছে। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড শাখায় হঠাৎ কমিটি দেওয়া শুরু করেছেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানায় কমিটি দিচ্ছে ছাত্রলীগের আরেকটি পক্ষ। পাল্টাপাল্টি কমিটি আবারও ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে।
চট্টগ্রাম নগরের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের রাজনীতি দুটি ধারায় বিভক্ত। এর মধ্যে একটি পক্ষ প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর এই অংশটি তাঁর ছেলে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের পেছনে রাজনীতি করছে। আরেকটি পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলয়ের হিসেবে পরিচিত। প্রায় তিন দশক ধরে সংগঠনের বিভিন্ন পদ দুই পক্ষের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে আসছে।
নগর ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনই নওফেলের অনুসারী। এ দুজনের নেতৃত্বাধীন কমিটির বয়স প্রায় আট বছর পেরিয়েছে। অনেক দিন ধরে আ জ ম নাছির পক্ষের অনুসারী নেতারা নতুন কমিটির দাবি জানিয়ে আসছেন। ২০১৮ সালে কমিটি ভেঙে দেওয়ার কথাও উঠেছিল। অবশ্য পরববর্তী সময়ে সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়। এখন নতুন করে কোনো কমিটি দিলেই পাল্টা কমিটি দেওয়ার ঘটনা ঘটছে।
নাছির পক্ষের নেতা–কর্মীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, বিভিন্ন কমিটিতে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাঁদের দাবি, গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো নওফেল পক্ষের হাতে যাচ্ছে, আর কম গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো তাঁদের ভাগাভাগি করে দেওয়া হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও ত্যাগী কর্মীদের কমিটিতে জায়গা হচ্ছে না বলেও তাঁদের অভিযোগ।
১০ মে জামালখান ও মোহরা ওয়ার্ডে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে নগর ছাত্রলীগ। এর মধ্যে জামালখান ওয়ার্ডে এক বছরের জন্য কমিটি ঘোষণা করা হলেও মোহরা ওয়ার্ডে তিন মাসের জন্য ৩৬ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হয়। সেই দিন রাত ১২টার দিকে সদরঘাট থানা, চান্দগাঁও থানা, চান্দগাঁও ওয়ার্ড এবং পূর্ব ষোলোশহর ওয়ার্ডে কমিটি ঘোষণা করে নাছির পক্ষের অনুসারীরা। ছাত্রলীগের প্যাডে দেওয়া এসব কমিটিতে সহসভাপতি আবদুল খালেক ও যুগ্ম সম্পাদক মো. মইনুর রহমানের সই রয়েছে।
যদিও ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের ১০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছিলেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি–সাধারণ সম্পাদক। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সদরঘাট থানার ৭৮ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে চান্দগাঁও ওয়ার্ড ও পূর্ব ষোলোশহর ওয়ার্ডে তারা এখনো কমিটি ঘোষণা করেননি। সেই দুই ওয়ার্ডে নাছির পক্ষের হয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে।
তবে সহসভাপতি–যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কমিটি দিতে পারেন কিনা সেটিও নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নূরুন নবী সাহেদ বলেন, ‘ছাত্রলীগের ইতিহাসে সহসভাপতি–সাধারণ সম্পাদক কখনো কমিটি দিয়েছে এমন নজির নেই। এটা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। আমাদের থানায় কমিটি থাকার পরও নতুন করে পাল্টা কমিটি দেওয়া ছাত্রলীগের ঐতিহ্য আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নষ্ট করার অপচেষ্টা।’
তবে নাছির পক্ষের হয়ে কমিটি দেওয়া দুই নেতার একজন আবদুল খালেক বলছেন, সমন্বয় না থাকলে এমনটাই হবে। তিনি বলেন, ‘নগর ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি–সাধারণ সম্পাদক কলমের ক্ষমতায় কমিটি দিয়ে দিচ্ছেন। এসব কমিটি নিয়ে সংগঠনের অন্য নেতাদের সঙ্গে কোনো আলোচনাও করেন না তাঁরা। এতে অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন। এখন আমাদের পাল্টা কমিটি দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।’
এসব বিষয়ে জানতে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদকে একাধিকবার ফোন দিলেও ধরেননি। অবশ্য তাঁর ফোন না ধরার বিষয়ে আগে থেকেই সংবাদমাধ্যমের অভিযোগ আছে। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে